কটূক্তি
মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে আ. লীগ নেতার ছেলে আটক
রাজশাহীতে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে শ্রী পার্থর দাস নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার তেলিপাড়ার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পার্থর দাস তাহেরপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাল ব্যবসায়ী শ্রী কালিপদ দাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মহানবীকে নিয়ে কটুক্তিকারী গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানান, পার্থর তার ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) ও উনার মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যের প্রতিবাদে একাধিক ব্যক্তি পাল্টা মন্তব্য করায় ফেসবুকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক ব্যক্তি তাহেরপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে মৌখিক অভিযোগ করলে তাকে আটক করে তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এদিকে জনতা ও ছাত্ররা তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে এবং তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় পার্থর দাসকে পুলিশ ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ ভ্যান ভাঙচুর করে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম ও ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ফেসবুকে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি: ২ যুবককে আটক
৩ সপ্তাহ আগে
শেখ হাসিনাকে কটূক্তির মামলায় রাশেদ খানকে অব্যাহতি
ফেসবুক লাইভে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ২০০ কেজি ইলিশ জব্দসহ ২২ জেলে আটক
এদিন এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য ছিল। তবে কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। পরে রাশেদের আইনজীবী জাহেদুর রহমান তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাকে মামলায় দায় থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন। এসব মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে- এমন অভিযোগে ওই বছরের ১ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। ওই দিনই রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এরপর তদন্ত শেষে রাশেদকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
২ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাইকে ৭ মার্চের ভাষণ বন্ধ, কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ মাইকে বাজানো বন্ধ করা এবং কটূক্তি করার অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(৭ মার্চ) দুপুরে ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে এই ঘটনা ঘটে।
আটক প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম কলেজটির আরবি বিভাগের শিক্ষক।
জানা যায়, মাইকে ভাষণ চালানোর সময় তৌফিকুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নানান কটূক্তি করে মাইকটি বন্ধ করে দেন। পরে অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কলেজে জড়ো হয়ে বিচার দাবি করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজ ভাষণের দিন। দিনটি উপলক্ষে কলেজে নানান কর্মসূচি নেওয়া হয়। কিন্তু প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম এসে হঠাৎ করেই ভাষণটি বন্ধ করে দেন।
এসময় তিনি কটূক্তি করে বলেন, ‘মরা মানুষের ভাষণ শুনে কী হবে? সে তো কবরে আছে। বরং আমার ভাষণ শোন তোমাদের কাজে লাগবে।’
আরও পড়ুন: যশোরে অস্ত্রসহ ‘কিশোর গ্যাং’য়ের ৯ সদস্য আটক
জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন জানান, একজন শিক্ষক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটূক্তি ও ৭ মার্চের ভাষণ বন্ধ করে চরম অপরাধ করেছেন। বিষয়টি পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে পরিচালনা কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন আইরন জানান, একজন রাষ্ট্রদ্রোহী হলেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে। প্রভাষক তৌফিক এর আগেও জাতির পিতা সম্পর্কে কটূক্তি করে রেহায় পাওয়ার কারণে আবারও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
তবে নিজের অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে ষড়যন্ত্র বলছেন প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম।
ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও-ভারপ্রাপ্ত) আন্জুমান সুলতানা জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. তৌফিকুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করবেন। এরপর আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ৫৫ রেস্তোরাঁ থেকে ১২টি ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার, আটক ৫৭
৯ মাস আগে
বিচারপতিকে নিয়ে কটূক্তি: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে ৫ মাসের কারাদণ্ড
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার জেরে আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার উপস্থিতিতে সাজার এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, হাবিবুর রহমান দেশের জনগণের কাছে ভুল মেসেজ দিয়েছেন। বিচার বিভাগকে তিনি হেয় করেছেন। এই অবস্থায় আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন না। কোর্টকে কবর দেওয়া মানে দেশকে কবর দেওয়া, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আদালতে হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় নারীর ৫ বছর কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। সাজা দিয়ে আদেশ ঘোষণার আগে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে তাকে হাইকোর্টে হাজির করে।
