ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শ্রেণি পরির্বতনের অনুমতি না নিয়ে একটি কৃষি জমিকে পুকুর বানানো হয়েছে। এখন ওই পুকুর থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে আশপাশের অনেক জমি ওই পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের টেংরাপাড়া এলাকার প্রভাবশালী আফছু মিয়া ও তার ছেলে রাজীব মিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তাদের নিজেদের একটি পুকুরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। ইতোমধ্যেই পুকুরটি ৩০-৪০ ফুট গভীর করে ফেলা হয়েছে। এখান থেকে উঠানো বালু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : সিরাজগঞ্জে ৮ জনের জরিমানা
স্থানীয়রা জানান, আফছু মিয়া ও তার ছেলে রাজীব ২০২০ সালে ফসলী জমি নষ্ট করে প্রথমে একটি পুকুর খনন করে। পুকুর করতে গিয়ে সেখানে এমনভাবে মাটি কাটা হয়েছে যে আশেপাশের জমি ভাঙতে শুরু করে। এ অবস্থায় তাদের কাছে একাধিক ব্যক্তি তাদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন। এছাড়া গত ২ জুন থেকে ওই পুকুরে তারা ড্রেজার বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে। এ অবস্থায় স্থানীয় অনেকে আপত্তি করলেও তারা কর্ণপাত করেননি
এ বিষয়ে উপজেলার টানপাড়া গ্রামের মো. আসারুল ইসলামসহ অনেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একই গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন মিয়া বলেন, ‘ওই জায়গায় আমার একটি ফসলি কৃষি জমি ছিল। তারা পুকুরটি খনন করায় আমার জমিটি ভেঙে বিলীন হতে থাকে। পরে এক প্রকার বাধ্য হয়েই জমিটি কম দামে তাদের কাছে বিক্রি করতে হয়।’
অভিযুক্ত পুকুরের মালিক রাজীব মিয়া বলেন, ‘পুকুরের গভীরতা বাড়াতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পাশের জমির কোনও ক্ষতি হবে না। তাছাড়া পুকুরের পাশে আমারও জমি রয়েছে।’
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের মো. নূরুল আমীন বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন করার বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। তারপরও পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখবো।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ জব্দকৃত বালু নিলামে বিক্রি, ১৮ নৌযানের জরিমানা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।