শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
মেরামতের অপেক্ষায় ‘রিমালে’ ক্ষতিগ্রস্ত ভোলার ১১২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও মেরামত না হওয়ায় শিক্ষাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত করা হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।
ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসারের দেওয়া তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ভোলার ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৩৭টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১১টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১৮টি, লালমোহন উপজেলায় ১৯টি, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৭টি ও মনপুরা উপজেলায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
সরেজমিন দেখা যায়, দক্ষিণ দিঘদী ইউনিয়নের মধ্য পশ্চিম বালিয়া দাখিল মাদরাসার শ্রেণিকক্ষগুলো হেলে পড়েছে। কয়েকটি স্থানে টিনের ছাউনি নেই।
মাদরাসার শিক্ষকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে মাদরাসাটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। টিনের ছাউনি না থাকায় বৃষ্টি ও রোদের তাপে বিধ্বস্ত শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অন্য শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত না করায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কমে যাচ্ছে। এখানকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র একই। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করে পাঠদানের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসার দীপক হালদার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে মাদরাসা ও মাধ্যমিক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
কর্মক্ষেত্র-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন নিয়ে গোলটেবিল আলোচনা
বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) এবং জেন্ডার প্লাটফর্ম বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থনের প্রয়োজনীয়তা’- শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারের এ এস মাহমুদ সেমিনার হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) ও জেন্ডার প্লাটফর্ম বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আইএলও’র জেন্ডার স্পেসালিস্ট শাম্মিন সুলতানা, ডিবিসি চ্যানেলের সাংবাদিক ইসরাত জাহান ঊর্মি এবং ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- কর্মজীবী নারী, বিএফএলএলএফইএ, বিজিটিএলডব্লিওএফ, ট্যানারি ওয়ার্কার্স, বিটিজিডব্লিওএল, ব্লাস্ট, ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশন, আওয়াজ ফাউন্ডেশন, মনডিয়াল এফএনভি, ফুলকি, নারী মৈত্রী, সবুজের অভিযান, ইটিআই, এলএফএমইএবি, পংক্তি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, জাতীয় শ্রমিক জোট, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বিলস্, সলিডারিটি সেন্টার, উইমেন এন্ড ই-কমার্স এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম আশরাফ উদ্দিন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্মজীবী নারী’র অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, গোপনীয়তা রক্ষা করে তদন্ত কমিটি কাজ করছে কি না সে ব্যাপারে নজরদারি করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সাহস দিতে হবে, যাতে তারা বিষয়টি নিয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে। মিডিয়াতে পৃথকভাবে এই বিষয়ক কর্নার খোলার উদ্যোগ নিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইএলও’র জেন্ডার স্পেসালিস্ট শাম্মিন সুলতানা বলেন, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ সুন্দর রাখার ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে আইনগুলোকে হালনাগাদ করতে হবে।
ডিবিসির সাংবাদিক ইসরাত জাহান ঊর্মি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে কাজ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির প্রয়াস চালাতে হবে এবং গণমাধ্যম কর্মীসহ সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংসদ সদস্যদের গোলটেবিল বৈঠক: কপ-২৮ এর আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ককাস গঠনের প্রস্তাব
কুতুব উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে প্রতিটি কারখানায় অ্যান্টি হ্যারেসমেন্ট কমিটি থাকা বাধ্যতামূলক করা এবং আইন প্রয়োগের প্রতি জোর দিতে বলেন।
জাতীয় শ্রমিক জোটের জেনারেল সেক্রেটারি নাঈমুল আহসান জুয়েল জানান, নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করার জন্য পাঠ্যপুস্তকে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন। আলোচনার পাশাপাশি মাঠে নামতে হবে এবং বিষয়টি প্রচারের মাধ্যমে প্রসার ঘটাতে হবে। বিষয়টিকে তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ন্যাশনাল ফেডারেশনের সঙ্গে সংলাপ করতে হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিনিধি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি যাতে না ঘটে তার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্বলিত একটি পৃথক আইন করা দরকার।
বিএফএলএলএফইএ’র সচিব জয়নাল আবেদীন প্রচলিত আইনটির প্রয়োগের উপর জোর দিতে এবং কেবল আইন প্রয়োগে সীমাবদ্ধ না থেকে মানসিকতার পরিবর্তন আনার আহ্বান জানান।
জান্নাত ফেরদৌস পান্না বেগম বলেন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানীর বিষয়ে যে মামলাগুলো ইতোমধ্যে হয়েছে, তার হাল অবস্থা জানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অ্যান্টি হ্যারেজমেন্ট কমিটির পূর্ণ স্বাধীনতায় কাজ করার জায়গা তৈরি করতে হবে, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির তদন্ত কমিটি কিভাবে কাজ করে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। গণপরিবহন ও রাস্তাঘাটে নারীরা যে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয় সে বিষয়ে আরও বেশি নজর দিতে হবে।
শিক্ষাব্যবস্থা বা উচ্চশিক্ষায় ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে জানান মনডিয়াল এফএনভি কনসালটেন্ট শাহিনুর।
