শিশু ধর্ষণ
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরের বোয়ালামারীর ইছাডাঙ্গা গ্রামের ১১ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রাসেল সিকদার নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ৩০২ ধারায় আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর দেড়টায় ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
রাসেল বোয়ালমারী থানার ইছাডাঙ্গা গ্রামের মনোয়ার সিকদারের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় রাসেল আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২২ আগষ্ট সন্ধ্যার দিকে শিশুটি টাকা আনতে গেলে রাসেল পাশের গোসল খানায় শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা জানাজানির ভয়ে শিশুটিকে হাত পা বেঁধে, গলায় ওড়না পেচিঁয়ে হত্যা করে।
পরে শিশুটির পরিবার শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি ও মসজিদে মাইকিং করতে থাকে এবং ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাসেল তখন পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়।
পরে রাসেলের দেখানো মতে গোসল খানার ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাসেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যার বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মো. মোক্তার হোসেন পরের দিন বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক মো. আজাদ হোসেন ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত শুনানি শেষে আজ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
৫ মাস আগে
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সদর দপ্তরের সহায়তায় গত রাতে (বৃহস্পতিবার) গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে আত্নগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা।
আব্দুল কুদ্দুস (৩৯) একই গ্রামের সিহাব আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ২০০৬ সালের ২০ জুন বাগাতিপাড়া উপজেলার খাটখৈর গ্রামের ৮ বছরের শিশুকে বাদাম দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় একটি আখ খেতে নিয়ে যায় আব্দুল কুদ্দুস। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশের অভিযোগপত্র ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পলাতক অবস্থায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
১ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলায় ঢাকা থেকে যুবক গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার এক আসমিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে র্যাব-৫ ও র্যাব-১ এর যৌথ একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার কাউসার আলী (৩৯) জেলার নাচোল উপজেলার চৌপুকুরিয়া এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে।
আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস থেকে নামিয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
তিনি বলেন, কাউসার আলী গত ১২ আগস্ট গভীর রাতে তার শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে থাকা ৪ বছরের শিশুটিকে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে কাউসার পালিয়ে যায়। পর দিন ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে এ ঘটনায় নাচোল থানায় মামলা দায়ের করেন।
কাউসার আলী শিশুটির আপন খালু বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, মামলার এজাহার ও গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তি করে র্যাব-৫ এর একটি দল ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে। নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা থানার পূর্ব বাড্ডা কবরস্থান রোড এলাকা থেকে র্যাব-৫ এবং র্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে র্যাব পরিচয়ে পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১ এর মেজর মোহাম্মদ মাসুদ হায়দার এবং র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকির।
কাউসার আলীকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুরে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার চাচাতো ভাই তানভিরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাৎক্ষনিকভাবে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকের একটি টিম ২ ঘন্টা ধরে অস্ত্রপচার সম্পন্ন করেন।
এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তানভির পলাতক রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন।
তানভির (২২) দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ভুক্তোভোগীর পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে তানভির তার নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় শিশুটিকে। পরে সেখানে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসলে তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হতে দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। এরপরই দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত তানভিরের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গাইনি ও সার্জারি চিকিৎসকের একটি টিম অস্ত্রপচার সম্পন্ন করেছেন। আমরা শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। অভিযুক্ত তানভিরকে ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে রান্টু নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট লালপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের শ্রমজীবী দম্পতির অনুপস্থিতিতে তাদের বাড়িতে ঢুকে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছিল প্রতিবেশি দিনমজুর রান্টু (৫৩)।
এ ঘটনায় মামলা হলে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিচারক বুধবার এ রায় দেন।
রায়ে আসামিকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সেই টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
নাটোরে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
নাটোরে আট বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বিকালে জেলা শহরতলীর দত্তপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিজু হোসেন ওই এলাকার আল আমিনের ছেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, বুধবার বিকালে দত্তপাড়া এলাকার বিজু হোসেন ফুসলিয়ে প্রতিবেশির শিশুকন্যাকে নিজেদের বাসায় নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও বলেন, শিশুর চিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় বিজু। গ্রাম প্রধানরা এলাকাতেই মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে সময় ক্ষেপণ করে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে আজ (শুক্রবার) সকালে বিজুকে অভিযুক্ত করে নাটোর থানায় মামলা করেন।
পরে ওই শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে যুবকের ফাঁসির আদেশ
ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আটক ১
১ বছর আগে
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর চিকিৎসাধীন শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় লিটন মাতুব্বর (২২) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ মে) দুপুর ১২টায় ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিুজুর রহমান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ২০০২ সালে হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৪ জনের যাবজ্জীবন, ৪৪ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা বাজারে চায়ের দোকানে পানি সরবরাহ করে থাকেন। এজন্য তাকে বেশিরভাগ সময় কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর সুবাদে শিশুটি বাড়িতে একাই থাকতো।
এই সুযোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া গ্রামের রাশেদ মাতুব্বরের ছেলে আসামি লিটন মাতুব্বর শিশুটির বাড়িতে যাতায়াত করে ও সখ্য গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে লিটন নানা প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটির মা বাড়িতে না থাকায় লিটন বাড়িতে প্রবেশ করে শিশুটির মুখে কাপড় গুজে তাকে ধর্ষণ করে এবং এ কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়।
কাউকে এ কথা বললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় লিটন।
পরবর্তীতে শিশুটি এ কথা কাউকে না বলে ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে।
প্রায় দুই মাস পর শিশুটি তার মায়ের কাছে সব কথা খুলে বললে, শিশুটির মা তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
সেই সঙ্গে তিনি কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও করেন। তবে ওইসব সালিশের রায় মানেনি লিটন।
পরে এ ঘটনার ৭৩ দিন পর শিশুটির চাচা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ লিটন মাতুব্বরকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরদিন ২৫ মার্চ শিশুটি চিকিৎসাধীন মারা যান।
ঘটনা তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার মন্ডল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি স্বপন পাল বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(২) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় একমাত্র আসামি লিটন মাতুব্বরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সকল প্রমাণাদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ৯(২) ধারায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায়, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামিকে এক লাখ টাকা দিতেই হবে। এখানে অনাদায়ের বিষয় রাখা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ রায় সমাজে সুস্থতা ফিরতে ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। আমরা এ রায়ে অত্যন্ত খুশি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে এতিম শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীকে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপাপ্ত রাজা হোসেন লালপুর উপজেলার ধনঞ্জয়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতের বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন,২০০২ সালের ৩ জুলাই লালপুর উপজেলার ধনঞ্জয়পাড়া গ্রামের রাজা হোসেন নামে এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাশের কচুয়া গ্রামের ১৩ বছরের এতিম শিশুকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার চাচি বাদি হয়ে মামলা করলে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আজ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ২০১৬ সালে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং শিশু আইনে একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সোহাগ (২৯) ও সাগর (২৭)। এদের দুইজনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আটকাদেশ প্রাপ্তের নাম রনি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার ঢুলিয়া গ্রামে জলসার মেলা থেকে ১০ বছরের শিশুকণ্যাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী বিলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে সোহাগ, সাগর ও রনি নামে তিনজন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক সোহগ ও সাগরকে যাবজ্জীবন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপর আসামি রনিকে শিশু আইনে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
কচুয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
চাঁদপুরের কচুয়ায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ৯ ২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. হেঞ্জু মিয়ার (৩২) বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার করোইইয়া পূর্বপাড়ায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল বিকালে আট বছর বয়সী ভুক্তভোগী তার ছয় বছর বয়সী ভাইকে নিয়ে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: খুলনায় আজিজ হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন
এ সময় তার ছোট ভাইয়ের সেন্ডেল ছিড়ে যায়। তখন আসামি হেঞ্জু মিয়া তার সেন্ডেল ঠিক করে দেয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। এসময় ভুক্তভোগী ও তার ছোট ভাইয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে হেঞ্জু মিয়াকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পুলিশ অভিযুক্ত হেঞ্জু মিয়াকে থানায় নিয়ে যায় এবং ভুক্তভোগীকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে ওই শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কচুয়া থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াজেদ আলী ঘটনাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৮ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলা চলাকালীন আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন।
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল কাদির।
আরও পড়ুন: এসিড নিক্ষেপ মামলায় ১৩ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন
১ বছর আগে