চিত্রশিল্পী
‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
দেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কসমস ফাউন্ডেশনের স্বনামধন্য শৈল্পিক শাখা গ্যালারি কসমস রাজধানীর কসমস সেন্টারের গ্যালারি কসমসে প্রখ্যাত শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম এবং ভবিষ্যৎ চিত্রশিল্পীদের নিয়ে দিনব্যাপী এক মনোজ্ঞ আর্ট ইভেন্টের আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিসেম্বরকে শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে স্মরণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে।
লাখ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি অনেক শিল্পঈ সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। শুধু যে যুদ্ধ তা কিন্তু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহিত করতে অব্যাহত ছিল তাদের শৈল্পিক প্রচেষ্টা। তাদের মধ্যে একজন ষটের দশকের অন্যতম উল্লেখযোগ্য চিত্রশিল্পী হিসেবে পরিচিত বীরেন সোম।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
১০ মাস আগে
খাতা থেকে বাড়ির দেয়াল সবখানেই আঁকাআঁকি করতাম: কনক চাঁপা চাকমা
চলতি বছর শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছেন চিত্রশিল্পী কনক চাঁপা চাকমা। পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে সম্প্রতি গ্যালারি কসমসের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তার আঁকা কয়েকটি চিত্রকর্ম নিয়ে একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয় গ্যালারি কসমসে। সেখানে ইউএনবিকে সাক্ষাৎকার দেন এই শিল্পী।
সাক্ষাৎকারটি ইউএনবির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
ইউএনবি: এর আগে দেশে-বিদেশে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু এবার মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় একুশে পদক পেয়েছেন। এই অনুভূতি কেমন?
কনক চাঁপা চাকমা: এটা বিশাল একটা ব্যাপার। এটার জন্য আমার সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে দায়িত্ব আছে তা আরও বেড়ে গেছে।
ইউএনবি: কাপড়ে মায়ের করা নকশা দেখেই উদ্বুদ্ধ হওয়া। কিন্তু বুনন শিল্পে না গিয়ে রঙ-তুলি বেছে নেওয়ার পেছনে কি কোনো বিশেষ কারণ ছিল?
কনক চাঁপা চাকমা: মাকে দেখেছি ভেজিটেবল ডাই করতে। হলুদ, খয়ের, গাছের বাকল, গাছের পাতা থেকে রং করতেন। এগুলো আমার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। হয়তো ছোটবেলায় আমার মনের মধ্যে প্রথিত হয়েছিল এসব রং, ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা। সেই ভালো লাগার বহিপ্রকাশ দরকার। তারপর আমি ছবি আঁকা শুরু করলাম। হোম ওয়ার্কের খাতা থেকে বাড়ির দেয়াল সবখানেই আঁকাআঁকি করতাম। স্কুল জীবন শেষে বুঝতে পারলাম ভালোলাগা, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এটায় জায়গা। এরপর আমি বাবা-মাকে বলি আমি শিল্পী হব। এভাবেই পথ চলা শুরু।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
১ বছর আগে
চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী মারা গেছেন
বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও শিক্ষাবিদ সমরজিৎ রায় চৌধুরী (৮৫) রবিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, একুশে পদক জয়ী এই চিত্রশিল্পী একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শ্রদ্ধেয় এই শিল্পী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং পরে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন।
চৌধুরীর ছেলে সুরজিৎ রায় চৌধুরী জানান, ৫ সেপ্টেম্বর এই শিল্পীকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর ১২ সেপ্টেম্বর পরিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে যাযওয়া হয়; তবে, স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার প্রয়াণের খবরে দেশের শিল্পাঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সোমবার সকাল ১০টায় শিল্পীর মরদেহ ঢাবির চারুকলা অনুষদে আনা হবে। সেখানে তার ভক্তরা তাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান মারা গেছেন
১৯৩৭ সালে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী সমরজিৎ চৌধুরী ১৯৬০ সালে সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে গ্রাফিক ডিজাইনে স্নাতক হন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, মোহাম্মদ কিবরিয়া, সাফিউদ্দিন আহমেদ ও আনোয়ারুল হাসানসহ দেশের কিংবদন্তি শিল্পীদের কাছ থেকে তিনি সরাসরি শিক্ষা লাভ করেন।
তিনি ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে যোগদান করেন এবং ৪৩ বছর অধ্যাপনা করার পর ২০০৩ সালে অবসর নেন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ঢাবির সুপারনিউমারারি প্রফেসর হিসেবে শিক্ষকতা করেন।
২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে ফাইন অ্যান্ড পারফর্মিং আর্ট বিভাগের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের শিল্পক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্র মারা গেছেন
আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
২ বছর আগে
নিজস্ব অর্থায়নে শাটল ট্রেন রাঙ্গাচ্ছেন জার্মান শিল্পী দম্পতি
শহর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম বাহন শাটল ট্রেন। ১৯৮০ সালে চালু হওয়া বাংলাদেশ রেলওয়ে সেই শাটল ট্রেন নতুন সাজে সাজতেছে। আর এই কাজটি করেছেন জার্মান আরইউএসবি আর্ট গ্রুপের প্রধান লুকাস জিলিঞ্জার ও তার স্ত্রী লিভিয়া জিলিঞ্জার।
২ বছর আগে
কসমস আতেলিয়ার৭১ এর আয়োজনে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'
বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের জন্য স্টুডিও-ভিত্তিক শিল্প চর্চাকে উৎসাহিত করে প্রিন্টমেকিং-এর মাধ্যমকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'-এর মাধ্যমে নতুন ও প্রতিভাবান শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে কসমস আতেলিয়ার৭১।
সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারের কসমস আতেলিয়ার৭১-এ শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান ডিসেম্বর মাসব্যাপী চলবে। বছরে সাধারণত দু’বার অনুষ্ঠিত হয় এই 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'।
দেশের চারজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী ও ভিজ্যুয়াল শিল্পী-ইকবাল বাহার চৌধুরী, ফারজানা রহমান ববি, কামরুজ্জোহা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু কালাম শামসুদ্দিন এবারের রেসিডেন্সি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। এচিং অ্যাকোয়াটিন্ট, উড ইন্টাগ্লিও, ড্রাইপয়েন্ট, কোলাগ্রাফ-এই চারটি মাধ্যম তারা নিজ নিজ থিমের ওপর ভিত্তি করে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: 'ইনসাইড আউট’: শিশুদের জন্য গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী পেইন্টিং ও অরিগামি ওয়ার্কশপ
২ বছর আগে
২০০ কেজি সোনায় কারুকার্যমণ্ডিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন
বিশ্বজুড়ে শ্রেষ্ঠ কাজগুলোর অঙ্কুরে সব সময় ছিল তার পেছনের মানুষগুলোর বিশ্বাস এবং জীবনবোধ। এর সাথে যুক্ত হয়েছিলো তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা যা মহাকাল জুড়ে চির অম্লান হয়ে আছে। ঠিক তেমনি এক ইতিহাসের জন্ম হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন শরীফ তৈরির মাধ্যমে। এটি পূর্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র কোরআন তৈরির সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের করাচীতে বিশাল টিম নিয়ে শুভ মহরতে কাজটি শুরু হয়ে গেছে। চলুন, বিস্ময়কর এই নির্মাণ শৈলীর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।
