নামাজ
মুমিনের জুমাবারের কিছু আমল ও শিশুদের নামাজ
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ একটি। মুসলিমদের প্রাত্যহিক জীবনে নামাজের প্রভাব অভাবনীয়। ইবাদত মু’মিনের হৃদয়ে প্রশান্তি বয়ে আনে।
প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ফরয করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানবজাতিকে নামাজের ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, সালাত আদায় কর ( কায়েম কর বা সংযোগ প্রতিষ্ঠা কর ) এবং যাকাত আদায় কর ও যারা রুকুকারী (অবনত হওয়া) তাদের সাথে রুকু কর । (সুরা বাকারা, আয়াত-৪৩)
জুমার নামাজ দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাজ থেকে একটু ভিন্ন। কারণ এই নামাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যাদের ওপর হজ্জ ফরয হয়নি তাদের জন্য জুমার দিনের ইবাদতকে হজ্জের সওয়াবের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। হজ্জ মূলত আর্থিক ও শারিরীক শ্রম এবং কিছু বিশেষ আচার ও অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
আরও পড়ুন: জামাতে নামাজ আদায়, ৩০০ শিশু-কিশোর পেল বাইসাইকেল
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের ঘর থেকে উত্তমরূপে অজু করে ফরজ নামাজের উদ্দেশ্যে বের হয়, সে ইহরাম বেঁধে হজে গমনকারীর মতো সওয়াব লাভ করে। আর যে ব্যক্তি শুধু সালাতুদ্দুহা (পূর্বাহ্নের নামাজ) আদায়ের উদ্দেশ্যে কষ্ট করে বের হয়, সে ওমরাহ আদায়কারীর মতো সওয়াব লাভ করবে। ’ (আবু দাউদ- ৫৫৮)
নামাজ যেহেতু প্রত্যেক সাবালক নারী ও পুরুষের জন্য ফরয, সেহেতু শরিয়াহসম্মত কোনো ওযর ব্যতীত কোনো অবস্থাতেই নামাজ ত্যাগ করার সুযোগ নেই। আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, জুমু‘আর দিনে প্রত্যেক সাবালকের জন্য গোসল করা ওয়াজিব।(বুখারী-৮৭৯)
শুক্রবার বা জুমা বারের দিনে মুসলিমদের সালাত আদায় করার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে তাহারাত বা গোসল করা, ভালো পোশাক পরিধান, মেসওয়াক করা, রেশমি কাপড় না পড়া, সুগন্ধি ব্যবহার নিয়ে অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন সাহাবিরা। এছাড়া এদিন মসজিদে মুসল্লিদের আগে যাওয়ার গুরুত্ব নিয়েও অনেক হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ্র রসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন জানাবাত (ফরয) গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং সালাতের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কোরবানি করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কোরবানি করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানি করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী সদাকা করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম সদাকা করল। পরে ইমাম যখন খুতবা দেওয়ার জন্য বের হন, তখন মালাইকা (ফেরেশতাগণ) যিকির শ্রবণের জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে।(সহীহ বুখারী-৮৮১)
পুরুষদের জন্য রেশনি পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন রাসূল (সা.)। অন্যদিকে জুমার দিনে উত্তম পোশাক পড়তে উৎসাহিত করেছেন। আমরা মুসলিমদের অনেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ভালো পোশাক পরিধান করি বা প্রস্তুতি রাখি। অথচ, আমাদের মনে রাখা দরকার যে—সকল মনিবের মহামনিব মহান আল্লাহ, ইবাদতের মাধ্যমে তার সামনে নত হওয়ার বা হাজির হওয়ার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ ভালো পোশাক পরিধান করা উচিৎ। কারণ তিনিই তো সর্বাধিক সম্মানিত। তার সামনেই তো উত্তমরূপে হাজির হওয়া দরকার।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বর্ণনা করেন, উমর ইব্নু খাত্তাব (রা.) মসজিদে নববীর দরজার নিকটে এক জোড়া রেশমী পোশাক (বিক্রি হতে) দেখে নবীকে (সা.) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! যদি এটি আপনি খরিদ করতেন আর জুমার দিন এবং যখন আপনার নিকট প্রতিনিধি দল আসে তখন আপনি তা পরিধান করতেন। তখন আল্লাহ রসূল (সা.) বললেন, এটা তো সে ব্যক্তিই পরিধান করে— আখিরাতে যার (কল্যাণের) কোনো অংশ নেই। অতঃপর আল্লাহর রাসূলের (সা.) নিকট এ ধরনের কয়েক জোড়া পোশাক আসে, তখন তার এক জোড়া তিনি ‘উমরকে (রা.) দেন। ‘উমর (রা.) আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল(সা.)! আপনি আমাকে এটি পরতে দিলেন, অথচ আপনি উতারিদের (রেশম) পোশাক সম্পর্কে যা বলার তা তো বলেছিলেন। তখন আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, আমি তোমাকে এটি নিজের পরিধানের জন্য দেইনি। ‘উমর ইবনু খাত্তাব (রা.) তখন এটি মক্কায় তার এক ভাইকে দিয়ে দেন। যাকে পোশাকটি দেওয়া হয় তখন তিনি মুশরিক ছিলেন। (বুখারী ৮৮৬)
মুসলিম পরিবারের শিশুদের ইসলামী জীবনাচার শেখানোর জন্য পিতামাতার ভূমিকাই প্রধান। শিশুরা বাবা-মায়ের কাছেই প্রথম আচরণ ও শিক্ষা রপ্ত করে থাকে। বাস্তবিক অর্থে শিশুরা মূলত অনুকরণপ্রিয়। তাই তাদের সামনে যেসব আচার-অনুষ্ঠান বেশি হয় তাতে তাদের সম্পৃক্ততা থাকে, শিশুদের মন ও মানস সেভাবেই গড়ে ওঠে।
