ওয়েবসাইট
সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশের প্রয়োজন নেই, সব তথ্য ওয়েবসাইটে আছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ তাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কোন দেশে অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢোকা যায়? যে কেউ কি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারে? সবকিছুই ওয়েবসাইটে আছে। কেন আপনার প্রবেশ করা দরকার?’
আরও পড়ুন: সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতিতে স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে: হাছান মাহমুদ
শনিবার(১৮ মে) রাজধানীর ঢাকার ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'নৈশভোজের পর সাংবাদিকদের সামনে তার বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না, তা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার সঙ্গে একবার কথা বললেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তিনি (প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা) হয়তো মার্কিন আসিসট্যান্ট সেক্রেটারিকে এটি (নিষেধাজ্ঞা) প্রত্যাহার করতে বলেছেন।’
বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি গণমাধ্যমে দেখেছেন বিএনপি তাদের ভারতবিরোধী অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে। ‘বিরোধিতা না করে তারা কি মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে পারে? তাদের হাতে কোনো বিষয় নেই, তারা তাদের অস্তিত্বের জানান দিতেই কিছু নিয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান থেকে সরে এসে তাদের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আশ্রয় নিতে হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ-ধ্বংসযজ্ঞ-রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
৭ মাস আগে
এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মিলবে কৃষির ৪৫টি সেবা
এখন থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর/সংস্থার ৪৫টি নাগরিক সেবা মিলবে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। যেখান থেকে কৃষিকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কোটিরও বেশি মানুষ সরাসরি এসব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (moa.gov.bd) থেকে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস (http://service.moa.gov.bd/portal/home) ট্যাবে ক্লিক করলেই এসব সেবা মিলবে।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ডিজিটাল সার্ভিসের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আরও পড়ুন: আমনে আবাদ লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জিত: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
এ সময় কৃষি-সচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, এ প্ল্যাটফর্ম চালুর ফলে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থা প্রদত্ত নাগরিক সেবাসমূহ এক জায়গায় খুব সহজেই পাওয়া যাবে, সেবা প্রাপ্তিতে সময় কম লাগবে ও যাতায়াত খরচ হ্রাস পাবে।
এই পোর্টালের মাধ্যমে বর্তমান নাগরিক সেবাসমূহকে (যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে) খাত, ধরন দপ্তর/অধিদপ্তর অনুসারে সন্নিবেশ করা হয়েছে।
কৃষক, উৎপাদক, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য কৃষি পরামর্শ, শস্য, লাইসেন্স ও নিবন্ধন, সার, অনুদান ও ভর্তুকি, সেচ এবং কীটনাশক বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও সকল সংস্থা প্রদত্ত সেবা ডিজিটালি পাওয়া যাবে।
এখানে প্রতিটি সেবার বিপরীতে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সন্নিবেশ করা হয়েছে। এতে কী প্রক্রিয়ায়, কত খরচে, কার মাধ্যমে, কত সময়ে এবং কী কী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মাধ্যমে সেবাসমূহ পাওয়া যাবে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি সেবার পদ্ধতির ধাপসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচারে গবেষণা বাড়াতে বিজ্ঞানীদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, অর্থকরী ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচার গবেষণায় দেশের বিজ্ঞানীরা এখনো পিছিয়ে আছেন। এ খাতে বিজ্ঞানীদের অবদান খুব দৃশ্যমান নয়।
বেসরকারি কৃষি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে হর্টিকালচার নিয়ে মতবিনিময় করার জন্যও বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণে নীতিমালা অনুমোদন মন্ত্রিসভার
পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতে অন্য মন্ত্রীদের কৃষিমন্ত্রীর চিঠি
১ বছর আগে
১ ফেব্রুয়ারি থেকে আপিল বিভাগে প্রবেশে লাগবে ডিজিটাল পাস
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পাস সংগ্রহ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে এ পাস সংগ্রহ করেই বিচারপ্রার্থীরা আপিলে প্রবেশ করতে পারবেন। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
যে কোনো বিচারপ্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এন্ট্রি লিস্ট মেনুতে ক্লিক করতে হবে। কিউআর কোড স্ক্যান করে বা পর্যায়ক্রমে প্রবেশের তারিখ, মামলার নাম্বার, বিচারপ্রার্থীর নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ন্যাশনাল আইডি নাম্বার টাইপ করতে হবে। এরপর নিবন্ধনে বাটনে ক্লিক করে পাস প্রিন্ট করা যাবে।
এ পাসের প্রিন্ট কপি অথবা স্ক্রিনশট বা ডাউনলোড কপি দেখিয়ে প্রবেশ করা যাবে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির নিয়োগ
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকাঠামো ক্রমাগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগে প্রবেশ পাস ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।
আপিল বিভাগে প্রবেশ করতে আগ্রহী বিচার প্রার্থী সংযুক্ত ব্যবহার বিধি অনুসরণপূর্বক স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রবেশের তারিখ ও মামলা নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে আপিল বিভাগের ডিজিটাল পাস সংগ্রহ করতে পারবে।
উক্ত প্রবেশ পাস ডিজিটাল অথবা প্রিন্টকপি ব্যবহার করে আপিল বিভাগের এজলাসে প্রবেশ করতে পারবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে আপিল বিভাগের এজলাস ও এজলাস সংলগ্ন স্থানে কোনো বিচারপ্রার্থী প্রবেশ পাস প্রদর্শন ব্যতিত ঢুকতে বা অবস্থান করতে পারবেন না।
এ আদেশ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ
বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যক্তির চলাফেরায় বাধা দেয়া যাবে: আপিল বিভাগ
১ বছর আগে
বার্তা আদানপ্রদান করতে না পারার অভিযোগ করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা
বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদানপ্রদানের সমস্যার কথা জানিয়ে অভিযোগ করছেন। অভিযোগে তারা অ্যাপটিতে বাগ (সফটওয়্যার ত্রুটি) থাকতে পারে বলে উল্লেখ করছেন।
বিশ্বজুড়ে অনলাইনে এই ধরনের সমস্যা পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, বার্তা আদানপ্রদানে সমস্যার অভিযোগ বেড়েই চলেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীরা মেসেজিং পরিষেবা ব্যবহার করতে পারছেন না। ইতালি ও তুরস্কের ব্যবহারকারীরাও অ্যাপটি ব্যবহার করতে না পারার কথা জানিয়েছেন।
ডাউনডিটেক্টর অনুসারে, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের হিসাব অনুযায়ী ভারতে ১১ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপের এই বিভ্রাটের কথা জানিয়েছেন। যেখানে যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৬৮ হাজার ও ১৯ হাজার।
হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেভা পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছেন বলে দাবি করেছে।
অ্যাপটির প্রধান কোম্পানি মেটার একজন মুখপাত্র জানান, কিছু ব্যবহারকারী বার্তা আদানপ্রদানে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা আমরা অবগত। হোয়াটসঅ্যাপ সবার জন্য পুনরায় চালু করতে আমরা কাজ করছি।
২ বছর আগে
চ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধীন চ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে তাদের ফলাফল দেখতে পারবেন অথবা শর্ট মেসেজ সার্ভিস (এসএমএস) এর মাধ্যমে রেজাল্ট দেখতে পারবেন।
১৬২৩১ নম্বরে পরীক্ষার রোল, ইউনিট লিখে মেসেজ করলে ফলাফল পাওয়া যাবে।
এ বছর 'চ' ইউনিটের ১৩০ আসনের বিপরীতে মোট সাত হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে যার মধ্যে ২ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য অঙ্কন পরীক্ষার জন্য মাত্র ১৫০০ শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হবে।
এর আগে গত ১৭ জুন দেশের আট বিভাগে চ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটির পর শাবিপ্রবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
ইবিতে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু ২ জুলাই
২ বছর আগে
চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
সারা জীবনের বিপুল সময় ও শ্রমের অর্জনগুলোকে ছয় থেকে আট মিনিটে প্রদর্শনের জন্য সিভি ও পোর্টফোলিওর কোন বিকল্প নেই। কেননা এইটুকু সময়ের মধ্যে একজন নিয়োগ কর্তা কোন একজন চাকরিপ্রার্থীর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হন। তাই হাজার হাজার নথি দেখার সময় প্রথম দৃষ্টিপাতেই যদি নজর না কাড়ে, তাহলে সিভি ও পোর্টফোলিওটি হারিয়ে যেতে পারে সেই হাজার নথির ভিড়ে। তাই প্রথমেই সিভি ও পোর্টফোলিওটাকে চোখে পড়ার মত করে সুন্দর করে বানাতে হবে। আজকের ফিচারে থাকছে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ডকুমেন্টগুলো তৈরি করার কিছু অত্যাধুনিক উপায়।
ফ্রিতে প্রফেশনাল সিভি তৈরির তিন ওয়েবসাইট
ওজবার
এই ওয়েবসাইটটিতে ফ্রিতে সিভি ও কভার লেটার দুটোই বানানোর সুবিধা আছে। এর আছে ত্রিশটি সুন্দর সুন্দর সিভি টেমপ্লেট। সেগুলোতে ডেমো কন্টেন্ট না থাকায় ব্যবহারকারীকে কিছুটা রাইটার্স ব্লকে পড়তে হতে পারে। তবে এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সিস্টেম যে কোন ব্যবহারকারীকে তার সিভি তৈরি করার প্রতিটি পদক্ষেপে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবে।
এখানে সাইন আপ করা ছাড়াই একাধিক পেজ নিয়ে একাধিক রিজুমি বানানো থেকে শুরু করে পিডিএফ ফরমেটে ডাউনলোড পর্যন্ত করা যাবে।
আরও পড়ুন: চাকরি: সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডে জনবল নিয়োগ
৩ বছর আগে
প্রতারণা এড়াতে আসল ওয়েবসাইট ভিজিটের আহ্বান দারাজের
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, (ইউএনবি)- কেনাকাটার সময় প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে সকল গ্রাহক ও ক্রেতাদের দারাজ বাংলাদেশের আসল ওয়েবসাইট ভিজিট করার আহ্বান জানিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ (https://www.daraz.com.bd/) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিটিটিসি) প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী,আটক ব্যক্তি দারাজ বাংলাদেশের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। দারাজ বাংলাদেশের মূল ওয়েবসাইটের অনুকরণে দারাজ ডট সিএল ডোমেইন নামে ভুয়া ওয়েবসাইট ও ‘দারাজ বাংলাদেশ’ নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করা হতো ও অবৈধ পণ্য বিক্রি করা হত, যার ফলে দারাজের যথেষ্ট সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এবং ক্রেতারা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রতি আংশিকভাবে আস্থা হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই প্রতারক চক্র ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন এমএফএস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতো এ চক্র।
আরও পড়ুন: দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
এর প্রেক্ষিতে দারাজ বাংলাদেশ সকল ক্রেতাদের সন্দেহজনক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার ও দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার অনুরোধ জানিয়েছে।
দারাজ সবসময় দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সঠিকভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার বিপরীতে দারাজ ইতোমধ্যেই বনানী থানায় মামলা করেছে।
দারাজের মাধ্যমে প্রতারণার কোনো সুযোগ নেই। দারাজের https://www.daraz.com.bd/ শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। এবং দারাজ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হচ্ছে- https://www.facebook.com/DarazBangladesh।
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস বলেন, “ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি, আমরা এর সাধুবাদ জানাই। আমাদের ক্রেতা ও ই-কমার্স খাতের জন্য ইতিবাচক ফলাফল নিশ্চিতে দারাজ ডিএমপি’কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। দারাজ এর ক্রেতাদের সবসময় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং তাদের জন্য নিরাপদ শপিং নিশ্চিত করাকে আমরা অগ্রাধিকার দেই। আমরা আমাদের সকল ক্রেতাদের দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে সঠিক চ্যানেল ব্যবহারের অনুরোধ করছি।”
ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে তাদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেন- “সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণায় এখন অভিনব নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতারকরাও সময়ের সাথে সাথে স্মার্ট হয়ে উঠছে। সবাইকে এখন এসব ট্রেন্ডের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং কোনো সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আসল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।”
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
দারাজ:
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
৩ বছর আগে
শাবিপ্রবিতে ভর্তি আবেদন রবিবার থেকে শুরু
সম্প্রতি দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি)। আগামী রবিবার (২১ নভেম্বর) থেকে শুরু হবে শাবিপ্রবির ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এবারের ভর্তি আবেদন ফি ইউনিট ভেদে ৬৫০ টাকা। তবে আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তিচ্ছুদের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অতিরিক্ত ৩৫০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা admission.sust.edu এই ওয়েবসাইটে থেকে আবেদন করতে পারবে। পূর্বে প্রকাশিত ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখিত ভর্তির যোগ্যতা বিষয়ক শর্তাবলী আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের এনআইডি নিবন্ধনের তথ্য দেয়ার নির্দেশ
বাসে শাবিপ্রবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
৩ বছর আগে
প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ এর খসড়ায় ব্যক্তি তথ্য সুরক্ষার নামে বিরুদ্ধ মত নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি করছে। এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আইনটি জনসাধারণের তথ্যের সুরক্ষার পরিবর্তে কোনোভাবেই যাতে সরকারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে জনমত সৃষ্টি এবং ব্যক্তির মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে একটি ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে যাতে ব্যবহৃত না হয়, সেজন্য সরকারকে স্বচ্ছতার সাথে আইন সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে একসাথে নিয়ে বৃহৎ পরিসরে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে একটি সময়োপযোগী জনবান্ধব আইন প্রণয়নের উদাত্ত আহ্বান জানায় টিআইবি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যক্তিজীবনে যেভাবে ডিজিটাল স্পেসের গুরুত্ব বাড়ছে তার সাথে তাল মিলিয়ে এসব প্ল্যাটফর্মে দেওয়া তথ্যের সুরক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এ জাতীয় আইন করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইনটির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যক্তি যেন ভার্চুয়াল জগতে নিরাপদ বোধ করেন, তার ব্যবস্থা করা। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে, হতাশাজনক হলেও সত্য যে, ইতোপূর্বে প্রণীত ‘নিরাপত্তা’ ও ‘সুরক্ষা’ শব্দযুক্ত আইনগুলো মোটাদাগে নিবর্তনমূলক হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন,‘ বিদ্যমান বিতর্কিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ প্রনয়ণ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজন যে সকল আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, পরবর্তী সময়ে তার আক্ষরিক প্রতিফলন ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘নিরাপত্তার’ পরিবর্তে স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সরকারের সমালোচনাকারীদের কণ্ঠরোধ করার পাশাপাশি সরকারের অবস্থান সংহত করতে আইনটির যথেচ্ছ ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করছি। সময়ের প্রয়োজনে অন্যান্য দেশের আদলে ‘পারসোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন’- এর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই সত্যি, কিন্তু শঙ্কার বিষয় হল আমাদের শাসকগোষ্ঠীর মানসিকতা, প্রবণতা ও উদ্দেশ্য! তাই, প্রস্তাবিত আইনটি যাতে অধিকতর জনবান্ধব, ব্যক্তি তথ্যের সুরক্ষা এবং স্বাধীন মত ও ভাব প্রকাশের সহায়ক হয়, তা নিশ্চিতে বৃহৎ পরিসের সকল পক্ষের অংশগ্রহণে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে আইনটি করায় সরকারকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় তথ্য নয় বরং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করুন: টিআইবি
তথ্যসূত্রগুলো বলছে আইনের খসড়াটি ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলেও কোন এক অনির্দিষ্ট কারণে তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমন লুকোচুরির কারণ ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন রেখে ড. জামান বলছেন, ‘এ পদক্ষেপ আইনটি নিয়ে সাধারণের মধ্যে আলোচনা ও মতামতের সুযোগকে বঞ্চিত করার প্রয়াস বলা যায়, যদিও সাধারণের বৃহত্তর কল্যাণে আইনটি প্রণয়ণের কাজে হাত দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে সকল সংশয় দূর করতে শীঘ্রই খসড়া আইনটি সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত আইনে জনসাধারণের তথ্যের দেখভাল করার জন্য ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ও একজন সরকারি কর্মকর্তাকে ‘মহাপরিচালক’ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হবে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘বিভিন্ন সময়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির পারিবারিক ও ব্যক্তিগত অডিও এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটলেও বিদ্যমান আইনি কাঠামোতে ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো দৃষ্টান্ত পরিলক্ষিত হয়নি। এরকম একটি অবস্থায় প্রস্তাবিত আইনে সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সরল বিশ্বাসের’ কর্মকাণ্ডকে নিষ্কলঙ্ক ও বিচার বহির্ভূত রাখার অসাংবিধানিক বিধান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পাশাপাশি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদলতের দ্বারস্ত হয়ে ন্যায়বিচার ও প্রতিকার চাইতে পারবে না মর্মে প্রহসনমূলক ধারার অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়েছে, তা কোন গণতান্ত্রিক সমাজের আইনের অংশ হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে আইনটি যদি প্রণয়ন করা হয়, তাহলে সেটা দেখভাল করার দায়িত্ব মহাপরিচালকের অধীনে কোনো এজেন্সির হাতে নয়, বরং একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের মাধ্যমে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির স্বার্থ সুরক্ষাসহ ব্যক্তি গোপনীয়তা ভঙ্গকারী অভিযুক্ত যে কোনো পক্ষকে যাতে আইনের আওতায় আনা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে, প্রস্তাবিত আইনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ‘ডেটা নিয়ন্ত্রণ’ করার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ নির্ধারণ ও মহাপরিচালকের প্রতি তার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার কথা বলা হচ্ছে। যা, গবেষণা ও অধিপরামর্শমূলক কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের কাজকে ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত করবে।’
আরও পড়ুন: কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল: টিআইবির সতর্ক সাধুবাদ
‘বাংলাদেশ সরকার ফেসবুক ও ইউটিউবের কাছে যত তথ্য চেয়েছে, তার মাত্র ৪০ শতাংশ দিয়েছে’ একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর উদ্বৃত্তি উল্লেখ করে ড. জামান বলছে, ‘প্রস্তাবিত আইনটির মাধ্যমে কী সরকার সামাজিক যোগযোগমাধ্যমের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়! শত প্রতিকূলতার মাঝেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহের কল্যাণে কিছুটা হলেও জনমত তৈরি ও প্রতিবাদ মুখর হতে দেখা যায়। গণমাধ্যমে যেভাবে তথ্য এসেছে, তাতে আইনটির মধ্যে অনেক নিবর্তনমূলক ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে করে স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সরকারের সমালোচনাকারীদের নির্বিচারে একহাত নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। ২০১৮ সালে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে মিথ্যা বলে বিটিআরসির তথ্য সংগ্রহের উদাহরণ, নতুন আইনের অধীনে তা আরও সহজে করার শঙ্কা পুরো মাত্রায় রয়েছে, যার রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহারের নতুন সুযোগই বাড়াবে। আর ব্যক্তি তথ্যের সুরক্ষার নামে এমনটা ঘটলে দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্র পিছিয়ে পরবে, জনকল্যাণ, বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার চর্চা আরও পিছিয়ে যাবে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ বিরোধী। তাই প্রস্তাবিত আইনটি প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানাই।’
৩ বছর আগে
শাবিপ্রবির ১১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস স্কলারশিপ
ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও জনপ্রিয় ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ পেয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ শাবিপ্রবিকে সিসিকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত
এ স্কলারশিপের আওতায় তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১৩৯ জন এ স্কলারশিপ পেয়েছেন।
স্কলারশিপপ্রাপ্তরা হলেন- ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, মোঃ ইয়াসিন, প্রভাষক মাহাবুব আলম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন, আহনাফ মুজিব সামিন, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগের কামরুল হাসান, পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের সুহেদা বেগম, সমাজকর্ম বিভাগের সিদরাতুল মুনতাহা চৌধুরী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবিহা তাসনিম, মেহবুবা জান্নাহ ও জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুনঃ শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা গ্রহণ শুরু
স্কলারশিপ পাওয়ায় সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ওপরের দিকে থাকা ইউরোপের চারটি দেশের চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা নি:সন্দেহে আমার জ্ঞান ভান্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করবে, যা পরবর্তীতে আমার শিক্ষকতার কাজে সহায়তা করবে।'
৩ বছর আগে