স্বর্ণখচিত বিশ্বের বৃহত্তম পবিত্র কোরআন নির্মাণ প্রজেক্ট
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই পবিত্র কোরআন তৈরির কাজটি হাতে নিয়েছে স্বনামধন্য পাকিস্তানি ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী শহীদ রাসাম। এ প্রজেক্টটির আরেকটি বিশেষত্ব হলো, এ্যালুমিনিয়ামের উচ্চ মানের ক্যানভাসের উপর এই পবিত্র কোরআনের অক্ষরগুলো সোনা দিয়ে বানিয়ে বসানো হবে। ৫৫০টি পৃষ্ঠার জন্য প্রায় ২০০০ কেজি এ্যালুমিনিয়াম এবং ৮০ হাজার অক্ষরের জন্য প্রায় ২০০ কেজি সোনা ব্যবহার করা হবে। ফ্রেম ছাড়া ৬.৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮.৫ ফুট প্রস্থের এই বিশাল পবিত্র কোরআনের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ১৫০টি অক্ষর বসানো হবে।
আরও পড়ুন: এস এম সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলে আর্ট ক্যাম
পাঁচ বছর পূর্বে শুরু করা দুর্দান্ত এই হস্তশিল্পের কাজটি ২০২৫ সাল নাগাদ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন শহীদ রাসামের টিম। পুরো প্রজেক্টের ব্যয়ভার শহীদ রাসাম নিজেই বহন করছেন। তবে এই মহৎ কাজটির সুষ্ঠুভাবে সমাধার জন্য তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুরাও তাকে সাহায্য করছেন।
১৪০০ বছরেরও অধিক সময়ের পুরোনো ইসলামী ইতিহাসে এত বিশাল আকারের স্বর্ণখচিত পবিত্র কোরআন শরীফ এই প্রথমবার নির্মিত হতে যাচ্ছে।
স্বর্ণশোভিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র কোরআন কারিগরেরা
চিত্রকর শহীদ রাসামের উপর চিত্রশিল্পের পৃষ্ঠপোষকদের আস্থা অপরিসীম। কেননা ভারত ও পাকিস্তানসহ যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিতে তাঁর কাজ বহুল প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর সাথে এই প্রজেক্টে কাজ করছে ২০০ জনের একটি টিম এবং তারা সবাই এখন করাচীতে অবস্থান করছেন। এরা সবাই শহীদ রাসামের নিজ হাতে গড়ে তোলা দক্ষ কারিগর।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
৩ বছর আগে
মুর্তজা বশীর ভাই, কেমন আছেন আজকাল?
অমন ছোটখাটো বিরাট মানুষ এদেশে কম এসেছে। যারা তাকে জানতেন, চিনতেন তারা বলতে পারবেন, মানুষের মনের দরিয়া কত বড় হতে পারে। কিছু মানুষ থাকে যাদের মনে যেমন আকাশ, ভাবনায় যেমন আকাশ, তেমনি ঠিকানাটাও সেথায়I বছর খানেক হলো নেই, বৃদ্ধ বয়সে কষ্ট পেয়ে গেলেন কিন্তু উনারা বোধহয় বিদায় নেন না। সারাক্ষণ মনের দরজায় করা নাড়ে।
২. আমি কাগজের মানুষ তাই হেথায় সেথায় দেখা হতো তার সাথে। কিন্তু তার মন ও ভাবনার সাথে প্রথম দেখা তার গল্প গ্রন্থ, ‘কাঁচের পাখির গান’ এর মাধ্যমেI যারা বইটা পড়েছেন তারা জানবেন কি অসাধারণ সেই ছোট গল্পগুলি।
শিরোনামের গল্পটাই যেমন, কথক এক রাতের জন্য কোনো নারীর সঙ্গ কিনেছে। কিন্তু ঘরের প্রস্তুতি নিচ্ছে যেন নববধূ আসছে। মেয়েটি এক সময় হাতের চুড়িগুলা বিছানায় খুলে রেখে ঘুমিয়ে পড়ে। কথক সেগুলাকেই স্বপ্নে দেখতে পায়। চুড়িগুলা কাঁচের পাখি হয়ে আকাশে গান গাইছে।
এই সম্পর্ককে এতো প্রেম ও পবিত্র ভাবে দেখানোর মুন্সিয়ানা তার ছিল। ষাট এর দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পকার তিনি, তবে সেইভাবে তাকে চিনি না , চিত্রশিল্পী বলেই জানি। কত বহুমাত্রিক তিনি সেটা তার গল্প আর ছবি না মিলিয়ে দেখলে পুরোটা বোঝা যাবে না।
৩. ৮০’র দশকের মাঝামাঝি একবার দেখা সাপ্তাহিক হলিডে অফিসে। সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ খান (মিন্টু ভাই) সবার প্রিয় মানুষ তাই অনেকে আসেন। তবে বিচিত্র অফিসে যেমন সবাই যায়, সংসারী আর সংসার বিবাগী যেই হোক-হলিডে অফিসে একটু প্রতিষ্ঠিতদের বেশি ভিড়।
বশির ভাই বললেন, ‘আফসান, অন্য রকম ছবি আঁকছিI রেহালের আর কোরানের ছবি। খুব ভাল লাগছে।’ আড্ডা, আলাপ..., এমন সহজ সরল মানুষকে ভয় লাগে। যদি না বুঝে সারল্যের সুযোগ নেয়া হয়ে যায়।
ওই ছবিগুলার ওপর একটা লেখা লিখেছিলাম। শিরোনাম ‘New Directions Home’ । অনেকে পছন্দ করেI বার বার তিনি স্মরণ করিয়ে দিতেন আমাকে সবাইকে, ওই লেখাটার কথা। চাটগাঁ গেলে দেখা হতো, কিন্তু আমি বড় ব্যস্ত মানুষ, যোগাযোগ প্রায় রাখা হয়নি। খবর পেতাম ভালো আছেন।
৪. ২০১০ সালে আমি কানাডা থেকে ফিরে bdnews24.com এ যোগদান করি। সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী খুব দাওয়াতী মানুষ। অফিসে নিয়মিত আয়োজন হতো, বশির ভাই আসতেন, আড্ডা হতো। ওইসব গল্প যা ঘনিষ্ঠজনদের মাঝে হয়। তিনি আমার সিনিয়ার, আমরা এক সাথে কোনো শিল্প সাহিত্যের আন্দোলন করিনি, তাকে চিনেছি, তার সাহিত্য আর শিল্পের অনুরাগী হিসেবে। বড় কথা একজন সজ্জনতম মানুষ হিসেবে। সেই কারণেই বোধহয় তিনি ছিলেন সবার ঘনিষ্ঠ।
তিনি যে তার সকল পরিচয়ের ওপরে গিয়ে একজন প্রিয় মানুষ, এটাই বোধহয় মুর্তজা বশির ভাইয়ের শ্রেষ্ঠ পরিচয়।
ভালো থাকবেন, বশির ভাই, একদিন ওপরে তাকিয়ে আকাশে খুঁজে নেব এক আশ্চর্য কাঁচের ঈগল ডাকছে, বাংলাদেশের আকাশে উড়ছে।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে ‘৫০ স্প্রিং অব ফ্রিডম’ আর্ট ক্যাম্প সম্পন্ন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রবিবার চট্টগ্রামে গ্যালারি কসমস আয়োজিত চারদিন ব্যাপী ‘৫০ স্প্রিং অব ফ্রিডম’ আর্ট ক্যাম্প শেষ হয়েছে।
হিডেন হার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং কসমস ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহায়তায় বাংলাদেশে’র গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জনের সু্বর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে বিশেষ চিত্র-কর্মশালাটি আয়োজিত হয়েছে।
আয়োজনটি সম্পর্কে গ্যালারি কসমস এবং কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘স্বাধীনতার এই গৌরবময় সুবর্ণজয়ন্তী অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। আমাদের এই দেশ পৃথিবীর বুকে যেন এক টুকরো ভূ-স্বর্গ, যে দেশে রয়েছেন বিশ্বমানের সব প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী। এই বিশেষ সময়ে আয়োজিত এই বিশেষ চিত্র-কর্মশালাটি আমাদের গ্যালারি কসমস এবং কসমস ফাউন্ডেশনের চলমান চিত্রকর্ম-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম এবং উদ্যোগসমূহের মাঝে অন্যতম এবং আমাদের দেশের এই গুণী এবং প্রতিভাবান চিত্রশিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত এই বিশেষ কর্মশালাটির সাথে জড়িত হতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত।’
বসন্তের মনোরম পরিবেশে প্রকৃতি এবং জীবনের মাঝে বিদ্যমান সম্পর্ক এবং সংহতি শিল্পীদের রং তুলি এবং ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরের ফিনলে হিলে দেশের আটজন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পীকে সাথে নিয়ে চার দিনব্যাপী এই বিশেষ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এ বছর লালন স্মরণোৎসব স্থগিত
শনিবার চিত্র-কর্মশালাটিতে উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাবতী আমাদের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এমন মনোরম পরিবেশে গুণী এই চিত্রশিল্পীদের নিয়ে এমন ব্যতিক্রমী একটি আয়োজন সত্যিই ভীষণ প্রশংসার দাবিদার। আমি এই আয়োজনে আসতে পেরে ভীষণ আনন্দিত, একইসাথে আমাদের শহরে বসন্তের এই বর্ণিল আয়োজনে স্বাধীনতার ৫০তম বসন্ত উদযাপনের এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের উদ্যোক্তা গ্যালারি কসমস, আয়োজক হিডেন হার ফাউন্ডেশন এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা কসমস ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক এবং ডিবিএল গ্রপের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রহিম শুক্রবারে এই বিশেষ চিত্র-কর্মশালার উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত থেকে সার্বিক আয়োজনের প্রতি তাদের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।
রুবানা হক বলেন, ‘সাধারণত আমরা এ ধরনের পরিবেশে এরকম বিশেষ আয়োজন সচরাচর দেখতে পাই না। আমি এই চিত্র-কর্মশালায় বিশিষ্ট এই শিল্পীদের অংশগ্রহণ দেখে এবং এই আয়োজনে আসতে পেরে আনন্দিতবোধ করছি।’
চিত্র-কর্মশালাটির আয়োজনে থাকা হিডেন হার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক সুনেহরা ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের এই স্বাধীন দেশে প্রকৃতির বর্ণিল সব আয়োজন উপভোগ করতে পারতাম না, যদি আমরা বীরত্বের সাথে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্জন করতে না পারতাম। বসন্তের এই স্নিগ্ধ প্রকৃতির রঙিন আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রয়াসে এই কর্মশালা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
চার দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী দেশের আটজন বিশিষ্ট এবং উদীয়মান চিত্রশিল্পীদের নবীন-প্রবীণ এই দলে ছিলেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী, কনক চাঁপা চাকমা, আনিসুজ্জামান আনিস, অনুকূল চন্দ্র মজুমদার, আজমীর হোসেন, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আবদুল্লাহ আল বশির এবং মং মং শো।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম চিত্রশিল্পী এবং শিক্ষক বিশ্বজিৎ গোস্বামী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ যেমন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব অর্জনের লড়াইয়ে আমাদের একতাবদ্ধ এবং উজ্জীবিত করেছিল, তেমনি একইসাথে প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেরও এক প্রকার অন্তর্নিহিত শক্তি রয়েছে আমাদেরকে একীভূত করার। আমাদের এই কর্মশালাটির প্রধান উদ্দেশ্য আমাদের এই স্বাধীন দেশে ঋতুরাজ বসন্তের ৫০তম বর্ষ উদযাপন করা, যা কিনা একই সাথে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী-সব মিলিয়ে একসাথে আমাদেরকে প্রকৃতির মাঝে নিজেদের শিল্পসত্ত্বাকে নতুন করে আবিষ্কার করার সুযোগ এনে দেয়া। এই কর্মশালাটির অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি।
বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এই কর্মশালার মিডিয়া পার্টনার ছিল।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ঐতিহ্যবাহী ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতা
৩ বছর আগে
তাড়িয়ে দিল সন্তানরা, ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মায়ের স্থান হলো নৌকার নিচে
নড়াইলে এক বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তারই সন্তানরা। গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে এ বাড়ি ও বাড়িতে অবস্থানের পর সবশেষ গত ১২ দিন ধরে নৌকার নিচে বসবাস করছেন ওই বৃদ্ধা।
৪ বছর আগে
প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ারের জন্মদিন আজ
প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী, চারুকলার অধ্যাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুস্তফা মনোয়ারের জন্মদিন আজ।
৪ বছর আগে