জমি সংক্রান্ত বিরোধ
নড়াইলে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নড়াইলের লোহাগড়ায় ওলিয়ার মোল্যা নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
শনিবার(১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চরদিঘলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহত ওলিয়ার চরদিঘলিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী আছমা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, ওলিয়ার কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে মাঠে যাওয়ার সময় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পঞ্চপল্লীর মাতব্বর ফিরোজ, মফিজ ও রোকন মোল্যার নেতৃত্বে অন্তত ২০ জন ওলিয়ার মোল্যাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ওলিয়ারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ২ ভাই আটক
১১ মাস আগে
রহিমাকে অপহরণ করা হয়নি, মেয়ে অপহরণ নাটক সাজিয়েছে: পিবিআই
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে খুলনার আলোচিত রহিমা বেগম ‘অপহরণ নাটক’ সাজানো হয়েছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, সোমবার সকালে মহানগর হাকিম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, তদন্তে রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের নেতৃত্বে অপহরণের নাটক সাজানোর প্রমাণ মিলেছে।
তিনি জানান, মূলত রহিমা বেগম অপহরণ হননি, তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। তিনি ২৮ দিন আত্মগোপনে ছিলেন। এই ২৮ দিন তিনি বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করেছেন।
এছাড়া, গত বছর ২৭ অক্টোবর দিবাগত রাতে তিনি মহেশ্বরপাশার বাসা থেকে আত্মগোপন করার পরে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় কিছুদিন অবস্থান করার পর টপ টেন এর একটি ব্যাগে কিছু কাপড় ও ওষুধ দিয়ে মরিয়ম মান্নান তাকে বান্দরবান পাঠিয়ে দেয়। সেখানে কিছুদিন অবস্থান করার পর তিনি চলে যান ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীর সৈয়দ গ্রামের জনৈক আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে।
পুলিশ সুপার জানান, সংবাদ পেয়ে ওই বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি। তাকে উদ্ধারের পর তিনি কোনো কথাই বলছিলেন না। পরে রহিমা কয়েকজন প্রতিবেশীর নাম উল্লেখ করে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারা তাকে অপহরণ করেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অপহরণের পর শিশুকে হত্যা, আটক ১
মুক্তিপণের জন্য ক্রাইম পেট্রোলের কায়দায় নীরবকে অপহরণের পর হত্যা
১ বছর আগে
গাছে বেঁধে আগুন দিয়ে ভাবীকে হত্যা, দেবর আটক
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাবীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শরীরে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগে দেবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাঘঝাপা গ্রামের ইউসুফ আলী মোল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুফিয়া বেগম (৫০) ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার স্ত্রী। বুধবার তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের যুবকের ১০ বছরের আটকাদেশ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের ইউসুফ আলী মোল্লার সঙ্গে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন তার আপন ভাই লিয়াকত আলী মোল্লার বিরোধ চলছিল।
মঙ্গলবার সকালে ইউসুফ আলী মোল্লা সকালে ব্যবসায়ী কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ওই সময় লিয়াকত আলী মোল্লা (৪৮) তার ভাবী সুফিয়া বেগমকে ঘর থেকে টেনে বের করে বাড়ির উঠানে পেয়ারা গাছের সঙ্গে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সুফিয়ার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেওয়ান সাদিকুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহতের ভাই আক্তার হোসেন বাদি হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে তিন থেকে চার অজ্ঞাত আসামি করে কাশিয়ানী থানায় মামলা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সুফিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। আগের দিন (মঙ্গলবার) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাপা গ্রামের ইউসুফ আলী মোল্লার বাড়িতে গাছে বেঁধে তার গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দেবর লিয়াকত আলী মোল্লাকে (৪৮) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে কাশিয়ানী ও কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে অস্ত্র ঠেকিয়ে চিকিৎসকের টাকা ও মুঠোফোন ছিনতাই, আটক ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক ২
১ বছর আগে
জয়পুরহাটে বিরোধের জেরে শিশু হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৮ সালে আট বছরের এক শিশুকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জজ মো. নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়াও আদালত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। যা অনাদায়ে তাদের আরও দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার মোবারকের ছেলে বাবলু, ইংরাজ মণ্ডলের ছেলে আমিনুল ইসলাম লালু, আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল হামিদ ও ফিদা মিয়ার ছেলে কাজল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হত্যা মামলা: ৫ জনের যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ মে ক্ষেতলাল উপজেলার সূর্যবান গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক ওবায়দুর রহমান ও তার স্ত্রী তাদের ছেলে তানভীরকে তার দাদী ও বোনের সঙ্গে বাড়িতে রেখে কাজে যান।
বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আসামিরা তানভীরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশে একটি পুকুরে ফেলে দেয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানোর পর পুকুর থেকে তানভীরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে পরে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনায় বাড়ির মালিককে হত্যা: ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ বছর আগে
আহত ব্যক্তিকে আটক: জামলাপুরে ৪ এসআই বরখাস্ত, ২ কনস্টেবল প্রতাহ্যার
জামলাপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত এক ভিক্ষুক পরিবারকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করে জেল হাজতে প্রেরণের ঘটনায় পুলিশের চারজন উপপরিদর্শক (এসআই) বরখাস্ত ও দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে বুধবার সকালে জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন-সরিষাবাড়ী থানার এসআই আলতাব হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ওয়াজেদ আলী, মুনতাজ আলী। এছাড়া দুই পুলিশ কনস্টেবল মোজাম্মেল হক ও সাথী আক্তারকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসী বাজার এলাকার ভিক্ষুক আব্দুল জলিলের জমি জবর দখলে নিতে সোমবার দুপুরে একই গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী’র ছেলে মজিবর রহমান ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে বসতবাড়ীতে হামলা ও ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলায় গুরুতর আহত ভিক্ষুক আব্দুল জলিল (৬০), তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৫০), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০), ওয়াজকরনী (২৫), জসিম (৩২), ছালমা (৩৮), শুভ (১৯), শাহীদা (৫৫) পুলিশি হেফাজতে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এদিকে হামলার পর মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে চিকিৎসাধীন চার জনসহ ১৫ জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মঙ্গলবার পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এজাহারভুক্ত আহত ওই চার আসামিদের আটক করেন। এসময় চিকিৎসাধীন ওই চার আসামি পুলিশের সাথে যেতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালের শয্যা থেকে তাদেরকে টেনে হেঁচড়ে থানায় নিয়ে আসে। পরে কিছু সময় তাদের থানাহাজতে রেখে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আব্দুল জলিলের স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে আব্দুল জলিল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ উল্টো আব্দুল জলিলকে থানায় আটকে রাখে। পরে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি কর। রাতে উল্টো ওই ভিক্ষুক পরিবারের উপর মামলা দেয়া হয়।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, আহতদের চিকিৎসা চলাকালীনই পুলিশ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে। চিকিৎসাধীন আসামিদের যেভাবে আটক করা হয়েছে তা অমানবিক।
পড়ুন: ছেলের জন্মদিনে বন্ধুদের জন্য ফেনসিডিল এনে আটক বাবা
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার রাতে আব্দুল জলিলসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ায় পরই তাদেরকে আটক করা হয়।
জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি জানতে পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাকির হোসেন সুমনকে দায়িত্ব দিয়ে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পড়ুন: সিলেটে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ২
২ বছর আগে
জমি সংক্রান্ত বিরোধে কুষ্টিয়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকালে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোবরগাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমা আক্তার (৩৫) উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোবরগাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ জানান, শনিবার বিকালে পৈতৃক জায়গা-জমি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে তার ছোট ভাই শাহীন ও তুহিনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহীন ও তুহিন বাঁশ দিয়ে গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী নাজমা আক্তারকে আঘাত করতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: পাওনা টাকা চাওয়ায় লালমনিরহাটে নারীকে পিটিয়ে হত্যা
ওসি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর দুই দেবর পলাতক রয়েছেন।
২ বছর আগে
কক্সবাজারে গুলিতে নিহত ২
কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়া ও টেকনাফের হ্নীলায় পৃথক ঘটনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে এক নারী ও এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ জন।
রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বারবাকিয়া বোদামাঝির ঘোনা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামুন নামে এক যুবকের গুলিতে গৃহবধূ সেলিনা আক্তার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কলেজছাত্র নাজমুর সাকিব ও সাইফুল ইসলাম। পরে স্থানীয়রা এই ঘটনায় রাতেই দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গণপিটুনীতে সন্দেহভাজন দুই চোরের মৃত্যু
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া থানার ওসি সাইফূর রহমান মজুমদার।
অপরদিকে টেকনাফোর হ্নীলার লেদা নুরালি পাড়ায় রাত ১০টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খালেক বাহিনীর গুলিতে ইমাম হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘ছাত্রলীগের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
পরে খবর পেয়ে টেকনাফ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি হাবিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণকারীকে গণপিটুনী
নিহত ২ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৩ বছর আগে
পঞ্চগড়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের ধারাল ছুরির আঘাতে বড় ভাই রবিউল আলম (৪২) নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের লালগছ গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, আটক ১
রবিউল আলম ওই এলাকার সারাফত আলীর ছেলে। ঘটনার পর ছোট ভাই ফিরোজ হোসেন (৩২) পালাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, রবিউল আলম পঞ্চগড় শহরের ইসলামবাগের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি যায়। রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে এক পর্যাযে ফিরোজ ধারাল ছুরি বের করে রবিউলকে এলোপাতাড়ি জখম করে। রবিউল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। রবিউলের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ফিরোজ পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই খুন
পুলিশ আরও জানায়, পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা দ্রুত রবিউলকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাউসার আহমেদ রবিউলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু ছায়েম মিয়া বলেন, ফিরোজ তার ভাইকে মেরে পালিয়ে গেছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
৩ বছর আগে
শরীয়তপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত, গুলিবিদ্ধ আরও ২
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বুধবার প্রতিপক্ষের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
৩ বছর আগে
পাবনায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, নদী থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
পাবনার বেড়া উপজেলার ও চাটমোহর উপজেলায় পৃথক ঘটনায় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
৪ বছর আগে