ইইউ
বাংলাদেশে আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেখতে চায় ইইউ
সুশাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের 'শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক' উত্তরণের অঙ্গীকারকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, 'আইনের শাসন সমুন্নত রাখার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ও মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আপনারা কী ভালো করছেন এবং যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন তা জানানো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে ইতোমধ্যেই বিস্তৃত সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মিলার দুই দেশের সম্পর্ক আরও বাড়ানোর জোরালো সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। ‘এটি আমাদের সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে এবং একটি নতুন বিস্তৃত অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ তাদের চলমান সংলাপ ও সহযোগিতাকে অত্যন্ত মূল্যায়ন করে।
তিনি বলেন, উত্তাল গ্রীষ্মকালে সরকার পরিবর্তনের পর সুদূরপ্রসারী সংস্কারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ একটি রূপান্তরের পথে যাত্রা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় 'কক্সবাজার' নীতির পরামর্শ ইইউ দূতের
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘পেছনের দিকে তাকালে, আমরা হস্তান্তরের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে প্রাণহানির জন্য সমবেদনা জানাই। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ইইউ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আমাদের সাধ্যমতো সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রস্তুতির সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য ইইউ'র সমর্থন ও অঙ্গীকারের নিদর্শন হিসেবে তারা এসব ইস্যুতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা জোর দিয়ে বলছি যে, ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে মানবাধিকারের বিষয়ে সকল পর্যায়ে এবং সব ফোরামে সংলাপ চালিয়ে যেতে চায়।’
সংস্কারের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনগুলোর কাজ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং এটাও পরিষ্কার করতে চাই যে, তারা তহবিল, সহায়তা ও বিশেষজ্ঞ সংগ্রহসহ প্রাসঙ্গিক সুপারিশগুলো চূড়ান্ত হওয়ার পর বা তারও আগে বাস্তবায়নে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
মিলার বলেন, ‘আমরা এটিকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়া হিসাবে দেখছি।’
তিনি বলেন, তারা সুনির্দিষ্ট, অগ্রাধিকারমূলক সংস্কারের উত্থানের দিকেও নজর দিচ্ছেন, যার চারপাশে বিস্তৃত রাজনৈতিক ঐকমত্য রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ইইউ খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘এটি একটি 'টিম ইউরোপ' পদ্ধতি গ্রহণ, হস্তক্ষেপের সমন্বয় এবং তারা সময়োপযোগী এবং প্রভাবশালী তা নিশ্চিত করা হিসাবে পরিচিত। আমাদের অনেক আহ্বান আছে, কিন্তু কেবল একটি বার্তা আছে।’
এ সময় পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রদূতরা হলেন-
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ ডেলিগেশনের প্রধান ও রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিডিএ এআই আন্দ্রে কার্সটেন্স।
নয়াদিল্লিতে ইইউ মিশনের প্রধান/প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে নিযুক্ত বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত দিদিয়ের ভ্যান্ডারহাসেল্ট, বাংলাদেশে নিযুক্ত বুলগেরিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই ইয়ানকভ, বাংলাদেশে নিযুক্ত এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মারজে লুপ, বাংলাদেশে নিযুক্ত লুক্সেমবার্গের রাষ্ট্রদূত পেগি ফ্রান্টজেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্লোভাকিয়ার রাষ্ট্রদূত রোবার্ট ম্যাক্সিয়ান, বাংলাদেশে নিযুক্ত সাইপ্রাসের মনোনীত হাইকমিশনার এভাগোরাস ভ্রিওনাইডস, নয়া দিল্লিতে হাঙ্গেরি দূতাবাসের ঢাকা অফিসের প্রথম সচিব গ্যাবর জুকস, নয়া দিল্লিতে পোল্যান্ড দূতাবাসের কাউন্সেলর জারোস্লাভ জেরজি গ্রোবেরেক, নয়া দিল্লিতে পর্তুগাল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সোফিয়া বাতালহা, নয়া দিল্লিতে স্লোভেনিয়া দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ইরমা সিনকোভেক, নয়া দিল্লিতে রোমানিয়া দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব রুক্সান্দ্রা সিওকানেলিয়া।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ায় ইইউ আলোচনা স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আহত ৪৪
১ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও আইনের শাসনের প্রতি ইইউয়ের নজর
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যাপক সমর্থন ও জনপ্রিয়তা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচন দিতে হবে, যার মাধ্যমে নতুন সংসদ এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠিত হবে। এর ফলে মৌলিক অধিকারের প্রতি 'আইনের শাসন ও শ্রদ্ধার' প্রতি মানুষ সচেতন থাকবে।
