ভোটাধিকার
রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীতে এক কর্মশালায় ভার্চুয়াল সমাপনী বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। তাই যেকোনো মূল্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই অধিকার আদায় করতে হবে।’
বাংলাদেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না বা জাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক মুক্তি মানে সব জনপ্রতিনিধিকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি বলেন, সরকার, বিরোধী দল, রাজনৈতিক দল, স্থানীয় নেতা যেমন উপজেলা বা পৌরসভার চেয়ারম্যান, সদস্য বা কাউন্সিলর কাউকেই তাদের ব্যক্তিগত মর্জি অনুযায়ী কাজ করতে দেওয়া উচিত নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সবাইকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হলে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যেকোনো গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।’
তারেক বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের রাজনৈতিক, ভোটাধিকার ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে লিপ্ত। ‘এটি এমন একটি সংগ্রাম ছিল, যার জন্য অনেক জীবনকে উৎসর্গ এবং গুরুতর নিপীড়ন ও দমনকে সহ্য করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই বলি, ষড়যন্ত্র কখনো থেমে থাকে না। আপনারা (বিএনপির নেতা-কর্মীরা) পত্রিকার সাম্প্রতিক খবর থেকে যেমন দেখেছেন, তেমনি বুঝতে পারছেন কোথাও একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' স্লোগানের কথা স্মরণ করেন বিএনপি নেতা। এই স্লোগান ছিল মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মজবুত ভিত্তি স্থাপনের প্রতীক। আমি একজন সহকর্মী হিসেবে আপনাদেরকে অনুরোধ করব এবং নেতা হিসাবে আপনাদেরকে আদেশ করব: আজ থেকে কেউ আমার নামের পাশে 'দেশনায়ক' বা 'রাষ্ট্রনায়ক' ব্যবহার করবেন না।’
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপি। সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসবে যদি তাদের নেতাকর্মীরা দেশের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ ও আচরণ করে।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের জন্য বিএনপি দেশের সব গণতান্ত্রিক দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেকেই এখন বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু যখন অন্য কেউ তা নিয়ে ভাবেনি, তখন বিএনপি বহু বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৩১ দফা প্রস্তাব অপরিবর্তনীয় নয়। ‘আমরা যেকোনো ভাল প্রস্তাব বা পরামর্শ পেলে তা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
৩১ দফা প্রস্তাব গ্রামীণ এলাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে অবহিত ও মতামত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে জনগণকে পরিষ্কার ধারণা দিতে গ্রামাঞ্চলসহ সারা দেশে ছোট ছোট সভা করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করেন।
তারেক রহমান দুর্নীতি রোধে প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ, শিক্ষকদের ভালো বেতন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের শিক্ষার মানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।’
তিনি মানসম্মত সেবা প্রাপ্তিসহ একটি সুস্থ জাতি গঠনে স্বাস্থ্য খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘ দুর্নীতি কমাতে পারলে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব।’
বৈশ্বিক শ্রমবাজার মূল্যায়ন এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ ও স্বল্প-দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে দলের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
২ দিন আগে
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারই জাতীয় সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের সমস্যা সমাধানে এবং জাতির বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও ঘোষণা দেন, ‘তার দল ক্ষমতায় গেলে কৃষকের পানি সংকট নিরসন করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য আমদানি কমানোর লক্ষ্যে সত্তরের দশকের শেষ দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে খাল খনন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন, তা আবার শুরু করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিদেশে আসিফ নজরুলকে অসম্মান দেশের মর্যাদার ওপর আঘাত: তারেক রহমান
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশ, জনগণ ও জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গ্রামাঞ্চলসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির সবাইকে সতর্ক করতে হবে এবং এই বার্তা দিতে হবে- গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত সব খাতের সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে প্রকৃত প্রতিনিধিদের জবাবদিহি না থাকরে বাজার নিয়ন্ত্রণ বা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নির্মূল করা সম্ভব হবে না। ‘একইভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া শিক্ষা থেকে শিল্প পর্যন্ত দেশের কোনো খাতের উন্নয়ন, দুর্নীতি দমন কিংবা কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
যেকোনো মূল্যে নাগরিকদের ভোটাধিকার রক্ষা করতে হবে- ইউনিয়ন পর্যায়ের নাগরিকদেরকেও এই বার্তা পৌঁছে দিতে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন,‘ আপনাদেরকে অবশ্যই জনগণকে বলতে হবে, তারা যে দলের রাজনীতিকেই সমর্থন করুক না কেন, কাকে ভোট দিতে চায় না কেন, তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো ভুয়া নির্বাচন বা রাতে ভোটের সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, 'দিনের আলোতে ভোট দিতে হবে। আপনার পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে এবং নিরাপদে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। কাউকে বিরক্ত করা বা অন্যকে ভয় দেখানোর সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে হবে। ‘আমরা যদি এটা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমরা ধীরে ধীরে দেশ ও জনগণের সমস্যা দূর করতে পারব।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সব ধরনের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দ্রব্যমূল্য রাখতে কৃষি খাতের উন্নয়ন, কৃষকের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং সব ধরনের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরেন তারেক রহমান।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে আরও প্রকৃত কৃষকদের সম্পৃক্ত করে কৃষক দলকে শক্তিশালী করা হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নিন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
১ সপ্তাহ আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের বিজয় এবং গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতার বিজয়।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থবার বিজয়ে অভিনন্দন জানাতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শতাধিক প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, তার সরকার এই মাসের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটি অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ সবাইকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রতীক নৌকা দিয়েছি এবং আগ্রহী দলের অন্যদের নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছি।’
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন করেন, তারা কীভাবে নির্বাচনে আসবে।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি তাদের ২০ দলীয় জোট নিয়ে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং আওয়ামী লীগ একাই ২৩৩টি আসন পেয়েছিল।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভেবেছিলেন সাংগঠনিক শক্তি বিবেচনায় বিএনপি আওয়ামী লীগের সমান। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে তা ভুল প্রমাণিত হয়।’
আরও পড়ুন: রমজানে আগাম পণ্য ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কখনই নির্বাচন চায়নি। তারা নির্বাচন নষ্ট করতে অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে, ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যতই অগ্নিসংযোগ করবে, ততই জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। তারা জানে যে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কারণেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না।
তিনি বলেন, ‘বরং তারা নির্বাচন নষ্ট করতে চেয়েছিল এবং ক্ষমতায় আসার জন্য অবৈধ উপায় খুঁজছিল।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাই তারা জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
শনিবার রাজধানীর বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বরিশাল, সিলেট ও খুলনা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি: মুজিবুল হক চুন্নু
পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার দল নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তারা দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে।
দলের জন্য প্রার্থীদের অবদান, তাদের নাম-খ্যাতি, জনগণের প্রতি ভালোবাসা এবং সর্বোপরি দেশের প্রতি শ্রদ্ধা বিবেচনা করে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে এবং ২৭ নভেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আইনজীবী সালমা ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই: মুজিবুল হক চুন্নু
১১ মাস আগে
দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' গঠন
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে, সার্বজনীন শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' নামে একটি নতুন ছাত্র জোট গঠন করা হয়েছে।
এই ব্যানারে শুক্রবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে ১৫টি ছাত্র সংগঠন এই জোটটি গঠন করে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের পক্ষে এই জোটের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ৯ দফার ওপর বৃহত্তর ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' নামে একটি সক্রিয় ছাত্র জোট গঠনের ঘোষণা দিচ্ছি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার মানোন্নয়ন, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে জাতীয় অনুবাদ সংস্থা গঠন, মেধা ও যোগ্যতার আলোক শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সব জাতিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
এছাড়াও তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে সরকারবিরোধী ৩১ দফা দাবি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
সংগঠনগুলো হলো- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রলীগ (জেএসডি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, গণফোরাম মন্টু, ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাতীয় ছাত্র সমাজ (বিজেপি-পার্থ), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বিপ্লবী ছাত্রসংহতি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
জোট থেকে নির্বাচিত তিন সমন্বয়ক হলেন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব।
ছাত্রদল নেতা জুয়েল জোটের মুখপাত্র এবং সব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
১ বছর আগে
ভোটাধিকার নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
ভোটাধিকার নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে এবং গণতান্ত্রিক ধারা যেন ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘জনগণ ভোট দিলে এখানে (সরকারি দলে) থাকব, না দিলে ওইদিকে (বিরোধী দলে) যাব, কোনো অসুবিধা নেই। জনগণের ওপর আমরা সব ছেড়ে দিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনে সমাপনী ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেও তার সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কোনো চক্রান্তের কাছে বাংলাদেশের জনগণ মাথানত করেনি আর করবেও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অক্টোবর মাসে আরেকটা অধিবেশন বসবে। সেটাই হবে এই সংসদের শেষ অধিবেশন। এর পরে নির্বাচন হবে। টানা তিন মেয়াদে সরকারের ধারাবাহিকতা ছিল বলেই আমরা দেশের এতো উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য দেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করুন: জনপ্রতিনিধিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে এখন সোচ্চার বিদেশি দেশগুলোর সমালোচনা করে প্রশ্ন তোলেন, ১৯৭৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ ১৯৭৯, ১৯৮১, ১৯৮৬ এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের সময় তাদের চেতনা কোথায় ছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে- উপ-নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন, প্রতিটি নির্বাচন স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। এর থেকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কবে হয়েছে বাংলদেশে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যখন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আমরা করছি তখনই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা, এর অর্থটা কী? আজ দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন কেন?’
জাতীয় সংসদের পদ্মা গ্যালারিতে বসে তার বক্তব্য শোনেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের ধ্বংসযজ্ঞ: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গভীর শোকপ্রকাশ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে র্যাব: মহাপরিচালক
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের অধীন থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উনারা যেভাবে পরিচালনা করেন, আমরা সেভাবে দায়িত্ব পালন করব।
তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব মূলত হবে সাধারণ মানুষ যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সেটা দৃঢ়ভাবে করব। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা মানসিকভাবে তৈরি আছি।
আরও পড়ুন: আরেকটি পাসপোর্ট অফিস হচ্ছে সিলেটে: অতিরিক্ত মহাপরিচালক
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় র্যাব-৯ -এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, র্যাবের মূল লক্ষ্যই দেশের জনগণের নিরাপত্তায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করা। এদেশে যাতে জঙ্গিরা স্থায়ী না হতে পারে, সন্ত্রাসীরা যাতে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে সে লক্ষ্য নিয়েই র্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেজন্য দেশের মানুষের মধ্যে দিন দিন র্যাবের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস বাড়ছে।
তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতি হচ্ছে উন্নতিও হয়েছে। জণগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন রেশন হয়, জণগণের জন্য কী করতে পারছি। যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। তাদেরই উত্তরসূরি হিসেবে আমরা কী করতে পেরেছি।
বর্তমান প্রজন্মের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ছেলেরা এইচএইসসি পাস করেই বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। তারা কেন যেতে চায়। দেশে রেফারেন্স ছাড়া কাজ হয় না। চাকরি করতে গেলে হয় রেফারেন্স নয়তো অর্থ লাগে! এজন্যই কী দেশ স্বাধীন হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, দেশের জন্য সবাই মিলেই কাজ করতে হবে। দেশের জন্য এবং পরবর্তী জেনারেশনকে বাঁচাতে হলে মাদকের ব্যাপারে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে দেশে মাদক প্রবেশ করাচ্ছে।
তিনি বলেন, এভাবে মাদক প্রবেশ করতে থাকলে আগামী ১০ বছর পর এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা কোনো বাহিনীতে কাজ করতে পারবে না। তারা মাদকে আসক্ত থাকবে। এখন শুধু ছেলেরাই মাদকে জড়াচ্ছে এমন না। এখন উচ্চ শ্রেণি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণির মেয়েরাও মাদকে আসক্ত হচ্ছে বেশি।
আরও পড়ুন: আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় হুমকির চিঠি দিয়েছে: র্যাবের মহাপরিচালক
ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে মিয়ানমার বিজিপি’র সঙ্গে কুশালাদি বিনিময়
১ বছর আগে
জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আ.লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আ স ম হান্নান শাহ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শুধুমাত্র আগামী নির্বাচনে ডিজিটালভাবে ভোট কারচুপির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে আরও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, দেশে এখন স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ নিজেদের শাসনকে সুসংহত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে এই শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। এ কারণেই বিএনপি আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবি তুলেছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে মোশাররফ বলেন, মানুষ যখন নিজের হাতে ভোট দিতে চায় কমিশন তাদের মেশিন ব্যবহার করতে বাধ্য করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (সরকার) ২০১৮ সালের মতো রাতে আর ভোট কারচুপি করতে পারবে না। সে কারণেই তারা এখন ইভিএম ব্যবহার করে ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দুর্ভিক্ষের মতো’ পরিস্থিতির মধ্যে যখন দেশের মানুষ তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে না। তখন আট হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম কেনার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ বেঁচে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে এবং তারা গ্রামীণ এলাকায় ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছে…এমন পরিস্থিতিতে তারা (সরকার) ইভিএমের জন্য এত টাকা খরচ করতে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার ক্ষমতায় বসতে দিলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই দেশ এবং এর অর্থনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ।
তিনি বলেন, ‘তারা রক্ষীবাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে এবং এভাবে দেশে হত্যার রাজনীতির সূচনা করেছে। তারা ১৪ বছর ধরে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় আছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে বলেছেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের হাওয়া বইছে।’
তিনি বিএনপিতে হান্নান শাহের অবদান এবং ২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় গণতন্ত্রের পক্ষে তার ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ইমামদের বড় ভূমিকা রয়েছে: খন্দকার মোশাররফ
২ বছর আগে
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কেননা তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সকলের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ তাদের সব ধরনের অধিকার ভোগ করবে। তাদের মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। এটি আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এবং আমরা এটির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সাশ্রয়ে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রেখে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চায়।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দল গঠনের পর থেকেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছে।
সাম্প্রতিক কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে। আমি মনে করি এটি নির্বাচনী ইতিহাসে একটি উদাহরণ।
এখন প্রযুক্তির যুগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ নির্বাচনে প্রযুক্তি ও ইলেক্টোরাল ভোটিং মেশিন ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনও শান্তিপূর্ণ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জনগণ যাতে তাদের ভোটাধিকার ভোগ করতে পারে এবং অধিকার নিশ্চিত করতে পারে; সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় উন্নয়নে দেশীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি সাংসদ প্রাণ গোপাল দত্তের
সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেছেন, ‘আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে সকল নির্বাচনে চান্দিনার প্রতিটি জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিব।’
শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় মাইজখার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংসদ ডা.প্রাণ গোপাল দত্ত এই কথা বলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মমিন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগ সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শাহজালাল মিঞা শিপনসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-৭ আসনে ডা. প্রাণ গোপালকে বিজয়ী ঘোষণা
৩ বছর আগে