তিনি বলেন, ‘মৎস্য খাতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। যে পরিমাণ মাছ আমাদের প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি উৎপন্ন হচ্ছে। এ পরিবর্তনের ম্যাজিশিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) অডিটোরিয়ামে বিএফআরআই উদ্ভাবিত কৈ, তেলাপিয়া এবং সাদা পাঙ্গাসের জার্মপ্লাজম মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘টেংরা, পাবদা, শিংসহ হারিয়ে যাওয়া যে সকল মাছ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, বিলুপ্তপ্রায় সেসব মাছ আমরা আবার ফিরিয়ে আনছি। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। বাঙালির নিজস্ব প্রজাতির মাছ মানুষের দোরগোড়ায় ফিরিয়ে আনার সমস্ত প্রক্রিয়া আমরা সামনে নিয়ে আসছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে আমাদের মাছের চাহিদা রয়েছে। মৎস্য সম্পদের মাধ্যমে আমরা একদিকে পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ করছি, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি।’
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজসহ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন সকালে বিএফআরআই ক্যাম্পাসে দেশীয় মাছের লাইভ জীন ব্যাংক উদ্বোধন ও ইনস্টিটিউটের স্বাদু পানি কেন্দ্রে চলমান গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এরপর বন্যাউত্তর পুনর্বাসনের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মাঝে মাছের পোনা বিতরণ করেন তিনি।