গোয়ালন্দ
গোয়ালন্দে জাকের পার্টির সভাপতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইউনুস খা (৬৫) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গোয়ালন্দ-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়কের প্রায় ৩০০ গজ পশ্চিমে উজানচর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইউনুস উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন জাকের পার্টির সভাপতি ছিলেন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বাজারের একজন ক্ষুদ্র কাঁচামাল ব্যবসায়ী।
তিনি উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
পরিবার ও স্থানীয়দের মতে, তিনি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ও ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারছিলেন না। শারীরিকভাবেও অসুস্থ থাকার পাশাপাশি ঋণের কিস্তির জন্য এনজিও–কর্মীরা তাকে চাপ দিতেন।
ইউনিয়ন জাকের পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, ইউনুস পৌনে ৫টার দিকে আমাকে ফোনে জানায়, সে পাংশার মাছপাড়া আছেন এবং বলেন মোমিনের বাড়ির পেছনে কেউ আত্মহত্যা করেছে।
পরিবারসহ ছোট ভাই বিল্লালকে খবরটি দিতে বলেন। পরে সকাল ৭টার দিকে পরিবারকে খবর দেই এবং তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাই। এসময় তারা বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি।
পরে পরিবারের লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় ইউনুসের লাশ দেখতে পান।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, আমগাছের ডালে গলায় গামছা প্যাঁচানো ইউনুসের লাশ ঝুলে আছে। অপর ডালে পলিথিনের মধ্যে কিছু কাপড় রয়েছে।
ইউনুসের মেয়ে শাহনাজ পারভীন মীম বলেন, বাবা মালামাল কিনতে বুধবার ও শনিবার হাটে যান। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশে বের হন। বেলা ১১টার দিকে ফোনে জানান, বাজারে আছি, আসতে দেরি হবে। বেলা ৩টার পর থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউনুসের ছেলে মানিক খা বলেন, আড়াই মাস আগে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন বাবা। বুধবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় কয়েকদিন আগে মুখ দিয়ে রক্ত পড়েছিল।
স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ব্র্যাক, আশা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, এসডিসি, পিপিসহ কয়েকটি এনজিও থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকার মতো ও ব্যাংক থেকেও ঋণ নেওয়া ছিল। কিস্তির টাকার জন্য এনজিও থেকে চাপ দিত। টাকা জোগাড় করতে না পেরে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন ঋণগ্রস্ত হওয়া ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীতে নিখোঁজের একদিন পর বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের পরদিন প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
গোয়ালন্দে হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হিটস্ট্রোকে মো. নুর ইসলাম নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: ভৈরবে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে জার্মান প্রবাসী শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শিক্ষক নুর ইসলাম গোয়ালন্দ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ওয়াজেত আলী খানের ছেলে।
মৃত নুর ইসলামের ভাতিজা আসাদুজ্জামান রুমি বলেন, নুর ইসলাম বুধবার সকালের দিকে প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বাড়ির আঙিনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে প্রথমে তার মাথায় পানি ঢালেন।
পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফারসিম তারান্নুম হক বলেন, তিনি ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি তাপপ্রবাহের কারণে বুধবার সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বিয়ের বাজার শেষে ট্রেনে কাটা পড়ে চাচা-ভাতিজির মৃত্যু
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
৬ মাস আগে
গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কয়েক দিন ধরে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। শুক্রবার সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। কেবলমাত্র প্রয়োজনের তাগিতে বের হচ্ছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া নদী ভাঙন এলাকার শ্রমজীবী মানুষ শীতে বাড়তি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গোয়ালন্দে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গোয়ালন্দ উপজেলায় আবহাওয়া অধিপ্তরের কোনো কার্যালয় না থাকলেও প্রয়োজনের তাগিদে উপজেলা প্রশাসন আবহাওয়ার খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ উপজেলায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে। যা এ বছরের সর্বনিম্ন বলে মনে করছেন তিনি। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ১৮ জানুয়ারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এরপর তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কম। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষজন পেটের তাগিদে বাইরে বের হয়েছেন। লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে মানুষের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। কিছু মানুষ এলেও বেশিরভাগ চায়ের দোকানে গরম কাপে চুমুক দিতে দেখা যায়। জরুরি কাজ না থাকলে সহজে কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। উপজেলার উজানচর, দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম অঞ্চলের নদী ভাঙন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষজন অনেক কষ্টে দিন পার করছে। শীতে তাদের বাড়তি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) একজন ভ্যানচালক। প্রতিদিন গোয়ালন্দ বাজার, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকেন। কিছু মাছের ট্রিপ ধরতে এসেছেন দৌলতদিয়া ঘাটে।
দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ফেরি ঘাটে আলাপকালে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এমন শীত পড়েছে, মনে হচ্ছে জমে যাচ্ছি। এমন শীত আগে দেখিনি। ঘরে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে রয়েছে। রোজগার না করলে খাওন জুটবে না। ৩০০ টাকা ভাড়ায় দৌলতদিয়ায় আইছি। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে দাঁড়ায় থাকতে পারছি না।
ঘাটে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম পন্টুনের একটি কক্ষে গিয়ে বসে আছেন। এসময় তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। এরপর ঘাট এলাকায় শীতের সঙ্গে বাড়তি বাতাস থাকায় ডিউটি করা অনেক কষ্টকর। মাঝে মধ্যে বাতাস উঠলে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। উপায় না পেয়ে একটু উষ্ণতা নিতে চায়ের দোকানে ঠাঁই নিতে হয়।
আরও পড়ুন: শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগী
দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, এর আগে এত ঠান্ডা পড়েনি। আজকে সারাদিন ঘরেই বসে আছি। নদী ভাঙন এলাকার মানুষজন ঠান্ডায় কাতর হয়ে পড়ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে কিছু কম্বল দিয়েছিল তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত মানুষকে এখন কী দেব?
এদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় শীতকালীন অনেক ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। ধানের বীজতলা, দানা পেঁয়াজ, সরিষা।
দৌলতদিয়া তোরাপ শেখের পাড়ার কৃষক হুমায়ন আহম্মেদ বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় ধানের বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। দুই দিন ধরে বীজতলার ওপর পলিথিন দিয়ে ঘিরে দিচ্ছেন। সরিষা খেতে পোকার আক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় মুড়িকাটা ও দানা পেঁয়াজের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ অঞ্চলে পেঁয়াজ তোলা শেষের দিকে। সরিষার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। সরিষা খেতে পাতায় এক ধরনের পোকার আক্রমণ হতে পারে। ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ জন্য কৃষকদের সতর্কতার সঙ্গে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে বলেছি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জেকে বসেছে শীত, বিক্রি বেড়েছে হকার্স মার্কেটে
১০ মাস আগে
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় গোয়ালন্দ জাপার সভাপতিসহ ২ নেতাকে অব্যাহতি
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি হামিদুল হক বাবলু ও জেলা কমিটির যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক মো. মনির হোসেনকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে রাজবাড়ী-১ সংসদীয় আসন গঠিত। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা জাপা সভাপতি আইনজীবী খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু।
দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সভায় দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত ২৬ ডিসেম্বর হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী
সভাপতি খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান মোমিন ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন।
এতে বলা হয়, রাজবাড়ী-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালালেও হামিদুল হক বাবলু ও মো. মনির হোসেনকে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আইনজীবী ইমদাদুল হক বিশ্বাসের পক্ষে তারা নিয়মিত প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
যা সম্পূর্ণভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অন্যতম কারণ। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ২৬ ডিসেম্বর এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হামিদুল হক বাবলু ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেনকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. লিয়াকত হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তাদেরকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতির জন্য জাতীয় পার্টির সুপারিশ কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীর হামলার অভিযোগ
১০ মাস আগে
গোয়ালন্দে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানা মাঠে রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলা অবস্থায় পড়ে গিয়ে মারা যান পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান মুন্সী (৫৯)।
রাতেই তার লাশ রাজবাড়ীর পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।
তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী জেলা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল গ্রামের মৃত আসত মুন্সীর ছেলে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, রবিবার রাত ৯টার দিকে পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই মো. মনিরুজ্জামান মুন্সীসহ থানা পুলিশের আরো ২ জন এসআই এবং একজন কনস্টেবল থানার মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। খেলায় বিপরীত পক্ষের ছোড়া বল ঠেকাতে গিয়ে তিনি পেছনের দিকে ঘুরতেই পা পিছলে মাঠে পড়ে যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে সহকর্মীরা তার মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ্য করার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় তিনি (উত্তম কুমার ঘোষ) তার কার্যালয়ে বসে কাজ করতে ছিলেন। সহকর্মীদের চিৎকার শুনে তিনি দৌড়ে মাঠে গিয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শরীফুল ইসলাম জানান, রাত ৯টার দিকে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে বোঝা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি রাজবাড়ী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। মনিরুজ্জামানের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মনিরুজ্জামান মুন্সীর মার্চে অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে তার স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় মিলল গৃহকর্মীর লাশ
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
১০ মাস আগে
গোয়ালন্দে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকল বাস, আহত ১২
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে মুদিখানা ও ওষুধের দোকানের ভেতরে ঢুকে যাওয়ায় কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) জুম্মার নামাজ চলাকালীন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর জমিদার ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুনের অভিযোগ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুম্মার নামাজ চলাকালীন পিরোজপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দিগন্ত পরিবহনের একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের জমিদারব্রিজ এলাকায় একটি ওষুধ ও একটি মুদি দোকানের উপর ছিটকে পড়ে। এতে দোকান ভেঙে কাত হয়ে পড়ে যায়। এতে কমপক্ষে ১২ বাসযাত্রী আহত হন। ওই সময় দোকান দুটি বন্ধ ছিল।
মুদি দোকানি হালিম মোল্যা বলেন, নামাজের সময় হওয়ায় দোকান বন্ধ করে নামাজে যান। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান। দৌড়ে এসে দেখেন রাস্তার ধারে থাকা দোকান নেই। মুদিখানার পাশাপাশি পেট্রোল, মবিল, অকটেন খুচরা বিক্রি, বিকাশে টাকা লেনদেন করেন তিনি। অন্তত ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। দোকানঘরসহ বাসটি রাস্তা থেকে ২০ হাত দূরে নিয়ে গেছে। দোকান খোলা থাকলে বেঞ্চে লোকজন বসে থাকে।
ওষুধের দোকানি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমিও দোকান বন্ধ করে জুম্মার নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষে এসেই দেখি আমার দোকান আগের জায়গায় নেই। আমার দোকান দুমড়ে মুচড়ে খাদে পড়ে আছে। তার উপর পড়ে আছে যাত্রীবাহী বাস। দোকানের কোনো কিছুই বের করতে পারেননি। দোকানে অন্তত ৩ লাখ টাকার ওষুধ ছিল।
গোয়ালন্দ মোড় আহ্লাদিপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে আসেন। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস যাত্রীদের উদ্ধার করে। দুর্ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও কয়েকজন আহত হয়েছেন। চালক পলাতক, তবে বাসটি জব্দ করেছি। বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার জুম্মার নামাজ চলাকালীন দুর্ঘটনাটি ঘটায় অনেকে প্রাণে রক্ষা পান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের অভিযোগ
১১ মাস আগে
গোয়ালন্দে সাড়ে ৫ লাখ টাকার চায়না জাল ধ্বংস, ৫ জেলেকে জরিমানা
গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ চায়না দুয়ারি, ঘন বেড় জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকারের জন্য পাঁচ জেলেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সাড়ে ৫ লাখ টাকার ধ্বংস করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মা নদীর কুশাহাটা, অন্তরমোড়সহ বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, বুধবার অভিযান চালিয়ে মাছ শিকারের জন্য অবৈধভাবে পেতে রাখা ৫০টি চায়না দুয়ারি, একটি বড় ঘন বেড় জাল, একটি ১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ২৫ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ জব্দ করা হয়। পরে দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাটে জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা মাছগুলো একটি এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। ধ্বংস করা জালগুলোর আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে এক বাঘাইর বিক্রি হলো অর্ধলাখ টাকায়
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, বুধবার সকাল থেকে আমরা পদ্মা নদীতে অবৈধ চায়না দুয়ারী, কারেন্ট জাল ধ্বংসে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে আগুনে পোড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জন জেলেকে ২ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি এই চায়না দুয়ারি জাল। এ জালে সব ধরনের মাছ ও জলজ প্রাণী ধরা পড়ে। অবৈধ এই জাল ব্যবহারের ফলে মাছ ও জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
তিনি আরও বলেন, এসব জাল ব্যবহারের ফলে খাল, বিলের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। তাই মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে অভিযান: ৪ হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
১ বছর আগে
গোয়ালন্দে এক বাঘাইর বিক্রি হলো অর্ধলাখ টাকায়
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে ৩৭ কেজি ওজনের বিপন্ন প্রজাতির একটি বাঘাইর মাছ ৪৯ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার ভাটিতে বাহির চর কলার বাগান এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে। পরে ঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্যা বাঘাইরটি ৪৫ হাজার টাকায় কিনে ৪৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
যদিও বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০২২-এর তফসিল অনুযায়ী, বাঘাইর বিপন্ন প্রজাতির মাছ। তাই এর শিকার ও বেচাকেনা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, মঙ্গলবার সকালে জাল ফেলে মাছটি ধরেন বাহির চর এলাকার জেলে অচেল হালদার। পরে তিনি মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট মাছ বাজারের আসেন। সেখানে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্যা ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বাঘাইর মাছটি কিনে নেন। পরে মাছটি ওজন দিয়ে দেখতে পান প্রায় ৩৭ কেজি ৬০০ গ্রাম হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে বর্শিতে ধরা পড়লো ৬২ কেজির বাঘাইর মাছ!
মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্যা বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বড় বাঘাইর বিক্রির খবর পেয়ে নিলামে অংশ নেই। প্রায় সাড়ে ৩৭ কেজি ওজনের বাঘাইর মাছটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৪৪ হাজার ৪০০ হাজার টাকায় কিনেন। মাছটি ফেরির পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেধে রাখেন। বাঘাইরটি বিক্রির জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন পরিচিত জনদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন।
মঙ্গলবার বিকালে কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে লাভে ঢাকার এক পরিচিত ব্যবসায়ীর কাছে ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৪৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মাছটি বুধবার সকালে ঢাকায় পাঠানোর কথা রয়েছে।
বন্য প্রাণী (সংলক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী বাঘাইর মাছ একটি সংরক্ষিত বন্য প্রাণী।
বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, বাঘাইর মাছ তফসিলভুক্ত সংরক্ষিত বন্য প্রাণী। আইন অনুযায়ী বাঘাইর শিকার, ক্রয় এবং বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তালিকা অনুযায়ী বাঘাইর মাছ মহাবিপন্ন প্রাণী।
গোয়ালন্দ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল-রাজিব বলেন, বাঘাইর মাছ সংরক্ষিত বন্য প্রাণী আইনে চলে গেছে। মৎস্য সংরক্ষণ আইনে না থাকায় তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। তাঁর জানা মতে বাঘাইর শিকার, ক্রয়-বিক্রয় বা খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ নেই।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাছ ঘাটে ইলিশের আমদানি বেড়েছে, দাম কিছুটা নিম্নমুখী
মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
১ বছর আগে
গোয়ালন্দে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব শুরু
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব শুরু হয়েছে।
শনিবার রাত ১০টায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী উদ্বোধন শেষে নিজে গান পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্ধ করেন।
গোয়ালন্দ পৌর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফকীর মহিউদ্দিন আনছার ক্লাব চত্বরে উদ্বোধনী পর্ব শেষে মঞ্চস্থ হয় শ্রী রঞ্জন দেবনাথ রচিত সামাজিক নাটক ‘চরিত্রহীন’।
‘সুস্থ্য সংস্কৃতির চর্চাই হোক দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনের হাতিয়ার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গোয়ালন্দ নাট্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ-এর উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসবে তিনটি সামাজিক নাটক মঞ্চস্থ্য হচ্ছে। এর আগে করোনার কারণে দুই বছর এই নাট্য উৎসব বন্ধ ছিল।
গোয়ালন্দ নাট্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের শেখ-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা, পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, গোয়ালন্দ বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি মো. ছিদ্দিক মিয়া, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নির্মল কুমার চক্রবর্তী, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা, জেলা পরিষদ সদস্য মো. ইউনুস মোল্লা, নাট্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কোমল কুমার সাহা প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অপূর্ব সাহা দ্বিজেন।
আরও পড়ুন: শিল্পকলায় শুরু হলো ‘জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব’
১ বছর আগে
গোয়ালন্দে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা!
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের ভাগলপুর এলাকার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবার দাবি করেছে।
রিমন শেখ (১১) গোয়ালন্দের ভাঘলপুর এলাকার মো.আব্দুর রাজ্জাক শেখ এর ছেলে। সে স্থানীয় ভাগলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, রিমনের বাবা ঢাকায় পোশাক কারখানার ঝুট এর ব্যবসা করেন। রিমন পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। সে তার মায়ের সঙ্গে বাড়িতে থাকে।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলায় যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
নিহতের পরিবারের স্বজনরা জানান, সোমবার সকালে রিমনের ফুপু ও ফুফাতো বোন রাজবাড়ী শহরে কেনাকাটার জন্য যেতে চাইলে রিমনও তাদের সঙ্গে যাবে বলে বায়না ধরে। কিন্তু রিমনের ফুপু ও ফুফাতো বোন তাকে না নিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে কেনাকাটা করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পাশের বাড়ির লোকজন ওই ঘর থেকে একটা শব্দ শুনতে পেয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় রিমন নিজেদের ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুঁলে আছে। তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় নামিয়ে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এসময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো.রবিউল ইসলাম বলেন, রিমন গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে আনার পর জানায়। আমরাও প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। তার গলায় দাগ রয়েছে। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ‘বাড়ি বাঁচাতে না পেরে’ প্রেসক্লাবের সামনে নারীর আত্মহত্যাচেষ্টা
বাগেরহাটে ৩ বছরের ছেলেকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা
২ বছর আগে