এক দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে লাভের মুখ দেখতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাথর খনি মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি।
২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরুর দিকে এটি প্রথম দু বছরে রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ অর্জন করেছিল।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে এটি ১১ বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ২০১৮-১৯ বছরে ৭ কোটি এবং ২০১৯-২০ বছরে ২২ কোটি টাকা লাভ করেছে।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্থানীয় কয়লা উত্তোলন সাশ্রয়ী নয়: নসরুল হামিদ
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং লিমিটেড আশা করছে চলমান রাজস্ব বছরের শেষ দিকে এটি ৫০ কোটি টাকার ব্যাঞ্চমার্ক অতিক্রম করবে।
লিমিটেডের এক সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, 'আমাদের লক্ষ্য ছিল এই রাজস্ব বছরে ১০ কোটি টাকা আয় করা কিন্তু মহামারির কারণে ২৬ মার্চ থেকে ১২ আগস্ট, ২০২০ পর্যন্ত আমাদের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। যার কারণে আমাদের আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।'
যদিও প্রতিবেদন অনুসারে পরপর ১১ বছর বিভিন্ন বাধার কারণে ক্ষতির মুখে থাকা কোম্পানিটির এখনও ৫৯৩ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাসা বাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নয়: নসরুল হামিদ
সূত্র মতে স্বার্থান্বেষী মহলের অব্যবস্থাপনার কারণে কোম্পানীটি ১১ বছর ধরে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) ১৯৭৪ সালে দিনাজপুর জেলার প্রভাতীপুরে ১ দশমিক ২ বর্গ কিলোমিটারের এই এলাকার সন্ধান পান।
বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার পর ১৯৯৪ সালে উত্তর কোরিয়ার একটি সংস্থাকে এর উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বর্তমানে এখানে ১০০ বিদেশি বিশেষজ্ঞ, দেশের ৫০ জন ইঞ্জিনিয়ার এবং ৭৫০ জন শ্রমিক কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুনঃ মুজিব বর্ষেই শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে: নসরুল হামিদ
যদিও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চুক্তি নবায়ণ করার ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দে রয়েছেন।
তবে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ ইউএনবিকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে নতুন ট্রেন্ডার ডাকা হবে।