ঢাকায় আসার পর ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান ইউএনবিকে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
‘আকাশছোঁয়া’ উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকলেও পরিবর্তন সবসময়ই ‘কঠিন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এগুলো হচ্ছে এমন নীতি যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের মূল বিষয়।’
বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারত্বকে দ্রুত বিকাশমান ও গতিশীল হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছর দুই পক্ষের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
১ মাস আগে
ইইউ'র পোশাক আমদানি কমেছে ৩.৬৩ শতাংশ, বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৩.৫৩ শতাংশ
পোশাক আমদানি কমিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ পোশাক আমদানি কমেছে। এটি পোশাকের ব্যবহার হ্রাসের বিস্তৃত বৈশ্বিক প্রবণতাকে তুলে ধরে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট আমদানি ৬১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৫৯.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অন্যতম শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারী বাংলাদেশের রপ্তানি ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে।
এই হ্রাস ইইউ পোশাকের চাহিদার সামগ্রিক হ্রাসকে প্রতিফলিত করে, তবে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে গতিশীলতার পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক শিল্পে ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ চীনের পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৬২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তুরস্ক ও ভারতের মতো অন্যান্য প্রধান সরবরাহকারীদেরও রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। তুরস্কের রপ্তানি ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং ভারতের ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ করে ৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভিয়েতনামের ২ দশমিক ০৯ শতাশ কমে রপ্তানি মোট ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
বিপরীতে কিছু দেশ নিম্নমুখী প্রবণতা কাটিয়ে উঠেছে। ইইউতে কম্বোডিয়ার রপ্তানি ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, পাকিস্তানে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মরক্কোতে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বৈশ্বিক পোশাক বাজারে সোর্সিং পছন্দের সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
মূল সরবরাহকারীদের মধ্যে এই বৈচিত্রগুলো বিশ্বব্যাপী পোশাক সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যই পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের পেনশন চালু করার পরিকল্পনা সরকারের: আসিফ
২ মাস আগে
চলতি বছর বাংলাদেশে ই-ট্যাক্স রিটার্ন তিনগুণ হবে বলে আশাবাদী ইইউ কর্মকর্তা
বাংলাদেশে অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা চলতি অর্থবছরে ১৫ লাখে উন্নীত হবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হেড অব কোঅপারেশন মিশেল ক্রেজা, যা গত বছর ৫ লাখ ছিল।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে নতুন ই-রিটার্ন সেবা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রেজা বলেন, 'আমরা আশা করি, এই সেবাকেন্দ্র ব্যবহারকারী এবং ইলেকট্রনিক ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে।’
ইলেক্ট্রনিক ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের সুবিধার্থে নতুন এই সার্ভিস সেন্টারের উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও ক্রেজা। পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ইইউর সহায়তায় নাগরিকদের জন্য কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে এনবিআরের বৃহত্তর লক্ষ্যের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোম্পানির হিসাব নয়, ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করেছে বিএফআইইউ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ক্রেজা বলেন, গত বছর মাত্র ৫ লাখ মানুষ ই-রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। এবার সংখ্যাটি ১০ থেকে ১৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এটি হলে ‘অসাধারণ’ হবে।
ক্রেজা বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক সংস্কারে দীর্ঘদিনের অংশীদার ইইউ এবং এই সহযোগিতা দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চাবিকাঠি।
এনবিআর চেয়ারম্যানের দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা সংস্কারের সুযোগের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পথ দেখতে পাচ্ছি। এই সংস্কার বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভবিষ্যতের অগ্রগতির অর্থায়নের জন্য প্রয়োজনীয় রাজস্ব সুরক্ষিত করতে এনবিআরই প্রধান মাধ্যম।
