প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর যোগান দেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর যোগান নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আগামী কোরবানি ঈদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। কোনো ধরনের গবাদিপশুর ঘাটতি নেই।’
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘গতবার (গত কোরবানি) আমাদের ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদি পশুর আমদানি ছিল। এর মধ্যে অবিক্রিত ছিল ১৯ লাখ। এবার কোরবানির সময় ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি গবাদিপশুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উৎসবের দিন সামনে আসছে, সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ও মতলববাজরা পুরো ব্যাপারটা ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মধ্যস্বত্বভোগীদের যে বাড়াবাড়ি বিষয়ে অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। গবাদিপশুর বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে। দাম যাতে মানুষ ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেই বিষয়ে প্রস্তুতিমূলকভাবে খামারি ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের (খামারি) আশ্বস্ত করেছি গবাদিপশু আমদানি করার কোনো কারণ নেই। গরু আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। আমাদের দেশে উৎপাদিত গবাদিপশুই যথেষ্ট। কোনো অপ্রতুলতা নেই। আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা সবই ঠিক আছে।’
বাজার যাতে অস্থিতিশীল না হয়, সে বিষয়েও আয়োজন ও প্রস্তুতি আছে বলে জানান মো. আব্দুর রহমান।
কোরবানির পশু গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কোরবানির আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে যাতে পথে-ঘাটে চাঁদাবাজি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আরও পড়ুন: ৩৫টি জেলায় দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ)’ শীর্ষক প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায় এ কথা জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সব স্টেকহোল্ডারদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সব প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা হলে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায়। এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বিধায় বাস্তবতা মেনে আমাদের পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরও নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে মৎস্য খাতের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করে দরিদ্র জেলে ও মৎস্য চাষিদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে।
এ সময় জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মাছ চাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মাছ চাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মাছ চাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কারেন্ট জালের উৎস নির্মূল করতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের মৎস্য খাতের সাফল্য বিশেষ করে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগণের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পূরণ এবং গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদানের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, মাছ উৎপাদনে আমরা সারা বিশ্বে তৃতীয় হলেও মাছ রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে আমরা পিছিয়ে আছি। মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকায় মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিস’ বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
বিএফডিসি রেডি ফিস বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণে সকল অংশীজনকে যার যার অবস্থান থেকে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে রেডি টু কুক ফিসের অনেক চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন কোন মাছের চাহিদা রয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে রেডি টু কুক ফিস কার্যক্রম চালাতে পারলে এসব পণ্য রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। এছাড়া রেডি টু কুক ফিসের মাধ্যমে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্মজীবী নারীদের রান্না সহজীকরণে রেডি-টু-কুক ফিস প্রস্তুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের জন্য দূরদর্শী দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে বিএফডিসি রেডি-টু-কুক ফিস প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে কম লাভে পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
এই কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, রেডি টু কুক ফিশের ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্বাদ ও খাদ্যমান বজায় রাখা। তবে বিএফডিসি থেকে যেসব মৎস্য পণ্য রেডি টু কুক হিসেবে বিপণন করা হবে তা অত্যন্ত মানসম্মত।
খাদ্যমান ও স্বাদ নিশ্চিতকরণের বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এসব পণ্য প্রস্তুত করা হলে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে।
আগামীকাল থেকে রেডি টু কুক হিসেবে মোট ৪০ প্রজাতির মাছ তিনটি স্থানে স্থায়ীভাবে বিপণন করা হবে। স্থান তিনটি হলো- কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসি ভবনের মৎস্য বিতান, যাত্রাবাড়ীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দর।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
এছাড়া ঢাকা শহরের ১৬টি স্পটে ৬টি ফ্রিজিং ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ভিত্তিতে 'বিএফডিসি রেডি ফিস' বাজারজাত করা হবে।
ভ্রাম্যমাণ স্পটগুলো হলো-
১) মহাখালী ডিওএইচএস, ২৭ নম্বর রোড,
২) বনানী, নেভী হেডকোয়াটার ও গুলশান (আজাদ মসজিদ সংলগ্ন),
৩) সচিবালয় এর দক্ষিণ গেইট,
৪) মিরপুর ডিওএইচএস, মিরপুর,
৫) স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট,
৬) মিরপুর অপরাজিতা ভবন, মিরপুর,
৭) ধানমন্ডি ৬ নম্বর,
৮) আজিমপুর কলোনী, আজিমপুর,
৯) লেডিস ক্লাব, ইস্কাটন,
১০) সচিব কোয়াটার, ইস্কাটন (বুধবার ও শনিবার),
১১) দুদক অফিস, সেগুনবাগিচা,
১২) এজিবি কলোনী, মতিঝিল,
১৩) শংকর, ধানমন্ডি,
১৪) সেচভবন, মানিক মিয়া এভিনিউ (শুক্রবার ও শনিবার),
১৫) ধানমন্ডি ২৮, ও
১৬) মোহাম্মদপুর মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন, মোহাম্মদপুর।
এছাড়া অনলাইন, ই- কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং এলাকাভিত্তিক ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে বাজারজাতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: 'রপ্তানি উন্নয়নে মৎস্য খাতে ই-ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম চালুর আহ্বান'
কারেন্ট জালের উৎস নির্মূল করতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কারেন্ট জাল উৎপাদনের কারখানাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪’ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, কারেন্ট জালের বিষয়টি প্রশাসনকেই দেখতে হবে। এটি বন্ধ করতে পারলে কোনো জেলের এই জাল নিয়ে নদীতে নামার সুযোগ থাকবে না। সুতরাং এই বিষয়টি আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকষর্ণ করছি।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আজকে আমদের ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম, ইলিশকে নিরাপদ রাখার জন্য, বিশেষ করে মা ইলিশকে বাঁচাবার জন্য এবং জাটকা নিধন বন্ধের জন্যই চাঁদপুরে আসা। আমরা যদি মা ইলিশ রক্ষা না করি, তাহলে আমরাই (জেলেরা) বিপদে পড়ব।
মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র নৌপুলিশ, ডিসি ও এসপিকে দিয়ে জাটকা রক্ষা হবে না। আমাদের নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকেও এগিয়ে আসতে হবে। এই জাটকা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রমজান মাস জুড়ে সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিক্রির জন্য রাজধানীতে ৩০টি বিক্রয় পয়েন্ট স্থাপন করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯ দশমিক ১৭ টাকা (১ ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রি করা হবে।
রবিবার (১০ মার্চ) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে রমজান মাস উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ বাজারে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে পরিচালিত হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়া স্থায়ী বাজারসহ আরও পাঁচটি স্থানে মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো-
নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালসী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (শিকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর ১০, কল্যানপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) কাকরাইল।
স্থায়ী বাজারগুলো হলো-
মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর, কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।
মন্ত্রী বলেন, পণ্যগুলো বিক্রির জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল ৯টার মধ্যে পণ্যগুলো নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিপণন শুরু হবে।
এছাড়া রমজান মাসে বাজারে মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্য ক্রেতাদের নিকট সহনীয় রাখতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতাদের নিকট মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চারটি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের চারটি নির্ধারিত স্থানে মাছ বিক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন-
১. বঙ্গবন্ধু চত্বর, খামারবাড়ি, ফার্মগেট;
২. মিরপুর-১ (ঈদগাহ মাঠ);
৩. সেগুন বাগিচা বাজার; ও
৪. মেরুল বাড্ডা বাজার;
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন-
১. মুগদাপাড়া (মদিনাবাগ বাজার);
২. যাত্রাবাড়ী (দয়াল ভরসা মার্কেট);
৩. মতিঝিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষিণ-পূর্ব কর্নার) ও
৪. পলাশী মোড়ে এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে।
এ ছাড়া রুই মাছ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা এবং পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা করে বিক্রয় করা হবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মাছ বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে মন্ত্রী জানান।
সোমবার (১১ মার্চ) থেকে শুরু হয়ে রমজান মাসের ১৫ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন এসব স্পটে মাছ বিক্রয় করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কার্যক্রমটি তদারকি ও মনিটরিং করার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে।
পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
আব্দুর রহমান বলেন, গরু, খাসি ও মুরগির মাংস এবং দুধ, ডিম ও মাছের সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে এসব পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধ উৎপাদনে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও সরকারের নানামূখী উদ্যোগের কারণে অচিরেই দুধ উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করব।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এবার ডিসিরা তাদের সব সামর্থ্য নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে একমত হয়েছেন।’
সোমবার (৪ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে খাদ্য ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রশাকদের অধিবেশন শেষে সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন রমজানে আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে যাতে মানুষ স্বস্তিতে পণ্য কিনে খেতে পারে। আমরা ব্যবসায়ীদের আহ্বান করছি- আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না ‘
তিনি জানান, সম্মেলনে ডিসিরা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। তারা কোনো অবস্থাতেই বাজার অস্থিতিশীল হতে দেবেন না। খাদ্য নিয়ে কারসাজি রোধ করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আইন করে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নৈতিক জায়গায় ঠিক থাকতে হবে ‘
