বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২–এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান সোমবার (১৪ আগস্ট) এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় রেদোয়ান আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, রেদোয়ান আহমেদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। দায়িত্ব পালনকালে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন- এ অভিযোগে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে নুরুল ইসলাম নামের এক মুক্তিযোদ্ধা রমনা থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল হোসেন ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ওই মামলায় সোম আদালত তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করলেন।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাব থেকে ২০০২ সালের ১১ জুন তিনটি চেকের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা তোলা হয়। ওই তিন চেকে সই করেন মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ।
পরে পে-অর্ডারের মাধ্যমে রেদোয়ান আহমেদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ৪০ লাখ টাকা। সেই টাকা ফেরত চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরী চিঠি দিলেও রেদওয়ান আহমেদ টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে তখন রেদোয়ান আহমেদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন বিএনপি সরকারের প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান বর্তমানে অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপির মহাসচিবের পদে রয়েছেন।
এছাড়াও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে করা আরেকটি মামলা ঢাকার আদালত চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাচারকালে বিরল প্রজাতির হনুমান উদ্ধার, বাস চালকের কারাদণ্ড