অর্থ আত্মসাৎ মামলা
অর্থ আত্মসাৎ মামলা: মেজর মান্নানসহ ৭ জনের জামিন বাতিল বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানসহ ৭ জনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
তাদের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের পর বুয়েটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়া
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন পাওয়া অন্যরা হলেন– বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক পরিচালক আ ন ম জাহাঙ্গীর, রইস উদ্দিন, রোকেয়া ফেরদৌস, ডিএমডি ইনামুর রহমান, পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ফখরে ফয়সল।
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের রাজিয়া সুলতানার নামে বিআইএফসি হতে মোট ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯২ টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটিয়ে আত্মসাৎ করেন।
এ মামলায় গত ৭ মার্চ মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ তাদের জামিন দেন। পরে জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
আরও পড়ুন: বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
সাজেকের পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
৬ মাস আগে
খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
ছয় কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় খুলনায় জনতা ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অফিসার আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে শপথ নিলেন মাদক মামলায় গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান বলেন, ১৯৯৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের অগোচরে নগরীর শিরোমনি এলাকার মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডকে লে-অফ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। এসময় মিলের গোডাউনে ব্যাংকের ঋণ আদায়ের জন্য ছয় কোটি ৭৫ লাখ টাকার পাট মজুদ আছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী। পরে দুদকের টিম সরেজমিনে গোডাউনে গেলে সেখানে কোনো মালামাল পায়নি।
জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ব্যাংকের ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় জেলা দুদক কর্মকর্তা আবু মো. আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমিন মোল্লা, গুদাম রক্ষক দিলিপ কুমার অধিকারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় দুই রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে
১৯৯৬ সালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেন।
আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, পুরাতন এই মামলার আসামি আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে খুলনায় আনা হলে তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
২ বছর আগে
সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।
৪ বছর আগে