কোভিড
চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরে অর্থনীতিকে কোভিড পূর্ব অবস্থায় ফেরানোর আশা সরকারের
অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) শেষ নাগাদ অর্থনীতিকে কোভিড-১৯-পূর্ব প্রবৃদ্ধির গতিতে ফিরিয়ে আনার আশা করছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থ বিভাগের ম্যাক্রোইকোনমি উইং প্রণীত 'মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬'-এ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ২০২০ সালে মহামারি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে গত তিন বছরের বড় অংশের জন্য অর্থনীতি তার দ্রুতগতির প্রবৃদ্ধির গতিপথ থেকে ছিটকে পড়েছিল। উহানে প্রাদুর্ভাবের তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
সম্প্রতি প্রকাশিত ত্রৈমাসিক জিডিপি ডেটা (আইএমএফ নির্ধারিত শর্ত অনুসারে) এটি প্রমাণ করে। এতে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল থেকে জুন ২০২০) অর্থনীতি ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, কারণ ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণমান নেতিবাচকে নামাল ফিচ
গত মাসে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত আংশিক ত্রৈমাসিক তথ্য অনুসারে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫ থেকে ৮ শতাংশ। চতুর্থ ত্রৈমাসিকে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির (সংকোচন) কারণে অর্থনীতি কতটা ছিটকে পড়েছিল তা এটিতে প্রতিফলিত হয়েছে।
কোভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট মন্দা আগামী অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম ৬ মাসের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে হতাশাজনক করে তুলে। এটি তৃতীয় তিন মাসেও (জানুয়ারি থেকে মার্চ,২০২১) পুনরুদ্ধারের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
২০২১-২২ অর্থবছর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ একটি সফল টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং লকডাউন বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে মনে হয়েছিল। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ, ২০২২) জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ছুঁয়েছে।
তবুও যখন পুনরুদ্ধারের কাজ চলছিল, তখন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়ে হোঁচট খাওয়া শুরু হয়। আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে অস্থিতিশীলতা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার ফলে কোভিড পরবর্তী দেশের পুনরুদ্ধারের গতি আবারও হ্রাস পায়।
যদিও কোভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট সংকোচনের মতো কিছুই ছিল না, তবুও ২০২২ অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি মারাত্মক মন্দার সম্মুখীন হয়েছিল, যা আগের ত্রৈমাসিকের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ থেকে মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশও তার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে প্রস্তুত। তবে প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময়ও বাংলাদেশ প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ নাগাদ কোভিড-১৯-পূর্ব প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাংলদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২১.১৫ বিলিয়ন ডলার, যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা
সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে থাকলে এবং তা ধরে রাখতে পারলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আবারও ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পরিকল্পিত প্রবৃদ্ধি থেকে প্রকৃত বিচ্যুতি সামান্য রয়ে গেছে বলেও প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে।
ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মূলধন সংগ্রহ উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি এবং তাই সরকার তার লক্ষ্য পূরণের জন্য সরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে মোট বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ৩২ শতাংশ, যেখানে বেসরকারি ও সরকারি খাতের অবদান ছিল যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগের মাত্রা আরও বাড়াতে হবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি বিনিয়োগের বাস্তবায়নের হার বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে পারলে প্রয়োজনীয় মাত্রায় বিনিয়োগ অর্জন করা সম্ভব।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিষয়টি চিহ্নিত করে প্রকল্পের নকশা ও বাস্তবায়ন উভয় স্তরেই কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন আনার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।’
অর্থ বিভাগের নথিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। রাশিয়া বিশ্বব্যাপী জ্বালানির একটি প্রধান সরবরাহকারী দেশ। তাই যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তখন পণ্যের দাম দ্রুত বেড়েছিল।
প্রায় সব দেশের মতো বাংলাদেশও এ সমস্যায় ভুগতে পড়ে যায়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩ শতাংশে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম ইতোমধ্যেই কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নীতিগত হার বাড়িয়েছে এবং এর কারণে আশা করা হচ্ছে যে আগামী মাসগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে।
