ফেরত
ফেরত যাবে মিয়ানমারের ১৮০ সেনা, ফিরবে ১৭০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৮০ জন সীমান্তরক্ষী ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ১৭৭ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য ও পরে তাদের তিনজন সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে। তারা নৌপথের প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা এ সপ্তাহেই তাদের ফেরত পাঠাবো বলে আশা করছিলাম। কিন্তু সমুদ্র অনুকূলে না থাকায় আগামী সপ্তাহে বা সমুদ্র শান্ত হলে সহসাই তাদের পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহায়তায় উপকূলের সুবিধাবঞ্চিত ১২শ’ তরুণীর কর্মসংস্থান করেছে ব্র্যাক
পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটিতেও তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে জানান ড. হাছান।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ১৩ মার্চ জেনেভায় অনুষ্ঠিত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) সভায় আন্তুর্জাতিক পর্যায়ে কেমন সাড়া মিলছে -এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ডে জেআরপি সভায় আমাদের পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব যোগ দিয়েছেন এবং আমাদের প্রস্তাবিত অর্থ ও সহযোগিতায় গত বছরের তুলনায় ভালো সাড়া মিলছে।
আরও পড়ুন: অটিজম সচেতনতায় দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী বাংলাদেশ: মিয়ানমারে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত
৭ মাস আগে
হজের সাড়ে ৩ হাজার কোটা ফেরত যাবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ পালনে সাড়ে তিন হাজার হজযাত্রীর কোটা সৌদি আরবে ফেরত যাবে।
তিনি বলেন, কোটা ফেরত দেওয়া হলেও তা আগামী হজে প্রভাব ফেলবে না।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে ‘ই-হজ মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘হজ ও ওমরাহ সহয়িকা প্রকাশনা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজের নিবন্ধন শুরু হয়। এরপর আট দফা বাড়ানো হয় নিবন্ধনের সময়। এর মধ্যেও কোটা পূরণ হয়নি।
শেষে নবম দফায় মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) নিবন্ধনের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়। এরপরও কোটা পূরণ হয়নি।
মোট এক লাখ ২০ হাজার ৪৯১ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। কোটা পূরণে এখনো ছয় হাজার ৭০৭ জন বাকি। তবে হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বাদ দিয়ে সাড়ে তিন হাজারের কোটা খালি থাকবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
কোটা পূরণ না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজের নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না। কোটা যতটুকু খালি আছে ততটুকু সৌদি আরবে ফেরত যাবে। এটা আর পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, এবার সাড়ে তিন হাজারের মতো হজযাত্রীর কোটা খালি থাকছে, সেটি সৌদি আরবকে ফেরত দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হজ প্যাকেজের খরচ কমাবে সরকার: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আমরা গত বছর দুই হাজার ৪১৫ জনের কোটা সৌদি সরকাররের কাছে চেয়ে নিয়েছিলাম। দুই-তিন হাজার এটা কোনো বিষয় নয়। হজের পরে আপনারা প্রমাণ পাবেন সারাবিশ্বের অবস্থা কী হয়, আর আমাদের কী অবস্থা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উন্নত হজ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। হজের প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, হজ যাত্রীদের টিকা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান, আবাসন ব্যবস্থার তথ্যাদি, লাগেজ ব্যবস্থাপনা, হারানো হজযাত্রী খুঁজে পাওয়াসহ যাবতীয় সেবা কার্যক্রমে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।
এছাড়া হজ এজেন্সিগুলো প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে হজযাত্রী এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অংশীজনদের জন্য হজ পালনসহ ধর্মীয় অন্যান্য বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে ই-হজ মোবাইল অ্যাপ এবং হজ ও ওমরাহ সহায়িকা প্রকাশ করা হয়েছে। এটি স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি চমৎকার উদ্যোগ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ই-হজ মোবাইল অ্যাপটি আজকে পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করা হলো। প্রাথমিকভাবে প্রাক-নিবন্ধন ও প্রাক নিবন্ধন রিফান্ড আবেদন এই সিস্টেমের মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাশাপাশি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন তথ্য এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। ফলে হজযাত্রীরা এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে ভাউচার তৈরি করতে পারবেন।
আগামীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা নিয়ে অনলাইনে প্রাক নিবন্ধন ও নিবন্ধনের আর্থিক লেনদেন নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বর্তমানে ই-হজ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সেবাও পর্যায়ক্রমে মোবাইল অ্যাপটিতে সংযুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: মহানবীর শিক্ষা ও আদর্শ মুসলিম উম্মাহকে উদার ও মানবিক হতে শিক্ষা দেয়: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশি ৪০ জেলেকে ফেরত পাঠাল ভারত
