পরিচয়
‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি, আটক ৯
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ দয়ার বাজার এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ৯ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। বুধবার রাতে তাদের আটক করা হয়।
আটক ৯ জন হলেন- আবু সাঈদ রবিন (২২), শাহ জাহান আহমদ (২৯), আরিফ হাসান জুবায়ের (২৭), মো. রাজন মিয়া (২৫), দিদার হোসেন (২৫), সেলিম মিয়া (২৫), মো. রফিকুল ইসলাম (২৬), নাসির মিয়া (২৫) ও সোলায়মান (২৭)।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চাঁদা তুলতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
আটক ৯ জনের বিরুদ্ধে কালীবাড়ি গ্রামের নূর আহমদ বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী নূর আহমদ বলেন, বুধবার রাতে আমরা খবর পাই ছাত্র ‘সমন্বয়ক’ দাবি করে শ্রমিকদের কাছ থেকে কারা চাঁদা দাবি করছেন। এমন সংবাদ পেয়ে আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখি তারা দয়ার বাজারের উত্তরে নৌকাঘাটে শ্রমিকদের সঙ্গে চিল্লা চিল্লি করছেন এবং তাদের ধাওয়া করছেন। এসময় তারা শ্রমিকদের ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিতে বলেন। তখন এলাকার লোকজন নিয়ে আমরা তাদের আটক করে পুলিশের দেই।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদিউজ্জামান বলেন, রাতে এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে আমাদের খবর দেন। আমরা গিয়ে তাদের নিয়ে এসেছি। এরই মধ্যে তাদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ পুলিশ বরখাস্ত
মাগুরায় মাদরাসার টাকা আত্মসাৎ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
২ মাস আগে
অবশেষে পরিচয় মিলল মর্গে থাকা মা ও চিকিৎসাধীন শিশুর
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে দুই দিন ধরে পড়ে থাকা নারী ও চিকিৎসাধীন দুই বছরের শিশুর পরিচয় মিলেছে।
শিশুটির নাম মেহেদি হাসান জায়েদ এবং তার মায়ের নাম জায়েদা।
তিনি সুনামগঞ্জের দুয়ারা উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকের ডোপটেস্টসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে অভিভাবকের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।
ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ময়মনসিংহের স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় ওই শিশু ও তার মা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে এক নারী ও তিন পুরুষ ওই শিশু ও তার মাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ নম্বর ওয়ার্ডে পরদিন সন্ধ্যায় মা মারা যান। আহত শিশুটি মাথায় আঘাত নিয়ে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওয়ার্ডের চিকিৎসক ফারজানা কাউসার বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে। অবুঝ শিশুটি হাসপাতালে অবিরাম কাঁদছিল। উপস্থিত লোকজন শিশুটিকে কোলে নিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
নেটিজেনরা আবেগতাড়িত হয়ে পরিচয় জানতে চেয়ে নিজেদের টাইমলাইনে শিশুটির ছবিসহ পোস্ট করতে থাকেন। ফেসবুকে মায়ের মৃত্যু ও আহত শিশুটি চিকিৎসাধীন থাকার খবর দেখে ময়মনসিংহে ছুটে আসেন নিহত জায়েদা খাতুনের বড় ভাই রবিন মিয়া।
তিনি বলেন, ফেইসবুকের মাধ্যমে জায়েদার মৃত্যুর খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে লাশ নিতে আসেন। শিশুটির নাম জায়েদ।
রবিন আরও বলেন, আমি আমার বোনের ছেলেকে লালন পালন করতে চাই।
নিহত নারী জায়েদার সতীন মোকারিমা বলেন, ২০০২ সালে জামিরদিয়া এলাকার ফারুকের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের ঘরে তিন ছেলে সন্তান রয়েছে। ছয় সাত বছর আগে জায়েদাকে সে গোপনে বিয়ে করে।
সেই ঘরে ৫ বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। মেয়ের বয়স যখন ৪/৫ মাস তখন ফারুক আমার ঘরের সামনে মেয়েকে রেখে উধাও হয়। এরপর থেকে মাঝে মধ্যে আমাদের খোঁজ নিত। তবে নিয়মিত না। সে জায়েদাকে নিয়ে অন্য কোথাও ভাড়া থাকত।
হাসপাতালে ভর্তি শিশু জায়েদও ফারুকের সন্তান বলে প্রথম স্ত্রী মোকারিমা জানান।
তিনি বলেন, স্বামী চাইলে এই ছেলেকেও আমি লালন পালন করতে রাজি আছি।
নিহত জায়েদা খাতুনের স্বামী ফারুক মিয়া পেশায় ট্রাকচালক।
তিনি বলেন, জায়েদাকে বিয়ে করায় তার পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি। তার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর জায়েদাও একাধিক বিয়ে করেছেন। এখন তিনি প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় বসবাস করছেন। জায়েদা খাতুনও তার ছেলেকে নিয়ে স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। তবে নির্দিষ্ট ঠিকানা জানা ছিল না। গত এক মাসে তার সঙ্গে জায়েদার তিনবার দেখা হয়েছে। ভালুকা থানা পুলিশের মাধ্যমে জায়েদার মৃত্যুর খবর পান তিনি।
কোতোয়ালী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাসেম বলেন, ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিহতের ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার গোলাম ফেরদৌস বলেন, আল্লাহর রহমতে শিশুটি সুস্থ আছে। ওয়ার্ডে কর্মরত কর্মীরা তার দেখভাল করছেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
নড়াইলে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
৬ মাস আগে
লাশ উদ্ধারের সময় মায়ের কোলে ছিল কলিজার টুকরা ছেলে
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুনের ঘটনায় নিহত মা ও সন্তানের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) এবং তার তিন বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন। নাদিরার স্বামী কারওয়ান বাজারের একজন হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ট্রেনে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এই ঘটনায় ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা যায় মা ও তার তিন বছরের শিশু সন্তানসহ আরও দুইজন। নিহত অপর দুইজন পুরুষ। তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনার সময় নাদিরা আক্তারের ভাই এবং তার আরও এক ছেলে ট্রেনে ছিল। তারা ট্রেন থেকে নামতে পারলেও নাদিরা নামতে পারেননি।
নিহত নাদিরার ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব ইউএনবিকে জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের বরুনা গ্রামে। গত ৩ ডিসেম্বর তারা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গত রাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ঢাকায় রওনা দেন। ভোরে তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। তার সঙ্গে ছিলেন বোন নাদিরা, তার দুই ছেলে ইয়াসিন (৩) ও ফাহিম (৮)।
আরও পড়ুন: বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
হাবিবুর আরও জানান, তেজগাঁও স্টেশন এসে ট্রেনটি থামলে কয়েকজন যাত্রী সেখানে নেমে যান। সেসময় তাদের পেছনের সিটে থাকা দুইজনও নেমে যান। পরে ট্রেন চলতে শুরু করা মাত্রই পেছনের সিট থেকে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তেই আগুন পুরো বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে দৌঁড়ে তিনি ফাহিমকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামতে পারলেও ভেতরে আটকা পড়েন ছোট ছেলে ইয়াসিন ও তার মা নাদিরা। তাদের আর কোনোভাবেই সেখান থেকে বের করতে পারেননি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪ মিনিটের দিকে ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা একটি বগি থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, নিহতদের দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি ও তার ৩ বছরের ছেলে ইয়াসিন।
আরও পড়ুন: হরতালে ঢাকায় ২ বাসে আগুন
১১ মাস আগে
বাংলা গানের বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি: অর্ণব
ডিজিটাল মিউজিক প্ল্যাটফর্ম কোক স্টুডিওর মাধ্যমে উদীয়মান প্রতিভারা একত্রে কাজ করে ম্যাজিক্যাল সংগীত তৈরি করে নতুন দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করার সুযোগ পান। ২০০৮ সালে কোক স্টুডিও’র যাত্রা শুরু হওয়ার পর সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে আসে কোক স্টুডিও বাংলা।
এরই মধ্যে কোক স্টুডিওর দুটি সিজন সফলতার সঙ্গে শেষ হয়েছে। তৃতীয় সিজন আসবে ২০২৪ সালে। তার আগে নিজেদের সফলতার পরিসংখ্যান জানাতে এক আলাপের আয়োজন করে তারা।মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার একটি রেস্তরাঁয় এই আলাপে ছিলেন সংগীতশিল্পী অর্ণব এবং কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং আবীর রাজবীন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে ঢাকায় সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল
অর্ণব বলেন, ‘এদেশের তরুণদের মধ্যে গান শোনার অনেক ভিন্নতা তৈরি হয়েছে। তারা অনেক ধরনের গান শুনতে চায়। আমরা বাংলা গানের বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি। সেটি কতটুকু পেরেছি তা দর্শক বলতে পারবেন। কোক স্টুডিও বাংলা বিশ্বের সামনে তুলে ধরছে বাংলা সংগীত ও শিল্পীদের।’
কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং প্রধান আবীর রাজবীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩ লাখের বেশি কথোপকথন, হাজারো ফ্যান আর্ট, মিউজিক ও ড্যান্স কাভার এবং যন্ত্রসংগীতের মাধ্যমে কোক স্টুডিও বাংলা একটি প্রাণবন্ত ও সংযুক্ত কমিউনিটি তৈরি করেছে। এই কমিউনিটি প্ল্যাটফর্মটির গানগুলোর প্রতি নিজেদের ভালোবাসা সবসময় তুলে ধরছে। প্রথম দুই সিজনে আমরা অভূতপূর্ব সমর্থন ও সাড়া পেয়েছি। এতে আমরা সৃজনশীল ক্ষেত্রে নতুন কিছু করার প্রেরণা পাই।’
শুরু হওয়ার পর থেকেই বৈচিত্র্যময় ধারার প্রতিভাদের একত্রিত করে সৃজনশীল ও নতুন ধারার সংগীত সৃষ্টির মাধ্যমে সংগীত জগতে আলোড়ন তৈরি করে প্ল্যাটফর্মটি। যুগান্তকারী দুটি সিজনে কোক স্টুডিও বাংলা সংগীত জগতে দিয়েছে নতুন প্রাণের ছোঁয়া, অতিক্রম করেছে দেশের সীমানা, প্রশংসা কুড়িয়েছে ভক্ত ও শিল্পী সবার কাছ থেকেই। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গান প্ল্যাটফর্মটিতে পরিবেশিত হয়েছে।
এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ১০০ জন শিল্পী, যার মধ্যে আছেন অনিমেষ রায়, হামিদা বানু, আলেয়া বেগম, মুকুল মজুমদার ঈশানসহ অনেক আড়ালে থাকা রত্ন। তাদের কারো কারো ক্যারিয়ারই শুরু হয়েছে এর মাধ্যমে। দুই সিজনের ২০টির বেশি গান প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৩টি গাড়ি পুড়েছে: ফায়ার সার্ভিস
ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯
১১ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দেওয়া জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই: পিএমও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও কার্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিশেষ বিজ্ঞতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞতিতে বলা হয়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মৃত রহমত উল্যাহ’র ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে বেড়াচ্ছেন।
তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও কার্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং।
এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনে নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।
১১ মাস আগে
মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া কোটি টাকা আত্মসাতকারী নারী আটক
মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া কোটি টাকা আত্মসাতকারী নারী আটকলালমনিরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে থাকা নারী নাসিমা আকতার স্বপ্নাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। আটক নারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের টাওয়ার পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আটক
এছাড়া সরকারি বিভিন্ন ভাতা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের দুই শতাধিক হতদরিদ্র নারীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাসিমা আক্তার স্বপ্নার মা কোহিনূর বেগমের নামে সমাজসেবা থেকে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ‘দুঃস্থ্ মহিলা কল্যাণ সমিতি’ নামে একটি এনজিও রয়েছে। ওই এনজিওর ব্যানারে গ্রামের নারীদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রলোভন দেখান তিনি। এনজিও থেকে গরু, সমাজসেবা থেকে এককালীন অনুদান, শিশু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দিয়ে নারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করেন।
এসময় তিনি নিজেকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের পরিচয় দেন। তিনি বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে প্রত্যেক নারীর কাছ থেকে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন।
এভাবে এক পর্যায়ে গ্রামের দুই শতাধিক নারীর কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন স্বপ্না। পরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারলে এলাকার নারীরা টাকা ফেরত চান। ভুক্তভোগীরা কোনো সুরাহা না পেয়ে মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, নানা প্রলোভনে গ্রামের নারীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের ব্যাপারে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের কথিত আত্মীয় নাসিমা আক্তার সপ্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৬৯৭ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
নেতাদের পরিবারের সদস্যদের আটকের অভিযোগ বিএনপির
১ বছর আগে
হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জনের পরিচয় মিলেছে
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত সাত জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহত সাতজনই একই পরিবারের সদস্য। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, একজন পুরুষ ও তিনটি শিশু।
তারা হলেন- বিপ্লব (২৭), বাপ্পা (৩২), রিতা (৪০), শ্রাবন্তী (১৮), বর্ষা (১০), দ্বীপ (৩) ও দিগন্ত (৩)।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার পর নিহতদের লাশ হাটহাজারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে আহত-নিহতদের স্বজনদের আর্তনাদের পুরো এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
আহত-নিহত সকলের বাড়ি চন্দনাইশে বলে পুলিশ জানায়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে বাসচালক পালিয়ে গেছে।
নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবিল মাহমুদ জানায়, মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২ টার সময় হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকায় নাজিরহাট থেকে চট্টগ্রাম শহরমুখী একটি বাস ও বিপরিত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি ট্যাক্সির মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়।
এতে সিএনজিতে থাকা শিশুসহ ১০ জন যাত্রীর মধ্যে ঘটনাস্থলে তিন শিশুসহ সাতজন নিহত হয়। আহত তিনজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এই সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে এবং লাশ মর্গে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আহত-নিহতরা সবাই সনাতনী ধর্মের লোক। মৃত আত্মীয় শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তারা চন্দনাইশ উপজেলা থেকে হাটহাজারীর আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাকবলিত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলের মৃত্যু
১ বছর আগে
কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত ১৮, হস্তান্তর ১৭
কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞাত একজনসহ নিহত ১৭ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন একজন মারা গেছেন। ফলে, এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আজ বিকালে একটি লাশের কাপড় দেখে তার স্বজনরা শনাক্ত করেন। তবে, লাশটির বিকৃতির কারণে স্বজন নিশ্চিত করতে অধিকতর যাচাইয়ে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষা রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে তা হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, চিকিৎসাধীন একজনসহ রেল দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। ১৭ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে অন্য লাশটি হস্তান্তর করা হবে।