কোরআন ও হাদীসের নির্দেশনা অনুসারে মুসলিম পরিবারের সন্তানদের নামাজ শেখানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য তাদের অনুকূল পরিবেশ দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই অনুকূল পরিবেশ আধুনিক সমাজের পরিবারগুলোতে সচরাচর পাওয়া কঠিন। এজন্য জুমাবারসহ প্রতি ওয়াক্তে শিশুদের মসজিদে নিয়ে গেলে সেই পরিবেশে আকৃষ্ট হতে পারে তারা।
আরও পড়ুন: নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে শোলাকিয়ায় ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
আমর ইবনু শুআয়েব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের সন্তানদের বয়স ৭ বছর হলে তাদেরকে সলাতের জন্য নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স ১০ বছর হয়ে যাবে তখন (সালাত আদায় না করলে) এজন্য তাদেরকে শারিরীক শাস্তি দেবে এবং তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দেবে (আবু দাউদ- ৪৯৫)।
আমাদের অবিভাবকদের অনেকেই মসজিদে শিশুদের বিচরণে বিরক্তিবোধ করেন, যা মোটেও ঠিক নয়। কারণ শিশুরা নিষ্পাপ। তারা বড়দের অনুকরণ করে শিখবে। সামাজিক শৃঙ্খলা ও আচরণও শিশুরা বিভিন্ন বয়সী মানুষের সাহচর্যে শেখার একটি সুযোগ পেতে পারে মসজিদে যাতায়াতের মাধ্যমে। আল্লাহর রাসূল (সা.) যখন সালাত আদায় করতেন, তখন হাসান ও হোসেন (রা.) তার ঘাড়ে ও পিঠে উঠতেন। তাতে তিনি বাধা দিতেন না। প্রকৃত মুমিন হওয়ার জন্য আল্লাহর নির্দেশ ও রাসূলের (সা.) সুন্নাহসমূহ অনুসরণ করা উচিৎ।
৮ দিন আগে
ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতের আগে প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন।
এ সময়ে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে ঈদ মোবারক জানিয়ে তিনি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জাতির পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি।… আজ একটা অটুট ঐক্য গড়ে তোলার দিন। স্থায়ীভাবে এই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। ঈদের জামাতে আমাদের এই কামনা।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এদিন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জামাতে অংশ নেন।
আজ (সোমবার) বিকাল ৪টায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ড. ইউনূস ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
৩৩ দিন আগে
বোয়ালমারীর ১০ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায়
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রমজান মাস শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সেখানে ঈদুল ফিতরের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা ও ফিলিস্তিনে গাজাবাসীর ওপর বর্বরোচিত হামলা বন্ধে সৃষ্টিকর্তার দরবারে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। পরে তারা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দেশে রোজা শুরু হওয়ার এক দিন আগে রোজা পালন করা শুরু করেন। তাই অন্য এলাকার চেয়ে এক দিন আগেই তারা ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ঈদ রবিবার
এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা, ইছাপাশাসহ কিছু এলাকার মানুষও একই সঙ্গে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উৎসব উদযাপন করেন, তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।
সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদসহ তিনটি জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
আজ (রবিবার) সকাল সাড়ে ৯টায় রাখালতুলি জামে মসজিদে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্লা।
৩৪ দিন আগে
নারীদের নামাজের ব্যবস্থা থাকছে বগুড়ার প্রধান ঈদ জামাতে
বগুড়ায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নারীদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের সূত্রাপুরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জেলার প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় (বড়) জামে মসজিদ, বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদ ও ডিসি অফিস মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) হোসনা আফরোজার সভাপতিত্বে সম্প্রতি ঈদগাহ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া শহরের প্রায় শতাধিক ঈদগাহে সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল ১১টায় ঈদগাাহ পরিদর্শন করেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ডিসি হোসনা আফরোজা। এ সময়ে পাশের মাকার্স মসজিদে একই জামাতে নারীদের নামাজের জন্য ব্যবস্থা নিতে কমিটির সদস্যদের পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া?
তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, সাবেক ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদুল বারী এরশাদসহ কমিটির সদস্যরা।
এই মাঠে এবারই প্রথম নারীরা পুরুষের সঙ্গে একই জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এ সিদ্ধান্তে শহরের নারী মুসল্লিরা আনন্দিত।
৩৫ দিন আগে
নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করলেন ডেপুটি স্পিকার
নিজের গ্রাম পাবনার বেড়া উপজেলার বৃশালিখা ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনি এলাকার জনগণের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের জামাত শুরু হয় সকাল ৮টায়। ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ডেপুটি স্পিকার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
এ সময় তিনি বলেন, ‘ঈদ হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে বড় উপহার। ঈদ সবার জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই উৎসবের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণিবৈষম্যসহ সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়ায়। মানুষের মধ্যে আত্মার বন্ধন সৃষ্টি হয়। এই বন্ধনকে আমাদের সবসময় অটুট রাখতে হবে।’
এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শাহাদতবরণকারী সকল সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সারাবিশ্বের মানুষের শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে ডেপুটি স্পিকার পারিবারিক কবরস্থান জিয়ারত করেন।
ঈদের নামাজে স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সিলেটে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
৩২০ দিন আগে
সামনে শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়তে হবে: বরকত উল্লাহ বুলু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, মানুষ এখন জানাজার নামাজও পড়তে পারে না। সামনে এমন দিন আসবে, আমার মনে হয় শেখ হাসিনার থেকে অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়তে হবে। আমরা স্বাধীনভাবে নামাজ পড়তে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে বিদায় নেন। অন্যথায় পালানোর পথ পাবেন না। আজকের আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ নয়। আজকের আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের অনুমোদনের আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) বিকালে কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিটের গণমিছিল
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি'র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুন অর রশিদ ভিপি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, একদিনের ঘোষণায় লাখ লাখ মানুষ গণমিছিলে যোগ দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় বিএনপির রাজনীতিতে জনগণ।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প জনগণের টাকা চুরির আরেকটি কৌশল: ফখরুল
৬২৩ দিন আগে
২০০টি মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করা ২০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ বছর অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ।
প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে সারাদেশে নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ইতোমধ্যে ৪ দফায় ২০০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মসজিদে নামাজ আদায়ে যেসব নির্দেশনা ফের দিল ধর্ম মন্ত্রণালয়
উদ্বোধনকৃত মডেল মসজিদসমূহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬৪ টি মসজিদের মধ্যে চার দফায় ২০০ টির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ৬৫ শিশু-কিশোর
বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ আদায় করলেন রাষ্ট্রপতি
৭৪৪ দিন আগে
আজমির পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভারত সফরের শেষ দিনে খাজা গরীব দরগাহ শরিফে নামাজ পড়ার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে আজমির পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশ, জনগণ এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে নফল নামাজ ও মোনাজাত করবেন।
স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে, ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ১২ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ইহাসনুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী সুফি মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজার খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফে ফাতেহা ও মোনাজাত করে কিছু সময় কাটাবেন।
পরে আজমির দরগাহ শরীফ প্রদক্ষিণ করবেন হাসিনা।
পড়ুন: ভারতের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়চুক্তি সই
বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে ট্রানজিট ফ্রি রপ্তানির প্রস্তাব ভারতের
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর সাক্ষাৎ
৯৬৮ দিন আগে
বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ আদায় করলেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রবিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে পরিবারের সদস্য ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস উইং জানায়, সকালে বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা সাইফুল কবির ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন।
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে রাষ্ট্রপতি নামাজ আদায় করেন।
