এএসআই
ইজতেমায় ডিউটিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এএসআই নিহত
গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় ডিউটি করতে আসার পথে বাসচাপায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মারা গেছেন।
এ ঘটনায় অপর এক উপপরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, ২ ভাই নিহত
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী মিলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসান মানিকগঞ্জ জেলার কোর্টে কর্মরত ছিলেন।
আহত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হামজা মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কর্মরত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এএসআই হাসান একটি মোটরসাইকেলে ইজতেমায় ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী পূর্ব থানার মিলগেট এলাকায় এলে পেছন থেকে বলাকা পরিবহনের একটি বাস তার মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়।
আরও পড়ুন: কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
পরে টঙ্গী থানা পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বর্তমানে ওই হাসপাতালে এসআই আমির হামজার চিকিৎসা চলছে। ঘটনার পরপরই বাসের চালক পালিয়ে যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাসচাপায় সহকারী উপপরিদর্শক হাসান নিহত ও উপপরিদর্শক আমির হামজা আহত হয়েছেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে আহত আমির হামজার চিকিৎসা চলছে। বাসটি শনাক্তের কাজ চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হানিফ ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
৯ মাস আগে
চট্টগ্রামে থানা হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: ২ এএসআই প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে থানা হেফাজেত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এম এ মাসুদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের প্রত্যাহার করে দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
তারা হলেন-চান্দগাঁও থানার এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) মো.ইউসুফ আলী এবং এটিএম সোহেল রানা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, দুদকের সাবেক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে তদন্তের স্বার্থে অভিযানে থাকা দুই এএসআইকে থানা থেকে সরিয়ে নিয়ে দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে সিএমপির চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার বাসা থেকে দুদকের অবসরপ্রাপ্ত উপপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে (৬৪) গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হুমকি-ধমকি ও মানহানির অভিযোগে আদালতে দায়ের হওয়া একটি মামলায় পরোয়ানামূলে শহীদুল্লাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়েছিল পুলিশ। তাকে চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) কক্ষে বসানোর পর তিনি অসুস্থবোধ করতে থাকেন। হৃদরোগে আক্রান্ত শহীদুল্লাহ’র মুখে এ সময় ইনহেলার স্প্রে করেন তার সঙ্গে যাওয়া ছোট ভাই। তবে অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে শুরু করলে ছোট ভাইয়ের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ শহীদুল্লাহকে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত শহীদুল্লার ছেলে নাফিজ শহীদ বলেন, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সাদা পোশাকে চান্দগাঁও থানার দুই এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) তার বাবাকে বাসা থেকে থানায় নিয়ে যান। পরে তারা জানতে পারেন, মারামারির একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন আমার বাবা হার্টের পেশেন্ট, উনার ইনহেলার আর মেডিসিন লাগে সবসময়। বাবাকে থানায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফটক বন্ধ করে দেন। ইনহেলার ও মেডিসিনও বাবার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি। পুলিশ ঔষধ নিতে না দিয়ে আমার বাবাকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করেছে।
এদিকে, ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাকে গ্রেপ্তারে কোনো বিধি বহির্ভূত কাজ হয়েছে কিনা এবং থানায় নিয়ে আসার পর তার সঙ্গে নিয়মবহির্র্ভূত কোনো আচরণ করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) উপকমিশনারকে প্রধান, অতিরিক্ত উপকমিশনারকে (উত্তর) সদস্য সচিব এবং সহকারী পুলিশ কমিশনারকে (সিটিএসবি) সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করে মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
১ বছর আগে
কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, এএসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রকে নির্যাতন এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী সাকিব আলী ওরফে অপি (১৭) মহেশ্বরপাশা সাহাপাড়া এলাকার হায়দার আলীর ছেলে এবং বিএল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মূসা বর্তমানে খালিশপুর থানায় কর্মরত।
আরও পড়ুন: ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ওসিসহ ৫ জন প্রত্যাহার
অন্যদিকে, ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশের দুজন সাক্ষীর কেউই ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করতে দেখার কথা অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন দৌলতপুর থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) আবু মূসা সাকিবকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারপিট করে থানায় নিয়ে চলে যায়। ঘটনার দুই দিন পর সাকিবের মা ফাতেমা বেগম জানতে পারেন তাঁর ছেলেকে ইয়াবা মামলা দিয়ে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, তৎকালীন দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) আবু মূসা ও সঙ্গীয় ফোর্স মহেশ্বরপাশা সাহাপাড়া এলাকায় সাকিব আলী ওরফে অপির খালা বাড়ি থেকে তাকে আটক করেন।
তবে আটকের সময় কোন প্রকার মাদক উদ্ধারের বিষয় এলাকাবাসী জানেন না বলে জানান।
পরবর্তীতে সাকিব আলী কে ১০২টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশ আটক করেছে এমন তথ্য এজাহার সূত্রে জানা যায়।
ওই এজাহারে যাদেরকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে তারা হলেন- দোকানী কাইয়ুম খান ও ড্রাইভার জাহেদ হোসেন মনা।
১নং সাক্ষী মো. কাইয়ুম খান বলেন, আমার সামনে পুলিশ কোনো মাদক উদ্ধার করেনি।
২নং সাক্ষী জাহেদ হোসেন মনা বলেন, পুলিশের গাড়িতে একটি ছেলেকে ওই দিন কান্নাকাটি করতে দেখেছি, আমি ওই সময় উপস্থিত থাকাকালীন কোনো মাদক উদ্ধার হয়েছে এমন কিছু দেখেনি।
কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত রিপোর্ট আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
ধর্ষণ ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে মামলা: পুলিশ সদস্য-ছাত্রলীগ নেতাসহ আসামি ১০
১ বছর আগে
মুন্সিগঞ্জে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে এএসআই ক্লোজড
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার অভিযুক্ত এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শাকিল ফরাজী (২৬) গজারিয়া উপজেলার মধ্য বাউশিয়া গ্রামের এমদাদুল হক ফরাজীর ছেলে।
অভিযুক্ত সুমন মিয়া গজারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এএসআই)।
আরও পড়ুন: নড়াইলে চাঁদাবাজির মামলায় সাংবাদিক দাবি করা ৩ জন গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী শাকিল ফরাজী জানান, মধ্য বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ডে খাজা আজমেরী ভ্যারাইটিজ স্টোর তার নামে একটি দোকান আছে। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি গজারিয়া থানার এএসআই সুমনের মাধ্যমে জানতে পারেন তার নামে নারায়ণগঞ্জে বন্দর থানায় একটি মাদক মামলা হয়েছে।
বিষয়টির প্রতিবাদ করে তিনি এএসআই কে জানান, গত কয়েক মাসের ভেতরেও তিনি বন্দর যাননি।
এ সম্পর্কিত কাগজপত্র দেখতে চাইলেও অপারগতা পোষণ করেন এএসআই ।
এরপর সোমবার সকাল ৯টার দিকে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারে শাকিল ফরাজীকে দোকান থেকে তুলে নেন অভিযুক্ত এএসআই । এসময় গাড়িতে তারা ছাড়াও আরও তিনজন ছিলেন।
চালক গাড়িটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চর বাউশিয়া এলাকার এক নির্জন বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়েই একটি পিস্তল দেখিয়ে তাকে দুই লাখ টাকা দিতে বলেন এএসআই ।
তার দাবিকৃত টাকা না দিলে মাদক মামলার আসামি হিসেবে তাকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এ সময় শাকিল ফরাজী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে ভুক্তভোগীকে হ্যান্ডকাপ পরানোর চেষ্টা করে। এরমধ্যে লোকজনের ভিড় পরে যায়। তারা ব্যবসায়ীকে নির্জন স্থানে নিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছেড়ে দেয় অভিযুক্ত। স্থানীয়রা অভিযুক্ত এএসআইকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই সুমন জানান, ‘তার এক বন্ধু নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় কর্মরত। সেখানে শাকিলের নামে একটি মাদক মামলা হয়েছে। সেই বন্ধু গজারিয়া থানায় আসে এবং বিষয়টি নিয়ে তারা নিরিবিলি কথা বলার জন্য শাকিলকে ওই বাগানে নিয়ে যায়।’
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে এএসআই সুমনকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি: ঢাবির ২ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাবি ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
১ বছর আগে
পত্নীতলায় ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
