আত্মসাত
আত্মসাতের টাকা ১ লাখ কোটি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাংকিং খাত সংস্কারের উদ্যোগ
দুর্নীতিবাজদের আত্মসাৎ করা অর্থ এবং দেশে ও বিদেশে রাখা উভয় সম্পদ পুনরুদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে দেশের ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠনের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
এছাড়া আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিদেশে পাচার হওয়া এসব সম্পদ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকসহ এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ৬ ব্যাংকে ঋণসীমা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে স্বীকার করে সরকার আর্থিক খাতের সংস্কারের অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, এই কৌশলের মূল উপাদান হবে ব্যাংকিং কমিশন প্রতিষ্ঠা করা, যা প্রতিটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিষয়ে তদন্ত, দুর্নীতির সম্পূর্ণ মাত্রা উন্মোচন এবং কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করবে। সারা বিশ্বের ব্যাংকিং নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করতে এই খাতকে ঢেলে সাজাতে পরিকল্পনাটি ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সব মান নিশ্চিত করতে সক্ষম হওয়া এবং একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে কার্যক্রমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থায়ন প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের ৬ ডিএমডিসহ শীর্ষ ৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত
অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যাংকিং খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়টি প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সংস্কার করা হচ্ছে।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী আত্মসাৎ করা মোট অর্থের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে এখনো কাজ চলছে।
এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি ব্যাংক সংস্কারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও একই ধরনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে।
পাচার হওয়া অর্থের সন্ধান এবং সেগুলো ফিরিয়ে আনতে সরকার বিদেশি সংস্থাগুলোর সহায়তাও চেয়েছে। নতুন ব্যবস্থাপনা দলগুলো ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণের সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং সেগুলো পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখতে দায়বদ্ধ থাকবেন।
আরও পড়ুন: এনবিআর পরিদর্শনে গিয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরলেন অর্থ উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
কর্মীদের অর্থ আত্মসাত: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা রিভিশন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এক বছরের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকতার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাৎ: অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এছাড়া বুধবারের এই আদেশের ফলে ড. ইউনূসসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এই মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
গত ১২ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এই আদেশ দেন। পরে অভিযোগ গঠনের এই আদেশ বাতিল চেয়ে গত ৮ জুলাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাইকোর্টে আবেদন জানান। আবেদনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়। ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মে মামলা করে দুদক।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাৎ: অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন
ড. ইউনূসকে তার বিষয় নিয়ে বিতর্কের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
৪ মাস আগে
গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল কবিরকে দুই বছর তিন মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশপাশি এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছর তিন মাস কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
এর আগে মামলাটি দায়ের করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম অফিস।
দণ্ডিত মো. ইফতেখারুল কবির ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম ও আর নিজাম রোড শাখার সাবেক ব্যাংকিং প্রায়োরিটি ম্যানেজার ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
দুদকের আইনজীবী মুজিবুর রহমান চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাদী-বিবাদী পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে আদালত সাজার রায় ঘোষণা করেছে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ও.আর. নিজাম রোড শাখার ফজিলাতুন্নেসার নামে এক গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকার ভুয়া এফডিএ দেখিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল একই ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল কবিরের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে দুদকের দায়ের করা এক বিশেষ মামলায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
১০ মাস আগে
সিলেট ওসমানী হাসপাতালে আত্মসাতের ৬ লাখ টাকাসহ দুই ‘ব্রাদার’ আটক
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নার্সের ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে হাসপাতালের দুই পুরুষ নার্সকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুল আলম ভুঁইয়া।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আটক দুই ব্রাদার হলেন সুমন ও আমিনুল। তাদের একজন হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে এবং অপরজন বহির্বিভাগে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে ককটেলের বিস্ফোরণ, যুবক আটক
ব্রিগেডিয়ার মাহবুব দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালের নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামিমা প্রথমে তাকে জানান, সাদা পোশাকের একদল লোক সিনিয়র নার্স আমিনুলকে ধরে নিয়ে গেছে। এরপরই
ডিজিএফআই’র সংশ্লিষ্টরা তাকে ফোন করে জানিয়েছেন, অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ৬ লাখ টাকাসহ তারা আমিনুল ও সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন।
তিনি আরও জানান, একজন নার্সের এরিয়ার বিল সংক্রান্ত লেনদেনের সূত্র ধরে এদের আটক করা হয়। তবে আমিনুলকে আটক করা হলেও ওই গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য ছিলো, ওসমানীর নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আলোচিত সমালোচিত ইসরাইল আলী সাদেক সেখানে লেনদেন করার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি না গিয়ে সেখানে অন্যদের পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোট কারচুপির অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারসহ আটক ৩
