বিধ্বস্ত
কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ২
কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে ভোলার মনপুরা ও লালমোহনে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য গাছপালা। এ সময় ঘর চাপা পড়ে হারিস ও বজ্রপাতে বাচ্চু নামে ২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৪ থেকে ৫ জন।
রবিবার সকালে লালমোহনে উপজেলায় বদরপুর সাতবাড়িয়া এলাকায় এবং চরভূতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামে ২ জন মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ঝড়ে মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের সময় লালমোহনে উপজেলায় বদরপুর সাতবাড়িয়া এলাকায় ঘর চাপা পড়ে হারিস নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং লালমোহনের চরভূতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামের বাচ্চু নামে একজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৪ থেকে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অনেক পরিবার মাথার উপর টিনের চালা পর্যন্ত নেই। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে আছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে ২ জনের মৃত্যুসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য জেলায় পাঠাবো। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তা প্রদান করা হবে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
কালবৈশাখীতে সুনামগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ২০
৭ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ৯ জনের লাশ উদ্ধার
মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় সেলাঙ্গর রাজ্যের একটি শহরতলিতে বৃহস্পতিবার একটি ছোট উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শাহ আলম জেলার পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইকবাল ইব্রাহিম একটি উড়োজাহাজ (জেট) বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিমানের সব যাত্রী মারা গেছেন কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অন্তত ৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে ৬ জন যাত্রী ও ২ জন ক্রু ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মালয় মেইল নামে স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বিমানটি বিস্ফারিত হয় এবং এর কিছু ধ্বংসাবশেষ একটি মোটরসাইকেলকে আঘাত করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার থেকে কিশোর উদ্ধার
নিউ স্ট্রেইটস টাইমস নামে আরেকটি সংবাদপত্র তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে, উড়োজাহাজটি উত্তরাঞ্চলীয় রিসোর্ট দ্বীপ ল্যাংকাউই থেকে সেলাঙ্গরের সুবাং বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং মহাসড়কে বিধ্বস্ত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শাহ আলম জেলার প্রধান মহাসড়কের পাশে একটি ঘাসযুক্ত লন (দুর্ঘটনাস্থল) থেকে আগুন ও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠে আসছে। রাস্তার কিছু অংশ ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে থাকতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিবহনমন্ত্রী অ্যান্টনি লোক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রিমিয়াম ভিসা চালু করছে মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া পাচারকালে বাংলাদেশিসহ ৫৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ২
১ বছর আগে
ব্রাজিলে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৪ জন নিহত
দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম মহানগরী ব্রাজিলের সাও পাওলোতে একটি রাস্তায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে চারজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে শহরের পশ্চিমাঞ্চলের বাররা ফান্ডা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দেশটির ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এক টুইটে জানিয়েছে, সাও পাওলো রাজ্য মিলিটারি পুলিশের অংশ। দুর্ঘটনায় নয়টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এটি ‘বিস্তারিত তথ্যের জন্য তারাও অপেক্ষা করছে।’
স্থানীয় মিডিয়ার মতে হেলিকপ্টারটি ছিল এয়ার ট্যাক্সি কোম্পানির মালিকানাধীন রবিনসন আর৪৪ রাভেন ২।
ব্রাজিলিয়ান হেলিকপ্টার পাইলট অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, সাও পাওলোতে ৪১১টি ব্যক্তিগত নিবন্ধিত হেলিকপ্টার রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ব্রাজিলে ৩৬ জনের মৃত্যু
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে ৩৭ মৃত্যু
ব্রাজিলে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৭
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল ফ্লাইট বিধ্বস্ত, রোগীসহ নিহত ৫
