মা ইলিশ
পাবনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ২৪ জেলে আটক
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে মা ইলিশ মাছ শিকার করায় পাবনার নাজিরগঞ্জ ২৪ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি নৌকা, ১ লাখ ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৮ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান নাজিরগঞ্জ নৌপুলিশ ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে অবৈধ ৫টি ট্রলার ও ৪টি নৌকাসহ ১০ জেলে আটক
আটকরা হলেন- সুজানগর উপজেলার বিটভিলা গ্রামের তোরাব আলী খাঁ, আল আমিন, আসাদ শেখ, বাবু শেখ, মালিফা গ্রামের নুরুল মোল্লা, হৃদয় হোসেন, বাবু শেখ, রাজবাড়ীর পাংশা শামিলপুর গ্রামের আলিম শেখ, একই এলাকার নায়েব আলী শেখ, রাজ্জাক বিশ্বাস, বাবুল হোসেন, পাবনার আমিনপুর থানার ঢালারচর এলাকার মিরাজ মন্ডল, মিরপুর এলাকার তমসের মন্ডল, ঢালারচর এলাকার আবেদ আলী সরদার, কুরবান মন্ডল, রাজবাড়ী সদরের তাজুল মন্ডল, বারাইপুরী এলাকার ওয়াজেদ মন্ডল, সুজানগরের ৪৩চর এলাকার আব্দুর রহমান শেখ, রাজবাড়ীর কালুখালী থানার হরিন বাড়িয়া চর এলাকার আফাজ শেখ, পাবনার আমিনপুরের চর কুছলা ডাঙ্গি এলাকার সবুজ ফকির, একই এলাকার মুন্নাফ মন্ডল, মনির হোসেন, রুহুল মন্ডল, কালিকাপুর এলাকার আছের উদ্দিন।
নাজিরগঞ্জ নৌপুলিশের ইনচার্জ সাইদুর রহমান বলেন, সুজানগরের রায়পুরে ও হাসামপুরের পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২৪ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত ৮টি নৌকা, ১ লাখ ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৮ ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় দান করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৩৫ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
১ বছর আগে
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৩৫ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মা ইলিশ ধরায় ৩৫ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। এ সময় মাছ ধরার সাতটি নৌকা জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৪৪ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ, আটক ১
তিনি জানান, রবিবার দিবাগত রাতে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইলিশ ধরা অবস্থায় এসব জেলেকে আটক করা হয়। একই সময় জব্দ করা হয় সাতটি নৌকা। তবে আটক জেলেদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক জেলেও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটক জেলেদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে পৃথক নিয়মিত সাতটি মামলা করা হবে। জব্দ করা নৌকা থানা হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে আটক ২১
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
১ বছর আগে
বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও বানারীপাড়া উপজেলায় মা ইলিশ রক্ষায় পৃথক অভিযানে জেলেদের হামলার শিকার হয়ে মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় জব্দ করা দু’টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেন্দিগঞ্জের তেঁতুলিয়া নদীর মোস্তফাবাজার এলাকায় ও দুপুর ২টায় বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নদীতে মাছ শিকাররত জেলেদের ধাওয়া করে তিনটি ইঞ্জিনচালিতসহ পাঁচটি নৌকা ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এর পরপরই দেড় থেকে দুইশত নারী পুরুষ এসে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা দু’টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছিনিয়ে নেয়। আর নৌকা দু’টি রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তিন মাঝিকে পিটিয়েছে হামলাকারীরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ জানান, হামলার পর একটি ইঞ্জিনচালিতসহ তিনটি নৌকা ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। হামলায় কেউ গুরুতর আহত হয়নি। তবে যারা সামান্য আহত হয়েছেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, জব্দ করা কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হবে। আর নৌকা তিনটি নিলামে বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ।
এদিকে বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে অভিযানে গিয়ে জেলেদের হামলায় আহত হয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন ও মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. নাসির উদ্দিন বলেন, দুপুরে সন্ধ্যা নদীতে অভিযানে গেলে জেলেরা তাদের দেখে ইট-পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় আমিসহ মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা আহত হয়েছি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পরে ওই এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে হামলাকারীদের নাম পরিচয় শনাক্ত করে মামলা করেছি। এতে আটজন নামধারী ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
১ বছর আগে
মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করলে উৎপাদন আরও বাড়বে: মৎস্যমন্ত্রী
প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা গেলে দেশে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জেলেদের সহায়তায় সরকারের মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা, জাটকা নিধন বন্ধ করাসহ ইলিশের অভয়াশ্রম সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অতীতের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন এবং ইলিশের আকারও বেড়েছে। জেলেরা এখন বড় আকারের ইলিশ আহরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, একটি মা ইলিশ ৬ থেকে ৭ লাখ পর্যন্ত ডিম দেয়। একটি মা ইলিশ আহরণ করা মানে লাখ লাখ ইলিশ ধ্বংস করা। সুতরাং মা ইলিশ সংরক্ষণ করলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে।
এ সময় জেলেদের স্বার্থেই মা ইলিশ নিধন বন্ধ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সরকার ভিজিএফ সহায়তা দিচ্ছে, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ইলিশসমৃদ্ধ ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলায় এ সহায়তা পৌঁছে গেছে। ভিজিএফের আওতায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭টি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি হারে মোট ১৩ হাজার ৮৭২ দশমিক ১৮ টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় জেলেদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কারো খারাপ পরামর্শ বা ভুল প্ররোচনায় নিষেধাজ্ঞার সময় কোনোভাবেই মাছ ধরতে নদী বা সাগরে নামা যাবে না। মা ইলিশ সংরক্ষণের সময় আইন মেনে চলতে হবে। নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ করলে জেল ও জরিমানার আওতায় আসতে হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান।
আরও পড়ুন: আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা: ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা
বরিশালের হিজলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় উপজেলার হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের খালিশপুর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জেলেদের হামলার শিকার হয় পুলিশসহ ২০ জন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিঞা জানান, জেলেদের হামলায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় ১২ জন নামধারী ও অজ্ঞাতনামা আরও তিনশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধা, বেআইনিভবে জনতার ওপর হামলা করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, হামলার পর নামধারী ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি ট্রলার ও একশ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজের নেতৃত্বে ১৬ পুলিশ সদস্যসহ মোট ২০ জনের একটি দল ভোর ৫টার দিকে মেঘনা নদীতে খালিশপুর সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে ইলিশ শিকাররত জেলেদের কাছাকাছি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপর হামলা করা হয়। জেলেরা বাঁশ ও লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে দলের সকলকে আহত করে। এরমধ্যে কনস্টেবল মাহফুজ বেশি আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি বলেন,পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। তখন জেলেরা পালিয়ে যায়। এ সময় তদের ধাওয়া করে একটি ট্রলার ও জালসহ ৯ জেলেকে আটক করা হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১৯ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ জেলেকে কারাদণ্ড
২ বছর আগে
মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর সদরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ১০ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আট জনকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় দু’জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর জেলেকে মুচলেকা দিয়ে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন-মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ইয়াকুব বেপারী, নুরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, মো. রুবেল, মাহাবুব বেপারী, সজল চন্দ্র দাস ও নজরুল ইসলাম। তারা সবাই চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকার।
আরও পড়ুন: যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১৯ জেলের কারাদণ্ড
ছেড়ে দেয়া দুই কিশোর মোহাম্মদ শাহেদ ও রাজীব হোসেন।
বুধবার রাতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ আর এম জাহিদ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মা ইলিশ নিধনরোধে অভয়াশ্রম এলাকায় চাঁদপুর মৎস্য অফিস, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দ করা হয় প্রায় ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল এবং বিভিন্ন আকৃতির ৬৭টি মা ইলিশ । যার ওজন ১৩.৪১ কেজি।
তিনি বলেন, অভিযানে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাসহ ১০ জন জেলেকে ইলিশ আহরণরত অবস্থায় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ইলিশ মাছগুলো এতিম ও দুঃস্থ গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হয় এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি নৌপুলিশের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
অভিযানে চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, কোস্টগার্ড কর্মকর্তা, নৌ পুলিশের কর্মকর্তা, নৌপুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ জেলেকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নৌ র্যালি
২ বছর আগে
চাঁদপুরে মেঘনায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নৌ র্যালি
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে এক বর্ণাঢ্য নৌ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে র্যালির সঙ্গে পথ সভা ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।জেলা প্রশাসক বক্তব্যে বলেন, নদী আমার, মাছ আমার, এটার ব্যবস্থাপনাও আমার। সচেতন হলে চাঁদপুরের ইলিশের ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। শুধুমাত্র ইলিশ নয়, এ ২২দিন মেঘনা পদ্মায় সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ।ডিসি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে যারা নদীতে মাছ শিকার করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। মা ইলিশের সময় গত বছর ২০ কেজি করে কার্ডধারীদের চাল দেয়া হয়েছিল। আর এ বছর ২৫ কেজি করে কার্ডধারীদের চাল দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেষ মুহুর্তে বাজারে ইলিশ কেনাবেচার ধুম
ডিসি আরও বলেন, নদীতে কোন জেলেকে মাছ ধরা অবস্থায় পাওয়া গেলে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাইনা কোন জেলে বা তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।হাইমচর উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান ও চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস।সংক্ষিপ্ত পথ সভা শেষে মা ইলিশ সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতামূলক লিফলেট উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করেন টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা। পরে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মেঘনা মোহনায় নৌ র্যালি বের হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
শুক্রবার থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
২ বছর আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় চাঁদপুরে ১০ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ১০ জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে এ সময় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জেলেদের এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের লালপুর ও খেরুদিয়া এলাকার নাছির হোসেন (৩০), সফিকুল ইসলাম (২০), আব্দুস সুক্কুর গাজী (২০), খোকন বেপারী (২৩), ফারুক দর্জি (৩০), মনির হাওলাদার (২০), মো. ফারুক খান (৩২), মো. নাছির (২৯), আউয়াল হাওলাদার (৬৩) ও গোলাম মো. রাসেল (২৩)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মা ইলিশ ধরায় ১৩ জেলের কারাদণ্ড
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম অভিযানে মেঘনা নদী থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে দুটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। ওই সময় ইলিশ ধরার অপরাধে ১০ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টচার্য বলেন, আটক জেলেদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার পর জেল হাজতে পাঠানো হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং নৌকা দুটি কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ভোলায় ১১ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় সম্পদ ইলিশ প্রজনন রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৩ বছর আগে
মা ইলিশ সংরক্ষণ: যমুনায় অভিযান চালিয়ে ৩৮৬ জেলের দণ্ড
মা ইলিশ সংরক্ষণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ২২ দিনের অভিযানে ৩৮৬ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
৪ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে মা ইলিশ ধরায় ১৩ জেলের কারাদণ্ড
বেলকুচি উপজেলায় যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ ধরায় ১৩ জেলেকে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৪ বছর আগে