আরও পড়ুন: অর্থনীতিকে করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফেরাতে চায় সরকার
আইএমএফ অনুমান করেছে, গৃহীত পদক্ষেপগুলো মাঝারি মেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করতে সরকারগুলোকে সহায়তা করবে। অর্থ বিভাগ পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে গড় মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ৬ দশমিক শূন্য শতাংশে নেমে আসবে। যদিও প্রথম তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) এর কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ও দরিদ্রদের আয় সুরক্ষায় সরকার ধীরে ধীরে মুদ্রানীতি কঠোর করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি দরিদ্রদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। এটি মাথায় রেখে সরকার ভর্তুকি ও প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করেছে।
কৃষি খাতকে সহায়তা করতে এ খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানো হয়েছে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে কৃষিঋণ ও অকৃষি পল্লি ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি।
সরকারের সহায়ক নীতির সহায়তায় শিল্প উৎপাদনের সাধারণ সূচক (মাঝারি এবং বৃহৎ আকারের উৎপাদন) বাড়ছে, যা সম্প্রসারিত শিল্প উৎপাদনকে প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পাবলিক পলিসি বিশ্লেষক ড. মাসরুর রিয়াজ মনে করেন, বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় চলতি অর্থবছরের মধ্যে কোভিড পূর্ব প্রবৃদ্ধির গতি ফিরে পাওয়া খুব চ্যালেঞ্জিং হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে, তিনি সরকারকে প্রথমে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার দিকে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন, যা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতিকে আরও টেকসই করে তুলবে।
উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা/ডলারের তীব্র সংকট প্রতিরোধ, এলসি খোলা ও দেশীয় মুদ্রা টাকার ওঠানামার বিষয়টি আগে সমাধান করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ড. রিয়াজ।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিকে কোভিড-পূর্ব প্রবৃদ্ধির হারে ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা উচিত, যা স্বল্প সময়ের মধ্যে খুব চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন হবে।
ড. রিয়াজ আরও বলেন, 'প্রবৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ না করে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার সময় এসেছে। দীর্ঘমেয়াদে নন-পারফর্মিং লোনের উচ্চ হার কমানো, মুদ্রাস্ফীতি যৌক্তিক সীমার মধ্যে রাখা এবং বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২০২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্বব্যাংক
১ বছর আগে
বিশ্বব্যাপী কোভিড আক্রান্ত ৬৭ কোটি ছুঁই ছুঁই
এশিয়া এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে ভাইরাসের 'ওমিক্রন উপ-ভেরিয়েন্টের আকস্মিক বৃদ্ধির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্তের সামগ্রিক সংখ্যা ধীরে ধীরে ৬৬ কোটি ৯০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
বিশ্বব্যাপী সর্বশেষ তথ্য অনুসারে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ কোটি ৮৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩৭ গণনা করা হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ৬৭ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ জনে পৌঁছেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ জনের করোনা আক্রান্তের রেকর্ড করা এবং দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ লাখ ২১ হাজার ৯৭ জন মারা গেছেন, যা বিশ্বজুড়ে উভয় সংখ্যায় সর্বোচ্চ।
ভারত রবিবার কোভিড-১৯ এর ১৫৩টি নতুন সংক্রমণের প্রতিবেদন করেছে, এতে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭০ জনে। এই সময়ের মধ্যে সারা দেশে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, ভারতের কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৭২০ জনে থেমে রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যুশূন্য, শনাক্ত ১৭
এদিকে, ফ্রান্সে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৪ লাখ সাত হাজার ৭২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থান দখল করেছে, আর সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে ভাইরাসে দেশটিতে এক লাখ ৬২ হাজার ৬৪৩ জন মারা গেছে।
বাংলাদেশে কোভিড পরিস্থিতি
রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ১৭ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) অনুসারে, নতুন আক্রান্তসহ দেশের মোট আক্রান্ত বেড়ে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ২৬৭ জনে এ দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৪০ জনে স্থির রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্ত ৬৬ কোটি ৭২ লাখ ছাড়াল
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ছাড়াল
১ বছর আগে
বেইজিংয়ের হাসপাতালে বেড সংকট, কোভিডে আরও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে
চীনের রাজধানী বেইজিং –এ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বয়স্ক রোগীরা স্ট্রেচারে শুয়ে ও হুইল চেয়ারে বসে অক্সিজেন নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার শহরের পূর্বের চুইয়াংলিউ হাসপাতাল আগত নতুন রোগী দিয়ে পরিপূর্ণ ছিল। মাঝামাঝি সময়ে বিছানা ফুরিয়ে গিয়েছিল, এমনকি অ্যাম্বুলেন্সগুলো অনবরত তাদের নিয়ে আসতে থাকে।