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুব আরও জানান, হাসপাতালটিকে জিম্মি করতে বিভিন্ন দালাল চক্র সক্রিয়, এটা সবাই জানেন। তবে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না। গোয়েন্দা সংস্থাটি এখন এ বিষয়ে কাজ করছে।
তিনি জানান, ছয় লাখ টাকাসহ আটক আমিনুল ও সুমনের ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি বোর্ড গঠন করে পুরো বিষয়টি তদন্ত করবেন।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
আরও পড়ুন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রাসিক প্যানেল মেয়র আটক
১১ মাস আগে
চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নড়াইল ও যশোর ডিসি অফিসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঁচ ব্যক্তির কাছ থেকে ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস এম রায়হান আলী ওরফে শওকত হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
রায়হানকে শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়হান যশোর শহরের খড়কি এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাদিরা খাতুন জানান, রায়হান ওরফে শওকত হোসেন ডিসি অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘অফিস সহায়ক’ পদে চাকরির কথা বলে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচ ব্যক্তির কাছ থেকে ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
১ বছর আগে
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২–এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান সোমবার (১৪ আগস্ট) এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় রেদোয়ান আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, রেদোয়ান আহমেদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। দায়িত্ব পালনকালে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন- এ অভিযোগে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে নুরুল ইসলাম নামের এক মুক্তিযোদ্ধা রমনা থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল হোসেন ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ওই মামলায় সোম আদালত তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করলেন।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাব থেকে ২০০২ সালের ১১ জুন তিনটি চেকের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা তোলা হয়। ওই তিন চেকে সই করেন মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ।
পরে পে-অর্ডারের মাধ্যমে রেদোয়ান আহমেদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ৪০ লাখ টাকা। সেই টাকা ফেরত চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরী চিঠি দিলেও রেদওয়ান আহমেদ টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে তখন রেদোয়ান আহমেদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন বিএনপি সরকারের প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান বর্তমানে অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপির মহাসচিবের পদে রয়েছেন।
এছাড়াও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে করা আরেকটি মামলা ঢাকার আদালত চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাচারকালে বিরল প্রজাতির হনুমান উদ্ধার, বাস চালকের কারাদণ্ড
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না: হাইকোর্ট
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘কারা এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, কারা এই সার আত্মসাৎ করেছে- সুনির্দিষ্ট করে তাদের নাম দিন। দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না।
আদালত আরও বলেন, ‘দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কোর্ট থেকে ধরে সরাসরি জেলে পাঠিয়ে দেব।’
বিসিআইসির পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে শুনানিকালে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। আদালত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে বিসিআইসি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোল্লা কিসমত হাবিব। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
গত ৪ জানুয়ারি ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরের দিন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা। মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে, তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মের মধ্যে। সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
পাশাপাশি ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করে শিল্পসচিব ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যানকে চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে বিসিআইসির পক্ষে আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব, দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে ছিলেন।
শুনানিতে বিসিআইসির আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব বলেন, প্রতিবেদন এসেছে, তবে হলফনামা করতে পারেনি।
আদালতের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রতিবেদনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বিসিআইসির আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ওই ঘটনায় কারা জড়িত? নাম–ঠিকানা পাওয়া যায়নি? মানুষ আত্মসাৎ করেনি? তাহলে বাতাস খেয়ে ফেলেছে? তদন্ত প্রতিবেদনে নাম উল্লেখ না থাকলে এর কী দাম আছে? এ সময় বিসিআইসির আইনজীবী বলেন, আত্মসাৎ হয়েছে। আদালত বলেন, সুনির্দিষ্ট করে বলেন। তখন বিসিআইসির আইনজীবী বলেন, মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের পোটন নিজে জড়িত। আদালত বলেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, সে যে–ই হোক।
শুনানিতে অগ্রগতি জানাতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এক দিনের সময়ের আরজি জানান। এই পর্যায়ে আদালত আগামী রোববার শুনানির দিন রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তখন বিসিআইসির আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব বলেন, অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি অনেক পৃষ্ঠার, হলফনামা করে আগামী রোববার দাখিল করা প্রায় অসম্ভব। অবকাশ শেষে দিন রাখার আরজি জানান তিনি। পরে আদালত আগামী ৯ জুলাই শুনানির পরবর্তী দিন রাখেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টিপু-প্রীতি খুন: ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
১ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ‘পদ্মা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’- নামে একটি ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে
গ্রাহকদের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার রাতে উপজেলার নামোজগন্নাথপুর দোভাগি বাজার এলাকায় এনজিওটির কার্যালয় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এসময় সেখান থেকে পাঁচটি ভুয়া পাশ বই, ৯টি লোন রেজিস্টার খাতা,চারটি মোবাইল ফোন এবং ছয়টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সদর উপজেলার কৃষনগেবিন্দপুর হাসানুজ্জামান জেন্টু এবং মাঠকর্মী শহিদুল ইসলাম, সাইরন কেথা ও বদিউর রহমান। তাদের সবার বাড়ি নামোজগন্নাথপুর এলাকায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সোমবার দুপুরে র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, প্রতারক চক্রটি নামোজগন্নাথপুর দোভাগি বাজার এলাকায় ‘পদ্মা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠা করে। এরপর গ্রাহকদের অধিক মুনাফা দেয়ার আশ্বাস দেয়। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ অধিক মুনাফার আশায় সেখানে টাকা বিনিয়োগ করে। এক পর্যায়ে গ্রাহকদের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাত করে এই প্রতারক চক্রটি। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ছায়া তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রবিবার রাত ১০টার দিকে নামোজগন্নাথপুর দোভাগি বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল এনজিওটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
১ বছর আগে
বরগুনার এমপির বিরুদ্ধে টিআর কাবিখার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিষ্পত্তির নির্দেশ
বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাসানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে টেস্ট রিলিফ (টিআর) কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চেয়ে দুদকে করা স্থানীয় এক বাসিন্দার আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার পাথরঘাটা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনার টিআর কাবিখা প্রজেক্টের বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাটের অভিযোগে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাসানুর রহমান রিমন, বরগুনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
দুদকের চেয়ারম্যান, দুদকের কমিশনার (তদন্ত), বরগুনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বরগুনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
গত বছরে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘কাজ না করেই কোটি টাকার টিআরের বরাদ্দ লোপাটের অভিযোগ’- শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই সংবাদে বলা হয়, বরগুনার পাথরঘাটা ও বেতাগী উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ শেষ না করে টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও কাজ না করেই টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রকল্প এলাকা ঘুরে এসব তথ্যের সত্যতা মিলেছে। তবে জেলার বামনা উপজেলায় টিআরের কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সংবাদে আরও বলা হয়, বরগুনা-২ আসনের (পাথরঘাটা-বেতাগী-বামনা) সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের অনুকূলে ২০২০-২১ অর্থবছরে পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলায় চার ধাপে টিআর প্রকল্পে দুই কোটি দুই লাখ ৯১ হাজার ৮০৫ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
তিন উপজেলায় প্রকল্পের সংখ্যা ৩২৩টি। এর মধ্যে পাথরঘাটা ও বেতাগীর বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ প্রকল্পে অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে এর দায় নিতে নারাজ সাংসদ শওকত হাসানুর।
তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের কাজ হয়েছে কি না, তা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিষয়। এখানে তার কোনো বিষয় নেই।
এ খবরের সূত্র ধরে গত বছরের ২৭ অক্টোবর দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে পাথরঘাটার স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদ বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাসানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনগণের প্রতিনিধি আমাদের উন্নয়নের টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন না করে নিজে ব্যক্তিগতভাবে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেন।
কিন্তু অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়ায় তিনি দুদককে ৭ নভেম্বর আইনি নোটিশ দেন। তাতেও সাড়া না পেয়ে সুলতান আহম্মেদ হাইকোর্টে রিট করেন।
হাইকোর্ট রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যে দুদকে দেয়া অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন বলে জানান আইনজীবী মো.কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
১ বছর আগে
বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, রাজধানীতে আটক ২
বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিদের পরিচয়- মাহবুবুল হাসান (৫০) ও মাহমুদ করিম (৩৬)।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারজানা হক (স্টাফ অফিসার, মিডিয়া) বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে শান্তিনগরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুবুল স্বীকার করেছে যে এই চক্রটি বিদেশি কোম্পানির ভুয়া নিয়োগপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র দেখিয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দরিদ্র ও বেকারদের সঙ্গে প্রতারণা করত। তারা ২০০০ সাল থেকে অনেকজনকে পাচার করেছে।
তিনি বলেন, এই চক্রটি গত দুই বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দালালদের মাধ্যমে ৫২১টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে। একজনকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাতে দুই থেকে তিন লাখ টাকা এবং ইউরোপে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা নেয়।
আরও পড়ুন: ২ স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্য আটক
কিন্তু তারা কাউকে বিদেশে পাঠাতে এবং প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কোনো ট্রাভেল এজেন্সির কাছে পাসপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হয়। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত দিতেও ব্যর্থ হয়েছে।
এএসপি ফারজানা বলেন, মানব পাচার চক্রটি এর আগে কিছু লোককে উচ্চ বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছিল। এসব ব্যক্তিরা চক্রের বিদেশি সহযোগীদের হাতে আটক ছিল এবং সেখানে চাকরি না পেয়ে মুক্তিপণের জন্য নির্যাতিত হচ্ছিল।
তিনি জানান, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি: ২৯ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩৩
২ বছর আগে