নেভাডার উত্তরাঞ্চলের একটি পার্বত্য এলাকায় শুক্রবার রাতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একজন রোগীসহ মেডিকেল পরিবহনের একটি ফ্লাইটে থাকা পাঁচজনের সবাই নিহত হয়েছেন।
লিওন কাউন্টি শেরিফ কার্যালয় জানিয়েছে, নেভাডার স্টেজকোচের কাছে রাত সোয়া ৯টার দিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। স্টেজকোচ প্রায় দুই হাজার ৫০০ বাসিন্দার একটি গ্রামীণ সম্প্রদায়ের বাসস্থান। যা রেনো থেকে প্রায় ৪৫ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
বিমান ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সরবরাহকারী কেয়ার ফ্লাইট জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে পাইলট, একজন ফ্লাইট নার্স, একজন ফ্লাইট প্যারামেডিক, একজন রোগী ও একজন রোগীর পরিবারের সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুই ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ১ পাইলট নিহত
কোম্পানিটির প্রেসিডেন্ট ও সিইও ব্যারি ডুপ্ল্যান্টিস জানান, রেনো গেজেট জার্নালের খবরে শনিবার বিকালে নিহত পাঁচজনের স্বজনদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
লিয়ন কাউন্টির কিছু অংশসহ নেভাডার বিস্তীর্ণ অংশের জন্য রেনোর জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবাকর্তৃক জারি করা শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতার মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর ৪টা ও রবিবার ভোর ৪টার মধ্যে ভারী তুষারপাত, ৬৫ মাইল বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কাছা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়া হ্রদে ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
১ বছর আগে
দুই ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ১ পাইলট নিহত
ভারতের বিমানবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এক পাইলট নিহত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালের দিকে দেশটির মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়রের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ভারতীয় বিমান বাহিনী টুইটারে জানিয়েছে, বিমানটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। তিনজন পাইলটের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মিরে পাকিস্তানের সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, দুই পাইলট নিহত
এতে আরও বলা হয়, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়রের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিমান বাহিনী দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটির নাম জানায়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে সুখোই-৩০ এবং মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত চিত্রগুলোতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে কালো ধোঁয়া এবং আগুনের শিখা দেখা গেছে।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আদর্শ কাটিয়ার প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, দুই পাইলট নিরাপদে বের হতে পারলেও বিমানগুলো সংঘর্ষে পড়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় বিমানবাহিনীকে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলিয়ান গায়িকা মারিলিয়া মেনডোসা নিহত
তুরস্কে বিমান দুর্ঘটনায় ৭ নিরাপত্তা কর্মী নিহত
১ বছর আগে
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৫২
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভাতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৫২ জনে পৌঁছেছে। এছাড়াও এখনও কয়েকশ’ মানুষ আহত হয়ে চিকিসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার উদ্ধারকারীরা ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া বাড়িঘর এবং ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মৃতদেহ খুঁজে পেতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে সোমবার বিকালে দেশটিতে পাঁচ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে এই প্রাণহানি ও বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকারী দল আরও ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শহর সিয়াঞ্জুরে পৌঁছেছে। সোমবার বিকালের ভূমিকম্পে আতঙ্কিত বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসে। যাদের অনেকে রক্তাক্ত ও ধ্বংসাবশেষে আহত ছিল।
ভূমিকম্পের পরবর্তী ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, সেতু এবং বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউট এবং ভারী যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারীদের কাজে বিঘ্ন ঘটে। ভূমিধসের কারণে রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ হয়ে যায় এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং গাড়িচালককে চাপা দেয়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ৪৬ জনের মৃত্যু, আহত ৭০০
মঙ্গলবার ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ফোন যোগাযোগের উন্নতি হতে শুরু করেছে।
