জোড়া খুন
বগুড়ার জোড়া খুন: শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিঠুসহ গ্রেপ্তার ৪
বগুড়ায় শরীফ ও রুমন হত্যার ঘটনায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারা হলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু, নিশিন্দারা খাঁপাড়া এলাকার শেখ সৌরভ, নিশিন্দারা পূর্বপাড়া এলাকার নাঈম হোসেন ও সুলতানগঞ্জ পাড়ার আজবিন রিফাত।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
এর আগে এ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত শরীফের মা হেনা বেগম।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, ওই এলাকার দুদু শেখের ছেলে নোমান আহম্মেদ ওরফে শরিফ ও রফিকুল ইসলামের ছেলে রুমন আহম্মেদ।
এ ঘটনায় হোসাইন ওরফে বুলেট নামে আরেক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আহত যুবক একই এলাকার বাদল সরকারের ছেলে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইয়ান ওলিউল্লাহ বলেন, শরীফ-রুমন হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে বগুড়ার নিশিন্দারা চাকর পাড়া এলাকায় শরীফ ও রুমনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: ঈদের রাতে বগুড়ায় জোড়া খুন
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
৬ মাস আগে
হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভয়ভীতি প্রদর্শন, চুরি ও চোরদের চিনে ফেলায় জোড়া হত্যাকাণ্ডটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় এ তথ্য জানান।
সুদীপ্ত রায় বলেন, এ মামলায় আমরা ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে দুইজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় এলএসডি জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
ভয়ভীতি প্রদর্শন, চুরি ও চোরদের চিনে ফেলায় জোড়া এ হত্যাকাণ্ড, নাকি অন্য কারণ আছে -তা আমরা খতিয়ে দেখছি। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণটি উদঘাটনের টেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সোহাগ হোসেন সোহাগ মুন্সি, মিজান অরফে গোলাম আজম অরফে মো. মিজান হোসেন, মাসুদ রানা, শ্যামল চন্দ্র শীল, মো. আলমাস, মো. নেছার আহম্মেদ, মো. রাকিব হোসেন, মো. রাশেদ ওরফে রাসেল মাসুদ কামাল শাহ আলম বাবুল। এদের সবার বাড়ি এ উপজেলার বড়কুল, এন্নাতলী ও টোড়াগর এলাকায়।
আসামিদের মধ্যে সোহাগ মুন্সি ও গোলাম আজম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি স্বেচ্ছায় দিয়েছেন ও বর্তমানে সব আসামি কারাগারে রয়েছেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাশেদ চৌধুরী, ডিআইও-১ মনিরুল ইসলাম, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আলম পলাশ, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ, চ্যানেল আইয়ের জেলা প্রতিনিধি মোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের বড়কুল উত্তর গ্রামে উত্তম বর্মন ও তার স্ত্রী কাজলী রানীকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রাতের কোনো এক সময়ে ওই গ্রামের পাইন্না বাড়ির (কালা শিকদার বাড়ি) দুলাল সাহার ঘরে জানালা কেটে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায়। পরদিন এ ঘটনায় নিহতদের মেয়ে রিনা রানীর অভিযোগের ভিত্তিতে হাজীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার সূত্র ধরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৭৫৫ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি
১ বছর আগে
হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে লন্ডন প্রবাসী এক ব্যক্তির মা ও স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার মো. আজিজুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার আমতইল গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে তালেব মিয়া (১৮) এবং বানিয়াচং উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের জাকারিয়া আহমদ শুভ (২০)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ ও মানবপাচার মামলার পৃথক রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩মে রাত ১১টায় নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সুদুল্লাপুর গ্রামের প্রবাসী রাজা মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী মালা বেগম (৫০) ও তার পুত্রবধূ রুবি বেগমকে (২২) হত্যা করে পালিয়ে যায় দণ্ডপ্রাপ্তরা। নিহত রুবি বেগমের ভাই নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ তদন্ত করে একই বছরের ১১ আগস্ট আদালতে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এদিকে, আদালত ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা এ ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন দণ্ডপ্রাপ্তদের বয়স কম হওয়ায় জোড়া খুনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলো না
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারি নোমান।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
মেহেরপুরে জোড়া খুনের মামলায় ৯ জনের ফাঁসি
মেহেরপুরের গাংনীতে আপন দুই ভাই রফিকুল ও আবুজেলকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কিয়ামত আলীর ছেলে হালিম, একই গ্রামের আছের হালসানার ছেলে আতিয়ার, আব্দুল জলিলের ছেলে জালাল উদ্দিন, নজির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, দবির উদ্দিনের ছেলে শরিফ, নবীর উদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন, আফেল উদ্দিন ওরফে আফেল সরদারের ছেলে আজিজুল হক, দাবির উদ্দিনের ছেলে ফরিদ এবং মুনসারের ছেলে মনি।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে যুবকের ফাঁসির আদেশ
তাদের মধ্যে জালাল উদ্দীন পলাতক।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অপর পাঁচ আসামি- আরিফ, রাজিব, আলমেস, হারুন ও ফারুককে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ জুন কাজিপুর এলাকায় ফেনসিডিলের একটি বড় চালান ধরা পড়ে। ফেনসিডিল ধরিয়ে দেওয়ায় একই গ্রামের কিয়ামুদ্দীনের ছেলে আবুজেল (৩৫) ও রফিকুল ইসলামের (৪০) হাত রয়েছে এমন অভিযোগ তোলা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ১৫ জুন রাতে বিষয়টি মীমাংসা করবে বলে দুই ভাইকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন আসামিরা। পরদিন সকালে কাজিপুর গ্রামের মণ্ডল পাড়ার ভারতীয় সীমান্তের পাশ থেকে তাদের দুই ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে সহোদর হত্যার ঘটনায় নিহতদের বোন জরিনা বেগম বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে মোট ১৪ আসামির নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
শুনানি ও সাক্ষ্যে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ৯ আসামিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে আতাউল হক, এ কে এম শফিকুল আলম ও কামরুল হাসান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।
মামলার রায় ঘোষণার পর অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক বলেন, এটা মেহেরপুরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রায়। এই রায় ঘোষণার মধ্যে দিয়ে আবারও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মামলার বাদি জরিনা বেগম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
আদালতের এই রায় অনতিবিলম্বে কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম বলেন যে রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২৩ ফাঁসির আসামির ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় ৪ এপ্রিল
কাশিমপুর কারাগারে জোড়া খুনের মামলার এক আসামির ফাঁসি কার্যকর
১ বছর আগে
কাশিমপুর কারাগারে জোড়া খুনের মামলার এক আসামির ফাঁসি কার্যকর
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বহুল আলোচিত ডা. নাজনীন ও তার গৃহপরিচারিকা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা এক মিনিটে ওই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আমিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে আসামির ফাঁসি কার্যকর
ডা. নাজনীন ও তার গৃহপরিচারিকা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. আমিনুল ইসলাম (৪২) নওগাঁর পত্নীতলা থানার আকবরপুর গ্রামের চাঁন মোহাম্মদ মণ্ডলের ছেলে।
আমিরুল জানান, ২০০৫ সালে ঢাকার ল্যাব এইডের চিকিৎসক নাজনীন আক্তার ও তার গৃহপরিচারিকা পারুলকে হত্যায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় আমিনুল ইসলামকে ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় জোড়া হত্যার মামলা ছিল।
কারাগারে রায় কার্যকরের সময় গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান, জেলা এডিএম হুমায়ুন কবির, জিএমপি'র এডিসি রেজোয়ান আহম্মেদ, সদর জোনের এসি ফাহিম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত
শফিউদ্দিন হত্যা: কুমিল্লা কারাগারে ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর
১ বছর আগে
খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন
খুলনার তেরখাদায় আলোচিত জোড়া খুনের মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামসহ ১৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রবিবার খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এই রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট রাতে তেরখাদা উপজেলার পহরডাঙ্গা গ্রামের পিরু শেখ ও তার পরিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে নিয়ে সিধ কেটে নিহতের ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। অন্যান্য সদস্যদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দেয় তারা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
এ সময় উপস্থিত আসামির মধ্যে আব্দুর রহমান হুকুম দিয়ে বলে পিরুকে কুপিয়ে শেষ করে দে। ওর জন্য আমি চাকরি হারিয়েছি। এ কথা বলার সাথে সাথে আসামি সাইফুল হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে পিরুর মাথায় কোপ দেয়। পরে অন্যান্য আসামিরা পিরুকে এলোপাতাড়িভাবে কুপাতে থাকে। ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রী চিৎকার করতে থাকলে পাশের ঘর থেকে ছেলে নাইম বাবাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে তাকে আসামি হাবিবুর ও জিয়ারুল চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলে নাইমের মৃত্যু হয়। আসামিরা চলে যাওয়ার পর পিরু শেখকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিরু মারা যান।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনায় নিহত পিরুর স্ত্রী দু’দিন পর বাদী হয়ে তেরখাদা থানায় স্বামী ও সন্তান হত্যার অভিযোগে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২ বছর আগে
শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: আ’লীগ নেতাসহ ৫ জন রিমান্ডে
রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলি করে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও এক কলেজছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ পাঁচজনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আসামিরা হলেন- ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক (৫২), আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ (৩৮), নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির (৩৮), মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ (৫১) ও আরফানুল্লাহ দামাল (৫১)।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন শিকদার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর এ আদেশ দেন।
শাহজাহানপুরে গুলিবর্ষণের ঘটনায় শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: ‘মাস্টারমাইন্ড’সহ গ্রেপ্তার ৪
গত ২৪ মার্চ রাতে ইসলামি ব্যাংকের সামনে গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি।
নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু আওয়ামী লীগের মতিঝিল থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সামিয়া আফরিন প্রীতি বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে টিপুর গাড়ির চালকও আহত হন।