সামাজিক ক্যাম্পেইন করতে হবে, পবিত্র মাসে কারসাজি করে দাম বাড়ানো দুঃখজনক বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষ যাতে পণ্য সঠিক দামে কিনতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে মধুমতি নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ ও ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন পরেই রমজান শুরু হচ্ছে। সুতরাং ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও প্রতিটি মানুষের উচিত হবে সবার স্বাচ্ছন্দ্যে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারে সেজন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যার যার জায়গা থেকে সে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যে কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। রমজান শুরু হওয়ার একদিন আগে থেকেই সেই কাজটি শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, ২৫টি জায়গায় ন্যায্যমূল্য বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হবে। সেখানে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা এবং দুধের কেজি ৮০ টাকা।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা মূল্যে কোনো কারসাজি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম এস এম শহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ, নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থপ্রতিম সাহাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ লাখ ৩ হাজার বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।
বাগেরহাট থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকার মৎস্যজীবীসহ সারা দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ লাখ ৩ হাজার ৪১৮ জন। ‘এর মধ্যে ১৪ লাখ আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
গাইবান্ধা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সরকারি দলের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির ১৫টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের ১৭ ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, এসব টিকা সরকার নির্ধারিত ভর্তুকি মূল্যে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, , বিশেষত প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ভ্যাকসিনগুলো সহজলভ্য করার লক্ষ্যে সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরে গবাদি পশু ও পোল্ট্রি ভ্যাকসিনের প্রায় ৩২ কোটি ৮৬ লাখ ডোজ উৎপাদন ও বিতরণ করেছে।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। ইলিশ যেমন আমাদের গৌরবের জায়গা, তেমনি ইলিশ জাতীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও একটা বড় ক্ষেত্র।
তিনি বলেছেন, তাই এটিকে লালন-পালন, পরিচর্যা ও বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এটিকে আরও বেশি উৎপাদন বাড়ানো এবং এটিকে সত্যিকার অর্থে বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেই আমরা এগোতে চাই।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা কথা জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ২০০১-২ সালের চেয়ে ইলিশ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। এ প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, সদিচ্ছা ও একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রয়াসের জন্যই এটি হয়েছে। বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ ৭১ হাজার টন।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে ইলিশের অভায়শ্রম কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সে জায়গাগুলো থেকে উত্তরণ করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, ইলিশের বিচরণ পথ সুগম ও নিরাপদ করতে হবে। তা না হলে ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রকৃত জেলেদের একটা সুনির্দিষ্ট তালিকা করা জরুরি।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনকে দায়িত্ব নিয়ে সুষ্ঠুভাবে তা পালনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জাটকা নিধন বন্ধ করতে হবে এবং কেউ অবৈধ জাল ব্যবহার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি অভয়াশ্রম সম্পৃক্ত এলাকার জেলে ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে সামাজিক ক্যাম্পেইন করতে হবে। মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে তাদের জন্য ভিজিএফের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের উদ্যোক্তাদের চেয়েও দ্বিগুণ লাভ করার মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী। দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের রক্ষার উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীতা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ততা থাকা সত্ত্বেও মধ্যসত্ত্বভোগীদের জন্য ইলিশের দাম অনেক শ্রেণির মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে এবং এ অসাধু ব্যবসায়ী যারা কারসাজি করে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
পরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর প্রতিবেদন শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ বাড়িয়ে তা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সুন্দর জীবনযাপনে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মন্ত্রী বলেন, এ মন্ত্রণালয় এখন যেখানে আছে তার থেকে ভালো অবস্থানে উত্তরণ ঘটানো এবং এখান থেকে দেশের ১৮ কোটি মানুষ যাতে সুবিধা পায়, সেটি নিশ্চিত করার দিকেই আমাদের দৃষ্টি থাকবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
এসময় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কাছে আমিষ সহজলভ্য করার উপর গুরুত্বারোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
তিনি বলেন, বিশেষ করে রমজান সামনে রেখে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ বিক্রির প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। যাতে এসব পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে এবং এসব পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রপ্তানি পণ্য হিসেবে চিংড়ির মানোন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
এসময় তিনি, মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাকে আরও উন্নত করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন