পল্লী চিকিৎসক
চুয়াডাঙ্গায় পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তৌহিদুল ইসলাম (৪০) নামে এক পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই এলাকার সেতুতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
তৌহিদুল উপজেলার ডম্বরপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের বড় ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম চিকিৎসার কারণে রাত করেই বাড়িতে যেতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওসমানী হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর লাশ উদ্ধার
এরপর তিনি চায়ের দোকান থেকে উঠে চলে যায়। রাতে আর বাসায় ফেরেননি। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।
কালিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ খুব সকালে আমাদের গ্রামের একজন আমাকে মোবাইল করে বলে তৌহিদুল মারা গেছে। লাশ ব্রিজে ঝুলছে।
তিনি আরও বলেন, আমি এটা শুনে তাৎক্ষণিক ওসিকে জানাই। পরে ঘটনাস্থলে এসে দেখি বিজ্রে তার লাশ দড়িতে ঝুলানো। বিজ্রের পাশের তৌহিদুলের মোটরসাইকেল আর মাথার টুপি পড়ে আছে।
নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা তো তৌহিদুল ভালো ছেলে হিসেবেই জানি। যাই হোক এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হোক।
আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হোসাইন জানান, শুক্রবার সকালে ডম্বলপুর-মাধবপুর সড়কে সেতুতে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। কিছুটা দূরে মোটরসাইকেল, মাথার টুপি ও পায়ের জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, সেখানে ধস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে সুরতাহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের কানাইঘাটে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মাগুরায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক নিহত
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পল্লী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে বিরলের বাজনাহারের বটতলী মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত পল্লী চিকিৎসক লক্ষ্মকান্ত রায় (৫৫) বোচাগঞ্জের মাহেরপুরের মৃত শম্ভু কান্ত রায়ের ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাসচাপায় ২ পথচারী নিহত
স্থানীয়রা জানান, বিরলের বাজনাহারের বটতলী মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি আরোহী একজন পল্লী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক রেজা জানান, বিপরীতমুখি ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি আরোহী পল্লী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় লেগুনা চালক নিহত
যাত্রাবাড়ীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
১ বছর আগে
জমি নিয়ে বিরোধে পল্লী চিকিৎসক খুন!
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক পল্লী চিকিৎসক খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
নিহত নিজাম উদ্দিন (৪৫) রাজাপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিজাম উদ্দিন কোম্পানীগঞ্জের পাড়ুয়া আনোয়ারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। পাশপাশি পাড়ুয়া বাজারে ফার্মেসি পরিচালনা করতেন।
আরও পড়ুন: বসতঘরে মিললো যুবকের ঝুলন্ত লাশ
স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় বাজার থেকে নিজাম উদ্দিন ও তার এক আত্মীয় বাড়িতে পৌঁছালে আগে থেকেই ওৎপেতে থাকা তার বাড়ির চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা মিলে তার ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা রড, শাবল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজাম উদ্দিনের মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, নিজাম উদ্দিন খুবই নিরীহ ও ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন। তিনি চার সন্তানের জনক। বড় ছেলে কোরআনে হাফেজ। বাকিরাও মাদরাসায় পড়েন। সংসারে তার স্ত্রী, চার সন্তান, মা আর একমাত্র ছোট ভাই রয়েছেন। তবে ছোট ভাইটি প্রতিবন্ধী।
এদিকে নিজাম উদ্দিনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় তার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটে ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
হত্যার পর মেঘনায় ভাসিয়ে দেয়া হয় মিলনের লাশ
বরিশালের হিজলা উপজেলায় গত ৬ মাস আগে পল্লী চিকিৎসক নিখোঁজের রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে পল্লী চিকিৎসককে হত্যার পর লাশ মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে গ্রেপ্তাররা স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে।
হত্যার শিকার পল্লী চিকিৎসক মিলন দপ্তরী (৩০) উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামের আবদুল খালেক দপ্তরীর ছেলে।
হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেয়া আসামিরা হলো- উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের পূর্ব খাগেরচর গ্রামের মৃত আব্দুর রব ঘরামীর ছেলে আব্দুর রশিদ ঘরামী (৬৪) ও তার প্রবাসী ছেলে মনির হোসেনের স্ত্রী রাহেলা বেগম (২৭)।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় চালক গ্রেপ্তার
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ১২
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস মিঞা জানান, আব্দুর রশিদ ঘরামী ও তার ছেলের বউ রাহেলা হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আসামিদের স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, পল্লী চিকিৎসক মিলনের সঙ্গে রাহেলা বেগমের বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক হয়। বিষয়টি রাহেলার শ্বশুর রশিদ জেনে ফেলে। পরে রাহেলার মাধ্যমে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে ফোন করে মিলনকে ঘরে আনে আব্দুর রশিদ। মিলন ঘরে আসার আগে থেকে আলমারীর পিছনে লুকিয়ে থাকা আব্দুর রশিদ এসে মিলনের চোখে মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করে। এসময় মিলন বিষয়টি ভালো করেননি বলে হুমকি দেয় আব্দুর রশিদকে। তখন রশিদ মুগুর (গাব গাছের লাঠি) দিয়ে সজোরে মিলনের বুকে আঘাত করে। এতে মিলন ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আব্দুর রশিদ ও তার পুত্রবধূ বুঝতে পারে মিলনের মৃত্যু হয়েছে। তখন তারা লাশ গুমের পরিকল্পনা করে। মিলনের পা রশি দিয়ে বেঁধে টেনে বাড়ির সামনের খালে ফেলে দেয়। সেখান থেকে টেনে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
ওসি বলেন, এই ঘটনায় মিলনের ভাই সবুজ দপ্তরী ১ ফেব্রুয়ারি হিজলা থানায় নিখোঁজের জিডি করেছিল। জিডির তদন্ত করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মিলনের সর্বশেষ অবস্থান জানতে পেরে আব্দুর রশিদ ও তার পুত্রবধূ রাহেলাকে সোমবার রাতে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তবে লাশের কোন সন্ধান পাননি জানিয়ে ওসি বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে।
২ বছর আগে
রাজশাহীতে পল্লী চিকিৎসকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কানজগাড়ি গ্রাম থেকে এক পল্লী চিকিৎসকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুল মান্নান (৬০) কানজগাড়ি গ্রামের পল্লী চিকিৎসক।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মান্নান বাড়ির পাশের কলা বাগানে যান। এরপর দীর্ঘক্ষণ হলেও তিনি না ফেরায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা বাগানে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
তার শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আবাসিক হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
২ বছর আগে
তিতাস নদী থেকে নিখোঁজ পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে এক পল্লী চিকিৎসকের লাশ রবিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার তিতাস নদীতে খেয়া পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হন তিনি।
নিহত অসীম আচার্য (৩২) বড়াইল ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের গোপী মোহন আচার্যের ছেলে।
জানা যায়, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নবীনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরপর নবীনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দমকল বাহিনীর সদস্যরা শনিবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করতে পারেননি। সাময়িক স্থগিত রেখে রবিবার সকালে পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করে নিখোঁজ লাশটি উদ্ধার করে ডুবরী দল।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অসীম ও তার সঙ্গে নেপাল সরকার নামে আরও একজন ছোট খেয়া চালিয়ে মনিপুর গ্রাম থেকে তিতাস নদী পার হয়ে গোসাইপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। নদীর মাঝামাঝি আসলে বড় একটি বাল্কহেড তাদের নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অসীমের সঙ্গে থাকা নেপাল সরকার সাঁতার কেটে তীরে উঠে আসতে পাড়লেও অসীমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নারী-পুরুষের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জামালপুরে মা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
কয়রায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়শিং গ্রামের এক পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে আংটিহারা নামক স্থানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মো. নুরুজ্জামের স্ত্রী ডলি খাতুন তার নিজ বাড়িতে একটি নবজাতক প্রসব করেন। প্রসবের পর নবজাতক ও নবজাতকের মা দুজনই সুস্থ ছিল। কিন্তু গত শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে নবজাতকের শরীরে জ্বর দেখা দিলে একই এলাকার নগেন্দ্র নাথ নামের এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের চিকিৎসা নেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কোন পরিবর্তন না হলে ওই চিকিৎসককে বিষয়টি পুনরায় জানানো হয়। তখন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের ছেলে পল্লী চিকিৎসক দীলিপ মন্ডলকে বিষয়টি দেখার জন্য নবজাতকের বাড়িতে পাঠান। শারীরিক অবস্থা দেখে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পল্লী চিকিৎসক দীলিপ মন্ডল নবজাতকের শরীরে ২টা ইনজেকশন পুশ করে চলে যান। ইনজেকশন পুশের পর সকাল ৮টার দিকে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। বিষয়টি পল্লী চিকিৎসক দীলিপকে পুনরায় জানানো হলে তিনি আর আসেনি। সে সময় শিশুটির পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে আংটিহারা গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছালে নবজাতকের মৃত্যু হয়।
পড়ুন: বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
নবজাতকের চাচা সুজাউদ্দীন জানান, আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী গত বৃহস্পতিবার একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। পুত্র সন্তান জন্ম নেয়ায় আমরা সকলে খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু সে খুশি বেশি সময় স্থায়ী হলো না। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সব মুহূর্তে শেষ হয়ে গেল।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক দিলিপ বলেন, আমি অতিরিক্ত জ্বরের জন্য ট্রাজিট ১২৫ এমজির ২টা ইনজেকসন পুশ করি। তবে হঠাৎ নিউমনিয়ার চাপ দেয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার ব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন বলেন, ‘নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: সন্তানের মুখ দেখা হলো না মায়ের, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ
৩ বছর আগে
কুমিল্লায় পল্লী চিকিৎসক দম্পতিকে শ্বাসরোধে হত্যা: পুত্রবধূসহ গ্রেপ্তার ৩
কুমিল্লা সদর উপজেলার সুবর্ণপুরে পল্লী চিকিৎসক সৈয়দ বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সফুরা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় পুত্রবধূ শিউলিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী নাজমুন নাহার চৌধুরী ওরফে শিউলি এবং তার দুই সহযোগী জহিরুল ইসলাম সানি এবং মেহেদী হাসান তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কাজী মো. আবদুর রহিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ চলছিল পুত্রবধূ শিউলির। তার স্বামী সৈয়দ আমান উল্লাহ ওমান প্রবাসী। কিন্তু পারিবারিক এসব বিরোধে স্বামীকে পাশে পাচ্ছিলেন না শিউলি। এর জের ধরে রাগে-ক্ষোভে খালাতো ভাই সানি ও তার বন্ধু তুহিনকে সাথে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা সাজায় শিউলি। খুন করা হয় শ্বশুর সৈয়দ বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সফুরা খাতুনকে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তানভীর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফজাল হোসেন, রাজন কুমার দাস, ডিআইও ওয়ান মনির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্বামী স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: চেম্বার আদালতে ৩ আসামির জামিন স্থগিত
৩ বছর আগে
রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধায় পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
জেলার গোবিন্দগঞ্জে এক নারী রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহারুল ইসলাম নামের এক পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গন্ধববাড়ী গ্রামের এক নারী অসুস্থ জনিত কারণে বালুয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক শাহারুলের চেম্বারে আসে। এ সময় কেউ না থাকার সুযোগে পল্লী চিকিৎসক শাহারুল চেম্বারের দরজা বন্ধ জোরপূর্বক ওই নারী রোগীকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: কবরের কঙ্কাল চুরি করতে গিয়ে গাজীপুরে যুবক আটক
ওই রোগী চেম্বার থেকে বের হয়ে বিষয়টি আশেপাশের লোকজনকে জানালে উপস্থিত লোকজন ওই চিকিৎসকের চেম্বার ঘেরাও করে চিকিৎসককে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল চেম্বার থেকে শাহারুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তাজুল ইসলাম জানান, রাতেই ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে পল্লী চিকিসক শাহারুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইলে মামলা দায়ের করেছেন।
৩ বছর আগে
ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে অসুস্থ হয়ে ওই গৃহবধূ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
রোগীর স্বজনেরা জানান, উপজেলার আমবৌলা গ্রামের বাসিন্দা ইউনুচ ফকিরের ছেলে প্রবাসী গোলাম মাওলার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লিয়া বেগমের শরীরে জ্বর দেখা দেয়। ২৪ জুলাই তাকে নিয়ে পয়সার হাট বাজারে শহিদ মেডিকেল হল ফার্মেসীতে নিয়ে গেলে পল্লী চিকিৎসক রিপন হালদার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। যার রিপোর্ট দেখে লিয়া বেগমকে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশনসহ কিছু ওষুধ দেন রিপন হালদার। ওইসব ওষুধ প্রয়োগের পর লিয়া বেগম অসুস্থ হয়ে মঙ্গলবার উপজেলার পয়সার হাট আদর্শ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করানো হয়।
পড়ুন: কুমিল্লায় চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূর আল্ট্রাসনোগ্রামসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গর্ভের সন্তান মৃত বলে জানায়। এরপর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মৃত গর্ভের সন্তানকে প্রসব করানোর চেষ্টা করানো হয়। কিন্তু গৃহবধূর অবস্থা আরও খারাপ হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিপন হালদার জানান, গর্ভের সন্তানের মৃত্যু যে কোন কারণেই হতে পারে। তবে আমার চিকিৎসার কারণে ওই সন্তান মারা যায়নি।
পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে গৃহকমী নির্যাতন, নারী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, কোন পল্লী চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিক লিখতে পারবে না। অভিযুক্ত ওই পল্লী চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩ বছর আগে