বালু
বালুভর্তি ট্রাক উল্টে কিশোরের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বালুভর্তি ট্রাক উল্টে বালুর নিচে চাপা পড়ে আসিফ (১৩) নামে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কয়েলগাঁতী পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত আসিফ কয়েলগাঁতী গ্রামের শাহীনের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, উল্লাপাড়া থেকে বালু ভর্তি একটি ট্রাক কয়েলগাঁতী গ্রামে আসার পথে আসিফ ও তার খেলার সঙ্গীরা ওই ট্রাকের বালুর উপরে উঠে বসেছিল। ট্রাকটি বাড়ির কাছে পৌঁছালে সড়কের নিচে খাদে পড়ে উল্টে যায়।
এতে বালুর নিচে চাপা পড়ে আসিফ। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা এবং পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
কামারখন্দ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মতিন বলেন, এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৪ জন, মৃত্যু নেই
১০ মাস আগে
অবৈধ ড্রেজার দিয়ে রাতের আঁধারে লুট হচ্ছে সুরমার বালু
রাতের আঁধারে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে সুরমা নদীর বালু তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ শহরের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
এভাবে বালু নিয়ে যাওয়ায় দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে শহরের সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ সেতু আব্দুজ জহুর। এছাড়া এভাবে ড্রেজার চালানোয় এবং শব্দ দূষণের কারণে হুমকিতে পড়েছে নদীর দুই তীরের জনপদ।
সুনামগঞ্জ শহরের আব্দুজ জহুর সেতু এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সেতুসংলগ্ন সুরমা নদীর কয়েকশ মিটার এলাকাজুড়ে একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন চলছে।
এদিকে প্রতি রাতে নদীর কয়েকটি স্থানে ড্রেজারের তাণ্ডব চললেও এসব বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, আটক ২: নৌপুলিশ
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে সুবিধা দিয়ে সুরমা নদীর বালু এভাবে লুটে নিচ্ছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
ড্রেজারের তাণ্ডব বন্ধ না হলে আব্দুজ জহুর সেতুসহ দুই তীরের কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে জলিলপুর, আব্দুজ জহুর সেতু এলাকা, অচিন্তপুর, বড়পাড়া এলাকাসহ একাধিক স্থানে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। রাত ১টার পর থেকে শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত বিরামহীনভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। পরে এসব বালু বাল্কহেড বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। প্রতি রাতে কয়েক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন হয় বলে তাদের ধারণা।
সম্প্রতি এ বিষয়ে কথা হয় বালু উত্তোলনে কাজ করা এক শ্রমিকের সঙ্গে হয়।
আরও পড়ুন: কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
১১ মাস আগে
সুনামগঞ্জে বালু দিয়ে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাটির পরিবর্তে নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু দিয়ে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে।
সোমবার সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী বালু দিয়ে বাঁধ মেরামতের নিয়ম না থাকলেও মাটিয়ান হাওর উপ প্রকল্প নামক ৭৫ নং পিআইসি'র ফসলরক্ষা বাঁধ মেরামত কাজে মাটির পরিবর্তে নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
এছাড়াও ৭৬ ও ৭৭নং পিআইসির বাঁধেও বালু দিয়েই কাজ করছে সংশ্লিষ্ট পিআইসি কমিটির লোকজন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে তাহিরপুর উপজেলায় ছোট-বড় ২৩টি হাওরে ১১২টি প্রকল্পের মধ্যে ৮৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ১৩ গ্রাম প্লাবিত, টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি
এরমধ্যে পাউবো'র অধীনে থাকা মাটিয়ান হাওরের ৭৫নং পিআইসির বাঁধটি মেরামতের জন্য ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যেভাবে বাঁধের কাজ মাটি দিয়ে করানো হচ্ছে তাতে ভারি বৃষ্টিপাত হলে এক মাসও বাঁধ টিকবে না।
এছাড়াও মাটির পরিবর্তে এভাবে বালু ফেলে বাঁধ মেরামত কাজ করা হলে চৈত্র মাসের প্রথম দিকেই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোরে আগাম ফসলহানীর আশঙ্কা রয়েছে।
হাওরপাড়ের কৃষক বলেন, ৭৫নং পিআইসির বাঁধটি শুরু থেকেই বালু দিয়ে মেরামত না করার জন্য বলেছি। কিন্তু বাঁধের দায়িত্বশীলরা অনুমিত নিয়েই নাকি বাঁধের কাজ করছেন বলে আমাদের জানান।
এছাড়া নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে সহজে বালু দিয়ে বাঁধের নামে সরকারের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ৭৫নং পিআইসির সভাপতি মলাই মিয়া ও সেক্রেটারি বলেন, পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী শওকত উজ্জমানের অনুমতি নিয়েই বালু দিয়ে বাঁধের কাজ করা হচ্ছে।
আমাদের মতে মাটির চেয়ে বালু দিয়ে বাঁধের কাজ খুবই টেকসই হবে। ড্রেজারের বালু শক্ত ভাবে মাটিতে বসে যায়।
তবে এ বিষয়ে পাউবো'র উপসহকারী প্রকৌশলী শওকত উজ্জমান বলেন, ৭৫নং পিআইসির কাজ নদীতে থাকা পানির লেভেল পর্যন্ত ড্রেজার দিয়ে করার কথা। তবে সম্পূর্ণ বাঁধ বালু দিয়ে করতে বলা হয়নি।
এছাড়াও যেসব বাঁধ বালু দিয়ে করার অভিযোগ পেয়েছি সেই সব বাঁধে পরিদর্শনে যাচ্ছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ বলেন, বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কোন বিধান নেই। বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করলে বৃষ্টির পানিতেই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদি কেউ বালু দিয়ে বাঁধের কাজ করে তাহলে তা অনিয়ম করছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, বালু দিয়ে বাঁধ মেরামত করা যাবেনা, ৭৫ নং পিআইসি ড্রেজার দিয়ে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট পিআইসির সভাপতিকে ড্রেজার বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: কয়রায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণে সহস্রাধিক মানুষ
ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ধীরগতি, হতাশ কৃষকেরা
১ বছর আগে
বালু বোঝাই ট্রাক থেকে ভারতীয় প্রসাধনী ও শাড়ী জব্দ, আটক ১
সিলেটের জৈন্তাপুরে বালু বোঝাই ট্রাক থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা সমমূল্যের ভারতীয় প্রসাধনী ও শাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এসময় ট্রাকের চালককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাকড়ী এলাকা থেকে এসব পণ্যবাহী ট্রাক জব্দ করা হয়।
আটক ট্রাকচালক রাহেল (২২) জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর শ্যামপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভূরুঙ্গামারীতে ইয়াবা ও হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ২
জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কাজী শাহেদ ও শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাকড়ী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বালু দিয়ে ঢেকে নিয়ে আসা ভারতীয় প্রসাধনী ও শাড়ী বোঝাই ট্রাক সহ একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটক ট্রাক থানায় নিয়ে আসার পর সিলেট উত্তর সার্কেল (কানাইঘাট) সিনিয়র এএসপি আব্দুল করিম, জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ, জৈন্তাপুর মডেল থানার ইন্সপোক্টর (তদন্ত) আব্দুর রব এর উপস্থিতিতে পুলিশ ও শ্রমিকদের মাধ্যমে বালু সরিয়ে ট্রাকের বডিতে সুকৌশলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ও শাড়ীর চালান উদ্ধার করা হয়। যেগুলোর আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাক থেকে জব্দ করা মালামালের তালিকা করা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে দুইজন আটক, ১০ স্বর্ণের বার জব্দ
চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
২ বছর আগে
ভোলায় মেঘনা নদীতে বালু বোঝাই বাল্কহেড ডুবি
ভোলার মেঘনা নদীতে কালবৈশাখী ঝড়ে বালু বোঝাই বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ ছাড়াও ঝড়ের কবলে পড়ে অপর একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় তিনটি দোকান ঘর দুমড়েমুচড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকালে ভোলা সদর উপজেলর ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলী মাছ ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত দুপুরে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
২ বছর আগে
অবৈধ বালু উত্তোলন: রৌমারীতে ৪২ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ব্রম্মপুত্র নদের কিনার থেকে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ৪২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি করেছেন। বালু উত্তোলন বন্ধে নির্বাহী প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা ও ব্যাপকভাবে নদী ভাঙন বিস্তৃত হওয়ায় আদালত এমন সিদ্ধান্ত নেয় বলে সংশ্লিষ্ট একধিক আইনজীবী জানান। জেলায় পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা আদালতের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরের পর কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (আমলী আদালত,রৌমারী) বিচারক মো. সুমন আলী এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ধলাই নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে সংঘর্ষ : আহত যুবকের মৃত্যু