পশ্চিম জাভা গভর্নর রিদওয়ান কামিল নিহতদের সংখ্যা ঘোষণার সময় বলেন, প্রত্যন্ত, গ্রামীণ এলাকায় বিল্ডিং ধসে পড়ার সময় সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনেকে তাদের সেদিনের ক্লাস শেষ করে ইসলামিক স্কুলে অতিরিক্ত পাঠ নিচ্ছিল।
হাসপাতালগুলো আহতদের দ্বারা পূর্ণ হয়েছিল এবং এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। বড় গ্রামীণ এলাকাটির জনসংখ্যার কারণে তাৎক্ষণিকভাকে ক্ষয়ক্ষতির কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি। অনেকগুলো অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ফলে এলাকার বাসিন্দা এবং জরুরি কর্মীরা ভয়ঙ্কর সংবাদের জন্য প্রস্তুত ছিলেন।
পাবলিক ওয়ার্কস অ্যান্ড হাউজিং মুখপাত্র এন্ড্রা আত্মাভিদজাজা বলেছেন, উদ্ধার কার্যক্রমে সিয়াঞ্জুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কারণ এই সকল এলাকায় বেশি মানুষ এখনও আটকে আছে বলে ধারণা করা হয়।
আত্মাভিদজাজা বলেন, ‘আমরা মানুষকে উদ্ধার করার জন্য সময় নিয়ে দৌড়াচ্ছি,’ গাছ এবং মাটি দ্বারা সিয়াঞ্জুর এবং সিপানাস শহরের সংযোগকারী অবরুদ্ধ রাস্তাগুলোকে পরিষ্কার করতে পার্শ্ববর্তী বান্দুং এবং বোগর শহর থেকে সাতটি খননকারী এবং ১০টি বড় ট্রাক মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজধানী জাকার্তা থেকে খাদ্য, তাঁবু, কম্বল এবং অন্যান্য সরবরাহ বহনকারী কার্গো ট্রাকগুলো অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বিতরণের জন্য মঙ্গলবার ভোরে পৌঁছায়। তারপরও আবারও ভূমিকম্পের ভয়ে খোলা জায়গায় রাত কাটিয়েছে হাজারো মানুষ।
পার্শ্ববর্তী জেলায় ইসলামিক শিক্ষা ফাউন্ডেশনে কর্মরত দ্বি সারমাদি বলেন, ‘বিল্ডিংগুলো সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে।’
সিয়াঞ্জুর শহরে আনুমানিক এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষ বাস করে। যেটি পার্বত্য ২৫ লাখ মানুষের জেলার অংশ। তারা ধার্মিক হিসেবে পরিচিত। সিয়াঞ্জুরের বেশিরভাগ মানুষ শহরের একতলা বা দোতলা বাড়িতে বাস করেন।এছাড়া আশেপাশের গ্রামাঞ্চলেও ছোট বাড়িতে থাকেন তারা।
কামিল বলেছেন যে ১৩ হাজারেরও বেশি লোকের বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদেরকে সরিয়ে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জরুরি কর্মীরা হাসপাতালের বাইরে, টেরেস এবং পার্কিং লটে স্ট্রেচার এবং কম্বলে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। শিশুসহ আহতদের অক্সিজেন মাস্ক এবং আইভি লাইন দেয়া হয়েছে।
শত শত মানুষ সিয়াঞ্জুর আঞ্চলিক হাসপাতাল ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছে।
সারমাদি বলেন, ‘আমি আমার অফিস বিল্ডিংয়ের ভিতরে কাজ করছিলাম। ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তবে ভূমিকম্পে খুব প্রবলভাবে কেঁপে উঠলে অনেক কিছু পড়ে যায়। এতে আমার পায়ে ভারী জিনিসের আঘাত লেগেছে।’
সারমাদি হাসপাতালের বাইরে একটি তাঁবুর কাছে ক্লিনিকে তাকে দেখতে না পেয়ে অনেক লোক অপেক্ষা করছিলেন। অনেক লোক খারাপ অবস্থায় আসছিল।
তিনি বলছিলেন, ‘আমি সত্যিই আশা করি তারা শিগগিরই আমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারবে।’
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, পাঁচ দশমিক ছয় মাত্রার ভূমিকম্পটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের নীচে ১০ কিলোমিটার (ছয় দশমিক দুই মাইল) গভীরে ছিল। এটি বৃহত্তর জাকার্তা অঞ্চলে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। প্রায় তিন ঘন্টার দূরবর্তী জায়গা থেকে উঁচু-নিচু জায়গাগুলো দোলা দিয়েছিল এবং কিছু লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
সিয়াঞ্জুরের অনেক বাড়িতে, কংক্রিটের টুকরো এবং ছাদের টাইলস বেডরুমের ভিতরে পড়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা, এবং ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা কমপক্ষে ২৫টি কম্পন রেকর্ড করেছে।
২৭০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের দেশটি প্রায়শই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং সুনামিতে আক্রান্ত হয়। কারণ এটি ‘রিং অফ ফায়ার’ নামে পরিচিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় বেসিনে আগ্নেয়গিরি এবং ফল্ট লাইনের চাপে অবস্থিত।
ফেব্রুয়ারিতে, পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে একটি ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং ৪৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে, পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে একশ’র বেশি লোক নিহত এবং প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জন আহত হয়।
২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং সুনামিতে বেশ কয়েকটি দেশে দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ছিল ইন্দোনেশিয়ায়।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, ঘুমন্ত ৬ জনের মৃত্যু
ঢাকায় ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
২ বছর আগে
নবাবগঞ্জে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: পাইলটের মৃত্যু
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টারের পাইলট মঙ্গলবার মারা গেছেন।
নিহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (৪৫) র্যাবের এয়ার উইং পরিচালক।
গত ২৭ জুলাই ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার একটি জলাশয়ে বিধ্বস্ত হলে দুই পাইলট আহত হন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, পাইলট- লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইসমাইল এবং মেজর শামসকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কর্নেল ইসমাইলকে পিঠের হাড়ে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় ৫ আগস্ট তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার অবতরণকালে দুর্ঘটনা, ২ পাইলট আহত
গত ৬ আগস্ট হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার করা হলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
পরে মঙ্গলবার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে কর্নেল ইসমাইল তার বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
কর্নেল ইসমাইলের মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইজিপি, র্যাব ডিজি এবং র্যাব ও সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাইলট নওশাদের মরদেহ দেশে আসছে বৃহস্পতিবার
২ বছর আগে
গ্রিসে বিধ্বস্ত হওয়া কার্গো বিমানটি বাংলাদেশে অস্ত্র নিয়ে আসছিল: সার্বিয়ান মন্ত্রী
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া কার্গো বিমানটি ল্যান্ড মাইনসহ ১১ টন অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শনিবার গভীর রাতে কাভালা শহরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং এতে থাকা আট আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। বিমানটি সার্বিয়া থেকে জর্ডান যাচ্ছিল।
আন্তোনভ-১২ কার্গো বিমানটি ইউক্রেনের কার্গো এয়ারলাইন মেরিডিয়ান পরিচালিত।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আন্তোনভ-১২ বিধ্বস্ত হওয়া এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী লোকজনকে বাড়ির ভেতরে থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপালে বিমান বিধ্বস্ত, মিলেছে সর্বশেষ লাশের খোঁজ
রবিবার সকালে স্থানটি নিরীক্ষা করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি জানিয়েছে, সেনাবাহিনী, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ও গ্রিক পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মীরা এটিকে নিরাপদ বলে মনে না করা পর্যন্ত সেখানে যাবেন না।
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের ফায়ার ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মারিওস অ্যাপোস্টোলিডিস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে (বাতাসের) পরিমাপ কিছুই দেখায়নি। কিন্তু তবুও ওই স্থানে অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে।’
‘অন্য কথায় তীব্র ধোঁয়া ও তাপ, সেইসঙ্গে একটি সাদা পদার্থ যা আমরা চিনতে পারি না। তাই একটি বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীর দলকে আমাদের জানাতে হবে এটি কী ও আমরা ওই স্থানে প্রবেশ করতে পারি কি না।’
উড্ডয়নের পরপরই ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি রানওয়েতে পৌঁছাতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় সময় রাত প্রায় পৌনে ১১টার দিকে বিমানটিকে দেখতে পান।
আরও পড়ুন: হাইতিতে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা-মন্ত্রী নেবোজা স্টেফানোভিচ বলেছেন, আন্তোনোভ এএন-১২ প্রায় ১১ টন সার্বিয়ার তৈরি অস্ত্র বাংলাদেশে পরিবহন করছিল।
ঢাকার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে এটি জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারতে যাত্রাবিরতি করার কথা ছিল।
তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো সংযোগের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
২ বছর আগে
ফিফা নারী ফুটবল: মালয়েশিয়াকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করল বাংলাদেশ
ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মালয়েশিয়া জাতীয় মহিলা দলকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বৃহস্পতিবার ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ।
ঢাকার কামলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন আঁখি খাতুন। একটি করে গোল আসে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সিরাত জাহান স্বপ্না, মনিকা চাকমা ও কৃষ্ণা রানী সরকারের পা থেকে।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন আঁখি। ২৬ মিনিটে সাবিনা ২-০ তে এগিয়ে দেন।
পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছিটকে গেলেন সাইফুদ্দিন
২ বছর আগে