দুই থেকে তিন বছর ধরে চলমান এই সেবাকেন্দ্র সম্প্রতি এনবিআর ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। এই কেন্দ্রে ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে করদাতাদের সরাসরি সহায়তা দেওয়া হয় যাতে কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ এবং আরও সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
ইইউ ও এনবিআরের মধ্যে সহযোগিতার প্রশংসা করে ক্রেজা বলেন, ‘নতুন জায়গায় কেন্দ্রের পরিচালনা করা এখন অনেক সহজ। সুতরাং, এই ইতিবাচক সহযোগিতা চলমান থাকুক।’
ই-রিটার্ন ওয়েবসাইটে (etaxnbr.gov.bd) বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাবেন যার মধ্যে রয়েছে কীভাবে সাইটটি ব্যবহার করে ই-রিটার্ন দেওয়া যায়, এ সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো এবং তথ্য দিয়ে সাহায্যের একটি সেকশনও আছে। আরও সহায়তার জন্য, করদাতারা সাপ্তাহিক কর্মদিবসগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ০৯৬৪৩৭১৭১৭১ নম্বরটিতে পরিষেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন। ওয়েবসাইটে যেকোনো সমস্যা জানাতে বা সরাসরি এনবিআরে (httpsticket.etaxnbr.gov.bd) প্রশ্ন জমা দিতে ব্যবহারকারীদের জন্য টিকিট সিস্টেমও আছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে ইইউকে ইউরোপপ্রবাসী বাংলাদেশিদের স্মারকলিপি
২ মাস আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরিহার ও সবার অধিকার রক্ষার আহ্বান ইইউ'র
বাংলাদেশে উপাসনালয় এবং ধর্মীয়, জাতিগত ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক হামলার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশন প্রধানরা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ইইউ দূতাবাসের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ মিশন প্রধানরা খুবই উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ভারত
তারা জরুরি ভিত্তিতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরিহার এবং সব বাংলাদেশির মৌলিক মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ছাত্র আন্দোলন ও অন্যান্যদের প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
৪ মাস আগে
বাংলাদেশে মৌসুমি বন্যা মোকাবিলায় ১০ লাখ ইউরো মানবিক সহায়তা দেবে ইইউ
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে গত কয়েক সপ্তাহে আঘাত হানা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ১০ লাখ ইউরো বা প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ইইউ জানিয়েছে, এই তহবিল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করবে।
ইইউ'র ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কমিশনার জানেজ লেনারসিক বলেন, মৌসুমি বন্যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘মৌসুমি ঘূর্ণিঝড় রিমালের পরে আমরা যেমনটি করেছিলাম, ইইউ আবারও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর জন্য তার সহায়তার হাত প্রসারিত করেছে। এই তহবিল অনেক প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করতে সহায়তা করবে।’
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যাদের বাসস্থান, খাদ্য, সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন সরবরাহের প্রয়োজন তাদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়াসহ সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়কে সহায়তায় ব্যবহার করা হবে এই তহবিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সহিংসতার স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব: মুখপাত্র
চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশকে মানবিক সহায়তায় ইতোমধ্যে তিন কোটির বেশি অর্থ এসেছে। এর পরেই নতুন এই বরাদ্দ পেল বাংলাদেশ।
এই সহায়তা মূলত কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য জরুরি অবস্থা যেমন সাম্প্রতিক তাপপ্রবাহ এবং মৌসুমি ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি আগাম পদক্ষেপের জন্যও অর্থায়ন করা হয়।
গত দুই মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেই ৩৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ চলছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেও।
ক্ষতিগ্রস্ত ছয় লাখেরও বেশি মানুষের আশ্রয় প্রয়োজন বলে অনুমান করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম এখনো থাকায় অতিরিক্ত বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে এটি বিদ্যমান চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ঢাকার ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, মে মাসে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে এ পর্যন্ত দেশের ৩০ শতাংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ‘দেখামাত্র গুলি’ নীতি ও ‘আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে’ ইইউয়ের গভীর উদ্বেগ
৪ মাস আগে
