মুক্তিবাহিনী
গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলমের প্রতি ভারতীয় হাই কমিশনের শ্রদ্ধা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ বিমান বাহিনী যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণের চিহ্ন হিসেবে ‘কিলো ফ্লাইট’ এর সাহসী যোদ্ধা গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) শামসুল আলম, বীর উত্তম এর প্রতি শুক্রবার ভারতীয় হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
তিনি ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর ৭৪ বছর বয়সে ঢাকায় ইন্তেকাল করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানি করতে চায় মালয়েশিয়া: হাই কমিশনার
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যদের সঙ্গে যারা লড়াই করেছিল তাদের অসংখ্য ত্যাগী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সংহতির ঘনিষ্ঠ বন্ধনকে অনুপ্রাণিত ও শক্তিশালী করে চলেছে। পুষ্পস্তবকে একটি বার্তা লেখা ছিল, ‘চিরকালের জন্য হারিয়েছি, কিন্তু কখনও ভুলব না।’
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
২ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি-৩
লাশের স্তূপ
ডিসেম্বর মাসের চূড়ান্ত যুদ্ধের আগেই মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি হানাদারদের কার্যত বিভিন্ন সুরক্ষিত ক্যাম্পে কোণঠাসা করে রাখে। যৌথবাহিনী সীমান্ত পোস্টগুলো এড়িয়ে গভীরে আঘাত করার জন্য এগিয়ে যেতে থাকে। চৌদ্দগ্রামের থানা ক্যাম্প এড়িয়ে ভারতীয় বাহিনী এবং ১০ ইস্ট বেঙ্গলের যৌথ বাহিনী রাধানগর (ভারতীয় থানা) দিয়ে লাকসাম অভিমুখে যেতে থাকে। যুদ্ধকালীন সম্পূর্ণ সময় চৌদ্দগ্রামের আশপাশ এলাকার গ্রামগুলো জনমানব শুন্য ছিল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের পূর্ব দিকের লোকেরা ভারতে শরণার্থী হয়। সম্ভাব্য যুদ্ধের ভয়াবহতা এড়াতে সবাই আরও পশ্চিমে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাতের বেলায় ভয়াবহ গোলাগুলি। কোথায় কি হচ্ছে বুঝে উঠতে পারলাম না। সকাল হল। আলো হওয়ার পর দেখি আমরা চৌদ্দগ্রাম ছেড়ে পরিকুট (লাকসাম চৌদ্দগ্রাম থানার সীমা রেখা) এর কাছাকাছি। দেড়কোটা ও ছাতিয়ানি গ্রাম আমার পরিচিত। আমার খালার বাড়ি। ছোটবেলায় কত দূর মনে হতো। এটাই ছিল যুদ্ধক্ষেত্র।
পাকিস্তানি সেনাদের লাশের ছড়াছড়ি একের উপরে অনেকগুলো। এভাবে মারা গেলো কিভাবে? অনেকের গায়ে কাপড় নেই। কারো গায়ে সিভিল পোশাক। তারা কি সিভিল পোশাক পরে আপাতত জান বাচাতে ব্যস্ত ছিল? কারও মুখ ও চোয়াল ভাঙা, হাত পা নেই । গ্রামের দু’একজন লোকের দেখা পেলাম। বাকিরা কোথায় গেছে কেউ জানেনা। স্থানীয় লোকেরা লাশ দেখছে আর মন্তব্য করছে। এক জটলায় দেখলাম কয়েকটি উলঙ্গ লাশ নিয়ে কথা বার্তা হচ্ছে। একজন মন্তব্য করলো দেখ দেখ কয়েকটা লাশের পুরুষাঙ্গে গুলি লেগেছে। হারামির পুত মনে হয় মেয়েদের উপর বেশি অত্যাচার করেছে। এ কথা বলেই একটা বাঁশ দিয়ে লাশগুলোকে পেটাতে শুরু করলো। জানিনা তার হয়তো ক্ষোভ আছে। আমাদের কমান্ডার সামনে এগিয়ে যেতে বললেন। আবার শুরু হল চলা।
যুদ্ধবন্দী ১৯৭১
একে একে সীমান্ত শহরগুলো শত্রু মুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কুমিল্লা ও লাকসামে জয় বাংলার পতাকা উড়ছে। পথে ঘাটে লাশ ছড়িয়ে আছে। রাস্তাঘাট ভারতীয় সেনাদের তদারকিতে মেরামত চলছে। পাবলিককে ধরে ধরে এনে বাধ্যতামূলক শ্রমে লাগানো হচ্ছে। যুদ্ধের সাপ্লাই রুট ঠিক রাখতে রাস্তা, সেতু মেরামত জরুরি। গ্রামে গঞ্জের জঙ্গলে যে সব পাকিস্তানি সেনারা লুকিয়ে ছিল তারা বের হয়ে আসছে। জনতা ধরে এদের লাঠি পেটা করছে। যাহোক সচেতন জনগণের সহায়তায় তাদেরকে ভারতীয় সেনাদের হাতে তুলে দেয়া হল। কোন যুদ্ধবন্দী ক্যাম্প নেই। এদেরকে স্কুলের মাঠে বা কোন খোলা যায়গায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। শীতের সকালের রোদ পোহাচ্ছে। পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। পালালে মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে জীবন দিতে হবে।
প্রশিক্ষণকালে আমাদেরকে শেখানো হয়েছিল যুদ্ধবন্দী কিভাবে হ্যানডলিং করতে হয়। তারা জেনেভা কনভেনশনের কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে ইত্যাদি। তাদেরকে কিভাবে নিরাপত্তা দিতে হবে। এক ঘরে কতজন থাকবে, তাদের খাবার কি হবে তারা দৈনন্দিন কি কি কাজ করবে ইত্যাদি। যুদ্ধবন্দীদের দ্বারা অনেক দেশে অনেক বড় বড় স্থাপনা তৈরি হয়েছিল। আমাদের খুব কাছেই থাইল্যান্ডে ‘ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই’ ব্রিটিশ যুদ্ধবন্দীদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। মস্কোর রেড স্কয়ারে যে দর্শনীয় গির্জা আছে সেগুলোও যুদ্ধবন্দীদের দ্বারা নির্মিত। এরূপ আরও অনেক আছে।
যুদ্ধবন্দীদের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে যাওয়ারও নিয়ম আছে। বিশেষ করে নিরাপত্তার বিবেচনায়। গাড়ী, ট্রেন, জাহাজ ও পদব্রজে যাওয়ার ভিন্ন ভিন্ন নিরাপত্তা নির্দেশ আছে। পদব্রজে গমনকাররীরা দলবদ্ধ হয়ে মার্চ করে এগোতে থাকে। কয়েকজন অস্ত্র হাতে চারিদিকে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। এরূপ একটি দলের সাথে আমরা যাচ্ছিলাম। পাকিস্তানি সেনারা ক্লান্ত ও পরাজয়ের গ্লানিতে মৌন। এদের সাথে সাথে উৎসুক জনতাও চলছে। কয়েকজন যুবক এসে তাদের মারধর করতে চাইছে। এক বুড়ো বটি নিয়ে এগিয়ে আসছে আর বলছে, এই বেটা আমার সব ডাব মুরগি খেয়ে শেষ করেছে। আমার মুরগির টাকা দে, ছাগলের টাকা দে। ভারতীয় সেনারা ওদেরকে সরিয়ে দিচ্ছে। যুদ্ধবন্দীরা মার্চ করে এগিয়ে যাচ্ছে। পেছনের গ্রামের লোকেরা সরে যাচ্ছে। আবার নতুন গ্রামের লোকেরা যোগ দিচ্ছে। কিছু উৎসাহী যুবকেরা দৌড়ে এসে যুদ্ধবন্দীদের কাছে এসে জোর গলায় জয় বাংলা বলে সুর তুলছে আর দূর থেকে থুথু দিচ্ছে। এমন সময় যুদ্ধবন্দীদের মাঝে থেকে এক সেনা বলে উঠলো, ‘কেয়া জয় বাংলা? ইয়েতো হিন্দুস্তান হো গিয়া’।
লেখক: কলামিস্ট কর্নেল (অব.) মো. শাহ জাহান মোল্লা
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি-১
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি- ২
২ বছর আগে
যে ভিডিও গেমগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলক
প্রযুক্তির বিকাশ ও সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমে সৃজনশীলতার চর্চার ফলে বাংলাদেশের ইতিহাস সমৃদ্ধ জ্ঞান ক্রমাগত সহজলভ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে। তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গেমিংগুলো। বাংলাদেশে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নশীলতায় এক অমূল্য সংযোজন স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট। এতে বাংলাদেশি গেমের নিজস্বতার পাশাপাশি এ দেশের বাংলা ভাষাভাষি নতুন প্রজন্মের উপর প্রতিফলিত হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সরকারি পদক্ষেপের সাথে সাথে উল্লেখযোগ্য হারে বেসরকারি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো রীতিমত প্রতিযোগিতা করে গেম তৈরি ও ক্রমান্বয়ে সেগুলোর মানোন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই ধরনের কয়েকটি গেম নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের ফিচারের আলোচ্য বিষয়বস্তু।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাতটি ভিডিও গেম
হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান (Heroes of 71)
হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান গেমটি মুক্তি পায় ২০১৫ সাল। গেমটির গেমপ্লে এবং বিশদ কাহিনী বিন্যাস প্রচন্ড গেমপ্রিয়দের পাশাপাশি যারা সাধারণত গেম খেলায় অভ্যস্ত নন তাদেরকেও সমানভাবে আকৃষ্ট করেছিল।
১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার বরিশাল বিভাগের একটি কাল্পনিক গ্রামকে কেন্দ্র করে গেমটির কাহিনী অগ্রসর হয়। গেমটির ইউজাররা গ্রামের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসাবে খেলতে পারে। গেমের খেলোয়াড়দের প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানি নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি শিবিরকে রক্ষা করার জন্য একটি আউটপোস্টে নিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
ব্যতিক্রমী আবহ সঙ্গীতের সাথে দারুণ গ্রাফিক্সের মেলবন্ধনে আকর্ষণীয় গেম হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান। শান্ত এবং নিরিবিলি গ্রামীণ ল্যান্ডস্কেপ এবং যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহতা গেমটিতে সুন্দরভাবে দৃশ্যায়ন করা হয়েছে।
দুর্দন্ত গেমপ্লে ও অত্যাশ্চর্য গ্রাফিক্সের কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় গেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইন্ডফিশার এর আরও দুটি সিক্যুয়াল বের করে।
হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান: রিটালিয়েশান (Heroes of 71: Retalliation)
২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান: রিটালিয়েশান-ই হচ্ছে ২০১৫ সালের সেই হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ানের দ্বিতীয় সংস্করণ। এর গেমপ্লে প্রথমটির চেয়ে কোন অংশে কম নয়। বরং এখানে নতুন বৈশিষ্ট্য হিসেবে যুক্ত করা হয় একজন নারী চরিত্র। এটি ছিলো বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গেমে গেরিলা সদস্য হিসেবে প্রথম নারী চরিত্রের আবির্ভাব। পূর্বে যেখানে একমাত্র লক্ষ্য ছিল একটি ফাঁড়ি রক্ষা করা, এখানে তার জায়গায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে একাধিক মিশন।
আরও পড়ুন: সুবর্ণ আইজাক বারী: বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ‘বিস্ময় বালক’
৩ বছর আগে
‘অপারেশন এক্স’র বাংলা সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন
মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর যৌথ নৌ-কমান্ডো অভিযানের ঘটনাবলী নিয়ে লেখা ‘অপারেশন এক্স’ বইয়ের বাংলা সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, এই বীরত্বপূর্ণ অভিযানে অংশ নেয়া ভারতীয় ও বাংলাদেশি প্রবীণ সৈন্যরা এবং সহ-লেখক সন্দীপ উন্নিথান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর যৌথ নৌ-কমান্ডো অভিযানের ঘটনাবলী নিয়ে ‘অপারেশন এক্স’ বইটি লিখেছেন ক্যাপ্টেন এমএনআর সামন্ত এবং সন্দীপ উন্নিথান। অপারেশনটির পরিকল্পনা করেছিলেন তৎকালীন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এসএম নন্দা ও ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে ভাইস অ্যাডমিরাল) মিহির কে রায় দ্বারা ধারণা করা হয়েছিল এবং যাকে বাস্তবে রূপদান করেছিলেন ক্যাপ্টেন এমএনআর সামন্ত।
৪৫০ জনেরও বেশি নৌ-কমান্ডোকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল এবং পূর্ব পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করানো হয়েছিল যেন নৌযান, জেটি এবং সামুদ্রিক অবকাঠামো ধ্বংস করে পাকিস্তানি সামরিক ও খাদ্য সরবরাহ লাইনগুলোকে ব্যাহত করে দেয়া হয় এবং পাকিস্তানি বাহিনী নিজেদের জন্য পুনরায় রসদ যোগান দিতে না পারে।
ফলে শেষ পর্যন্ত ১৩ দিনের মধ্যেই তাদের দ্রুত আত্মসমর্পণ করতে হয়। কমান্ডো অপারেশনের পাশাপাশি বইটিতে গানবোট পদ্মা এবং পলাশ দ্বারা মংলা বন্দরে অভিযানের কথাও বলা হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর দেয়া গানবোট দু’টিতে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশেরই নাবিক ছিল।
নেভাল কমান্ডো অপারেশন এক্স বা এনসিও(এক্স) ছিল ‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর অংশ, যার অধীনে মুক্তিবাহিনীর গোপন প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র সরবরাহ করা হয়। সামগ্রিকভাবে, ১৯৭১ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে কমান্ডোরা এক লাখ টন শত্রু নৌযান ডুবিয়ে বা অক্ষম করে দেয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের বন্দরগুলি সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ করে।
প্রকৃতপক্ষে, এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্বে পরিচালিত বৃহত্তম গোপন অভিযান। ৪৮ বছর ধরে অপ্রকাশিত থাকা এই গল্পটি প্রথম ইংরেজিতে প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। ক্যাপ্টেন এমএনআর সামন্তের ব্যক্তিগত নোট এবং অপারেশনে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় নৌসেনাদের এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে সংকলিত হয়েছে। প্রখ্যাত লেখক এবং সাংবাদিক সন্দীপ উন্নিথান একটি পাঠযোগ্য, উত্তেজনাপূর্ণ গতিময় ভাষায় বইটি সহ-লিখন করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক' প্রবর্তন
মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডার আব্দুর রউফ খাঁন মারা গেছেন
স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৩ বছর আগে
সি আর দত্তের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মঙ্গলবার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্তরঞ্জন দত্তের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
৪ বছর আগে