পুলিশ জানায়, জাহিদুল গাড়িতে করে এবং প্রীতি রিকশায় করে বাসায় ফেরার সময় রাত সোয়া ১০ টার দিকে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
তারা সবাই যানজটে আটকা পড়েছিলেন। এ সময় মুখে মাস্ক ও হেলমেট পরা এক ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: দ্বিতীয় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
পরদিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা হয়।
গত ২৭ মার্চ বগুড়া থেকে এ ঘটনার প্রধান আসামি আকাশকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকার একটি আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আকাশের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া ৩১ মার্চ রাতে রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় দ্বিতীয় সন্দেহভাজন আরফানউল্লাহ দামালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়ান্দা শাখা (ডিবি)। পরের দিন শুক্রবার তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।
২ বছর আগে
শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: দ্বিতীয় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলি করে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও এক কলেজছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়ান্দা শাখা (ডিবি)।
ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার রিফাত মোহাম্মদ শামীম জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আরফানউল্লাহ দামাল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির মতিঝিল বিভাগের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরফানুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘তার কাছ থেকে একটি বন্দুক জব্দ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: প্রধান আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে
উপ-কমিশনার জানান, আরফানুল্লাহর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হবে এবং তাকে আদালতে হাজির করার পর হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু আওয়ামী লীগের মতিঝিল থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সামিয়া আফরিন প্রীতি বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, জাহিদুল গাড়িতে করে এবং প্রীতি রিকশায় করে বাসায় ফেরার সময় রাত সোয়া ১০ টার দিকে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
‘তারা সবাই যানজটে আটকা পড়েছিলেন। এ সময় মুখে মাস্ক ও হেলমেট পরা এক ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
তারা তিনজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং তাদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক রাত ১১টার দিকে জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে শুক্রবার জোড়া খুনের ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ এ জোড় খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি আকাশকে (৩৪) বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।
২ বছর আগে
শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: প্রধান আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলি করে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও এক কলেজছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মাসুম মোহাম্মদ আকাশের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ডিবির পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার তাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আদালতে হাজির করলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার বগুড়া থেকে আকাশকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আকাশ স্বীকার করেছেন, তিনি হত্যার জন্য জাহিদুল ইসলাম টিপুকে অনুসরণ করছিলেন এবং টিপুকে বহনকারী গাড়িটি শাহজাহানপুর রেলগেটের কাছে পৌঁছালে তিনি তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
আকাশ আরও চারটি ফৌজদারি মামলার ফেরারি আসামি বলেও জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জাহিদুল গাড়িতে করে এবং প্রীতি রিকশায় করে বাসায় ফেরার সময় বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এছাড়া এ ঘটনায় জাহিদুলের গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু আওয়ামী লীগের মতিঝিল থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সামিয়া আফরিন প্রীতি বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আ’লীগ নেতাসহ নিহত ২
‘তারা সবাই যানজটে আটকা পড়েছিলেন। এ সময় মুখে মাস্ক ও হেলমেট পরা এক ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’
তারা তিনজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং তাদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক রাত ১১টার দিকে জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে জোড়া খুনের ঘটনায় শুক্রবার অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করা হয়।
২ বছর আগে
শাহজাহানপুরে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে এবং কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক না কেন তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পুলিশে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিগগিরই ঘটনার পেছনের কারণ উদঘাটন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শাহজাহানপুর এলাকার ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে আওয়ামী লীগের মতিঝিল থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফরিন প্রীতি (২২) নিহত হন।
পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা
রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আ’লীগ নেতাসহ নিহত ২
২ বছর আগে