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ভারতে আটক ৪০ জন বাংলাদেশি জেলেকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে ৭২ দিন আটক থাকা ৪০ জন জেলেকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে ভারতীয় পুলিশের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: সুন্দরবনে জেলে বাওয়ালীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনার পরপরই জেলেদের ফিরিয়ে আনতে আমি একাধিকবার ভারতে গিয়েছি। ভারতের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪০ জন জেলে আটক রাখা হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৯ আগস্ট গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালি বাগেরহাটসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়।
ট্রালারের জেলেরা সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করে। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সে সময় তাদের আটক করে। ৭২ দিন আটক থাকার পর আইনি প্রক্রিয়ায় শেষে আজ তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ইউনুছ আলী নামে একজন জেলের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।
তিনি আরও বলেন, ইমিগ্রেশনের কাছ থেকে ‘জাস্টিস এন্ড কেয়ার’ নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে প্রত্যেকের সজনদের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিত্রাং: ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড
মোংলা বন্দরে ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ২১
২ বছর আগে
৫ দিন পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার পাঁচদিন পর চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ছোট বলদিয়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ীর লাশ ফেরত দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দামুড়হুদা সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে মুনতাজের লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে লাশটি দর্শনা থানা পুলিশ জিম্মায় নেয়।
নিহত মুনতাজ আলি (৩৫) হোসেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত
পতাকা বৈঠকে ভারতের পক্ষে বিএসএফের বিজয়পুর ক্যাম্পের ইনস্পেক্টর মহেশ রায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা বিজিবির-৬ ব্যাটালিয়ন সহকারি পরিচালক ইমরান শেখ পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
এবিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াকের সরকারি নাম্বারে একাধিক কল করলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
দর্শনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার সরকার বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
তিনি জানান, দর্শনা পুলিশ লাশ হস্তান্তরের পর নিহতের পরিবারের কাছে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পাঁচ দিন পর লাশ হস্তান্ত করল বিএসএফ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে অবৈধভাবে গরু নিয়ে আসার জন্য ভারত সীমান্তে যান মুনতাজ হোসেনসহ তার সঙ্গীরা। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি চালালে মুনতাজ নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
পরদিন রবিবার সকালে ভারত সীমান্তের মধ্যে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা। ওইদিনই বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি কৃষক
কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
২ বছর আগে
অক্টোবর থেকে কলড্রপে টকটাইম ফেরত: বিটিআরসি
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সোমবার চালু করা একটি নির্দেশিকা অনুসারে, মোবাইল ফোন অপারেটরদের অক্টোবর থেকে কলড্রপের জন্য টকটাইম ফেরত দিয়ে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মোবাইল ফোন কলড্রপ, কলড্রপ সংক্রান্ত তথ্য ও টকটাইম ফেরত সংক্রান্ত অপারেটরদের জন্য নতুন নির্দেশিকাটি বিটিআরসি কার্যালয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে:
একজন গ্রাহক সকল মোবাইল অপারেটরের জন্য একই ইউএসএসডি কোডের (*১২১*৭৬৫#)মাধ্যমে পূর্ববর্তী দিন বা সপ্তাহ অথবা মাসিক অননেট কলড্রপের পরিমাণ জানতে পারবে যা ১ অক্টোবর কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
মোবাইল অপারেটররা আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন প্রথম ও দ্বিতীয় কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য তিনটি পালস (৩০ সেকেন্ড) টকটাইম এবং পরবর্তী ৩য় থেকে ৭ম কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য চারটি পালস (৪০ সেকেন্ড) সহ গ্রাহকদের ফেরত দেবে।
কলড্রপের ফলে ফেরত টকটাইম পরের দিনের প্রথম কল (০০:০০ ঘন্টা) থেকেই ব্যবহারযোগ্য হবে। যার অর্থ দাঁড়ায়- ফেরত টকটাইম সর্ম্পণূরূপে ব্যবহার হওয়ার পূর্বে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হতে কলের জন্য কোনো টাকা কাটা যাবে না।
কলড্রপের ফলে ফেরত পাওয়া টকটাইম সম্পর্কে গ্রাহককে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে।
একজন অপারেটর চাইলে কলড্রপ হওয়ার দিন থেকে কল মিনিট ফেরত দিতে পারে।
কলড্রপের ফেরত দেয়া টকটাইম ব্যবহারের জন্য সর্বাধিক ১৫ দিনের সময়কাল প্রযোজ্য হবে।
নতুন গাইডলাইনকে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রাহক টাকা দিয়ে সেবা গ্রহণ করেন। তাই অপারেটরকে যথাযথ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ না দেয়ার চেয়ে অপারেটররা টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোয় বিনিয়োগ করলে কল ড্রপের হার কমে যাবে।’
মন্ত্রী অপারেটরদের প্রতি তাদের গ্রাহক বৃদ্ধির সাথে সাথে সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ডাকঘরকে ডিজিটাল করতেই হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২ বছর আগে
রানির মৃত্যু, ভারত কি এবার ফেরত পাবে কোহিনূর?
যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদী রাজত্বকারী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কোহিনূর বা কোহ-ই-নূর নামক হীরা ফেরত দেয়ার দাবি করছেন অনেক ভারতীয়। হীরা এই প্রয়াত রানির মায়ের জন্য তৈরি করা মুকুটে রাখা হয়েছিল।
ভারতীয় টুইটারাটি দাবি করতে শুরু করেছে যে ১০৫-ক্যারেট ডিম্বাকৃতির ‘আলোর পাহাড়’ রত্নটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরপরই তার উৎপত্তিস্থলে ফিরিয়ে আনা হোক।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়
কোহিনূর হলো রানির মায়ের মুকুটের মাঝ বরাবর শোভা পাচ্ছে। এটি বর্তমানে সবচেয়ে দামি রত্নগুলোর একটি। ১৪ শতকে ভারতের গোলকুণ্ডা খনিতে হীরাটি পাওয়া গিয়েছিল এবং কয়েক শতাব্দীতে এটির মালিকানা বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৪৭ সালে ও পরবর্তীতে ভারত সরকার বহুবার কোহিনূরের প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করেছে। তবে ব্রিটেন ক্রমাগত এই দাবির বিরোধিতা করেছে।
রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কে পাচ্ছেন কোহিনূরের মুকুট?
সর্বশেষ বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানি কনসোর্ট ক্যামিলা এখন বিখ্যাত হীরার মুকুটটি পড়বেন। রাজা চার্লস তৃতীয় যখন আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে বসবেন তখনই রানি ক্যামিলা এটি প্রথম পড়বেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
ব্রিটেন কি ভারতকে কোহিনূর ফেরত দেবে?
রত্ন ফেরত দেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানা গেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা ২০১৬ সালে ভারত সফরের সময় বলেছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকার বিশ্বাস করে যে হীরা পুনরুদ্ধারের জন্য কোনও আইনি ভিত্তি নেই।’
কোহিনূর যেভাবে ভারত থেকে ব্রিটেনে গেল
লিখিত রেকর্ডে দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোহিনূর প্রথম সামনে আসে। মুঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬২৮ সালে সিংহাসনকে একটি বড় রত্নখচিত করার আদেশ দেন। স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের মাধ্যমে ইহুদি ধর্ম এবং খ্রিস্টান ধর্মের ইতিহাসে দেখা যায়, অলঙ্কৃত সৃষ্টিটি তার নকশার ইঙ্গিত নিয়েছিল ইসলামের কিংবদন্তী হিব্রু সুলতান সুলেমানের সিংহাসন থেকে।
আরও পড়ুন: রানির মৃত্যু: 'দ্য ক্রাউন' সিরিজের প্রোডাকশন স্থগিত
কোহিনূর হীরা এবং তৈমুর রুবি দুটি খুব বড় রত্ন ছিল যা অবশেষে সিংহাসনকে সাজানোর জন্য ব্যবহার করা সমস্ত মূল্যবান পাথরের মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান হয়ে উঠে। হীরাটি সিংহাসনের একেবারে শীর্ষে ময়ূরের মাথায় একটি উজ্জ্ল রত্নপাথর হিসেবে স্থাপন করা হয়।
পারস্যের নাদের শাহসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য রাজাদের এই ধরনের সম্পদে আগ্রহ জন্মেছিল।
১৭৩৯ সালে নাদের শাহের দিল্লী আক্রমণে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায় এবং মুঘল সাম্রাজ্যের অর্থনীতি ক্ষতিসাধন হয়। স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের ফিচার আরও তুলে ধরে যে নাদের তার লুটের অংশ হিসেবে ময়ূর সিংহাসনটি করায়ত্ত করেছিলেন এবং তিনি সিংহাসন থেকে বের করে কোহিনূর হীরা ও তৈমুর রুবি তার বাহুবন্ধনিতে পড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, রাজপরিবারের উত্তরাধিকারের নতুন আদেশ
কোহিনূর হীরাটি ৭০ বছর ভারত থেকে দূরে ছিল, যা শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের সম্পদে পরিণত হয়। একের পর এক ট্র্যাজেডিতে, এটি বেশ কয়েকটি রাজার হাত বদল হয়। এসব রাজাদের মধ্যে একজন নিজের ছেলেকে অন্ধ করেছিলেন, অন্যজন ক্ষমতাচ্যুত হন এবং তার মাথা গলিত স্বর্ণ দিয়ে আবৃত করা হয়।
বছরের পর বছর সংঘর্ষের পর, হীরাটি ভারতে ফিরে আসে এবং ১৮১৩ সালে শিখ রাজা রঞ্জিত সিং অধিগ্রহণ করে। কোহিনূরের প্রতি সিং-এর নির্দিষ্ট সখ্যতা রত্নটির মর্যাদা এবং ক্ষমতার আভাকে দৃঢ় করে। ১৮৩৯ সালে রঞ্জিত সিং-এর মৃত্যুর পর চার বছরে চারটি ভিন্ন লোকের হাতে মুকুটটি ছিল। সমস্ত বিশৃঙ্খলা অবসানের পর বালক দুলীপ সিং ও মা রানি জিন্দানের জন্য হীরাখচিত মুকুটটি রাখা ছিল।
স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের ফিচারে বলা হয়েছে, ব্রিটিশরা, যারা ততদিনে ভারতের ওপর তাদের দখলদারিত্ব শক্ত করেছিল, তারা দুলীপকে একটি আইনি নথিতে সই করতে বাধ্য করেছিল। যার জন্য ১০ বছর বয়সী ছেলেটিকে কোহিনূর এবং সার্বভৌমত্বের সমস্ত দাবি ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
সেই দিক থেকে, রানি ভিক্টোরিয়া হীরাটির গর্বিত মালিক ছিলেন। ভিক্টোরিয়া একটি ব্রোচ হিসেবে কোহিনূর পরতেন, পরে এটি ক্রাউন অলঙ্কারের একটি অংশে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন
২ বছর আগে
ভারতে ৩ বছর কারাভোগ শেষে ফিরলো ১০ বাংলাদেশি
বিভিন্ন সময় ভালো কাজের আশায় ভারতে গিয়ে আটক হওয়া ১০ বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার।
বৃহস্পতিবার রাতে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারীকে বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট বিমানবন্দরে প্রবাসী নারীকে হয়রানির অভিযোগ
ফেরত আসার হলো- রোকসানা, মাহমুদা, গোলাপ মিয়া, সাকিব হোসেন, রাসেল মিয়া,আযশো, নাঈম, খোকন, সাগর, সাজু। এদের বাড়ি দেশের খুলনা, নড়াইল ও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ফেরত আসাদের গ্রহণ করেছে ‘রাইটস যশোর’ ও ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ নামে দু’টি এনজিও সংস্থা।
রাইটস যশোরের ফিল্ড অফিসার তৌফিক জানান, ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় দালালের খপ্পরে পড়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু যান। পরে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করলে তিন বছর মেয়াদে সাজা হয় তাদের। পরবর্তীতে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। এরপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে আজ তাদেরকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারীকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও রাইটস যশোর নামে দু’টি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করবে। যেহেতু তারা ভারত ফেরত সেহেতু তাদের ১৪ কোযারেন্টিনে থাকতে হবে। তারপর তাদের পরিবারে কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানান তিনি।
৩ বছর আগে
হজ: নিবন্ধনের টাকা ফেরতে ১২ জুলাইয়ের পর আবেদন
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছর হজে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় নিবন্ধনকারীরা চাইলে টাকা ফেরতের জন্য ১২ জুলাইয়ের পর আবেদন করতে পারবেন।
৪ বছর আগে
আটক ১৭ জেলেকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার
আটকের পর ১৭ জন বাংলাদেশি জেলেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের সদস্য তাদের গ্রহণ করেন।
৪ বছর আগে
সৌদিতে ধরপাকড় অব্যাহত, ফিরলেন আরও ৭৫ বাংলাদেশি
নভেম্বর মাসের প্রথম দিনে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৭৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিক।
৫ বছর আগে