টকশোতে হাবিবুর রহমান হাবিব যে বক্তব্য দিয়েছিলেন শুনানির শুরুতে ল্যাপটপের মাধ্যমে তা আদালতকে দেখানো হয়।
এসময় আদালতের প্রশ্নের জবাবে পাবনা জেলা বিএনপির এই সভাপতি আদালতকে বলেন, আমি শপথ করে বলছি আমি এই বক্তব্য দিয়েছি। আমি আদালতের কাছে কিছু কথা বলতে চাই। তখন হাইকোর্ট তাকে কথা বলার অনুমতি দেন।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন বিপন্ন। আমি তার জন্য আমার লিভার প্রয়োজনে দিয়ে দেব। খালেদা জিয়া এমন এক মহীয়শী নেত্রী। তিনি আমার মা। আমার মাকে যদি কেউ কটু কথা বলে সে মারা গেলেও তো তাকে ছাড়ব না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভক্ত। তিনি বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় জাগরণ সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, আমার মমতাময়ী মা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আমার লিভার, কিডনি, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। আমার ১০০ বছরের সাজা হলেও আমি ভয় পাই না।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেন হাইকোর্ট।
৬ নভেম্বর তাকে হাজির হতে বলা হয়। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ওই আদেশ অনুযায়ী ৬ নভেম্বর আদালতে হাজির হননি তিনি। যে কারণে ৮ নভেম্বরের মধ্যে তার বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে এ তথ্য জানাতে বলা হয়।
৮ নভেম্বরও আদালতের তলবে হাজির না হওয়ায় হাবিবকে হাইকোর্টে হাজির করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে হাজির করতে পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, আমেরিকা প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটূক্তি ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে আতিফ মাহমুদ নামে এক আমেরিকা প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রবাসী ওই যুবকের নামে রংপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন মঞ্জুর
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন গাইবান্ধা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শেখ রোহিত হাসান রিন্টু।
রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. আবদুল মজিদ মামলাটি আমলে নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী শাম্মী আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামি আতিফ মাহমুদ গাইবান্ধা মাস্টারপাড়া পৌর এলাকার প্রয়াত চিকিৎসক দেলওয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বর্তমানে আমেরিকার বুয়েনোস রাজ্যে বসবাস করছেন।
এদিকে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে আসামি আতিফ মাহমুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব, আপত্তিকর মন্তব্য, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য প্রচার করে আসছেন।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিরুদ্ধেও বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন ওই প্রবাসী।
রবিবার মামলা দায়েরের পর বাদী শেখ রোহিত হাসান রিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার সুনাম নষ্ট করার জন্য, তাকে বেকায়দায় ফেলার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নামে কটাক্ষ করবে, অপপ্রচার চালাবে, তার ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব অতি শিগগিরই যেন ওই আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
আত্মসাৎ মামলা: দুদকে ড. ইউনূস
১ বছর আগে
নড়াইলে নবীকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে আটক ১
নড়াইলের কালিয়ায় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটুক্তি করার অভিযোগে অনিমেষ বিশ্বাস নামে একজনকে আটক করেছে উপজেলার নড়াগাতী থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অনিমেষ উপজেলার কলাবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের বিমল বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: যশোরে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কালিনগর গ্রামের জালাল শেখের দোকানের সামনে ওই গ্রামের সামাদ কাজীসহ কয়েকজন মুসলমানের সঙ্গে ধর্ম নিয়ে তর্ক হয় অনিমেষের। একপর্যায় ইসলাম ধর্ম ও নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করেন।
ঘটনাটি ওইদিন সন্ধ্যার দিকে জানাজানি হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একপর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তখন অনিমেষ পালিয়ে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. দুলু কাজীর নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে নড়াগাতী থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
নড়াগাতি থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, এই ঘটনায় অনিমেষকে আটক করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
কালিয়ার ইউএনও রুনু সাহা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। স্থানীয় ওলামা পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বালুর ট্রাক থেকে ১৫০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ১
গাইবান্ধায় মানুষের মাথার খুলি জব্দ, কবিরাজ আটক
