ঝড়
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর হিউস্টন এলাকায় শক্তিশালী ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে গোটা শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়টির আঘাতে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হিউস্টনের মেয়র জন হুইটমায়ার।
২০০৮ সালে হিউস্টনের কাছে আঘাত হানা ক্যাটাগরি-২ মাত্রার হারিকেনের কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মেয়র বলেন, 'ঝড়টি ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে বয়ে গেছে। এটি শহরের কেন্দে যথেষ্ট ক্ষতি করেছে।’ হারিকেন আইকের যেভাবে কৃষি ও অবকাঠামো ধ্বংস করেছিল তার সঙ্গে এই ঝড়টির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের তুলনা করেন মেয়র।
হিউস্টনের দমকল বাহিনীর প্রধান স্যামুয়েল পেনা সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিহত চারজনের মধ্যে অন্তত দু'জন উপড়ে পড়া গাছের আঘাতে মারা যান। বাতাসে উল্টে যাওয়া ক্রেনের আঘাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।’
ঝড়ে গোটা এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন উপড়ে পড়েছে এবং হিউস্টন ও এর শহরের কেন্দ্রের অনেক এলাকায় রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। হিউস্টন শহরের কেন্দ্রস্থলে বেশ কয়েকটি অফিস ভবনের জানালা ভেঙ্গে গেছে।
হিউস্টন এলাকার কয়েকশ স্কুল শুক্রবারের সব ক্লাস বাতিল করেছে। টেক্সাসের বৃহত্তম হিউস্টন ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্ট (এইচআইএসডি) শুক্রবার তাদের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১
৫ মাস আগে
ধামরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে দেয়াল ধসে ২ নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু
ঢাকার ধামরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের ধসে পরা দেয়ালের চাপায় দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।
এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ জন তাদের মধ্যে দুজন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ইনচার্জ মো. ইউসুফ আলী।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এর আগে রবিবার দিনগত রাতে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের একটি বেসরকারি এগ্রো ফার্মের নিরাপত্তারক্ষীদের শয়নকক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- নওগাঁ জেলার মান্দা থানার কফিল উদ্দীনের ছেলে আনিসুর রহমান ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে শাহারুল আলম।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন- আল মামুন ও হামিদ আলী। তারা সবাই ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া এলাকার এসএস এগ্রো লিমিটেডের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের এসএস এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের ভিতরের একটি কক্ষে ৭ জন নিরাপত্তাকর্মী অবস্থান করছিলেন। এসময় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রথমে ওই কক্ষের চাল উড়ে নিরাপত্তাকর্মীদের উপরে পরে। পরে দেয়ালও তাদের উপর ধসে পরে।
এসময় তাদের মধ্যে ৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনের চিকিৎসা চলছে। অপর আরেকজন সামান্য আহত হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ডিউটি ইনচার্জ মো. ইউসুফ আলী বলেন, গতরাতে দেয়াল ধসে আহত চারজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। বাকি দুই জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পাভেল মোল্লা বলেন, গতরাতে দেয়াল ধসে একটি ফার্মে কয়েকজন আহত হন। তাদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুইজন মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। তারা শঙ্কামুক্ত আছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক-ভটভটি সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু
গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
৫ মাস আগে
কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরচাপায় ছেলেসহ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু
কালবৈশাখী ঝড়ে বসতঘরের নিচে চাপা পড়ে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার পাঁচ বছরের ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর ইউনিয়নের হাজীপাড়া ঘোনার বাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে মৃত্যু-স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকিতে গবাদিপশু, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
নিহতরা হলেন- আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপতারা ও তার পাঁচ বছরের ছেলে তাইজুল।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে ঝড় বৃষ্টির সময় ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন রুপতারা ও তার ছেলে তাইজুল। এ সময় ঘরের উপরে থাকা একটি রঙিলা কাঠের গাছ ঝড়ে উপড়ে ঘরের উপর পড়ে যায়। এ সময় ঘরের নিচে চাপা পড়েন রুপতারা ও তার ছেলে তাইজুল। ঘটনাস্থলে তাইজুল মারা যায়। স্থানীয়রা আহত রূপতারাকে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দিয়াবাড়ি লেকে পানিতে ডুবে ২ স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ময়মনসিংহে ধান উড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
৫ মাস আগে
বরিশালে ঝড়ের কবলে পড়ে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবি
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার লতা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে তলা ফেটে যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি ইনজাম’ ডুবে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানাধীন পূর্ব ভংগাসংলগ্ন নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সৌভাগ্যবশত, লঞ্চটির ১৬ জন যাত্রী ডুবে যাওয়ার আগে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
উপজেলার কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়ের আহমেদ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় তারা নিখোঁজের কোনো খবর পাননি। লঞ্চটি হিজলা-বরিশাল রুটে চলাচল করত।
লঞ্চটি হিজলার টেক থেকে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে কাজিরহাটের লতা ঘাটে নোঙর করার কথা ছিল। নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চটির নিচের অংশটি ফুটো হয়ে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ ১
লঞ্চটির সুকানি নিজাম জানান, ৬ জন যাত্রী নিয়ে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হিজলা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এসময় লঞ্চের তলা ফেটে গেলে দ্রুত একটি চরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেই। সবাই নিরাপদে আছেন। আজ বৃহস্পতিবারের (১৫ জুন) মধ্যে লঞ্চ মেরামত করে শুক্রবার (১৬ জুন) মধ্যে বরিশালে পৌঁছাবো।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চটির পেছনের অংশ ডুবে গেছে। লঞ্চের ডুবে যাওয়া অংশ তুলতে এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। লঞ্চডুবির ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: অজু করতে গিয়ে লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যাত্রী নিখোঁজ
বরিশালে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে ২ জেলে নিখোঁজ, ভাঙচুর-লুট
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়ির আঙিনায় আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) সকাল ৭ টার দিকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের আইকুমারীভাতি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবক জুয়েল মন্ডল (৩০) ওই গ্রামের আবেদ আলী মন্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ঝড় বৃষ্টির সময় বাড়িতে আম কুড়াতে গিয়ে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হয় সে। পরে বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী জুয়েলকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এ ছাড়া লাশ দাফনের জন্য পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু, আহত ১
১ বছর আগে
৯৯৯-এ ফোন: ঝড়ে চরে আটকে পড়া ২২ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড
৯৯৯-এ কল পেয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর লঞ্চঘাটের বিপরীতে মেঘনা নদীর পশ্চিমে বাহেরচরে ভ্রমণে গিয়ে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সময় আটকা পড়া ২২ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১০টায় কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জুম্মাতুল বিদা’র বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন অধীনস্থ বিসিজি আউটপোস্ট মোহনপুর কর্তৃক কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানাধীন মোহনপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর বাহেরচর থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীরা বিকালে মেঘনা নদীর পশ্চিমে বাহেরচর পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে গিয়ে সন্ধ্যায় বৈরি আবহাওয়া কারণে আটকা পড়েন।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদে উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে তাদের সবাইকে মেঘনার পশ্চিম পাড়ে এনে পরিবারের কাছে পাঠানো হয় বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এছাড়া এরা সবাই মতলব উত্তরের বিভিন্ন এলাকার বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১৭ দিন পর দেখা মিলল স্বস্তির বৃষ্টির
চাঁদপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
১ বছর আগে
ফিলিপাইনে বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু
ফিলিপাইনে ক্রিসমাসের ছুটির সময়ে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৬ জন।
বুধবার দেশটির দুর্যোগকালীন উদ্ধারকারী সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল জানিয়েছে, প্রায় চার লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮১ হাজার জনের বেশি এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।
সংস্থাটি আরও জানায়, নিহত ২৫ জনের মধ্যে ১৬ জন মারা গেছেন দেশটির দক্ষিণের উত্তর মিন্দানাও অঞ্চলে।আর নিখোঁজ ২৬ জনের মধ্যে পূর্ব বাইকল অঞ্চলে মারা গেছেন ১২ জন।
আরও পড়ুন:ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ৫ উদ্ধারকর্মী নিহত
রাজ্য আবহাওয়া ব্যুরো প্যাগাসা জানিয়েছে, এটি একটি বিভক্ত রেখা- যেখানে উষ্ণ এবং ঠান্ডা বাতাস মিলিত হয়। যা পূর্ব, মধ্য এবং দক্ষিণ ফিলিপাইনের কিছু অংশে বৃষ্টির সূত্রপাত করেছে।
বৈরি আবহাওয়ায় প্রদেশে বড়দিন উদযাপনকে ক্ষতিগ্রস্ত ও ব্যাহত করেছে। দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশ মিসামিস অক্সিডেন্টালের ফটোতে দেখা যাচ্ছে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় উদ্ধারকারীরা প্লাস্টিকের চেয়ারে বয়স্ক মহিলাকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। প্রদেশের কিছু বাসিন্দাকে ফ্লোটারে ঝুলতে দেখা গেছে। উপকূলরক্ষী উদ্ধারকর্মীরা একটি দড়ি ব্যবহার করে আক্রান্তদের উদ্ধার করছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষদ জানিয়েছে, বন্যায় এক হাজার ১৯৬টি বাড়ি, ১২৩টি রাস্তা ও ১২টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বা পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
বিভক্ত রেখায় প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়লেও নতুন একটি নিম্নচাপ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিসমাস সপ্তাহান্তে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একই এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে।
বুধবার আবহাওয়া ব্যুরো বলেছে যে পূর্বে বৃষ্টিপাতের এলাকায় বন্যা এবং ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন ও ঝড় ফিলিপাইনে আঘাত হানে। এটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ-প্রবণ দেশ। দ্বীপপুঞ্জটি প্রশান্ত মহাসাগরের রিম বরাবর ‘রিং অফ ফায়ার’ এ অবস্থিত, ফলে অনেক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭
১ বছর আগে
ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ৫ উদ্ধারকর্মী নিহত
প্রবল শক্তি সঞ্চার করে টাইফুন নোরু রবিবার ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে। এতে পাঁচজন উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা জানান, এই বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনটি রবিবার রাতে কুইজন প্রদেশের বার্দিওস শহরে উপকূলে আঘাত হানে। তারপর এটি প্রধান দ্বীপ লুজন শহরে ওপর দিয়ে বয়ে যেতে থাকে, সেখানে থাকা হাজার হাজার বাসিন্দাদেরকে জরুরিভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুন ‘রাই’য়ের তাণ্ডবে নিহত বেড়ে ২০৮
ম্যানিলার উত্তরে বুলাকান প্রদেশের গভর্নর ড্যানিয়েল ফার্নান্দো বলেছেন, বন্যার পানিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের সাহায্য করতে নৌকা নিয়ে পাঁচজন কর্মী উদ্ধার অভিযানে গেলে পানিতে ডুবে তারা মারা যান।
ফার্নান্দো ডিজেডএমএম রেডিও নেটওয়ার্ককে জানিয়েছেন, তারা হচ্ছেন জীবন্ত নায়ক, এই দুর্যোগের মধ্যে আমাদের দেশবাসীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য তারা করছেন। ‘সত্যি এটা খুবই দুঃখজনক।’
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব কুইজন প্রদেশের পলিলো দ্বীপে একজন ব্যক্তি তার বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
জোয়ারভাটা, বন্যা এবং ভূমিধসের অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে থাকা শুধুমাত্র কুইজোন প্রদেশ থেকে ১৭ হাজার বেশি মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
মেট্রোপলিটন ম্যানিলায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, সেখানে সারারাত প্রচণ্ড বাতাস এবং বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সোমবার রাজধানী ম্যানিলাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস ও সরকারি কাজকর্ম বন্ধ ছিল এবং সকালের আকাশ রৌদ্রোজ্জ্বল হলেও সতর্কতা হিসেবে প্রদেশগুলোতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ এর কাছাকাছি
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস টাইফুন আঘাত হানার আগে সতর্কতা হিসেবে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেছেন।
২ বছর আগে
ঝড়ে পদ্মায় ট্রলার ডুবে ২ কৃষক নিখোঁজ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং টার্নিংয়ের কাছে ঝড়ের কবলে পরে পদ্মায় ১৫ আরোহীসহ ধানভর্তি ট্রলার ডুবিতে দুই কৃষক নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ কৃষকেরা হলেন-মাদারীপুরের শীবচর উপজেলার রাজারচরের হেলাল ফকির (৫০) ও আলো ফকির (৬০)।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের আঁড়িয়াল বিলে ধান কেটে কৃষকেরা নিজেদের ভাগের প্রায় ১৫০ মণ ধানসহ বাড়ি ফিরছিলেন। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে তাদের ট্রলার মাঝ নদীতে লৌহজং টার্নিংয়ের কাছে ডুবে যায়। এই সময় ভেসে থাকা ১৩ কৃষককে আশাপাশের নৌযান উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। এসময় দুজন কৃষক নিঁখোজ হয়।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল আওয়াল বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি তলব করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে নিখোঁজদের সন্ধান চলছে। কোস্টগার্ডের টহল টিম পদ্মায় দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও জানান,কৃষকেরা ভাড়া ট্রলারে করে পদ্মা পার হচ্ছিল।
তবে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও উত্তাল পদ্মায় ট্রলার চলাচল করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে ট্রলারডুবি: ৩ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
মেঘনায় ট্রলারডুবি: ২ জেলের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
২ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝড়ে ৩০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলায় ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ঘরবাড়িসহ অন্তত ৩০০টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার ভোর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঝড় শুরু হয়ে দশ মিনিট ধরে চলে।
ঝড়ের আঘাতে জেলার সরাইল, নাসিরনগর ও বিজয়নগর উপজেলায় ৩০০টি বাড়িঘর, বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে এবং বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় জানান, নাসিরনগর উপজেলায় ঝড়ে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঝড়ের সময় পূর্ব বালিখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখতে বাধ্য হন।
২ বছর আগে