আদেশে উল্লেখ করা হয়, রৌমারীতে এক শ্রেণির অসাধু বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদসহ উপজেলার বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এর বিরূপ প্রভাবে এলাকায় নদী ভাঙনের শিকার হন স্থানীয় অসংখ্য মানুষ। তারা বসতভিটাসহ আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয় এবং তাদের জীবনে নেমে আসে এক অমানিশার অন্ধকার।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় প্রকাশ হলে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে গত ২ মে দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১৯০(১) (সি) ও ১৫৬ ধারা মতে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোনতাছের বিল্লাহ বিষয়টি তদন্ত করে রৌমারী উপজেলার ব্রম্মপুত্র নদসহ ৪২টি পয়েন্টে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এসব ড্রেজার মেশিনের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই, এমনকি রৌমারী উপজেলায় সরকার ঘোষিত কোন বৈধ বালু মহালও নেই বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র জানায়, পুলিশের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ‘বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ৪ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ৪২ পয়েন্টে চলমান ড্রেজার মালিকদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদনের দিন ধার্য করেন।
সরেজমিন খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্ত লাগোয়া রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থেকে একটি সিন্ডিকেট চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। ড্রেজার মালিক সুরুজ্জামালের নেতৃত্বে অবৈধ বালু উত্তোলন ও অবৈধ রমরমা বালু ব্যবসা নিষ্কণ্টক করতে এ চক্রটি সরকারি দলের আশীর্বাদে ড্রেজার মালিক সমিতি গঠন করে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের এসব অবৈধ তৎপরতা স্থানীয় সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে প্রকাশ করলে তাদেরকে নানা ভাবে হুমকি এমনকি নাজেহাল পর্যন্ত করা হয়। তাদের বেপরোয়া বালু উত্তোলনের ফলে যেমন নদীর পার ভেঙে প্রতিনিয়ত মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে, তেমনি কাকড়া গাড়ি (ট্রাক্টর) দিয়ে বালু পরিবহন করায় উপজেলার সাথে ইউনিয়নগামী সড়কসহ গ্রামীণ সড়কগুলো খানা-খন্দে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ চরমে ওঠে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে নদী থেকে বালু উত্তোলন, দণ্ডিত ৮
এরকম নৈরাজ্যকর এক পরিস্থিতির মধ্যে তথাকথিত ড্রেজার মেশিন মালিক সমিতির সভাপতি সুরুজ্জামাল ও সহ-সভাপতি যাদুরচর ইউপি'র ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য বানিজ আলী ও রৌমারী সদর ইউপি'র ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য খলিল মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট ৪২ জন ড্রেজার মালিকের বিরুদ্ধে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
৩ বছর আগে
মানিকগঞ্জে নদী থেকে বালু উত্তোলন, দণ্ডিত ৮
মানিকগঞ্জের আবাসিক এলাকায় কালিগঙ্গ নদী থেকে বালি উত্তোলনের অপরাধে চার জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও অপর চারজনকে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে কারাদণ্ড প্রদান করে সদর উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় পুকুর থেকে বালু উত্তোলন, জমি বিলীনের আশঙ্কা
তিনি জানান, সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের পাচবারইল জনবসতি এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে নদীর তলদেশ হতে বিক্রয়ের উদ্দেশে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করা হয়। এসময় বালু উত্তোলনের দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী চার বালু উত্তোলনকারীকে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়া আরও তিন জনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং একজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : সিরাজগঞ্জে ৮ জনের জরিমানা
জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
৩ বছর আগে
আখাউড়ায় পুকুর থেকে বালু উত্তোলন, জমি বিলীনের আশঙ্কা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শ্রেণি পরির্বতনের অনুমতি না নিয়ে একটি কৃষি জমিকে পুকুর বানানো হয়েছে। এখন ওই পুকুর থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে আশপাশের অনেক জমি ওই পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের টেংরাপাড়া এলাকার প্রভাবশালী আফছু মিয়া ও তার ছেলে রাজীব মিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তাদের নিজেদের একটি পুকুরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। ইতোমধ্যেই পুকুরটি ৩০-৪০ ফুট গভীর করে ফেলা হয়েছে। এখান থেকে উঠানো বালু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : সিরাজগঞ্জে ৮ জনের জরিমানা
স্থানীয়রা জানান, আফছু মিয়া ও তার ছেলে রাজীব ২০২০ সালে ফসলী জমি নষ্ট করে প্রথমে একটি পুকুর খনন করে। পুকুর করতে গিয়ে সেখানে এমনভাবে মাটি কাটা হয়েছে যে আশেপাশের জমি ভাঙতে শুরু করে। এ অবস্থায় তাদের কাছে একাধিক ব্যক্তি তাদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন। এছাড়া গত ২ জুন থেকে ওই পুকুরে তারা ড্রেজার বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে। এ অবস্থায় স্থানীয় অনেকে আপত্তি করলেও তারা কর্ণপাত করেননি
এ বিষয়ে উপজেলার টানপাড়া গ্রামের মো. আসারুল ইসলামসহ অনেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একই গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন মিয়া বলেন, ‘ওই জায়গায় আমার একটি ফসলি কৃষি জমি ছিল। তারা পুকুরটি খনন করায় আমার জমিটি ভেঙে বিলীন হতে থাকে। পরে এক প্রকার বাধ্য হয়েই জমিটি কম দামে তাদের কাছে বিক্রি করতে হয়।’
অভিযুক্ত পুকুরের মালিক রাজীব মিয়া বলেন, ‘পুকুরের গভীরতা বাড়াতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পাশের জমির কোনও ক্ষতি হবে না। তাছাড়া পুকুরের পাশে আমারও জমি রয়েছে।’
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের মো. নূরুল আমীন বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন করার বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। তারপরও পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখবো।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ জব্দকৃত বালু নিলামে বিক্রি, ১৮ নৌযানের জরিমানা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
সরকারি বনায়ন ধ্বংসের অপচেষ্টা, পদক্ষেপ নিচ্ছে না বনবিভাগ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের চরাঞ্চলে সরকারি খালে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এর ফলে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে সরকারি বনায়নের গাছগুলো।
এদিকে সরকারি বনায়ন রক্ষায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
জানা যায়, উপজেলা পদ্মা নদীর চর হরিরামপুর ইউনিয়নের চর শালেপুর চরাঞ্চলে ১০৮ একর জমির ওপর সরকারি বনায়ন করেছে বন বিভাগ। বনায়ন সংলগ্ন একটি খালের মধ্যে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গত একমাস যাবৎ দিনরাত বালু উত্তোলন করছেন ওই চরের বাসিন্দা প্রভাবশালী ফেরদৌস খান (৪৮)।
বনায়ন সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার কারণে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর কড়াল স্রোতে উপজেলার বৃহৎ সরকারি বনায়নটি বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই প্রভাবশালী সরকারি বনায়ন ঘেষে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে রমরমা বাণিজ্য করলেও স্থানীয়রা তার ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না।
উপজেলা বন বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে উপজেলার চরশালেপুর মৌজায় ১০৮ একর খাস জমির উপর বৃহৎ সামাজিক বনায়নটি গড়ে ওঠে। উক্ত বাগানে মোট ৯০ হাজার বনজ বৃক্ষ রোপন করা হয়। এসব বৃক্ষের মধ্যে আকাশ মনি, শিশু গাছ, রেন্ডি কড়াই ও বাবলা বৃক্ষ রয়েছে।
গত ১৫ বছরে চরাঞ্চলের উর্বর ভূমিতে বেশিরভাগ বনজ বৃক্ষগুলো ভারী হয়ে ওঠেছে। কিন্তু পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে বনায়নটি গড়ার ফলে প্রতি বছর স্থানীয় জেলেরা এবং গৃহস্থ্যরা উক্ত বনায়নের ডালপালা কেটে উজার করলেও কেউ তদারকি করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ওই চরের প্রভাবশালী ফেরদৌস খান বনায়ন ঘেষে খালের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বনায়নটি ধ্বংসের পাঁয়তারায় মেতে উঠেছেন বলে অভিযোগ করে এলাকাবাসী।
চরের বাসিন্দা আসলাম শেখ বলেন, 'চরাঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গা জমি ওই ড্রেজার মালিকের দখলে। ফেরদৌস খানের এসকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে আমরা আর এই চরে বসবাস করতে পারব না। তাই সকলেই মুখ বুঝে মেনে নিয়েছি।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরাঞ্চলের এক বাসিন্দা বলেন, ওই প্রভাবশালী চরের সরকারি জমি দখল করে রেখেছে। আমরা ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করি না। এর আগে এক ব্যাক্তি প্রতিবাদ করায় তাকে মারপিট করেছিল প্রভাবশালী ফেরদৌস খান। এ কারণে এখন আর কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলে না।
তিনি বলেন, যেভাবে সরকারি বনায়নের পাশে খালের মধ্যে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে বর্ষা মৌসুমে বনায়নের অনেকাংশই ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাবে। বন বিভাগের লোকজন এখানে না আসায় আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ফেরদৌস খান।
এ ব্যাপারে ড্রেজার মালিক ফেরদৌস খান বলেন, ‘সরকারি বনায়ন ঘেষে খালের মধ্যে আমাদের নিজস্ব জায়গায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু মাটির ব্যবসা করছি, তাতে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা না।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার সবচেয়ে বৃহৎ বনায়নটি পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ ভূমিতে গড়ে উঠার কারণে উপজেলার সামাজিক বনায়ন বিভাগের কেউ সেটি তদারকি করতে যান না। ফলে ওই এলাকার প্রভাবশালীরা উন্মুক্ত সামাজিক বনায়নটি নিজেদের প্রয়োজনে উজার করে চলেছেন।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, সরকারি বনায়ন ঘেষে খালের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে সেখানে আমি কি করব?
তিনি বলেন, 'ওই সরকারি বনায়নে আমি একবার গিয়েছিলাম। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় আর যাওয়া হয়নি।'
৩ বছর আগে
সুনামগঞ্জের অভিশাপ অবৈধ বালু উত্তোলন!
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী জাদুকাটা নদীর রূপ বৈচিত্রের জন্য এর ব্যাপক পরিচিত রয়েছে। দেশজুড়ে ভ্রমণপিপাসুরা সারাবছর ই ছুটে আসে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
নদীটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসি পাহাড়ে উৎপত্তি লাভ করে বয়ে এসে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে। এই তাহিরপুর উপজেলা বর্তমানে বাংলাদেশে নির্মাণ শিল্পের প্রয়োজনীয় বালু ও পাথরের অন্যতম যোগানস্থল।
কিন্তু অপরিকল্পিত এবং অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনের ফলে নদীটির অস্তিত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ধলেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: বসত-বাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই ক্ষমতাশালীরা অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের সাহস পাচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, প্রশাসন বা পুলিশ পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনও হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায় না। তাই স্থানীয়রাও এই অবৈধ কাজে বাঁধা দিতে তেমন একটা সাহস পায় না।
স্থানীয় এক ব্যক্তি ইউএনবিকে বলেন, বছর-বছর ধরে চলে আসা এই অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন একদিকে যেমন সরকারকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, অন্যদিকে পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।
গত ২৪ মার্চ স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি এবং র্যাবের সমন্বিত টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু এবং পাথর জব্দ করে।
স্থানীয়রা জানায়, জব্দকৃত বালু ও পাথরের কিছু অংশ নিলামের মাধ্যমে দুই পক্ষের নিকট ৩৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে প্রশাসন। বাকি জব্দকৃত বালু ও পাথর বর্তমানে প্রশাসনে জিম্মায় আছে। স্থানীয়রা বলছেন, খুব দ্রুত অবশিষ্ট মালামাল নিলামে বিক্রি করা না হলে সেগুলো চুরি হয়ে যেতে পারে।
তাহিরপুরের স্থানীয় এক বাসিন্দা তথ্য গোপন রাখার শর্তে ইউএনবিকে বলেন, “বালু ও পাথর উত্তোলনকারী চক্রের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করা উচিৎ।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, “জব্দকৃত মালামালে একাংশ আমরা ইতিমধ্যেই নিলামেই বিক্রি করেছি এবং বাকিগুলোরও ব্যবস্থা নেয়া হবে।” এসয় হুশিয়ারি জানিয়ে তিনি বলেন, “খুব শিগগিরই পলাতক সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে কৃষি জমি
অবিক্রিত বালু ও পাথর সম্পর্কে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “করোনার লকডাউনের কারণে অবশিষ্ট মালামাল বিক্রিতে আমরা বাঁধাগ্রস্ত হয়েছি। লকডাউন শেষে আমরা নিয়ম অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
৩ বছর আগে