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ জুলাই) সকালে উপজেলার খামার হঠাৎপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবক আমানুল্লাহ আমান (২৮) হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের খামার হঠাৎপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আবু তালেবের ছেলে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে দেওয়া কুরুচিপূর্ণ পোস্টে আমি সংক্ষুব্ধ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মানহানি আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। সে জন্যই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
জানা যায়, আমান ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে ‘কটূক্তি’ করে আপত্তিকর কথা লেখেন। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাপ্ত করাসহ সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টা ও মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সহিদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে করা মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করার মামলায় আমানুল্লাহ আমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আরসার সামরিক কমান্ডার গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় 'আল্লাহর দলের' সদস্য গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট, যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে গালাগাল করে ভিডিও করে তা ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
রবিবার (২ জুলাই) রাতে উপজেলার শেখেরখীল মৌলভীবাজার এলাকা থেকে আরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত মো. আরিফুল ইসলাম (২৬) শেখেরখীল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে নানা অশালীন মন্তব্য করছেন আরিফ। আর এসবের ভিডিও ধারণ করতে বলছেন আরেক যুবককে।
এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রবিবার রাতে আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে বাঁশখালী থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেশায় পান দোকানদার ওই যুবক অনেকটা মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাই তিনি প্রায়সময় এ ধরনের কাজ করেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার নিয়ে বাজে কটূক্তি করায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিজাব পরতে মানা ও মহানবীকে কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: স্মৃতিকে জামিন দিলেন আপিল বিভাগ
১ বছর আগে
হিজাব পরতে মানা ও মহানবীকে কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তির অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে অভিভাবকদের সামনে ওই শিক্ষক ইসলামের নবীকে কটূক্তি করার অভিযোগে মামলা করেন এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি। মামলা নম্বর ২৬।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, ৪ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ গ্রেপ্তার: র্যাব
গ্রেপ্তার ব্যক্তি মো. আবু সালেহ (৫০) উপজেলার কয়া চাইল্ড হিভেন গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং কয়া মালিথাপাড়া গ্রামের মৃত আ. জব্বারের ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ ও ক্যাপ পরতে উদ্বুদ্ধ করেন। অভিভাবকরা এর প্রতিবাদ করলে শিক্ষক তাদের সামনে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেন। পরে অভিভাবকরা বিষয়গুলো এলাকায় জানালে স্থানীয়রা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘেরাও ও প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের আশস্ত করেন এবং ছত্রভঙ্গ করে দেন। এরপর ওইদিন রাত ১২টার পরে এনামুল হক নামের একজন থানায় মামলা করেন। উক্ত মামলায় বুধবার ভোর রাতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন হোসাইন জানান, মহানবী (সা.) কে কটূক্তি করায় মঙ্গলবার রাতে একজন ব্যক্তি মামলা করেন। পরে বুধবার ভোরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসারের নায়েবে আমির গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
চট্টগ্রামে হত্যাসহ ১০ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: স্মৃতিকে জামিন দিলেন আপিল বিভাগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজবাড়ী মহিলা দলনেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে (৩৫) হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যক্তির চলাফেরায় বাধা দেয়া যাবে: আপিল বিভাগ
আদালতে স্মৃতির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ।
পরে আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, আপিল বিভাগ রাজবাড়ীর স্মৃতির হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন। তার জামিনের ওপর চেম্বার আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর ফলে স্মৃতির মুক্তিতে বাধা নেই।
গত ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে স্মৃতির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারিক আদালত। রাজবাড়ীর ১নং আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়ছুন নাহার সুরমা এ আদেশ দেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর স্মৃতিকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি সাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে গত ২ নভেম্বর স্মৃতিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী আজ এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি হয়।
গত বছরের ৪ অক্টোবর মধ্যরাতে শহরের ৩নং বেড়াডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বামীর নাম মো. খোকন মিয়া। তিনি প্রবাসী। সোনিয়া আক্তার স্মৃতি শহরের ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির নিয়োগ
ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত চলবে: আপিল বিভাগ
১ বছর আগে