তিন হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে ইইউভুক্ত চার দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার দেশ- ইতালি, জার্মানি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার কর্মী নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান জানান, এ তিন হাজার কর্মীর দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আরও কর্মী নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও বাংলাদেশ যেন ২০৩২ সাল পর্যন্ত পণ্য রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা পায় সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, ইইউ থেকে জিএসপি বা শুল্ক হ্রাস সুবিধাসহ এখন বাংলাদেশ যেসব সুবিধা পাচ্ছে সেগুলো যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে কখনো সহিংসতা চাই না: ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবেন না, কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বিমান চলাচলে সুইজারল্যান্ড- ইইউয়ের সঙ্গে বেবিচকের চুক্তি সই
সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিমান চলাচল বিষয়ে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
গত মঙ্গলবার (৪ জুন) সুইজারল্যান্ডের বার্নে বাংলাদেশ সরকার ও সু্ইস ফেডারেল কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়েছে।
এই চুক্তি সইয়ের ফলে ইউরোপের আরও একটি নতুন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বিমান চলাচলের দ্বার উম্মোচিত হলো।
চুক্তির অধীনে দুই দেশের মনোনীত বিমানসংস্থাগুলো সপ্তাহে সাতটি যাত্রী ও সাতটি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
এছাড়া চুক্তিতে মনোনীত দুই দেশের বিমানসংস্থাগুলো যাতে নিজেদের ও তৃতীয় কোনো দেশের বিমানসংস্থার সঙ্গে কোড শেয়ারের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে সে সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই পবিত্র হজ শুরু
সুইজারল্যান্ডের পক্ষে সুইস এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ও এডেলউইস এয়ার এজি এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউ এস বাংলা এয়ার ও নভেএয়ার কে দুই দেশের মধ্যে পরিসেবা প্রদানের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং সুইস ফেডারেল অফিস অব সিভিল এভিয়েশনের (এফওসিএ) ডাইরেক্টর জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান হেগনার এ চুক্তিতে সই করেন।
এছাড়া, ৭ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়।
এর আগে ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম চুক্তিটি অনুস্বাক্ষরিত হয়েছিল। এরপর দুই পক্ষের নিজেদের মধ্যকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হলো।
এ ধরনের চুক্তি ইইউ হরাইজন্টাল চুক্তি নামে বহুল পরিচিত।
চুক্তিটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইইউভূক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বিমান চলাচল পরিচালনার ক্ষেত্রে একই ধরনের বিধি-বিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করা।
ইইউ ও বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন ইউরোপিয়ান কমিশনের ডারেক্টরেট জেনারেল ফর মবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের ডাইরেক্টর ফিলিপ কর্নেলিস এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
চুক্তি দুটি সইয়ের জন্য বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ২ জুন সুইজারল্যান্ড ও ৬ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যান।
চুক্তি সই অনুষ্ঠান দুটিতে সুইজারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ মিশনের ডিপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যান্ড চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মিস সঞ্চিতা হক ও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব দি মিশন মাহবুব হাসান সালেহ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোকসিন্দা ফারহানা, সিএএবির স্পেশাল ইন্সপেক্টর এস এম গোলাম রাব্বানী এবং জেনেভা ও ব্রাসেলস এ অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক এখন বিশ্বে দৃষ্টান্ত: ভোরের কাগজ গোলটেবিল বৈঠকে শাহরিয়ার আলম
শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করবে: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
৬ মাস আগে
সংসদে ভোটাভুটির পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল স্লোভেনিয়া
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া ইউরোপের তিনটি দেশের তালিকায় এবার যুক্ত হলো স্লোভেনিয়া। দেশটির সংসদে এ বিষয়ে ভোটাভুটির পর মঙ্গলবার ফিলিস্তনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গত সপ্তাহে একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় স্লোভেনিয়া সরকার। এরপর তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংসদে পাঠানো হয়। সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরই চূড়ান্ত অনুমোদন পায় প্রস্তাবটি।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ৯০ আসনবিশিষ্ট সংসদের ৫২ সদস্যের ভোটে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি পাশ হয়। বাকি সদস্যরা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানিয়া ফাইওন এক এক্স পোস্টে লেখেন, ‘প্রিয় ফিলিস্তিনি জনগণ, স্লোভেনিয়ার আজকের এই সিদ্ধান্ত আশা ও শান্তির বার্তা। আমরা বিশ্বাস করি, একমাত্র দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যকে স্থায়ী শান্তির দিকে ধাবিত করতে পারে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য স্লোভেনিয়া কাজ করে যাবে।’
