চাকরিজীবী
মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলুন: সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সরকারি চাকরিজীবীদের জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে জনগণের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে, জনগণের জন্য জনগণকে (এই প্রক্রিয়ায়) জড়িত করতে হবে।’
রবিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সে ৬০২ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৩০ জন সেরা পারফরমারের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি নতুন বাস্তবায়িত প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (জিইএমএস) সফটওয়্যার উন্মুক্ত করেন।
শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের সর্বদা জনগণের সেবক মনে করে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সেবাকে নিছক চাকরি মনে করবেন না, বরং দেশ সেবা করার সুযোগ। আপনাকে এই জিনিসটি সর্বদা মনে রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৮ সময়কে বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটি কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন কারণ ২৯ বছরেও দেশ এগিয়ে যেতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় সে বিষয়ে জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন নেই: প্রধানমন্ত্রী
অর্থনৈতিক চাপ কমাতে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান অর্থনৈতিক চাপ এবং বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রশমিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কাজ করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির কারণে আজ আমাদের অর্থনীতি কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছে। সবাইকে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে সবাই উৎপাদন বাড়ায় এবং কোনো জমি অনাবাদি না থাকে।’
তিনি বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারলে কোনো সমস্যা হবে না।
দেশে এখনও বিপুল সংখ্যক অনাবাদি জমি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি কর্মকর্তাদের তাদের সমস্ত অনাবাদি জমি উৎপাদনে আনতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে বলেন।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশ কিছু সমস্যায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে অনেকে রিজার্ভ সম্পর্কে অনেক কিছু বলে। আমি বলেছি রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। দেশে যতক্ষণ খাদ্য থাকবে ততক্ষণ আমরা ভাবি না। আমরা ফসল চাষ করব এবং আমাদের খাদ্য তৈরি করব। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা ব্যয় করব এবং কিছু পরিমাণে কম (আমদানি হ্রাস) ক্রয় করব।’
প্রধানমন্ত্রী খাল, বিল এবং অন্যান্য জলাশয় রক্ষা করে পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
তিনি তাদের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ফল সঠিকভাবে সঠিক সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছাতে, শুধুমাত্র একক পণ্য- তৈরি পোশাকের উপর নির্ভরতা কমাতে রপ্তানি ঝুড়ির বৈচিত্র্যকরণ, নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান এবং টেকসই উন্নয়ন কাজগুলি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে বলেন।
বিপুল জনসংখ্যার দেশে জমির অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশাল জনসংখ্যাকে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের মধ্যে এই মনোভাব তৈরি করতে হবে যে জনসংখ্যা একটি মূল্যবান সম্পদ।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ‘আমরা অন্তত দাবি করতে পারি যে আজকের বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ... বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই।’
তিনি বলেন, তার সরকার রূপকল্প ২০২১ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে এবং এখন দেশের অর্থনীতি, সরকার ও সমাজকে স্মার্ট করে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের প্রধান কারিগর ও সৈনিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে বলেন।
‘মাই ভিলেজ মাই টাউন প্রোগ্রাম’ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা যাতে গ্রামবাসীদের নাগরিক সুবিধা পেতে শহরে যেতে না হয়।
চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বর্তমান অবস্থান থেকে বাংলাদেশ যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য সবাইকে কাজ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ইভেন্টে তাহসিন বিনতে অনীশ সেরা পারফরমার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে রেক্টর পদক এবং সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন এবং সুমায়া জাহান ঝুলকা ও অঙ্কন পাল যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা অভিনয়শিল্পী হিসেবে সম্মাননা ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
ছয় মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সটি সর্বকালের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতে ১৯টি ক্যাডার সার্ভিসের ৬০২ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে পরিচালিত হয়।
পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা (৪২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে), সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (জিইএমএস) প্রোগ্রাম, নবনির্মিত ১৫ তলা বিপিএটিসি ডরমেটরি (২০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে) এবং কুমিল্লা ও টাঙ্গাইলে দুটি নবনির্মিত সার্কিট হাউস।
বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) গত ছয় মাসের কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন এবং প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী চারজন তাদের অনুভূতির কথা জানান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং ৭৫তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের ফলাফল উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর মো. আশরাফ উদ্দিন।
পরে ৭৫তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের অংশগ্রহণকারীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
জুলাই থেকেই বিশেষ সুবিধা পাবে সরকারি চাকরিজীবীরা
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পাবেন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা।
চাকরিরতদের ক্ষেত্রে এই বিশেষ সুবিধা ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হবে।
মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি মূল্যায়নে সমন্বয় বৈঠক করার নির্দেশ অর্থমন্ত্রীর
এতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতন স্কেলসমূহের আওতাভুক্ত সরকারি বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পেনশনভোগী ব্যক্তিদের ১ জুলাই থেকে ৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলো।
এ বিশেষ সুবিধা চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হারে দেওয়া হবে।
বিশেষ সুবিধা যেভাবে কার্যকর হবে-
চাকরিরত কর্মচারীরা ১ জুলাই থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে এক হাজার টাকার কম নয়, বিশেষ সুবিধা পাবেন।
অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএল যাওয়ার পূর্বকালীন সর্বশেষ পাওয়া মূল বেতনের ভিত্তিতে উপরিউক্ত হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
পুনঃস্থাপন করা পেনশনাররাসহ সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারীরা প্রতি বছর ১ জুলাই প্রাপ্য নীট পেনশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে ৫০০ টাকার কম নয়, বিশেষ সুবিধা পাবেন।
যেসব অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে নীট পেনশন অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত পদের মূল বেতনের ভিত্তিতে যেকোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাবেন।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশের ওপর ৫ শতাংশ হারে এ বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিনা বেতনে ছুটিতে থাকাকালে কর্মচারীরা এ বিশেষ সুবিধা পাবেন না।
সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে প্রদত্ত অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের এ বিশেষ সুবিধা প্রদান বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বাজেট থেকে মেটাতে হবে।
আরও পড়ুন: নিটওয়্যার খাতে ১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার অর্থসহায়তা ছাড় অর্থ মন্ত্রণালয়ের
বাজেট ২০২১-২২: অগ্রাধিকার নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় কমিটির সভা
১ বছর আগে
নতুন সময়সূচিতে অফিস শুরু
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত অফিসের কার্যক্রম।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে নতুন নিয়ম মেনেই অফিস করছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
সকালে সচিবালয় দেখা গেছে, নিয়ম মেনে সকাল ৮টায় উপস্থিত হয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সোমবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি অফিসের নতুন সময়সূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নতুন অফিস সময়: সকালেই রাজধানীতে তীব্র যানজট
এদিকে, সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সময় কমিয়ে নতুন নিয়মে অফিস শুরু হলেও সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
অফিসের সময়সূচিতে পরিবর্তনে, সেবা দেয়া নিয়ে কোন প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেবা দেয়ায় কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না। আমি খবর নিয়েছি, সব কর্মকর্তারা সঠিক সময়ে অফিসে এসেছেন। যে সমস্ত সেবা দেয়া প্রয়োজন তা এই নতুন সময়সূচিতেই দেয়া সম্ভব।
বেসরকারি অফিসের বিষয়ে সরকার কিছু ভাবছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেসরকারি অফিসের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা না হলেও আমার মনে হয় সরকারি অফিস যদি আগে বন্ধ হয়, ব্যাংক আগে বন্ধ হয় স্বাভাবিকভাবে তারাও কর্মঘণ্টা কমাতে পারে। এটা নিয়েয়ে পরবর্তিতে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হতে পারে। যতো বেশি বিদ্যুৎ, জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারি তাহলে উৎপাদনে মূল্য কম পড়বে।
তিনি বলেন, আমাদের কৃষিক্ষেত্রের চাহিদার প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ সরবরাহ খুব দরকার। আমাদের ফসল উৎপাদন করতে হবে। সারা পৃথিবী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক যে অবস্থা সৃস্টি হয়েছে সেজন্য খাদ্য দ্রব্যের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। জ্বালানির উপরও মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে এখন থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে আমরা অন্য যে দেশগুলো যে সমস্যায় পড়ছে সেখান থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। খাদ্যশষ্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা
সরকার অফিসের সময় কমাতে বা ভার্চুয়াল অফিস চালু করতে পারে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
ব্যাংক কর্তৃক জারি করা প্লাস্টিকের পাতলা আয়তক্ষেত্রাকার কার্ড বা এক কথায় ক্রেডিট কার্ড এর ধারকদের যে কোন পণ্য ও পরিষেবা ক্রয়ের জন্য অর্থ ঋণের সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রযোজ্য সুদসহ এই ঋণকৃত অর্থটি কার্ডধারককে ফেরত দিতে হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। ব্যাংকগুলো প্রধানত ভিসা, মাস্টারকার্ড, ডিসকভার এবং আমেরিকান এক্সপ্রেস- এই চার মূল ধরনের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের সরবরাহ করে থাকে। কেবল অর্থ ঋণই নয়; বিভিন্ন উপলক্ষে এই কার্ডগুলো গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। চলুন জেনে নিই, কীভাবে একটি ক্রেডিট কার্ড করা যায়।
ক্রেডিট কার্ড-এর সুবিধাগুলো
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন পণ্য বা পরিষেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড-এর আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধাগুলোর কারণে প্রতিদিনি এই কার্ডের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
> ব্যয়বহুল পণ্য বা পরিষেবা তাৎক্ষণিকভাবে কেনা যায়।
> অনলাইনে কোন ঝামেলা ছাড়াই কেনাকাটা করা যায়।
> ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটায় রিওয়ার্ড পয়েন্ট-এর সুযোগ থাকে, যেটি বাড়ার ফলে ক্রেডিট কার্ড থেকে খরচের মাধ্যমেই আয়সহ বিভিন্ন মূল্যছাড় এমনকি ফ্রিতে পণ্য বা পরিষেবা ক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
> যথেষ্ট পরিমাণে কেনাকাটার পাশাপাশি সময়মত ক্রেডিট কার্ড-এর বিল প্রদান করলে ক্রেডিট কার্ডধারীর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে ঋণ লাভের যোগ্যতার সূচক সংখ্যা বা সিআইবি রেকর্ড বাড়ে।
> ব্যবহৃত ক্রেডিট কার্ড-এর চার্জ বেশি বা অন্য কোন ক্রেডিট কার্ড-এর সুযোগ-সুবিধা মনে হলে সহজেই বর্তমান কার্ড থেকে সেই কার্ড-এ স্থানান্তরিত হওয়া যায়।
> পেমেন্ট গেটওয়ে বা মার্চেন্ট সেবায় কোনো অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়লে ক্রেডিট কার্ড-এ সহজেই টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করা যায়, যার জন্য কাগজের চেক অপেক্ষা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার অধিক নিরাপদ।
> ক্রেডিট কার্ড চুরি বা হারিয়ে গেলে নিকটবর্তী সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে দ্রুত অর্থ ফেরত সহ একদম নতুন কার্ড পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার পূর্বশর্ত
ক্রেডিট কার্ড-এর মাধ্যমে মূলত গ্রাহককে পণ্য বা পরিষেবা ক্রয়ের জন্য অর্থ ঋণ দেয়া হয়। তাই এই কার্ড দেয়ার পূর্বে ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকৃত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে যাচাই করে নেয় যে গ্রাহকের সেই অর্থ পরিশোধের সক্ষমতা আছে কি না।
গ্রাহকের যোগ্যতার উপর নির্ভর করে অর্থ খরচের একটি সীমা নির্ধারণ করা হয় যাকে ক্রেডিট লিমিট বলে। এর অতিরিক্ত খরচ করা যায় না।
ক্রেডিট কার্ড নেয়ার জন্য মাসিক আয় কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা হতে হয়। মাসিক আয় যত বেশি হয় সেই আয়ের ধরন ও ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ক্রেডিট লিমিটের পরিমাণও বেড়ে যায়।
যেমন প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় হলে ১ লাখের আশেপাশে (কম-বেশি) কোন পরিমাণ ক্রেডিট লিমিট পাওয়া যায়।
ক্রেডিট কার্ড আবেদনকারীদের যোগ্যতার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সাধারণত চাকরিজীবীদের নূন্যতম ৬ মাস চাকরি এবং ব্যবসায়ীদের কমপক্ষে ১ বছরের ব্যবসায়ীক লেনদেন যাচাই করে থাকে।
কিছু ব্যাংক ফিক্সড ডিপোজিটের উপর ভিত্তি করে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে। ডাচ-বাংলা, ইস্টার্ন ব্যাংক ৫০ হাজার টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের উপর ক্রেডিট কার্ড সরবরাহ করে থাকে।
ক্রেডিট কার্ড আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র
→ দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
→ টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) সার্টিফিকেট
→ চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র কিংবা স্যালারি সার্টিফিকেট, যেখানে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকার সালারি হতে হবে, এবং ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
* ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, ম্যামোর্যান্ডাম অব এ্যাসোসিয়েশন, ১০ লাখ টাকার ব্যবসায়িক লেনদেন সহ ১ বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
*অন্যান্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পেশা নিয়োগের সনদপত্র এবং রেফারেন্স হিসেবে ইউটিলিটি বিলের কপি।
→ রেফারেন্স।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে হজের জন্য নিবন্ধন করবেন যেভাবে
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
৪ বছর আগে