নওগাঁর পত্নীতলায় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশের এক উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) নিহত হয়েছেন। রবিবার সাড়ে ১০ টায় নজিপুর-সাপাহার সড়কের কুন্সিপুকুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রুহুল আমিন (৩৩) জয়পুরহাট সদর উপজেলার আটঠোকা গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। তার ৮ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
তিনি পত্নীতলা থানায় উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে দুই বছর যাবত কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সাড়ে ১০টায় প্রচণ্ড কুয়াশার মধ্যে রুহুল আমিন পত্নীতলা থানার মধুইল বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে পত্নীতলা থানায় ফিরছিলেন। তিনি নজিপুর-সাপাহার সড়কের চকআবদাল কুন্সিপুকুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়েন। এসময় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নওগাঁ পুলিশ লাইনস মাঠে মরহুমের জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১ বছর আগে
থানায় বিচার প্রার্থীকে মারধর: এএসআইয়ের পর ওসিও প্রত্যাহার
মানিকগঞ্জের শিবালয় থানায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক বাবা নির্যাতনের ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনকে মানিকগঞ্জ জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধ করলে তার দায় পুলিশ বাহিনীর নয়। পুলিশের যে সদস্য অপরাধ করেছেন তার দায় ওই সদস্যকেই নিতে হবে।
জানা গেছে, গত শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় শিবালয় থানায় গিয়ে শিশুকন্যাকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক বাবার নির্যাতনের ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তি করা হয়।
থানার ভেতরে বিচার প্রার্থীর নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীনকেও মানিকগঞ্জ জেলা থেকে প্রত্যাহার করে মাদারীপুর জেলায় সংযুক্তি করা হয়। এছাড়া ওসি মো. শাহীনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অপু মোহন্তকে।
পড়ুন: দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন, চট্টগ্রামে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি থানায় ছিলেন না। শুনেছেন ওইদিন সন্ধ্যায় এএসআই আরিফ হোসেন থানার ভেতরে এক ব্যক্তিকে মারধর করেছেন। এই ঘটনায় তাকে সোমবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ থেকে মাদারিপুর জেলায় বদলী করা হয়েছে। তিনি সোমবার রাতেই শিবালয় থানার ওসি (তদন্ত ) শেখ ফরিদ আহমেদের কাছে তার দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়েছেন।
অপর দিকে ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু মোহন্ত বলেন, শিবালয় থানায় পুলিশ সদস্যের হাতে একজন মারধরের ঘটনায় তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় শিবালয় থানায় কন্যাশিশু ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ দিতে গিয়ে এএসআই আরিফ হোসেন ওই ব্যক্তিকে থানার ভেতরে পিটিয়ে আহত করেন।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা জানান, স্ত্রীসহ তিনি ঢাকায় থাকেন। তার পাঁচ বছরের শিশুকন্যা থাকেন দাদীর কাছে। গত ২০ জুলাই রজ্জব খান নামে এক ব্যক্তি তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলে শিশুটির দাদী। পরে স্থানীয় সমাজপতিদের জানানো হলেও, প্রভাবশালী হওয়ায় কারণে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন না। উল্টো তাকেই নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হতো।
এরপর গত ১৪ আগস্ট শিবালয় থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও থানা থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে মা ও শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান তিনি। এসময় থানার ওসি রুমে ছিলেন না। এএসআই আরিফ হোসেনের কাছে ঘটনা খুলে বলার পর তাকে থানার ভেতর মারধরে করা হয়। রাতে পুলিশ সুপারের কাছে বিচার দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবালয় সার্কেলে নূরজাহান লাবনীর নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। ওই রাতেই অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
পড়ুন: বরগুনায় ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী প্রত্যাহার
২ বছর আগে
রাজধানীর সড়কে ঝরল আরও দুটি প্রাণ
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাসের চাপায় ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নিহত মো. জাহাঙ্গীর মাতব্বরের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায়। বিদেশ যাওয়ার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
পল্টন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনামুল হক জানান, জাহাঙ্গীর রাস্তা পার হওয়ার সময় মঞ্জিল পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে শুক্রবার রাতে গুলিস্তানে ট্রাকের ধাক্কায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি নিহত হয়, যার বয়স ৩০ বছর।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, রাত ১টার দিকে কয়েকজন পথশিশু তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
নবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নানা-নাতনীসহ নিহত ৩
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরের ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় সড়ক দুঘর্টনায় বেণুরাম নাথ (৪৮) নামে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) নিহত হয়েছেন।শুক্রবার দুপুরের দিকে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।নিহত বেণুরাম নাথ চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের অধিনে ইস্টার্ণ রিফাইনারি লিমিটেডে দায়িত্বরত ছিলেন।
নিহত বেণুরাম নাথের বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলায়।ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, সিমেন্ট ক্রসিং টিএসপি কমপ্লেক্সের সামনে কাভার্ডভ্যান বা লরির চাপায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। যতটুকু জেনেছি তিনি অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন। আর পথিমধ্যেই এই দুর্ঘনায় তিনি নিহত হন।’তিনি আরও বলেন, ‘নিহত পুলিশ সদস্যের লাশ তার বড় ভাই ও বোন জামাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ি এখনো শনাক্ত করতে পারেনি। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে গাড়ি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুই পরীক্ষার্থী নিহত, আহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশার যাত্রী নিহত
২ বছর আগে
সাংবাদিক হেনস্তা: চট্টগ্রামে হাইওয়ে পুলিশের এএসআইসহ ৫ পুলিশ প্রত্যাহার
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ডে হাইওয়ে পুলিশের এক পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সহ পাঁচ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিভিন্ন পরিবহন থেকে পুলিশের চাঁদাবাজিকালে সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করার সময় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে স্থানীয় দুই সাংবাদিককে হেনস্তা করার অভিযোগ পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সীতাকুণ্ডের টেরিয়াল ফাঁড়ির এএসআই মাসুদ রানা, কনস্টেবল লোকমান হোসেন, কনস্টেবল আমান, মো. করিম ও মো. জহির।
বৃহস্পতিবার কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মজুদকৃত ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন ডিউটিতে যারা ছিল তাদের সবাইকে ক্লোজড করে কুমিল্লা রিজিয়নে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
সাংবাদিক হেনস্তার এ ঘটনায় কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো.রহমত উল্লাহ'র নজরে আসে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, গত ১০ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড উপজেলার সামনে একটি দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীবাহী বাস ও একটি বালুবাহী ড্রাম ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করছিল হাইওয়ে পুলিশের ওই সদস্যরা। চাঁদাবাজির সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করতে চাইলে সাংবাদিক এম কে মনির ও ফারহান সিদ্দিককে হেনস্তা করেন এএসআই মাসুদ রানাসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকচাপায় বন্দর কর্মকর্তা নিহত
২ বছর আগে
কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে ৩ পুলিশ সদস্য আটক
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়েছেন সোনাগাজী মডেল থানার তিন পুলিশ সদস্য। রবিবার রাত ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছোটধলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক পুলিশ সদস্যরা হলেন- সোনাগাজী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই ) মো. জহিরুল হক, আদর্শগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল কাওছার ও আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: করোনায় ১০৬ পুলিশ সদস্য মারা গেছেন: আইজিপি
ছোটধলি গ্রামের চৌরাস্তার ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে তিন পুলিশ সদস্য সিএনজি যোগে এসে তার গতিরোধ করে। এ সময় তল্লাশির নামে তার তিনটি পকেটে থাকা ৪৮ হাজার ৬০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। টাকা ফেরত চাইলে ইয়াবা ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে সিএনজিতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ সদস্যরা। তখন তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে সিএনজিসহ পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে।
জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) মাশকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই: নারী গ্রেপ্তার
২ বছর আগে