এর আগে স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড একযোগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ইসরায়েল সেসময় এসব দেশের সিদ্ধান্তের প্রতি নিন্দা জানায়। তবে সপ্তাহখানেক পর ওই তিন দেশের পথে হাঁটল স্লোভেনিয়াও।
তার আগে, ইউরোপীয় ইউনয়নের ৭ দেশসহ বিশ্বের ২৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার তিন দেশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
৬ মাস আগে
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউর জিএসপি সহায়তা পেতে আয়ারল্যান্ডের সহায়তা প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময়ে ২০২৯ সালের পরিবর্তে ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউর বাজারে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবসায়িক সুবিধা- জিএসপি পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আয়ারল্যান্ডের সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার গণভবনে আয়ারল্যান্ডের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী সাইমন কোভেনির নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের আয়ারল্যান্ড প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ সমর্থন চান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার এবং ইইউ সদস্য দেশটি সব সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের পাশে থাকে।
আরও পড়ুন: দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী
ইইউ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের আগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে আয়ারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন, যাতে বাংলাদেশের জন্য ব্যবসায়িক সুবিধা বিশেষ করে জেনারালাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্সেস (জিএসপি) ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়ায় ইইউ।
আইরিশ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিন-চার বিলিয়ন ভোক্তার জন্য বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় বড় বিপণন হাব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের জন্য আইসিটি, ওষুধ ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের মতো বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
শ্রমিক ইস্যুতে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের শ্রমনীতি নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জানতে ইইউভুক্ত দেশগুলো সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।
ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে তিনি এখানে এসেছেন উল্লেখ করে কোভেনি বলেন, এই কার্যালয় দু'দেশের জনগণের মধ্যে ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়তা করবে।
কোভেনি বলেন, আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে কারিগরি এবং খাদ্য শিল্পে (কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প) সহায়তা দিতে চায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘ ও ইইউ ফোরামে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে পড়াশোনা করছে উল্লেখ করে সফররত মন্ত্রী আশ্বাস দেন, ইউরোপীয় দেশটি বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী নেবে।
আরও পড়ুন: শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আয়ারল্যান্ডের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তবে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তা জোরদার করা, তাদের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী ও আরও উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।
জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এরপরও সেখানে মাঝে মাঝে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে। কারণ তারা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, শরণার্থীদের জন্য স্থায়ী ঘর নির্মাণ করা হয়েছে এমন নজির পৃথিবীতে নেই। তারপরও ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ।
তারা সেখানে যেতে চাইলে আমরা ভাসানচরে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভাসানচরে আবাসন প্রকল্পটি কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা ও দেশের বিরোধিতার কারণে সফল হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আয়ারল্যান্ড সরকারের সেন্ট প্যাট্রিক দিবসের অংশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশে সাত দিনের সরকারি সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে রবিবার ঢাকায় আসেন দেশটির মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৯ মাস আগে