রবিবার খুলনার সংশ্লিষ্ট আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন অফিসের স্টোরকিপার একেএম ফজলুল হক, মো. জাহের উদ্দিন সরকার (প্রোপাইটার মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোং), মো. আব্দুর ছাত্তার সরকার (প্রোপাইটর/অংশীদার, মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল), মো. আহসান হাবিব (প্রোপাইটর/অংশীদার, মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল), মো. আশাদুর রহমান (সত্ত্বাধিকারী, ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশন), কাজী আবু বকর সিদ্দীক (ম্যানেজার, প্রশাসন ও অপারেশন, মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল) এবং এএইচএম আব্দুস কুদ্দুস ( সহকারী প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসর) নিমিউ অ্যান্ড টিসি)।
তদন্তের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক চিকিৎসা সংক্রান্ত মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে তিনটি বিলের বিপরীতে মোট ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ২২২ টাকার তিনটি চেক হিসাবরক্ষণ অফিস, সাতক্ষীরা হতে গ্রহণপূর্বক উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/ ১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে (দুদক, সজেকা, খুলনার (সাতক্ষীরা)।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন।
এর আগে দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক বর্তমানে সহকারী পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন দুদকের অনুমোদন সাপেক্ষে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে রবিবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করল দুদক।
আসামিরা সবাই বর্তমানে আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।