প্রেস উইং জানায়, রাষ্ট্রপতি কোভিড পরিস্থিতির কারণে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঐতিহ্যবাহী ঈদের নামাজে অংশ নেননি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল আজহার উপহার
একই কারণে রাষ্ট্রীয় অনেক কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং জনগণ তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণ করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি ভবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান আবদুল হামিদ।
১০২৮ দিন আগে
এএমএ মুহিতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এএমএ মুহিতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তার প্রথম নামাজে জানাজা রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। সর্বস্তরের মানুষ যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে সেজন্য দুপুর ১২টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মরদেহ এখন সিলেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং রবিবার তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দীর্ঘ অসুস্থতাজনিত কারণে মুহিত মারা যান বলে ইউএনবিকে জানান তার ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২০২১ সালের ২৫ জুলাই এমএ মুহিত করোনা আক্রান্ত হন এবং দীর্ঘদিন রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। সবশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন
শোক
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য মুহিত ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে চাকরিরত অবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রথম সরকারে যোগদান করেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সফল এ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ তাঁর স্ব কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও তার ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পৃথক আরেক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও মুহিতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনও।
এক শোকবার্তায় এফবিসিসিআইয়ের প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অতুলনীয় অবদানের জন্য জাতি তাকে মনে রাখবে।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কর্মজীবন
আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বছর সংসদে বাজেট পেশ করেন মুহিত।
তার আমলেই বাজেটের আকার প্রসারিত হয়।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মুহিত বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটের ধোপাদিঘীতে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা এবং সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আবদুল হাফিজের তৃতীয় সন্তান।
তার মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীও রাজনীতি ও সমাজসেবায় সক্রিয় ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ এএমএ মুহিত একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন
মুহিত দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, আইডিবি, এডিবি ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
তিনি ১৯৫১ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রদেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
মুহিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ-তে প্রথম হন এবং ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এমএ পাস করেন।
চাকরিকালীন তিনি ১৯৫৭ থেকে ৫৮ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৬৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর তিনি পূর্ব পাকিস্তান, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এবং তারপর বাংলাদেশ সরকারে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
মুহিত পাকিস্তানের ওয়াশিংটন দূতাবাসের প্রথম কূটনীতিক যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জুনে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
তিনি ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে পরিকল্পনা সচিব এবং ১৯৭৭ সালের মে মাসে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিরাগত সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন।
মুহিত ১৯৮১ সালে চাকরি থেকে অবসরে যান এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশন, ইফাদ, জাতিসংঘ,ইউএনডিপি, এডিবি এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে কর্মজীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেন।
তিনি ১৯৮২ সালের মার্চ থেকে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন।
মুহিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাপা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন।
তিনি ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে সিলেটের নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান ও জনসেবার নিবেদিত রেকর্ডের জন্য মুহিত ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রীর শোক
১০৯৯ দিন আগে