সাংবাদিক আতাউর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যান্টি হ্যারেজমেন্ট কমিটি আছে কি না এবং কমিটির মিটিং হয় কি না সে বিষয়ে তদারকি করতে হবে। কমিটি কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ কমে না যাওয়ার জন্য নারীদের পুরুষের সমান মজুরি নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি করেন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের আইনটি যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এজন্য সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। কেবল শ্রমিককেন্দ্রিক কর্মক্ষেত্র নয় বরং সব কর্মক্ষেত্রে এটা নিয়ে কাজ করতে হবে এবং সামাজিকভাবে একটি ‘প্রেশার গ্রুপ’ তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতি তৈরি করা প্রয়োজন: গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ
কসমস-বিআইপিএসএস গোলটেবিল: ইউক্রেন সংঘাতের বিরূপ প্রভাব কাটাতে বাংলাদেশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে
১ বছর আগে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বিশেষ শিশুদের পাবলিক পরীক্ষার খাতা ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হয়। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটউটে ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, সূবর্ণ শিশুদের (অটিস্টিক) এক সময় অভিশাপ ও বোঝা মনে করা হত। কিন্ত এই শিশুদের বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। আমাদের উচিত তাদের এই দক্ষতাগুলো বের করে আনা। কেননা এই শিশুরাও আমাদের সমাজে অবদান রাখতে পারে।
অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বেই অটিজম বিষয়ে তেমন সচেতনতা ছিল না। আত্মীয়দের কাছ থেকেও গোপন করা হত। এই শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ দেওয়া হত না। কিন্ত এই বিষয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: ৪ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে চান শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সপ্তাহে ২ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনস্থ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকবে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শুক্র ও শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। নতুন এই সিদ্ধান্ত শিগগিরই কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:নতুন হলের দাবিতে শেবাচিমের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
উল্লেখ্য, এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে গত ১৬ জুন দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে রাত আটটার মধ্যে শপিংমল ও কাঁচা বাজার বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল, কাঁচা বাজার যাতে খোলা না থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২দিন ছুটির সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
আগারগাঁওয়ে পথ শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
২ বছর আগে
বিয়ানীবাজারে ১২৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি, খোলা হয়েছে ২৮ আশ্রয়কেন্দ্র
সিলেটের বিয়ানীবাজারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। উপজেলার ১২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার প্রায় দুই লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
জানা গেছে, বিয়ানীবাজারে প্রতিদিন প্লাবিত এলাকার পরিধি বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে দুর্গত মানুষের সংখ্যা। বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় উপজেলার প্রায় সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে বিতরণের ধীরগতিতে এখনও অনেক দুর্গত এলাকার মানুষ সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোমান মিয়া বলেন, এখানকার ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৮টিতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে ২৩টিতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমান জানান, উপজেলার ৬৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসা) মধ্যে ৩১টি বন্যার পানি ওঠেছে। অন্যগুলোর মধ্যে পাঁচটিতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বন্যায় স্থানীয় মানুষের সঙ্গে গবাদি পশু-পাখিও ক্ষতির শিকার হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই জানাতে পারছে না স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর জানান, বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যাদের ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে তাদেরকে কাছাকাছি আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা বিদ্যালয় ভবনে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
২ বছর আগে
নিজেদের প্রচেষ্টায় স্বাবলম্বী হচ্ছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
চাকরির বাজারে বিক্রি না হয়ে নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা। করোনার প্রায় দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় অবসর সময়কে কাজে লাগিয়েছেন এই উঠতি উদ্যোক্তারা। পর্যাপ্ত সময়, স্বল্প মূলধন, অনলাইন নির্ভর বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করেই তরুণ উদ্যোক্তারা গ্রাহকদের সেবার মাধ্যমে নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
এদের মধ্যে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের একটি অংশ রয়েছে। উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে তারা নিজ নিজ কর্মস্থানে নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
চাঁদপুরের ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান পড়াশোনা করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর দেড় মাসের মাথায় করোনায় বন্ধ হয়ে যায় তার নিজ বিদ্যাপীঠ।পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার পর বছরের প্রথম দিন শাবিপ্রবির গেইটে চালু করেন ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট ‘দ্য বাইট ক্যাভ’।
আরও পড়ুন: ভ্যানচালক বাবা ও চা বিক্রেতা মায়ের মেয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণে যাচ্ছে পর্তুগাল
শিক্ষার্থী মো. রাকিবুজ্জামান বলেন, এসএসসি পাস করার পর ১৭ বছর বয়সে মাথায় শুধু ঘুরপাক খেতে থাকে পড়াশোনার পাশাপাশি যেভাবেই হোক স্বনির্ভর হতে হবে। আর তার জন্য চাই পুঁজি। কলেজের পুরো সময়টা চলে গেলো কিছুটা পুঁজি জমাতে। ভার্সিটিতে পা রাখতে না রাখতেই 'করোনা'র মধ্যে পড়লাম। করোনাকালীন যেই সময়টা বাড়িতে ছিলাম, সেই সময়টা কাজে লাগানোর চেষ্টা করলাম। রান্না-বান্নার প্রতি আমার সব সময়ই একটা আগ্রহ ছিল এবং বাসায় প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের রান্না করে আম্মুকে টেস্ট করাতাম। এই আগ্রহ থেকেই ভাবলাম ভার্সিটি গেইটে রেস্টুরেন্ট দেয়ার কথা।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমি যেই ক্ষেত্রেই কাজ করতে যাই বা ব্যবসা দাঁড় করাতে যাই না কেন, প্রথমে সেই সেক্টরে আমাকে নিজের প্রবেশ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। বাড়িতে করোনাকালীন সময়ে সন্ধ্যার পরের সময়টা এক বন্ধুর রেস্টুরেন্টে কাটাতাম। প্রায় ছয় মাস সেখানে আমি সময় দিলাম শুধু নিজের অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য। অবশেষে অনেক বাধা বিপত্তির পর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনে আমি ‘দ্য বাইট ক্যাভ’ রেস্টুরেন্টটি চালু করেছি। আমার সঙ্গে আমারই ডিপার্টমেন্টের বন্ধু মো. মহিউল ইসলাম যুক্ত রয়েছে।
মো.রাকিবুজ্জামান বলেন, আমার শুরু থেকে একটাই লক্ষ্য ছিল-স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি বাজেটে কোয়ালিটিসম্পন্ন খাবার সরবরাহ করা। আমার রেস্টুরেন্টের কাস্টমারদের একটা বড় অংশ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। খাবারের গুণগত মানের দিক ভালো হওয়ার কারণে খুব অল্প দিনেই ‘দ্য বাইট ক্যাভ’ সবার আস্থা অর্জন করেছে। আমাদের অনলাইন পেইজ দ্য বাইট ক্যাভ ও ফুড পান্ডা অ্যাপের মাধ্যমে আমাদের রেস্টুরেন্টের সেবা পুরো সিলেট শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আমার স্বপ্ন আছে দ্য বাইট ক্যাভের আরও একটি ব্রাঞ্চ চালু করার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদিবা মালিহা পড়াশোনার পাশাপাশি সময় দিচ্ছেন মেয়েদের গহনার দিকে।
২ বছর আগে
ঢাকা কলেজে ঈদের ছুটি, উসকানি দিবেন না: শিক্ষামন্ত্রী
ছাত্র-ব্যবসায়ীদর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘প্রায়ই দেখি ঢাকা কলেজ ও এর আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্মচারীদের সঙ্গে ছাত্রদের বাকবিতন্ডা হয় এবং অনেক সময় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের কয়কজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার বিষয়গুলো আমরা দেখছি।’
মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০ এপ্রিল ঈদের ছুটিতে বন্ধ হলেও ঢাকা কলেজ যেহেতু ক্লাসের পরিবেশ নেই, তাই আজ থেকেই এই কলেজে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাবে। আগামী ৫ মে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা কলেজও খুলবে।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকাল থেকে থাকলে হয়তো পরিস্থিতি আরেকটু ভালো হতে পারতো। তবে তারাও চেষ্টা করেছেন, এখনও তারা চেষ্টা করছেন থামানোর। আমি ছাত্র-ব্যবসায়ী সকল পক্ষকে এই সিয়ামের মাসে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই।
সকলের সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে উসকানি দিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার একটা অপচেষ্টা চলছে। আমি ব্যবসায়ী-ছাত্র-শিক্ষকসহ সকলের কাছে অনুরোধ করবো কোন প্রকার উসকানি না দিতে, কোন গুজবে কান না দিতে। রোজার দিন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ডিজি, সচিব ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। ডিজি রাত থেকেই যুক্ত আছেন। আশা করি পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসবে। ছাত্রদের বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। এরই মধ্যে যা যা করা দরকার সরকার আলোচনার মাধ্যমে সব কিছুই করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
২ বছর আগে
শিক্ষার মানের উন্নয়ন না হলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার মানের উন্নয়ন না হলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় শতভাগ শিশুকে শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। সরকার এখন শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে কারিকুলাম পরিবর্তনের কাজ চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে কারিকুলাম প্রণয়ন করা হচ্ছে। আগামীতে শিক্ষার মানোন্নয়নে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কেরানি তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা চাননি। তিনি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করছে।
আরও পড়ুন: ২২ ফেব্রুয়ারি খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি বলেন, বিশ্ব ব্যবস্থায় আমাদের সন্তানেরা কতটা অবদান রাখবে তা নির্ভর করবে বিশ্ব ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কতটা পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবো তার ওপর।
২ বছর আগে
রাণীশংকৈলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই
৭০ বছর আগের ভাষা আন্দালনের পথ ধরে স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পেরিয়েছে দেশ। কিন্তু এতো বছরেও ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়নি।
এ অবস্থা উপজেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে। এমন কী কোনো মাদরাসায় শহীদ মিনার নেই। এতে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে পারে না শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন বাদে ২৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৪৫ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। এতে ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ৩৬১ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার!
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় জানায়, উপজেলার ১৫৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নেকমরদ, গাজীরহাট, বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আটটিতে শহীদ মিনার রয়েছে। এছাড়া উপজেলার ৫২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫টিতে ও ১২টি কলেজের মধ্যে তিনটিতে শহীদ মিনার রয়েছে। ১৯ মাদরাসার মধ্যে একটিতেও শহীদ মিনার নেই। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। সেগুলোতে একই অবস্থা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশ, কাঠ, ককশিট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। শহীদদের স্মরণে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি তাদের।
রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক বলেন, ‘মূলত একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিগুলো রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে প্রশাসন যৌথভাবে করে দেয়। এ জন্য আমাদের কলেজে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না।’
রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি আমাদের উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক। তাহলে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নতুন প্রজন্মের মাঝে সৃষ্টি হবে।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় শহীদ মিনারে ‘রাজাকারের’ নাম!
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিম উদ্দীন জানান, সরকারিভাবে নির্দেশনা রয়েছে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার। এই উপজেলায় এখনও যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন হয়নি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুব দ্রুত শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তাগাদা দেয়া হবে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী শাহরিয়ার জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।
২ বছর আগে
গাইবান্ধায় ৩৬১ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার!
গাইবান্ধার সাত উপজেলার ৩৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে না। শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে হলে তাদের অনেক দূরে যেতে হয়।
জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৭ শতাধিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৭৫টি কলেজ, ৩৫৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৪০টি কামিল, ফাজিল, আলিম ও দাখিল মাদরাসা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে, ৩৬১টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ২৪০টি মাদরাসার মধ্যে একটিতেও শহীদ মিনার নেই। এছাড়া ৭৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫১৪টি বেসরকারি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শহীদ মিনারে ‘রাজাকারের’ নাম!
দেশের ইতিহাসে শহীদ মিনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা হলেও, শহীদ মিনার না থাকায় গাইবান্ধার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের ভাষার মাসে অত্যন্ত সমস্যায় পড়তে হয়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার নেই। ফুল দেয়ার জন্য আমাদের শহরে যেতে হয়। আমাদের স্কুলে যদি শহীদ মিনার থাকত, তাহলে ভালো হতো।’
অভিভাবক ও মানবাধিকার কর্মী কেএম সালাউদ্দিন বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নিশ্চিত হওয়া দরকার। তা না হলে বর্তমান প্রজম্মের যারা শিক্ষার্থী রয়েছে তারা ভাষা আন্দোলন সর্ম্পকে, শহীদদের গুরুত্ব সর্ম্পকে তারা জানতে পারবে না।
এনএইচ মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কী কারণে ভাষা শহীদেরা ভাষার জন্য আত্মহুতি দিয়েছিলেন, পরবর্তী প্রজম্মকে এ বিষয়গুলো জানানোর জন্যই ভাষার মাসে আমরা তাদের স্মরণ করি। সব শিক্ষার্থীকে এ বিষয়ে জাগ্রত করার জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি করে শহীদ মিনার নিমার্ণ করা দরকার।
আরওপড়ুন: কয়রায় ৯৪ শতাংশ প্রাথমিক স্কুলে নেই শহীদ মিনার
গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন জানান, মুজিববর্ষে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নিমার্ণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে শহীদ মিনার নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। আশা করি ২০২২ সালে বেশি ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নিমার্ণ করা হবে।
২ বছর আগে