নিহতদের মধ্যে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাটি গাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের একই পরিবারের ৪ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভৈরব দুর্ঘটনা: ৭ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু, মালবাহী ট্রেনের চালকসহ ৩ জন বরখাস্ত
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার (দাদন কমিশনারের বাড়ির পাশে) মো. কাশেমের ছেলে গোলাপ (২৩), মিঠামইন উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে সাইমন মিয়া (২২) ও ভরা গোলহাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া (২৬), করিমগঞ্জ উপজেলার সাকুয়া গ্রামের (নদীর পশ্চিম পাড়) জোনায়েদ হোসেনের স্ত্রী হোসনা খাতুন (২৩), ভৈরব উপজেলার রাণীবাজার এলাকার প্রবোধ চন্দ্র শীলের ছেলে সবুজ চন্দ্র শীল (৫০), আগানগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আফজাল হোসাইন (২৪), শ্রীনগর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রাব্বী (৩০), আমলাপাড়া এলাকার (স্থায়ী ঠিকানা নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ গ্রাম) দর্শন মিয়ার ছেলে নজরুল (৪০)।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ ট্রেন দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন
বাকিরা হলেন- কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর ঘাটিপাড়া গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির (৫৭), বাজিতপুর উপজেলার ডুয়াইগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আছির উদ্দিন (৩৪), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাটি গাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের মহিজ উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া (৩৪), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৫) ও তাদের দুই ছেলে যথাক্রমে সজীব (১১) ও ইসমাঈল (৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বরইচারা গ্রামের মৃত সদর আলী সরকারের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৬৫), ঢাকার দক্ষিণ খান থানার ৭৮ নর্দা পাড়া এলাকার (ইয়াকুব আলী রোড, বায়তুস সুজুত জামে মসজিদের পাশে) মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে একেএম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ (৩৭) ও অজ্ঞাত পুরুষ (৩৩)।
সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতদের তালিকা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৭
১ বছর আগে
মাগুরায় অজ্ঞাত সেই লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে
মাগুরার মহম্মদপুরে পুকুর থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধারের পর তার পরিচয় পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মহিমানগর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ওসমান (২০) ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কাতলাশুর গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম ছেলে। তিনি নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাব মোল্যার বাড়িতে থাকতেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় স্কুলছাত্রীসহ ২ জনের আত্মহত্যা
বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দিলে মহম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহানুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওসমান শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মৃগী রোগী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সাহায্য চেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত
১ বছর আগে
কক্সবাজারে র্যাব পরিচয়ে পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
কক্সবাজারে র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে পর্যটকে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার (১২ আগস্ট) দিবাগত ২টার দিকে শহরের বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দুই ব্যক্তি হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌধুরী পাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে জাহিদ ও একই এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে সানোয়ার হাসান উরফে সনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস থেকে নামিয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) আবু সালাম চৌধুরী জানান, র্যাব পরিচয় দিয়ে একদল লোক শহরের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন আটকে ছিনতাই ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করেন। এসময় এক সিএনজির যাত্রী ফজল করিমের কাছ থেকে টাকা ও দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইয়ের পর তারা বাসটার্মিনাল ‘রাজা গেস্ট হাউজে’ ফিরে যায়। ওই গেস্ট হাউজের একটি কক্ষে এক পর্যটক অবস্থান করছিলেন। পরে তারা ওই পর্যটককে র্যাব পরিচয় দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
তিনি জানান, পরে ওই পর্যটক অভিযোগ দিলে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে র্যাব। পরে কটেজের ম্যানেজার ও সহকারী ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদে করা হলে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, র্যাব পরিচয়দানকারী দুইজন একটি কটেজে অবস্থান করছিলেন এই রকম খবর আসে আমাদের কাছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাহিদ ও সনিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
সাভারে ১৬ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে