শিশু ধর্ষণ
ভুট্টাখেতে শিশুর ঝলসানো বিবস্ত্র লাশ, ধর্ষণ সন্দেহ পুলিশের
পাবনার চাটমোহর থেকে নাটোরের বড়াইগ্রামের এক প্রবাসীর ৭ বছরের শিশুকন্যার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় লাশের মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো ছিল। শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে অ্যাসিডে মুখ ঝলসে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুটি বড়াইগ্রাম উপজেলার গারফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহেরুল ইসলামের মেয়ে। স্থানীয় মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল সে।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, নানা-নানীকে কুপিয়ে জখম
পুলিশ জানায়, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গতকাল (সোমবার) শিশুটি বেড়াতে বের হয়। পাশেই দাদিবাড়ি গিয়ে তার সেমাই খাওয়ার কথা ছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলেও দুই বাড়ির কোথাও সে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। তবে কাল তাকে খুঁজে পায়নি কেউ। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারা শিশুটির পরিবারে খবর দেন, এরপর পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে নাটোর ও পাবনা জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শিশুটির মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো এবং শরীর বিবস্ত্র ছিল। পরে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে লাশটি পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও শিশুটির প্রতিবেশী এমদাদুল হক বলেন, এলাকার কৃষকরা খেতে কাজ করতে গিয়ে প্রথম তার লাশ দেখতে পায়। পরে পরিবারে খবর দিলে আমরা সেখানে যাই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তার মুখের পুরোটাই পোড়া ছিল। গায়ে কোনো কাপড় ছিল না। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষণ্ড দুর্বৃত্তরা। লাশের মুখ যাতে চেনা না যায়, তার জন্য অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘শিশুটিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায় (নাটোর) হলেও লাশটি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাবনার চাটমোহর এলাকায় পাওয়া গেছে। ফলে সংঘটিত অপরাধটির মামলা চাটমোহর থানায় লিপিবদ্ধ হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশের তদন্ত দল মাঠে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’
২ দিন আগে
নবাবগঞ্জে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার
ঢাকার নবাবগঞ্জে ৭ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রীকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে নাজিম নামের এক সিএনজিচালক। ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা নাজিমকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হলে আজ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি ওই এলাকার এক প্রবাসীর মেয়ে। প্রতিবেশী ধর্ষক নাজিম শিশুটিকে বাড়ির গোসলখানায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথমে তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে রাতে মিটফোর্ড হাসপাতাল পাঠায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে আজ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষক জাহিদুলের মৃত্যুদণ্ড
মঙ্গলবার রাত ৮টায় ধর্ষণের খবর স্থানীয় জনতা ধর্ষক সিএনজিচালক নাজিমকে গণপিটুনি দিয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশে দেয় বলে জানান তিনি।
শিশুটি বাড়ির পাশের একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, এ ব্যপারে আজ বুধবার দুপুরে ধর্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটা মামলা হয়েছে।
২৯ দিন আগে
শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষক জাহিদুলের মৃত্যুদণ্ড
খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রীতে সাত বছরের একটি শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ম বিষয়ের গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোসাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় দেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদী বলেন, ‘সব ধর্ষকের কঠিন সাজা হওয়া উচিত, যাতে কেউ এমন ঘৃণ্য কাজের সাহস না পায়।’
এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চাদলতে যাবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষ। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত জাহিদুলকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে জাহিদুল। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটিকে বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল
ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ও মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন তারা। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। শিশুটি তাদের জানায়, শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা খিলগাঁও থানায় এ মামলাটি করেন।
২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার জাহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
২৯ দিন আগে
আইন সংশোধনসহ শিশু ধর্ষণের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে সরকার
শিশু ধর্ষণের মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আইন প্রণয়নসহ বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আগামী বৃহস্পতিবার সংশোধিত আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, প্রস্তাবিত পরিবর্তনের সঙ্গে মাগুরার মেয়েটির মামলার কোনো সম্পর্ক নেই, তার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
৩১ দিন আগে
জামালপুরে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণ, মীমাংসা করতে ধর্ষকের চাচার ‘চাপ’
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় মোবাইলে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে পাঁচ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলেও তা তুলে নিয়ে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে নিতে ধর্ষকের চাচা ওই পরিবারটিকে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১০ মার্চ) উপজেলার চর পরতাবাজু গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল রাতেই শিশুটির মা বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ভুক্তভোগীর বাবা শাহীন ও চাচা সামিউল এই প্রতিবেদককের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘ধর্ষকের চাচা আব্দুর রহিম ড্রাইভার ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে নিতে চাপ দিচ্ছেন।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর ভুক্তোভোগীর প্রতিবেশী। তার বাবার নাম রবিউল ইসলাম। ভুক্তভোগী শিশুটিকে ছেলেটি ভাতিজি হিসেবে সম্বোধন করত এবং তাদের বাড়িতে তার যাতায়াত ছিল।
আরও পড়ুন: সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি
সোমবার দুপুরে শিশুটির মা সাংসারিক কাজে বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগে অভিযুক্ত ওই বাড়িতে গিয়ে ফুসলিয়ে শিশুটিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কাজ সেরে দুপুর ২টার দিকে বাড়ি ফিরে শিশুটির মা মেয়েকে না পেয়ে তার খেলার সঙ্গী অভিযুক্তের ছোট বোনের সঙ্গে খেলতে গিয়ে থাকতে পারে ভেবে তাদের বাড়িতে যায়। একপর্যায়ে তিনি অভিযুক্তের ঘরে মোবাইলে গানের শব্দ শুনে তার ঘরে প্রবেশ করে তার মেয়েটির সঙ্গে কিশোরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তার মা চিৎকার করে উঠলে ছেলেটি পালিয়ে যায়।
১০-১২ দিন আগেও ওই কিশোর শিশুটিকে তাদের গোয়াল ঘরে দুপুর বেলায় ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল-মামুন বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিশুটিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
৩৭ দিন আগে
ধর্ষকের বিচারসহ ৬ দফা দাবিতে উত্তাল শাহবাগ
মাগুরায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের বিচারের দাবিসহ চলমান একের পর এক ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকার ২০ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘কণ্ঠে আবার লাগা জোড়, ধর্ষকদের কবর খোড়’ প্রতিপাদ্যে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে রমজানে জনভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আপাতত ব্লকেডের বদলে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
কর্মসূচিতে ইতোমধ্যে নটরডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, হলিক্রস কলেজ, উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজসহ অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন। সময় যত এগোচ্ছে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে যোগ দিচ্ছেন বিক্ষোভে।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বাকৃবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এ সময় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখার পাশাপাশি জনসমক্ষে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত গড়াসহ ধর্ষণ প্রতিরোধে ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এছাড়া ধর্ষণের বিচার দ্রুত করতে আলাদা ট্রাইবুন্যাল গঠনের দাবিও তুলেছেন তারা।
৩৭ দিন আগে
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ
মাগুরায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাগুরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহিদ মিনারে এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
সমাবেশে সামিয়া জাহান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, নারীদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। ৫ আগস্টের পরে আমরা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন চেয়েছিলাম, কিন্তু পত্রিকা খুললেই শুধু ধর্ষণের খবর সামনে আসে। আজকে মাগুরায় আমাদের বোনের ওপর অত্যাচার হয়েছে, অন্যদিন আরেকজনের ওপর হবে। আমরা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হিটু শেখ আটক
মৌমিতা তাবাসসুম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দেশে আজ আইনের শাসন নেই। ধর্ষকরা কতটা নির্মম হতে পারে, তা আমরা মাগুরায় দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষকের কোনো দল নেই, তাদের কোনো ধর্ম নেই। তাদের একটাই পরিচয়—তারা অমানুষ। আমার দেশে আর কোনো বোন যেন ধর্ষণের শিকার না হয়, সেজন্য প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরায় বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শিশুটিকে তার বোনের স্বামী ও শ্বশুর ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নারীর স্বামী-শ্বশুরসহ মোট তিনজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
৪০ দিন আগে
মেহেরপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে বৃদ্ধের যাবজ্জীবন
মেহেরপুরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে তসলেম উদ্দীন মিস্ত্রি (৬০) নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তৌহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর স্থানীয় ৪ বয়সি শিশু বড়ির পাশে খেলা করছিল। তসলেম উদ্দিন চকলেটের লোভ দেখিয়ে পাশের একটি ঘাসের খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি অসুস্থ ও রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মাদকের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আইনে একটি মামলা করেন।
বিচারক দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তসলেম উদ্দীনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
মামলায় বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন রোকেয়া খাতুন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন একেএম আসাদুল আলম।
সন্তোষ জনক রায় পেয়েছেন বলে জানান বাদী পক্ষের পরিবার।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী একেএম আসাদুল আলম বলেন, ‘আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
আরও পড়ুন: চাচাতো ভাইকে হত্যার ২২ বছর পর দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
১৪০ দিন আগে
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরের বোয়ালামারীর ইছাডাঙ্গা গ্রামের ১১ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রাসেল সিকদার নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ৩০২ ধারায় আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর দেড়টায় ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
রাসেল বোয়ালমারী থানার ইছাডাঙ্গা গ্রামের মনোয়ার সিকদারের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় রাসেল আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২২ আগষ্ট সন্ধ্যার দিকে শিশুটি টাকা আনতে গেলে রাসেল পাশের গোসল খানায় শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা জানাজানির ভয়ে শিশুটিকে হাত পা বেঁধে, গলায় ওড়না পেচিঁয়ে হত্যা করে।
পরে শিশুটির পরিবার শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি ও মসজিদে মাইকিং করতে থাকে এবং ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাসেল তখন পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়।
পরে রাসেলের দেখানো মতে গোসল খানার ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাসেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যার বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মো. মোক্তার হোসেন পরের দিন বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক মো. আজাদ হোসেন ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত শুনানি শেষে আজ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
৩১৭ দিন আগে
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সদর দপ্তরের সহায়তায় গত রাতে (বৃহস্পতিবার) গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে আত্নগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা।
আব্দুল কুদ্দুস (৩৯) একই গ্রামের সিহাব আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ২০০৬ সালের ২০ জুন বাগাতিপাড়া উপজেলার খাটখৈর গ্রামের ৮ বছরের শিশুকে বাদাম দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় একটি আখ খেতে নিয়ে যায় আব্দুল কুদ্দুস। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশের অভিযোগপত্র ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পলাতক অবস্থায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
৫৫৯ দিন আগে