শাহাদাতবার্ষিকী
বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিশেষ প্রার্থনা
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস শুক্রবার (১১ আগস্ট) জুমার নামাজের পর ইসলামিক সেন্টারে দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাতে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কুটনীতিকসহ বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
মোনাজাতে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন।
১৫ আগস্ট জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিভিন্ন বয়সী প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর একটি রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী
লিসবনে উদযাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী
১ বছর আগে
আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে সরকার গঠন করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণের ভোটে সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ। এজন্য অন্য কোন কিছুর ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পূর্ব বাংলার অনেক বড় বড় নেতা পাকিস্তানের সামরিক জান্তাদের সঙ্গে আপস করলেও বঙ্গবন্ধু কখনও আপস করেননি। এজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ভয় পেতেন, তাঁকে গুণতেন। বঙ্গবন্ধুকে ভয় পাওয়ার যুক্তিও ছিল।
‘বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধে বিশ্বাস করতেন না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সবসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন। কারণ তাঁর ছিল প্রবল দেশপ্রেম এবং ছিল জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা’, বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
তিনি দুঃখ করে বলেন, পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা যাঁকে হত্যা করার সাহস পায়নি, সেই বঙ্গবন্ধুকে আমরা হত্যা করেছি। এই কলঙ্ক আমরা কোনোদিন মোচন করতে পারবো না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আত্মমর্যাদার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমরা বর্তমানে কঠিন সময় পার করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই কঠিন সময় অবশ্যই আমরা মোকাবিলা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারবো।’
আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুক, সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী, অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম ও কাজী আরিফুজ্জামান, উপসচিব শেখ গোলাম মাহবুব ও গাজী কালিমুল্লাহ প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক: আইনমন্ত্রী
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
শ্রদ্ধাভরে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে শ্রদ্ধাভরে দিবসটি পালন করছে দেশবাসী।
১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা-বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তার তিন ছেলে-ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এবং দশ বছর বয়সী শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, ভাই শেখ নাসের, কৃষক নেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি এবং তার স্ত্রী আরজু মনি, শিশু সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আরিফ ও আবদুল নাঈম খান রিন্টুসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের আঠারজন সদস্য সেদিন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমেদ (বীর উত্তম) নিহত হন। একই দিনে খুনিদের কামানের গোলায় মারা যান রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একই পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও।
সরকার, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন দিবসটি পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায়। তখন বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এ সময় মোনাজাত করা হয়।
ধানমন্ডি থেকে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান। এখানে শায়িত আছেন তার মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার অন্য শহীদরা।
প্রধানমন্ত্রী তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফুলের পাপড়ি ছিড়িয়ে দেন। সেই সাথে তিনি শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করেন।
পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দিবসটি উপলক্ষে জোহরের নামাজের পর সারাদেশের মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, ‘মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন। ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাংলা ও বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু অসীম সাহসিকতার সাথে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।’
তিনি বলেন, `বঙ্গবন্ধু আজীবন সাম্য, মৈত্রী, গণতন্ত্রসহ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন বিশ্বে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির দূত।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালিরই শুধু নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবেন।
এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র তাঁকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বাঙালি জাতির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অগ্রগতি নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে।
জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর আত্মত্যাগের মহিমা এবং দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ আমাদের কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত করে সকলে মিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি-জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের সুদৃঢ় অঙ্গীকার।
পড়ুন: ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও আমার সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
জাতির পিতার সমাধিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
৪ বছর আগে