ট্রলার
পদ্মা নদীতে বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান, ড্রেজার-ট্রলার জব্দসহ আটক ৫
নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) সকাল ১০টা থেকে অভিযান শুরু করে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি ড্রেজার মেশিন, ২টি বালু ভর্তি ট্রলার জব্দ করা হয়।
নাটোর সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা জানান, লালপুরে পদ্মা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তাদের ধরতে একাধিকবার অভিযান চালালে আগেই খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনা সদস্যরা সকাল থেকে লালপুর উপজেলায় পাদ্মা নদীর চর জাজিরা পয়েন্টে অভিযান চালায়। এ সময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার ও বালুভর্তি ট্রলার জব্দসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
সেনা কর্মকর্তারা জানান, জব্দ মালামাল ও আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, ‘জব্দকরা মালামাল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
২১৬ দিন আগে
সাভারে ছিনতাই হওয়া ট্রলার উদ্ধার, মামলা
সাভারে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাত্রী পারাপারের দুটি ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঘাট ইজারাদার সাভার পৌরসভার কর্ণপাড়া এলাকার কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।
এদিকে ছিনতাইকৃত ট্রলার ২টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা।
সাভার পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে স্থানীয় কামরুল ইসলাম কর্নপাড়া ঘাটটি পরিচালনা আসছিলেন। ইজারাদার কামরুলের ছেলে হেদায়েতুল্লাহ বলেন, ‘অন্তর খান, মোর্শেদ খানসহ আরও কয়েকজন আমার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গত বুধবার অন্তরসহ আরও কয়েকজন ঘাট এলাকায় এসে বাবার কাছে দাবি করা চাঁদার ৫ লাখ টাকা চান।’
‘টাকা না দেওয়ায় ইজারাদার কামরুলকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় বাবার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অন্তর তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে খেয়া পারাপারের ট্রলার দুটি নিয়ে যান।’
স্থানীয়রা জানান, অন্তর ও তার সহযোগীরা যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ঘটনার পর গা ঢাকা দেওয়ায় অভিযুক্ত কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যু, আহত ২
মামলায় অন্তর খান, মোরশেদ খান, মোশারফ খান, হৃদয় ও রনির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামি অন্তর হাতে পিস্তল নিয়ে ট্রলারের উপর দাঁড়িয়ে আছেন- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, ‘বুধবার বিকালে মিলন ঘাটে ট্রলার ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ সময় এক যুবককে পিস্তল হাতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে গুলি করার তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ আসামিদের ধরতে কাজ করছে।’
২৩৮ দিন আগে
পূর্বশত্রুতা ও ট্রলারের লোভে যাত্রীবেশে চাচাকে হত্যা: এসপি
বরিশালের উজিরপুরে পূর্বশত্রুতা ও ট্রলারের লোভে যাত্রীবেশে চাচাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) শরিফ উদ্দীন লিখিত বক্তব্যে এই তথ্য জানান।
গত ৩১ জানুয়ারি উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রলারচালক মাহাবুব মুণ্ডপাশা গ্রামের সেকান্দার আলীর ছেলে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি শিকারপুর খেয়াঘাটে ট্রলারচালক মাহাবুব হাওলাদারকে যাত্রী বেশে মাঝ নদীতে নিয়ে হত্যা করে তার ভাতিজা ও পরিবারের সদস্যসহ ৬ জন। ওই ঘটনায় থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মাহাবুবের পরিবার। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন: আইএসপিআর
আসামিরা হলেন— বরিশালের উজিরপুরের সুজন হাওলাদার, রিয়াদ হাওলাদার, মুলাদীর নাঈম হাওলাদার, সাব্বির খান, তাজিম হাওলাদার ও বরগুনা জেলার তাসিন হাওলাদার।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) উজিরপুরের পৃথক স্থান থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে হত্যা মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠান।
২৯৫ দিন আগে
বুড়িগঙ্গায় ট্রলারে বিস্ফোরণ: আরও ১ জনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী ট্রলার এমভি মনপুরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন কামাল হোসেনের (৩৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
এ নিয়ে ট্রলার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হলো।
কামালের বাড়ি ভোলার মনপুরা উপজেলায়। এমভি মনপুরা নামে ওই ট্রলারটির শ্রমিক ছিলেন তিনি।
চিকিৎসক জানান, কামালের শরীরের ৫৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, কামালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তালায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
৫২১ দিন আগে
বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুন: নিখোঁজ ৩
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে বিস্ফোরণের পর তেলবাহী ট্রলারে আগুন লেগে তিন শ্রমিক নিখোঁজ ও একজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে মেঘনা ডিপো জেটির কাছে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: গাংনীতে আগুনে পুড়ে ছাই হলো গরু-ছাগল
তিনি বলেন, ট্রলারে থাকা তেলবোঝাই সব ড্রাম বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিপদ আঁচ করতে পেরে ট্রলারে থাকা চার জন নদীতে ঝাঁপ দেন। এক শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
তেলের ড্রামবোঝাই ট্রলারটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল বলে জানান মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ জিয়াউর রহমান।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, শ্রমিকরা রান্না করার সময় চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই ১৮টি বাড়ি-ঘর, ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি
ফতুল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম জানান, ড্রামে ডিজেল ও পেট্রোল ছিল। তদন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিখোঁজদের খোঁজ চলছে।
৫২৬ দিন আগে
পদ্মায় ট্রলার ডুবে গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে ট্রলার ডুবে শেখ মজিদ নামে এক গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর জলসীমায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর মালয়েশিয়ান নাবিকের লাশ উদ্ধার
শেখ মজিদ গাজিরটেক ইউনিয়নের রমেশ বালার ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার সময় সঙ্গে তার ছেলেসহ আরও তিন ব্যক্তি ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, গাজিটেক ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার শেখ, আহমদ মোল্লা, আলতাফ জোয়ারদার ও শুকুর আলী।
আনোয়ার শেখ বলেন, গরু ও ছাগল বিক্রি শেষে একটি ট্রলারে করে বড়ি ফিরছিলাম। তখন পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত ও ঢেউ থাকায় নৌকাটি পানিতে তলিয়ে যায়। তখন আমরা নৌকার মাচাইল ধরে পানিতে ভাসতে থাকি। প্রায় ২৫ মিনিট ভেসে থাকার পর একটি মাছ ধরার ট্রলার আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। প্রথমে বাবাকে (মজিদ) তুলতে চেষ্টা করা হলেও তিনি ঢেউয়ের তোড়ে তলিয়ে যান। পরে চারজনকে উদ্ধার করা হয়।
চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন মাস্টার মুর্তজা ফকির বলেন, খবর পেয়ে নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এখনো নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খালে ভেসে যাওয়ার একদিন পর নিখোঁজ নানী-নাতির লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে খালে ডুবে দুই শিশু নিখোঁজ
৫৩৮ দিন আগে
ভারতের জলসীমা থেকে ট্রলারসহ ২৭ জেলে উদ্ধার
ভারতের জলসীমা থেকে বাংলাদেশের মাছ ধরার ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে উদ্ধার করেছেন ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের উদ্ধার করে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে।
শুক্রবার ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে বাগেরহাটের মোংলা ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে তাদের মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট খন্দকার মুনিফ তকির সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া থেকে ১ এপ্রিল এফবি সাগর-২ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে ২৭ জেলে সমুদ্রে যান। ৪ এপ্রিল দুপুরে ট্রলারটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। পরে ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে। বিষয়টি ভারতীয় কোস্টগার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোগের দৃষ্টিগোচর হলে তারা ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা রেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করে। পরে শুক্রবার ভোরে বাগেরহাটের মোংলা ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে ট্রলারসহ ওই জেলেদের তাদের মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১৪ জেলে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
৯৯৯-এ ফোন: গভীর সমুদ্র থেকে ২১ জেলে উদ্ধার
৬০৮ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কবলে পড়ে দুবলার চরের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার(১৮ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির আরেকটি ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে ভাসতে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করেছে দুবলার চরের জেলেরা।
আজ সকালে উদ্ধার করা ওই জেলেদের বাগেরহাটের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ১৪ জেলের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় বলে জানা গেছে। নিখোঁজ দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলের বাড়ি চট্টগ্রামে।
দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন আহম্মেদ জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে ১৪ জন জেলেসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়।
দুবলার চরের জেলে বহরদ্দারদের একটি ট্রলার শুক্রবার বিকালে ফেরার পথে ভাসমান অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে।
শনিবার সকালে ওই জেলেদের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং খাবার দেওয়া হয়। জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
কামাল উদ্দীন আহম্মেদ আরও জানান, দুবলার চরে জেলে বহরদ্দারদের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি। তারা বিভিন্ন এলাকায় নিখোঁজ ট্রলারসহ জেলেদের সন্ধান করছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার খলিলুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য জেলে সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এছাড়া জেলে বহরদ্দারদের দু‘টি ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু
৭৪৭ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ছাড়া ২০টি ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ছালাম মিয়ার মালিকানাধীন এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার দমকা হাওয়ায় উল্টে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ আড়াইশোর মতো জেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পান্ডব নদীতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রলারডুবি
দক্ষিণ স্টেশনে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
৭৪৮ দিন আগে
কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণ: আরও ৩ জেলের মৃত্যু
কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ আরও তিন জেলের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ১ জনের মৃত্যু
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত তিনজন হলেন- রহিম উল্লাহ (৩০), আরমান (২২) ও শাহিন (৩৫)।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমান গণি ও আয়ুব আলী নামে আরও দুই জেলের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, কক্সবাজারে ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও তিন জেলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে রহিম উল্লাহ আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার ৯০ শতাংশ বার্ন ছিল। এছাড়া ২২ বছর বয়সী আরমানের শরীরে ৭০ শতাংশ ও শাহীনের ৬০ শতাংশ বার্ন ছিল। আগুনে সবার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া ঘাটে নোঙর করা একটি মাছ ধরার ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারটিতে থাকা ১৮ জন জেলের মধ্যে ১২ জেলে দগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু
অবশেষে মারা গেলেন নবীনগরে পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ লতিফা
৮২১ দিন আগে