পাথর
সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক থেকে ২৪৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিলেটে ট্রাকে থাকা পাথরের ভেতর থেকে ২৪৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে শাহপরাণ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর শিবগঞ্জের হাতিমবাগস্থ সৈয়দ হাতিম আলী মাজারের সামনে থেকে এসব চিনি জব্দ করা হয়।
এদিন রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার মো. রাসেল আহমেদ (৩২) জৈন্তাপুর উপজেলার ঠাকুরের মাটি এলাকার মো. আবুল আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২০০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের অভিযান পরিচালনাকালে সুরমা গেইট বাইপাস এলাকায় সিয়েরা-৬৬ ডিউটি পার্টির সিগন্যাল অমান্য করে পালানোর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে গাড়িচালক রাসেল আহমেদ একেক সময় একেক ধরনের কথা বলায় সন্দেহ হলে গ্রেপ্তার ব্যক্তির শরীর ও ট্রাক তল্লাশি করা হয়।
তল্লাশির সময় আটক মো. রাসেল আহমেদ ট্রাকটিতে পাথরের নিচে ভারতীয় চিনি আছে বলে জানালেও ভারতীয় চিনি সংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তখন একটি হলুদ রঙের ডাম্প ট্রাকে পাথরের নিচে থাকা ভারতীয় ২৪৫ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়।
এসব চিনির বর্তমান বাজার মূল্য ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬০০ টাকা বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তার মো. রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১৪টি ট্রাকবোঝাই ভারতীয় চিনি জব্দ
৫ মাস আগে
তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে শুল্ক কর বৃদ্ধির কারণে পাথর আমদানি বন্ধ
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তামাবিল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারকরা সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় এক মতবিনিময় সভা থেকে ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তামাবিল স্থলবন্দরে অবস্থতি বাংলাদশে শুল্ক বিভাগ পণ্য আমদানিতে প্রতি টনে পূর্বের নির্ধারিত এসেসমেন্ট ১২ ডলারের পরিবর্তে বর্তমানে ১৩ ডলার করেছে। বাড়তি শুল্ক কর প্রত্যাহাররে দাবিতে সোমবার (৮ জানুয়ারি) থেকে উভয় দেশে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন পাথর আমদানিকারকরা।
আমদানিকারকরা জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টনে ১৩ ডলার এসেসমেন্ট রেট নির্ধারণ করায় ব্যবসায়ীদের পূর্বের তুলনায় ৫০ টাকা হারে বেশি রাজস্ব দিতে হবে। এই হারে রাজস্ব বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হবে।
আরও পড়ুন: ৫দিন পর সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু
ফলে ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক হার প্রত্যাহারে দাবিতে পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছেন। শুল্ক কর না কমানো পর্যন্ত তারা পাথর আমদানি করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (জারাবো) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর এসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
তাই তামাবিলসহ সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জারাবো কর্তৃক সিলেট অঞ্চলের স্থলবন্দরগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা বোল্ডার স্টোন, স্টোন চিপস এবং লাইমস্টোন পাথরের উপর অতিরিক্ত শুল্ক মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত সিলেট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃক গত ৪ জানুয়ারি এক চিঠিতে ৮ জানুয়ারি থেকে বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
১০ মাস আগে
আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
কাস্টমস ডিউটি ও আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার (১৬ আগস্ট) থেকে তারা আমদানি বন্ধ থেক রেখেছেন।
সিলেটের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে দিয়ে মূলত বড় পাথর (বোল্ডার) ও চুনাপাথর আমদানি হয়। কয়েকটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হয়। ফলে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে তামাবিল স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে নেই নিত্যদিনকার ব্যস্ততা। ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাকই বাংলাদেশে আসছে না। ফলে স্থবির হয়ে আছে সিলেটের প্রধান এই স্থলবন্দর।
তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে দুই ডলার বৃদ্ধি করে।
এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।শুল্ক বাড়ানো নিয়ে কয়েকদিন ধরেই স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমদানিকারকদের বাদানুবাদ চলছে।
ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানালেও কাস্টমরস কর্মকর্তারা তাতে রাজি হনননি। আলোচনায় সমাধান না হওয়ায় আমদানি বন্ধ তরে দেন তারা।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে দিন রাত পাথর উত্তোলন, পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা
সুনামগঞ্জের ছাতক লাইমস্টোন ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক সেলিম চৌধুরী বলেন, এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টন প্রতি ২ ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে। এ কারণে ট্রাক প্রতি ব্যয় ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় আমরা বুধবার থেকে সিলেট বিভাগের সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বোল্ডার ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমদানি বন্ধ থাকবে।
তবে ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমদানি বন্ধ করা হয়নি। শুল্কও আমরা বাড়াইনি। এনবিআর থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের দাম ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনার আলোকেই মূলত অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু বাড়ানো হয়েছে। তবে, আমদানিকরা চাইলে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
সিলেট বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দর ছাড়া আরও ১২টি শুল্কস্টেশন রয়েছে।
সেগুলো হলো কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাও এবং ছাতকের ইছামতি ও চেলা স্টেশন। এগুলো দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়।
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা: সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু
পাথর উত্তোলন: সিলেটে সোমবার থেকে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট
১ বছর আগে
গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
প্রকৃতির বুকে পরম মায়ায় লালিত ঝকঝকে ঐশ্বর্য্যগুলো দীর্ঘকাল ধরে বিমোহিত করেছে মানব মনকে। সেই সঙ্গে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবনে রেখে গেছে বিলাসিতার পরশ। হীরার উজ্জ্বল মোহন থেকে শুরু করে নীলকান্তমণির রঙ গহনার মাধুর্যে এনেছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। গহনায় ব্যবহৃত সেই মূল্যবান রত্নপাথরগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধটি। চলুন, গহনা তৈরির শিল্পে যুগান্তকারী অবদান রাখা চিত্তাকর্ষক পাথরগুলোর ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
যে বিষয়গুলো একটি পাথরকে মূল্যবান করতে পারে
রঙ
একটি রত্নপাথরের মান নির্ধারণের প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এর রঙ। রঙের আভা, কতটুকু গাড় অথবা হালকা, এবং রঙের স্পন্দন সামগ্রিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই রঙের উপর ভিত্তি করেই বিশেষ করে বিরল পাথরগুলোর চাহিদা এবং মূল্য আকাশচুম্বি হয়ে যায়।
স্বচ্ছতা
স্বচ্ছতা বলতে পাথরের মধ্যে অন্যান্য খনিজ উপাদান বা দাগের অনুপস্থিতিকে বোঝায়। অধিক স্বচ্ছ রত্নপাথরগুলো বিরল হয়ে থাকে। সেই সাথে এদের দামও হয়ে থাকে অবিঃশ্বাস্য। বিভিন্ন উপাদানের আধিক্য পাথরের সৌন্দর্য্য ও উজ্জ্বলতাকে প্রভাবিত করে। এর সঙ্গে সঙ্গে ওঠানামা করে এদের মূল্যমানও।
কাট
একটি রত্নপাথর কিভাবে কাটা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে পাথরটির উজ্জ্বলতাসহ সামগ্রিক চেহারা প্রভাবিত হয়। একটি ভালভাবে কাটা পাথর আলোকে এমনভাবে প্রতিফলিত করে, যে এর চকচকে ভাবটি বেড়ে যায়। আর এই প্রতিফলিত সৌন্দর্য্যের সঙ্গে মূল্যও উপরে উঠতে থাকে। বিভিন্ন ধরণের কাট, যেমন ফেসেড বা ক্যাবোচন, পাথরকে রীতিমত চিত্তাকর্ষক ও সংবেদনশীল করে তোলে।
আরও পড়ুন: যশোরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩ কোটি টাকার সোনার বার উদ্ধার
ক্যারেট ওজন
ক্যারেট ওজন রত্নপাথরের আকার-আকৃতি নির্ধারণের সাধারণ পরিমাপক। সাধারণত বড় আকারের রত্নপাথরগুলো বেশি মূল্যবান হয়ে থাকে। অবশ্য এর সঙ্গে সেগুলোর রঙ, স্বচ্ছতা এবং কাটাও সম্পৃক্ত। বিরল হলেও এরকম বড় ও উচ্চ গুণাগুন সম্পন্ন রত্নপাথরগুলো বিশ্বব্যাপি শৌখিন সংগ্রাহক ও উৎসুক ব্যক্তিরা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ান।
দুষ্প্রাপ্যতা
যে রত্নপাথরটি যত বেশি দুর্লভ, সেটি তত বেশি মূল্যবান। সীমিত পরিমাণে বা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু স্থানে পাওয়া যায় এমন রত্নপাথরগুলো তাদের অভাবের কারণে মূল্যমানের সর্বোচ্চ সীমা ছাড়াতে থাকে।
স্থায়িত্ব
যে রত্নপাথরগুলো দীর্ঘদিন যাবত অটুট অবস্থায় থাকে সেগুলো তুলনামুলক ভাবে নমনীয়গুলোর চেয়ে অধিক দামি। যে কোন প্রতিকুল পরিবেশে টিকতে পারা নীলকান্তমণি বা রুবির মতো পাথরগুলোর মূল্য ও চাহিদা উভয়ই বেশি। কেননা এগুলোর অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
চাহিদা এবং গ্রহণযোগ্যতা
উপরোক্ত বিষয়গুলো রত্ন বাজারে একটি রত্নপাথরের জনপ্রিয়তা নিশ্চিত করে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ফ্যাশন প্রবণতা, সাংস্কৃতিক তাৎপর্য, এবং ঐতিহাসিক সমীক্ষা। সব মিলিয়ে ক্রেতাদের আবেগের বিষয়টি পাথরগুলোর ঊর্ধ্বগামী দামের পেছনে এক বিরাট প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
উৎপত্তি এবং পরিবর্ধন
উৎপত্তিস্থলটি একটি রত্ন পাথরে অতিরিক্ত মূল্য যোগ করতে পারে, বিশেষ করে জায়গাটি যদি বেশি সংখ্যক উচ্চ মানের পাথর উৎপাদন করে থাকে। উপরন্তু, কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে (যেমন, গরম করা, ফিলিং) রত্ন উন্নত করা হলে পাথরের মান কমে যায়। অর্থাৎ পাথরটি যত বেশি অকৃত্রিম, তা তত বেশি মূল্যবান।
বিশ্বের অতি মূল্যবান রত্ন পাথরগুলো
হীরা
হীরা যুক্তিযুক্তভাবে পরিচিত সবচেয়ে বিখ্যাত এবং উচ্চ মূল্যের রত্নপাথর। এগুলো একটি স্ফটিক জালি কাঠামোতে সাজানো কার্বন পরমাণু দ্বারা গঠিত, যা এদের মন্ত্রমুগ্ধ উজ্জ্বলতা তৈরির জন্য দায়ী। প্রাথমিকভাবে হীরা বর্ণহীন হলেও এদের অভিনব রঙের সংস্করণের খ্যাতি আছে। যেমন লাল রঙের হীরা সবচেয়ে দামি।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ বনাম হীরা: কোন বিনিয়োগটি বেশি লাভজনক?
১ বছর আগে
হবিগঞ্জে নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর মারার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের বড়জুম গ্রামে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে এক নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর মারার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার আলীনগর গ্রামের হাফেজ মো. নুরুল ইসলাম (৩০), বড়জুম গ্রামের বায়েজিদ হোসেন (৭০), আকবর আলী (৬৯) ও আতিক উল্লাহ (৫০)।
ভুক্তভোগী ও গ্রেপ্তারেরা একই গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, বড়জুম গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশের সিদ্ধান্ত মতে গত মঙ্গলবার রাতে বড়জুম গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার বাড়ির উঠানে ভুক্তভোগীকে ৮২টি বেত্রাঘাত ও ৮০টি পাথর নিক্ষেপ মারা হয়। এছাড়া ভুক্তভোগীএকমাস বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয় আকবর আলী (৬৮) ভুক্তভোগীকে ৮২টি বেত্রাঘাত করেন এবং উপস্থিত অন্যন্যরা তার গায়ে পাথর মারেন।
পরে ভুক্তভোগী চুনারুঘাট থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক রাশেদুল হক জানান, প্রাথমিক তদন্তে ভুক্তভোগীকে বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপের সত্যতা পাওয়া গেছে। শুক্রবার মামলা করা হলে ওইদিনই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নিদের্শে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
রাজধানীতে ইডব্লিউইউ শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে
দুই সপ্তাহ বন্ধের পর মধ্যপাড়া শিলা খনিতে পাথর উত্তোলন শুরু
দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর বিস্ফোরকের সরবরাহ পাওয়ায় রবিবার থেকে আবারও দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় কঠির শিলা খনিতে পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে পাঁচ হাজার একশ মেট্রিক টনের মত পাথর তোলা হয়।
বিস্ফোরকের মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় গত ১২ মার্চ থেকে খনিতে পাথর উত্তোলনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্ধ কোয়ারিতে গোপনে পাথর উত্তোলন, শ্রমিকের মৃত্যু
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আবু তালেব ফরাজী জানান, খনি অভ্যন্তরে পাথর ভাঙার কাজে ব্যবহৃত মূল উপাদান এ্যামোনিয়া নাইট্রেড বিস্ফোরক গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম দফায় থাইল্যান্ড থেকে ৮৮ মেট্রিক বিস্ফোরক খনিতে পৌঁছেছে। পরদিন রবিবার থেকে বেলারুশ ভিত্তিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া টেস্ট কনসোটিয়াম কোম্পানি (জিটিসি) পাথর উত্তোলন শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পাথর উত্তোলন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
তিনি জানান, প্রথম দিনে প্রতিষ্ঠানটি ৫ হাজার ১শত মেট্রিক টন পাথর তুলতে পেরেছে। খনিতে দৈনিক পাথর উত্তোলনের ক্যাপাসিটি সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন। আবারও পাথর উত্তোলন শুরু হওয়ায় নদীর তীররক্ষা বাঁধ রেলপথসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজে আর কোনো পাথরের সংকট থাকছে না।
২ বছর আগে
ব্রাজিলে ঝর্ণার পাথর ভেঙে ৬ জনের মৃত্যু
ব্রাজিলের একটি ঝর্ণার পাথর ভেঙে পড়ে নিচের লেকে ভ্রমণরত ছয় পর্যটক মারা গেছেন। এছাড়াও ৩২ জন আহত ও কমপক্ষে ২০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
শনিবার ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলের মিনাস জেরাইস রাজ্যের ফারনাস হ্রদে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মিনাস জেরাইস রাজ্যের উদ্ধারকারী দলের কমান্ডার এডগার্ড এস্তেভো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মৃতদের পাশাপাশি আরও ২০ জন নিখোঁজ হতে পারে। এবং আমরা তাদের সন্ধানে চেষ্টা চালাচ্ছি।
ওই দুর্ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও চিত্রগুলোতে দেখা যায়, ছোট কয়েকটি নৌকা ফুর্নাস লেকের পাশের ঝর্ণাধারার নীচে ধীরে ধীরে চলছিল। তখন পাথরে একটি ফাটল দেখা দেয় এবং একটি বিশাল টুকরা তিনটি নৌকার ওপর ভেঙে পড়ে। এরপর দুটি নৌকা ভেসে উঠলেও একটি নৌকা পুরোপুরি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তুষারপাত: গাড়িতে আটকা পড়ে ২২ জনের মৃত্যু
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছে, দুর্ঘটনা কবলিতদের সাহায্যের জন্য ডুবুরি এবং হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
মিনাস জেরাইসের গভর্নর রোমিউ জেমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ফারনাস হ্রদ ১৯৫৮ সালে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, এটি সাও পাওলো থেকে প্রায় ৪২০ কিলোমিটার (২৬০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: মহামারির মধ্যে ভারতের ৫ রাজ্যে নির্বাচন
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: কাজাখস্তানে ১২ পুলিশসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত
২ বছর আগে
ভোলায় পাথর বোঝাই কার্গোডুবি, জীবিত উদ্ধার ৪
ভোলার মেঘনা নদীতে তীব্র ঢেউয়ের কবলে পড়ে এম. ভি বনশ্রী-২ নামের একটি পাথর বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার মেঘনার ইলিশা রামদাসপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া জাহাজের চালকসহ চার শ্রমিককে জেলে ট্রলারের সহায়তায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার দিঘীরপাড় এলাকায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পাথরবোঝাই জাহাজ ডুবি
কার্গোর মালিক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গত শনিবার সিলেট থেকে আট হাজার ঘনফুট পাথর নিয়ে তার বলগেটটি বরিশালের উদ্দেশ্য রওয়ানা করে। সোমবার দুপুরে ভোলার রামদাসপুরে মেঘনায় পৌঁছালে তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে এটি ডুবে যায়। এ সময় তিনি, চালক এবং তিন শ্রমিক উজ্জল, শফিক ও রাব্বী জেলে ট্রলারের সহায়তায় প্রাণে বেঁচে যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জাহাজ ডুবি: ১৪ নাবিক জীবিত উদ্ধার
ভোলা ইলিশা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল জানান, উদ্ধার করা বলগেটের শ্রমিকসহ মাঝি- মাল্লারা সুস্থ ও নিরাপদে আছে। ডুবে যাওয়া বলগেটটি চিহ্নিত করার চেস্টা চলছে।
৩ বছর আগে
১১ বছর পর লাভের মুখ দেখল মধ্যপাড়া পাথর খনি
এক দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে লাভের মুখ দেখতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাথর খনি মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি।
২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরুর দিকে এটি প্রথম দু বছরে রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ অর্জন করেছিল।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে এটি ১১ বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ২০১৮-১৯ বছরে ৭ কোটি এবং ২০১৯-২০ বছরে ২২ কোটি টাকা লাভ করেছে।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্থানীয় কয়লা উত্তোলন সাশ্রয়ী নয়: নসরুল হামিদ
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং লিমিটেড আশা করছে চলমান রাজস্ব বছরের শেষ দিকে এটি ৫০ কোটি টাকার ব্যাঞ্চমার্ক অতিক্রম করবে।
লিমিটেডের এক সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, 'আমাদের লক্ষ্য ছিল এই রাজস্ব বছরে ১০ কোটি টাকা আয় করা কিন্তু মহামারির কারণে ২৬ মার্চ থেকে ১২ আগস্ট, ২০২০ পর্যন্ত আমাদের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। যার কারণে আমাদের আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।'
যদিও প্রতিবেদন অনুসারে পরপর ১১ বছর বিভিন্ন বাধার কারণে ক্ষতির মুখে থাকা কোম্পানিটির এখনও ৫৯৩ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাসা বাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নয়: নসরুল হামিদ
সূত্র মতে স্বার্থান্বেষী মহলের অব্যবস্থাপনার কারণে কোম্পানীটি ১১ বছর ধরে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) ১৯৭৪ সালে দিনাজপুর জেলার প্রভাতীপুরে ১ দশমিক ২ বর্গ কিলোমিটারের এই এলাকার সন্ধান পান।
বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার পর ১৯৯৪ সালে উত্তর কোরিয়ার একটি সংস্থাকে এর উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বর্তমানে এখানে ১০০ বিদেশি বিশেষজ্ঞ, দেশের ৫০ জন ইঞ্জিনিয়ার এবং ৭৫০ জন শ্রমিক কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুনঃ মুজিব বর্ষেই শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে: নসরুল হামিদ
যদিও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চুক্তি নবায়ণ করার ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দে রয়েছেন।
তবে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ ইউএনবিকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে নতুন ট্রেন্ডার ডাকা হবে।
৩ বছর আগে
পণ্যের বদলে এলো ১১৫ টন পাথর টুকরো, প্রায় দেড় কোটি টাকা পাচার!
চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ ঘোষণা দিয়ে মূল্যহীন ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক (পাথরের টুকরো) আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
৩ বছর আগে