ঢাকার ধামরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের ধসে পরা দেয়ালের চাপায় দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।
এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ জন তাদের মধ্যে দুজন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ইনচার্জ মো. ইউসুফ আলী।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এর আগে রবিবার দিনগত রাতে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের একটি বেসরকারি এগ্রো ফার্মের নিরাপত্তারক্ষীদের শয়নকক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- নওগাঁ জেলার মান্দা থানার কফিল উদ্দীনের ছেলে আনিসুর রহমান ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে শাহারুল আলম।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন- আল মামুন ও হামিদ আলী। তারা সবাই ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া এলাকার এসএস এগ্রো লিমিটেডের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের এসএস এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের ভিতরের একটি কক্ষে ৭ জন নিরাপত্তাকর্মী অবস্থান করছিলেন। এসময় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রথমে ওই কক্ষের চাল উড়ে নিরাপত্তাকর্মীদের উপরে পরে। পরে দেয়ালও তাদের উপর ধসে পরে।
এসময় তাদের মধ্যে ৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনের চিকিৎসা চলছে। অপর আরেকজন সামান্য আহত হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ডিউটি ইনচার্জ মো. ইউসুফ আলী বলেন, গতরাতে দেয়াল ধসে আহত চারজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। বাকি দুই জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পাভেল মোল্লা বলেন, গতরাতে দেয়াল ধসে একটি ফার্মে কয়েকজন আহত হন। তাদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুইজন মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। তারা শঙ্কামুক্ত আছেন।