ট্রলার
বুড়িগঙ্গায় ট্রলারে বিস্ফোরণ: আরও ১ জনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী ট্রলার এমভি মনপুরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন কামাল হোসেনের (৩৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
এ নিয়ে ট্রলার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হলো।
কামালের বাড়ি ভোলার মনপুরা উপজেলায়। এমভি মনপুরা নামে ওই ট্রলারটির শ্রমিক ছিলেন তিনি।
চিকিৎসক জানান, কামালের শরীরের ৫৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, কামালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তালায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
৪ মাস আগে
বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুন: নিখোঁজ ৩
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে বিস্ফোরণের পর তেলবাহী ট্রলারে আগুন লেগে তিন শ্রমিক নিখোঁজ ও একজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে মেঘনা ডিপো জেটির কাছে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: গাংনীতে আগুনে পুড়ে ছাই হলো গরু-ছাগল
তিনি বলেন, ট্রলারে থাকা তেলবোঝাই সব ড্রাম বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিপদ আঁচ করতে পেরে ট্রলারে থাকা চার জন নদীতে ঝাঁপ দেন। এক শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
তেলের ড্রামবোঝাই ট্রলারটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল বলে জানান মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ জিয়াউর রহমান।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, শ্রমিকরা রান্না করার সময় চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই ১৮টি বাড়ি-ঘর, ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি
ফতুল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম জানান, ড্রামে ডিজেল ও পেট্রোল ছিল। তদন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিখোঁজদের খোঁজ চলছে।
৪ মাস আগে
পদ্মায় ট্রলার ডুবে গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে ট্রলার ডুবে শেখ মজিদ নামে এক গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর জলসীমায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর মালয়েশিয়ান নাবিকের লাশ উদ্ধার
শেখ মজিদ গাজিরটেক ইউনিয়নের রমেশ বালার ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার সময় সঙ্গে তার ছেলেসহ আরও তিন ব্যক্তি ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, গাজিটেক ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার শেখ, আহমদ মোল্লা, আলতাফ জোয়ারদার ও শুকুর আলী।
আনোয়ার শেখ বলেন, গরু ও ছাগল বিক্রি শেষে একটি ট্রলারে করে বড়ি ফিরছিলাম। তখন পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত ও ঢেউ থাকায় নৌকাটি পানিতে তলিয়ে যায়। তখন আমরা নৌকার মাচাইল ধরে পানিতে ভাসতে থাকি। প্রায় ২৫ মিনিট ভেসে থাকার পর একটি মাছ ধরার ট্রলার আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। প্রথমে বাবাকে (মজিদ) তুলতে চেষ্টা করা হলেও তিনি ঢেউয়ের তোড়ে তলিয়ে যান। পরে চারজনকে উদ্ধার করা হয়।
চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন মাস্টার মুর্তজা ফকির বলেন, খবর পেয়ে নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এখনো নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খালে ভেসে যাওয়ার একদিন পর নিখোঁজ নানী-নাতির লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে খালে ডুবে দুই শিশু নিখোঁজ
৪ মাস আগে
ভারতের জলসীমা থেকে ট্রলারসহ ২৭ জেলে উদ্ধার
ভারতের জলসীমা থেকে বাংলাদেশের মাছ ধরার ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে উদ্ধার করেছেন ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের উদ্ধার করে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে।
শুক্রবার ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে বাগেরহাটের মোংলা ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে তাদের মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট খন্দকার মুনিফ তকির সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া থেকে ১ এপ্রিল এফবি সাগর-২ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে ২৭ জেলে সমুদ্রে যান। ৪ এপ্রিল দুপুরে ট্রলারটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। পরে ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে। বিষয়টি ভারতীয় কোস্টগার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোগের দৃষ্টিগোচর হলে তারা ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা রেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করে। পরে শুক্রবার ভোরে বাগেরহাটের মোংলা ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে ট্রলারসহ ওই জেলেদের তাদের মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১৪ জেলে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
৯৯৯-এ ফোন: গভীর সমুদ্র থেকে ২১ জেলে উদ্ধার
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কবলে পড়ে দুবলার চরের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার(১৮ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির আরেকটি ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে ভাসতে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করেছে দুবলার চরের জেলেরা।
আজ সকালে উদ্ধার করা ওই জেলেদের বাগেরহাটের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ১৪ জেলের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় বলে জানা গেছে। নিখোঁজ দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলের বাড়ি চট্টগ্রামে।
দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন আহম্মেদ জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে ১৪ জন জেলেসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়।
দুবলার চরের জেলে বহরদ্দারদের একটি ট্রলার শুক্রবার বিকালে ফেরার পথে ভাসমান অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে।
শনিবার সকালে ওই জেলেদের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং খাবার দেওয়া হয়। জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
কামাল উদ্দীন আহম্মেদ আরও জানান, দুবলার চরে জেলে বহরদ্দারদের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি। তারা বিভিন্ন এলাকায় নিখোঁজ ট্রলারসহ জেলেদের সন্ধান করছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার খলিলুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য জেলে সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এছাড়া জেলে বহরদ্দারদের দু‘টি ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু
১১ মাস আগে
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ছাড়া ২০টি ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ছালাম মিয়ার মালিকানাধীন এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার দমকা হাওয়ায় উল্টে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ আড়াইশোর মতো জেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পান্ডব নদীতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রলারডুবি
দক্ষিণ স্টেশনে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
১১ মাস আগে
কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণ: আরও ৩ জেলের মৃত্যু
কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ আরও তিন জেলের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ১ জনের মৃত্যু
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত তিনজন হলেন- রহিম উল্লাহ (৩০), আরমান (২২) ও শাহিন (৩৫)।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমান গণি ও আয়ুব আলী নামে আরও দুই জেলের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, কক্সবাজারে ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও তিন জেলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে রহিম উল্লাহ আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার ৯০ শতাংশ বার্ন ছিল। এছাড়া ২২ বছর বয়সী আরমানের শরীরে ৭০ শতাংশ ও শাহীনের ৬০ শতাংশ বার্ন ছিল। আগুনে সবার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া ঘাটে নোঙর করা একটি মাছ ধরার ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারটিতে থাকা ১৮ জন জেলের মধ্যে ১২ জেলে দগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু
অবশেষে মারা গেলেন নবীনগরে পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ লতিফা
১ বছর আগে
মেঘনায় মাছ ধরার ট্রলারে ‘জলদস্যুদের’ হামলা, ২ জেলে গুলিবিদ্ধ
ভোলার তজুমদ্দিন ও নোয়াখালীর মধ্যবর্তী হুজুরের চর এলাকায় মেঘনা নদীতে জেলেদের দুইটি মাছ ধরার ট্রলারে ‘জলদস্যুরা’ হামলা করেছে। এ সময় দস্যুদের হামলায় দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন- ভোলার বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের মো. মফিজলের ছেলে মো. হোসেন মাঝি এবং নোয়াখালীর রামগতি থানার চর আব্দুল্লাহ গ্রামের মো. আব্দুল রশিদের ছেলে মো. সোহেল।
তবে অন্য জেলেরা কোথায় কি অবস্থায় রয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
গুলিবিদ্ধ জেলেরা জানান, তজুমদ্দিনের সোহেল মাঝির ট্রলারের ১০ জন জেলে এবং নোয়াখালীর হোসেন মাঝির ট্রলারের ৬ জেলে রবিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে হুজুরের চর এলাকার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছিলেন।
ওই সময় হঠাৎ ১০ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী তাদের মাছ ধরার ট্রলার দুইটিতে হামলা চালায়। ডাকাতরা এসময় জেলেদের ট্রলারে থাকা মাছ, জাল, তেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এতে বাধা দিতে চাইলে ডাকাতরা তাদের মারধরসহ গুলি করে। এক পর্যায়ে ডাকাতদের গুলিতে ওই দুই জেলে নদীতে পরে যায়।
র্দীঘসময় নদীতে ভাসতে থাকার পর সোমবার ভোরের দিকে স্থানীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. তায়েবুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ দুইজন এখন আশঙ্কামুক্ত। তাদের শরীরে ৭০/১০০টি ছররা গুলি রয়েছে।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন সরকার জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আহতদের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
তিনি আরও বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু: সহকর্মী
১ বছর আগে
সুন্দরবনে অবৈধ ৫টি ট্রলার ও ৪টি নৌকাসহ ১০ জেলে আটক
সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরার সময় ১০ জন জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি ট্রলার, ৪টি নৌকা, বেশকিছু জাল এবং মাছধরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের শেলার চর ও নারিকেল বাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে ওই জেলেদের হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটকদের বিরুদ্ধে বুধবার মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ।
আটক জেলেদের বাড়ি বাগেরহাট ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানায় বন বিভাগ।
বুধবার সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ওই জেলেরা অবৈধভাবে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় প্রবেশ করে অনুমতি ছাড়া (পাশ) বিভিন্ন নদী-খালে মাছ ধরছিল।
খবর পেয়ে বন বিভাগের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
১ বছর আগে
ট্রলার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার: পুলিশ বলছে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
কক্সবাজারে একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ জেলের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
রবিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, মৃত ১০ জেলে শামসুল আলম (২৩) সাইফুল ইসলাম (১৮) সওকত উল্লাহ (১৮) ওসমান গণি (১৭) সাইফুল্লাহ (২৩) পারভেজ মোশাররফ (১৪) নুরুল কবির, (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৪) মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) এবং তারেক জিয়া (২৫) সবাই চকরিয়া ও মহেশখালীর বাসিন্দা।
ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রলারের বরফ রাখার কক্ষ থেকে ১০ জেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের হাত-পা রশি দিয়ে বাধা ছিল। কয়েকজনের শরীরে জাল প্যাঁচানো ছিল। একটি লাশের গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন ছিল। আরেকটি লাশের হাত বিচ্ছিন্ন পাওয়া গেছে। লাশগুলো ট্রলারের যে কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই কক্ষের ঢাকনাও পেরেক দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া ট্রলারের জাল ও ইঞ্জিনও ছিল। এ কারণে সন্দেহ হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া ট্রলারটি আরেকটি মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়েছিল। ওই ট্রলারের জেলেরা রশি দিয়ে ডুবন্ত ট্রলারটি টেনে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে নিয়ে আসেন।
রবিবার বেলা দেড়টার দিকে ডুবন্ত ট্রলারটি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক (বিমানবন্দরের পশ্চিমে) চ্যানেলে পৌঁছালে মৃত ব্যক্তিদের হাত-পা ভেসে উঠতে দেখা যায়। তাতে ভয় পেয়ে যান টেনে আনা ট্রলারের জেলেরা। ডুবন্ত ট্রলারটি রেখে পালিয়ে যান তারা।
স্থানীয় লোকজন লাশবোঝাই ডুবন্ত ট্রলার ভেসে আসার খবর জানালে বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বেলা ৩টা পর্যন্ত ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন।
এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে