তাপমাত্রা কমায় শীতের তীব্রতা বেড়ে কাহিল হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রামের মানুষ। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে ঘন মেঘ থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। এদিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন জেলার ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবনে ভোগান্তি, শীতবস্ত্রের দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়ি চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি ঠান্ডা। হাত পা বরফ হয়ে যায়। কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।’
একই ইউনিয়নের ধরলার পাড় এলাকার সাইফুল বলেন, ‘বোরো বীজতলা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাত দেওয়া যায় না, এতো ঠান্ডা। তার পরেও হামারগুলার কাজ ছাড়া উপায় নাই।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ, তাপমাত্রা ১৫. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস