মৎস্য খাত
খুলনায় ভারী বর্ষণে মৎস্য খাতে ক্ষতি ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
খুলনার ডুমুরিয়াকে বলা হয় মাছের স্বর্গরাজ্য। মাছ ও চিংড়ি উৎপাদনে ডুমুরিয়া উপজেলার অবস্থান খুলনা জেলায় শীর্ষে। আর খুলনায় মাছের চাহিদার একটা বৃহৎ অংশ পূরণ হয় ডুমুরিয়ায় উৎপাদিত মাছ থেকে।
টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ডুমুরিয়ায় ১৪টি ইউনিয়নের ২২৬টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে মৎস্যঘেরসহ শাকসবজি ও বসতবাড়ি। এতে মৎস্য খাতে ক্ষতি আনুমানিক ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকার ক্ষতি: দুর্যোগ উপদেষ্টা
এদিকে ডুমুরিয়ায় মাছ চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২৮ হাজারের ৫৭৪ জন মানুষ। এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে চাষ হয় গলদা, বাগদা চিংড়ি ও কার্প জাতীয় মাছ। উৎপাদিত বাগদা ও গলদা চিংড়ি খুলনা অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়ায় ১৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে ২৬ হাজার ৫৭০টি মাছের ঘের এবং ৫ হাজার ৬৩০ টি পুকুর রয়েছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের এ সব মাছের ঘের ও পুকুর থেকে বছরে প্রায় ২৮ হাজার ৬৯০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে ১৮ হাজার ২০০ মেট্রিক টন সাদা মাছ। বাকি ১০ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত এসব মাছের বাজার মূল্য আনুমানিক ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের ৬ উপজেলায় ৪৪টি কালভার্টসহ ১৯২ গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ভারী বর্ষণে ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ছোট বড় সব মিলিয়ে ১২ হাজার ৫৩০টি ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। এসব ঘের ও পুকুর থেকে ৩ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন সাদা মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। ৪ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন চিংড়ি ভেসে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সাড়ে ৭ মেট্রিক টন কাঁকড়া ভেসে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা। এছাড়াও বন্যায় মৎস্য খাতের অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ৫ কোটি টাকা। প্রথম ধাপে আমরা যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেছি সব মিলিয়ে আমাদের উপজেলায় মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৬০ কোটি ৭ লাখ টাকা হবে। এছাড়া বন্যা পরবর্তী মৎস্য অধিদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক প্রথম ধাপের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিকট হতে সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কার্যক্রম চলমান।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যায় বাড়ি ফিরতে পারেনি ৮৩৫০ পরিবার, ক্ষতি ৫৩৩ কোটি টাকার
১ মাস আগে
বন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
সাম্প্রতিক বন্যায় বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ২ হাজার কোটিরও বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এছাড়াও সরবরাহে সাময়িক সংকটের কারণে কেউ যেন দুধ ও ডিমের দাম না বাড়ায় এ বিষয়ে সতর্ক করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় এনজিওগুলোর দক্ষতা কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
রবিবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও করণীয় নিয়ে আলাপকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে ১২টি জেলায় ডিম ও দুধসহ প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৪১১ কোটি টাকা। আর মৎস্য খাতে ১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে সরবরাহ লাইনে সংকট তৈরি হয়েছে। তাই সাময়িক সমস্যা হতে পারে। তবে সাময়িক এ সংকটের কারণে কেউ দুধ ও ডিমের দাম না বাড়ায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় সচেতন আছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলকে কেপিআই হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা
কেউ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য খামারি ও উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ঋণের কিস্তির টাকা আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বন্যায় কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার
২ মাস আগে
মৎস্য খাতের উন্নয়নে পৃথক দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চান ব্যবসায়ীরা
চিংড়ি, কাঁকড়া, স্বাদু পানির মাছ, সামুদ্রিক মাছসহ অন্যান্য মাছ রপ্তানিসহ এই খাতের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাছের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়াতে এই খাতের জন্য পৃথক দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা চান এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (মে ৬) বেলা ১১টায় মৎস্য খাতবিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ দাবি করেন বক্তারা।
এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন, চিংড়ি, কাঁকড়া ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ রয়েছে। তবে মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। বাধাহীনভাবে মাছ চাষের জন্য দেশের দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দসহ নদীতে খাঁচা পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য চাষে সরকারের সহযোগিতা পেলে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়বে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিতকরণে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আগে রপ্তানি খাত বলতে চা, চামড়া, মাছ এগুলোই ছিল। এগুলো রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো বাংলাদেশের। এখনও হচ্ছে। তবে মৎস্য খাতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটাতে গিয়ে আগের মতো আর মাছ রপ্তানি করার সুযোগ হচ্ছে না। মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুপারিশমালা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতামত চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
মৎস্য খাতের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মৎস্য খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য। এক্ষেত্রে মাছ চাষিদের স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ ও থানা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর। মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদের দুইটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন তিনি। এছাড়া মাছ রপ্তানি বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান তিনি। এসময়, অবৈধ জাল দিয়ে নদী ও সাগরে মৎস্য নিধনের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুড্স এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল আক্তার। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, নিয়াজ আলী চিশতী, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ রেকর্ড
সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
৬ মাস আগে
'রপ্তানি উন্নয়নে মৎস্য খাতে ই-ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম চালুর আহ্বান'
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ই-ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম(ইলেকট্রনিক যাচাই/শনাক্তকরণ পদ্ধতি) চালুর আহ্বান জানিয়েছে মৎস্য খাতের অংশীজনরা।
সম্প্রতি খুলনার নতুন বাজার লঞ্চঘাট রোডে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
সভায় তারা একমত হন যে, দেশে স্মার্ট ফিশারিজ সম্প্রসারণ এবং বিশ্ববাজারে মৎস্য রপ্তানিতে সুনাম অর্জনের জন্য ই-ট্রেসেবিলিটি অপরিহার্য।
ফিশ ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফওএবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
স্মার্ট ফিশারিজ ই-ট্রেসেবিলিটি পাইলট প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, মৎস্য খামার মালিক সমিতির সভাপতি মোল্লা শামসুর রহমান শাহীন, খুলনা মান নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, ক্রিসমন রোজেলা কোম্পানির পরিচালক সৈয়দ আবু মোর্শেদ, খুলনা চিংড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মনজির, সহ-সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, নিউ মেঘনা ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. হারুন অর রশীদ এবং এফওএবি খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব শেখ শাকিল হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
বক্তারা বলেন, ই-ট্রেসিবিলিটি সিস্টেম চালুর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে চিংড়ি শিল্পের সুনাম ধরে রাখা সম্ভব হবে।
এজন্য সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে জড়িত মধ্যস্থতাকারী অংশীজনদের চিহ্নিত করে প্রকৃত লাইসেন্সের আওতাভুক্ত করে মাছের সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তারা আরও বলেন, কৃষক এবং মৎস্য সংগ্রহকারীদের একটি ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ, যা কৃষকদের নিরাপদ পণ্য শনাক্ত করতে সহায়তা করবে। এর ফলে মাছ বিপণনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তরুণ ও নারীদের টেকসই কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ
১০ মাস আগে
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগে বিদেশি ব্যবসায়ীদের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
বাংলাদেশ থেকে সি-ফুড আমদানি ও বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে স্পেনের বার্সেলোনায় গ্লোবাল সি-ফুড এক্সপো ২০২৩ এ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় বাংলাদেশ থেকে মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভালো ব্যবসার জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
এ সময় তিনি জানান, বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত।
পাশাপাশি বাংলাদেশের চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্যসম্পদ রপ্তানির চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা উত্তরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও এ সময় তুলে ধরেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, চিংড়ি, ফিনফিশ, শুটকি মাছ, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এ অর্থবছরে ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকার রোগমুক্ত বাগদা চিংড়ি উৎপাদনে বেসরকারি খাতে ম্যাচিং গ্র্যান্ট প্রদানসহ চিংড়ি উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।
সনাতনী পদ্ধতির চিংড়ি হ্যাচারিকে এসপিএফ হ্যাচারিতে রূপান্তর, ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষ পদ্ধতি প্রচলন, চিংড়ি খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি, সাপ্লাই চেইনের মান উন্নয়ন, দেশব্যাপী বিদ্যমান চিংড়ি খামারের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি, সমন্বিত ই-ট্রেসিবিলিটি সিস্টেম প্রবর্তন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্য মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২০ প্রণয়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে ন্যাশনাল রেসিডিউ কন্ট্রোল প্ল্যান বাস্তবায়ন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে দেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা, নিয়মিত পরিদর্শন ও মনিটরিং, আমদানিকারক দেশের মৎস্য পরিদর্শন এবং মাননিয়ন্ত্রণ বিধি ও চাহিদার সঙ্গে গতি রেখে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন দেশের মৎস্য খাত কীভাবে বিকশিত হয়েছে, মৎস্য খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, সি-ফুড রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয় বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সি-ফুড এক্সপো থেকে বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করছে।
এ বছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সি-ফুড এক্সপো আয়োজন করা হচ্ছে জানিয়ে সি-ফুড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের ক্রেতা ও বিশেষজ্ঞদের এ এক্সপোতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দেশের সি-ফুড খাতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে শেখ হাসিনা ও কিশিদার আলোচনা
১ বছর আগে
মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসাবে নিতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান সময়ে আমরা মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে নিতে চাই।
৪ বছর আগে
মৎস্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে মৎস্য খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। মাছের উৎপাদনে পরিপূর্ণতা এসেছে। এখন কোথাও মাছের সংকট নেই।
৪ বছর আগে