কঠোর চাপে থাকা নার্স এবং ডাক্তাররা তথ্য নিতে এবং সবচেয়ে জরুরি কেসগুলো শনাক্ত করতে ছুটে আসেন।
প্রায় তিন বছরের লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং স্কুল বন্ধের পরে গত মাসে চীন তার সবচেয়ে গুরুতর মহামারি বিধিনিষেধ পরিত্যাগ করে। এতে হাসপাতালে যত্নের প্রয়োজনে গুরুতর অসুস্থ লোকেদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
তবে তিন বছরের বিধিনিষেধ অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে এবং ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিক থেকে রাস্তায় এরকম বিক্ষোভ দেখা যায়নি।
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার সদস্য দেশগুলোকে চীন থেকে আসা যাত্রীদের প্রাক-প্রস্থানের সময় কোভিড-১৯ পরীক্ষা আরোপ করতে ‘কঠোরভাবে উৎসাহিত’ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
গত সপ্তাহে ইইউ দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করার পূর্বের প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের প্রতি বিভিন্ন বিধিনিষেধের সাথে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ইউরোপের মধ্যে ইতালিতে মহামারিটি প্রথম ২০২০ সালের শুরুতে একটি উচ্চহার দেখা দিয়েছিল। চীন থেকে আগত বিমান যাত্রীদের জন্য করোনভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য প্রথম ইইউ সদস্য ছিল দেশটি। তবে ফ্রান্স এবং স্পেন দ্রুত তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা অনুসরণ করেছিল। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রয়োজনীয়তা আরোপ করার পরে যে চীন থেকে আসা সমস্ত যাত্রী প্রস্থানের পূর্ববর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ দেখাতে হবে।
যদি এই ধরনের নীতি এই অঞ্চল জুড়ে আরোপ করা হয় তবে ‘পাল্টা ব্যবস্থা’ সম্পর্কে সতর্ক করেছে চীন।
তবুও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বুধবার বলেছেন যে তিনি চীন সরকারের কাছ থেকে প্রাদুর্ভাবের তথ্যের অভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
চীন তার বয়স্ক জনসংখ্যাকে আরও বেশি টিকা দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু অতীতের কেলেঙ্কারি জাল ওষুধ এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে টিকার প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পূর্ববর্তী সতর্কতাগুলোর কারণে সেই প্রচেষ্টাগুলো ব্যাহত হয়েছে।
চীন অভ্যন্তরীণভাবে উন্নত ভ্যাকসিনগুলো অন্যত্র ব্যবহৃত এআরএনএ জ্যাবগুলোর তুলনায় কম কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: চীন ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে
বাংলাদেশ তার কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত: নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নানা চেষ্টা করে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনে আমাদের নাগরিকদের সরবরাহ করেছি। কিন্তু এখন আমরা একটি ভ্যাকসিন-সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য কিছু জমি কিনেছি এবং আমেরিকার কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কিছু সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।’
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে শুক্রবার ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশেনে (ইউএনজিএ) যোগ দেয়ার জন্য তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: ৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, সরকার ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কিছু আমেরিকান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার থেকে সরকার (জিটুজি’র) ভিত্তিতে এই সহায়তা পাবে।
তিনি বলেন ‘এই বছরের ইউএনজিএ অধিবেশনের সময় স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। কারণ জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারি এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর ধরে বৈঠক করতে পারেনি। মহামারি চলাকালীন অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতার মতো বিষয়গুলো জাতিসংঘের অধিবেশনে ব্যাপকভাবে আলোচনায় ছিল।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, মহামারি চলাকালীন সময়ে ভ্যাকসিন বিতরণ ছিল অসম। গরিব দেশের মানুষের চেয়ে ধনী দেশের মানুষ বেশি টিকা পান। এছাড়া, সমাজের একটি অংশ যদি টিকাপ্রাপ্ত না থাকে, তাহলে যারা টিকা নিয়েছেন তারা আবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হবেন। ফলস্বরূপ, এ বছরের জাতিসংঘ অধিবেশনে ভ্যাকসিন ইস্যুটি বিশেষ মনোযোগ পেয়েছে।
সাক্ষাতকারে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানকারী সমস্ত দেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীকার করে যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবশ্যই ভ্যাকসিন উৎপাদনের জ্ঞান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়েছিল। অনেক দেশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি টেস্টিং সিস্টেমের অভাবের কারণে তাদের জনগণের জন্য পর্যাপ্ত পরীক্ষার খরচ বহন করতে পারেনি। জাতিসংঘের অধিবেশনে ধনী দেশগুলো অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পরীক্ষার সুবিধা তৈরিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ বাংলাদেশকে কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মোট ৯০০ টি কোভিড-১৯ পরীক্ষাগার আছে। যেখানে মানুষ বিনামূল্যে নিজেদের পরীক্ষা করতে পারে। আমরা প্রায় প্রতিটি বয়সের কোটি কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছি। ফলে আমাদের মৃত্যুর হার কম ছিল, এবং মহামারির সময় অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হইনি। এসব কারণে জাতিসংঘের অধিবেশনে উপস্থিত অন্যান্য দেশগুলোর প্রশংসা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
কোভিড আরোগ্য সূচক: বিশ্বে বাংলাদেশ ৫ম, দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে
করোনা থেকে আরোগ্য লাভের সূচকে বাংলাদেশ আট ধাপ এগিয়ে বিশ্বব্যাপী ১২১টি দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) প্রকাশিত নিকেই কোভিড-১৯ আরোগ্য সূচকের সর্বশেষ সংস্করণে ৮০ স্কোর নিয়ে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কম্বোডিয়া এবং রুয়ান্ডার পরেই বাংলাদেশ রয়েছে।
তালিকার অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে, নেপাল ৬ষ্ঠ, পাকিস্তান ২৩তম, শ্রীলঙ্কা ৩১তম এবং ভারত ৭০তম রয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিম্নগামী হয়েছে। দেশের মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জন। গত ১৫ দিন ধরে কোনো নতুন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত মার্চে কোভিড আরোগ্য সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশ ১৩তম স্থানে ছিল।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা, টিকা দেয়ার হার এবং সামাজিক গতিশীলতার ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসের শেষে এই সূচক প্রকাশ করা হয়।
পড়ুন: দেশে করোনা শনাক্ত আরও ১৯
জনসনের করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহার সীমিত করলো এফডিএ
২ বছর আগে
কোভিডসহ সকল বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৃহত্তর ঐক্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় কোভিডসহ যেকোন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
বুধবার সিঙ্গাপুরে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা: বৈশ্বিক উদ্যোগ, কৌশল ও করণীয়’ শীর্ষক ডিসটিঙগুইশড্ লেকচার সিরিজে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তৃতায় ড. মোমেন একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় কোভিডের টিকা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত হতে সংগ্রহ এবং দক্ষতার সঙ্গে তৃণমূল পর্যন্ত সর্বসাধারণকে টিকা প্রদানেও সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিডসহ যেকোন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৃহত্তর ঐক্য ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, কোভিডের টিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিতরণের ক্ষেত্রে মানবতার স্বার্থেই কোন প্রকার রাজনৈতিক ও গোষ্ঠী স্বার্থ বিবেচনায় আনা সঙ্গত নয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদনের মান নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও একাডেমিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই লেকচারে ড. মোমেনের মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের পর প্রথা অনুযায়ী প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত বিদগ্ধ জনেরা বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যূতে ড. মোমেনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় তিনি কোভিড মহামারির ফলে পরিবর্তিত বিশ্ব-ব্যবস্থার সম্ভাব্য আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষিত নিয়ে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ইকবাল সেবিয়া’র সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র-শিক্ষক-গবেষক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, স্বাগতিক সিঙ্গাপুর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
২ বছর আগে
কোভিড মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিকে চরমভাবে প্রভাবিত করেছে এবং অনেক উন্নত দেশে খাদ্য ঘাটতি সৃষ্টি করেছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলা করে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করায় জনগণ এখন দেশের ছোটখাটো সমস্যাও জানতে পারছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জানি যে অনেক উন্নত দেশেও ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা গেছে, সারা বিশ্বে অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, অনেক দেশের এই সমস্যাগুলো মিডিয়ায় তুলে ধরা হয়নি, কিন্তু বাংলাদেশে মিডিয়া এটা নিয়ে লিখতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতে ইলেকট্রনিক মিডিয়া খোলার আগে দেশে একটি মাত্র টেলিভিশন ও একটি রেডিও স্টেশন ছিল।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি এবং বিপুল সংখ্যক টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে এখন মানুষ ছোটখাটো সমস্যাও জানতে পারে। কিন্তু আরও অনেক দেশ আছে যারা এই ধরনের সমস্যা প্রকাশ করে না।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ থেকে ৯০ শতাংশ অর্থায়নে আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার সুফল দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের লক্ষ্য এই স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া এবং আমরা এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে 'স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২' তুলে দেন।
এ বছর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে পুরস্কার পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রয়াত মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস, প্রয়াত সিরাজুল হক সম্মাননা দেয়া হয়।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম, স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনকে এই পুরস্কার দো হয়।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্রে গণমানুষের আত্মত্যাগ তুলে ধরার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৩ মেগাওয়াটে উন্নীত করে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কভারেজের আওতায় আনার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বিডাব্লিউএমআরআই) এই পুরস্কার দেয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে বিতরণী অনুষ্ঠানে ডা. কনক তার অনুভূতি প্রকাশ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার।
২ বছর আগে
ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি বাংলাদেশ
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী বোর্ডে ২০২২ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী বোর্ডে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম নিয়মিত অধিবেশনে ২০২২ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।
ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং রোমস্থ এফএও, ইফাদ ও ডব্লিউএফপিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ২ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করেছেন: জাতিসংঘ
প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ এখন থেকে নির্বাহী বোর্ডে নেতৃত্বের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং বিদ্যমান কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ করে সংঘাত-পীড়িত দেশগুলোতে ডব্লিউএফপির সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ পাবে।
রাষ্ট্রদূত আহসান তার সূচনা বক্তব্যে বিশ্বের বিপুল সংখ্যক নাজুক জনগোষ্ঠীকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডব্লিউএফপি’র ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদানে বোর্ড সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রগুলোর এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দেড় লাখ ইউক্রেনীয় প্রতিবেশি দেশে আশ্রয় নিয়েছে: জাতিসংঘ
২ বছর আগে
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে কোভিড বুস্টার ডোজ
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কোভিড বুস্টার ডোজ কতটা কার্যকর প্রভাব রাখতে পারে তা বিশ্লষণ করে যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলেছেন, করোনার নতুন এ ধরন থেকে সৃষ্ট গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে বুস্টার ডোজ প্রায় ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, টিকা করোনার আগের ধরনের বিরুদ্ধে যে সুরক্ষা দিয়েছে এ এ ধরনে কিছুটা কম দেবে।
আর এ তথ্য এমন সময়ে জানা গেলো যে দিন, বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে রেকর্ড ৮ লাখ ৬১ হাজার ৩০৬ জনকে করোনার বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। করোনার ওমিক্রন ধরন নিয়ে সীমিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের পিল কার্যকর
গবেষকরা বলছেন, দ্রুত সংক্রমক করোনার এ নতুন ধরন সম্পর্কে আরও বাস্তব তথ্য জানা না পর্যন্ত উচ্চ মাত্রার অনিশ্চিয়তা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষণায় ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা কিছুটা কমবে। এমনকি বুস্টার ডোজ দিয়েও ওমিক্রন থেকে সৃষ্ট গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫.৯ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যাবে। যা করোনার ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে ছিল প্রায় ৯৭ শতাংশ।
ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষক অধ্যাপক আজরা গনি বলেন, করোনার ওমিক্রন ধরন থেকে সৃষ্ট রোগ আগের ধরন থেকে সৃষ্ট রোগের তুলনায় কতটা গুরুতর হবে সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদিও এটি সম্পূর্ণরূপে বুঝতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে সম্ভাব্য প্রভাব কীভাবে প্রশমিত করা হবে সে বিষয়ে সরকারকে এখনই পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু যুক্তরাজ্যে
যুক্তরাজ্য ওমিক্রন সংক্রমণের ঢেউয়ের মুখোমুখি: বরিস জনসন
২ বছর আগে
জেনেভায় গ্লোবাল ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠক
সুইজারল্যান্ডে গ্লোবাল ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর দেশটির রাজধানী জেনেভায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে গ্লোবাল ফান্ড থেকে যে সহযোগিতা বাংলাদেশ সরকার পেয়ে থাকে সে বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা হয়। বৈঠকে কোভিড মোকাবিলায় করণীয় বিষয়াদির পাশাপাশি গ্লোবাল ফান্ডের অর্থ কোভিড-১৯ চিকিৎসাসহ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি উন্নয়নে কিভাবে ব্যবহার করা যাবে সে বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে বর্তমানে টিকার সংকট নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় গ্লোবাল ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক এলডোনসহ অন্যান্য উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব কামরুল হাসান, উপসচিব মো. সাদেকুল ইসলাম ও ঢাকার তেজগাঁও হেলথ কমপ্লেক্স-এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মফিজুল ইসলাম বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যুরো মিটিং-এ অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে