রেমিট্যান্স
রেমিট্যান্সে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ, মার্চে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার
চলতি বছর মার্চে রেমিট্যান্সে বিগত সব রেকর্ড ভাঙবে বাংলাদেশ এমন ধারণা আগেই করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক; হলোও তাই। পুরো মার্চজুড়ে ৩.২৯ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছে যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খানের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর মার্চে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে ৬৪.৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার।
মার্চের আগে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২.৬৪ বিলিয়ন ডলার, যা এতদিন ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২.৬৪ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছিল।
আরও পড়ুন: মার্চের ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, নতুন রেকর্ডের সম্ভাবনা
চলতি বছর প্রতি মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, ফেব্রুয়ারির আগে জানুয়ারিতে আসা মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২.১৮ বিলিয়ন ডলার।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসীরা এবার প্রচুর পরিমাণে অর্থ বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। শুধু ২৭-৩১ মার্চ এ সময়ের মধ্যেই রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪৫ মিলিয়ন ডলার। বৈধ চ্যানেলে অর্থ প্রেরণের কারণেই এবার রেমিট্যান্সে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ।
১১ দিন আগে
মার্চের ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, নতুন রেকর্ডের সম্ভাবনা
মার্চ মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় এসেছে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। যে হারে রেমিট্যান্স আসছে, তাতে করে মার্চে রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা ব্যাপক রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এই রেমিট্যান্সের প্রবাহ অনেক বেশি।
গত বছর মার্চের প্রথম ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৬ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে অনেকাংশে।আরও পড়ুন: ১৫ দিনে ১৩১ কোটি ২২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এলো দেশে
ইতোমধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জুলাই থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্সের প্রবাহ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৭৫ কোটি ডলার, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল এক হাজার ৬৩৪ কোটি ডলার।
বর্তমান অর্থবছরে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ।
এর আগে মার্চের প্রথম ১৫ দিনে দেশে ১৬৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। সে হিসাবে গত চার দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৯ কোটি ডলার। শুধু ১৯ মার্চই মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্সের ধারা এভাবে অব্যাহত থাকলে মাস শেষে মোট রেমিট্যান্স ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে করে রেমিট্যান্স অর্জনে নতুন মাইলফলক অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
দেশে মাসিক হিসাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চে আছে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অর্জিত ২৫৪ কোটি ডলার। যে হারে রেমিট্যান্স আসছে তাতে করে ঈদকে সামনে রেখে মার্চে ৩০০ কোটি ডলার।
২৮ দিন আগে
১৫ দিনে ১৩১ কোটি ২২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এলো দেশে
চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে এসেছে ১৩১ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এতে করে প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
রবিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুসারে, দেশীয় মুদ্রার হিসাবে (১ ডলার= ১২২ টাকা) ১৬ হাজার ৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা রেমিট্যান্স এসেছে এই অর্ধেক মাসে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর রেকর্ড রেমিট্যান্স পাবে বাংলাদেশ: গভর্নর
শুধু রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৫ কোটি ৩৯ লাখ ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩০ লাখ ডলার।
১ ফেব্রুয়ারি রেমিট্যান্স এসেছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। ২ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে এসেছে ৬৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার ডলার রে
৬০ দিন আগে
চলতি বছর রেকর্ড রেমিট্যান্স পাবে বাংলাদেশ: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবাসীরা আস্থা ফিরে পাওয়ায় চলতি বছর বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড গড়ার পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির একজন স্বতন্ত্র পরিচালকের ঋণ অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গভর্নর এসব কথা বলেন।
তদন্তে নেমে ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল জলিলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সমর্থনে কোনো প্রমাণ পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
ইউএনবিকে ড. মনসুর বলেন, 'পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা কোনো তদন্ত নয়, যা কাউকে দোষী প্রমাণ করে। অনেক সময় ভুল তথ্য ও যথাযথ যাচাই ছাড়াই বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।’
ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের বিরোধিতাকারী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলো এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি অবশ্য ব্যাংকিং খাতের ইতিবাচক ধারা বিশেষ করে রেমিট্যান্স আহরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আমানত বৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্স আহরণের মতো ক্ষেত্রে ব্যাংকটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।’
ড. মনসুর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরকারি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ এ বছর নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। তিনি বলেন, 'ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর প্রবাসীদের আস্থা এখন নতুনভাবে তৈরি হয়েছে, যা রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড ভাঙার পরিসংখ্যানে প্রতিফলিত হবে।’
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিশেষ বিনিয়োগের পরিমাণ ও সময়সীমা বাড়াতে গভর্নরকে চিঠি
সমস্যাগ্রস্ত কয়েকটি ব্যাংকের ক্ষুদ্র আমানতকারীদের বিষয়ে গভর্নর আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘কোনো তফসিলি ব্যাংকে গ্রাহকের আমানত নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য কাজ করছি, তবে স্থিতিশীল পুনরুদ্ধারের জন্য লোকদের ধৈর্য ধরতে হবে।’
ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান আস্থা এবং চলমান সংস্কারের ফলে বাংলাদেশ তার রেমিট্যান্সনির্ভর আর্থিক খাত থেকে শক্তিশালী অর্থনৈতিক লাভ দেখতে পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৬৪ দিন আগে
রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখার মতে, ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৮৪ কোটি মার্কিন ডলার (২৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে ৬ নভেম্বর রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে তা কমেছিল।
এই পতন সত্ত্বেও, রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের রিজার্ভকে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসাহ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৬১ কোটি ডলার
ডিসেম্বরের প্রথম ২১ দিনে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স এসেছে ২০৭ কোটি ডলার, যা অক্টোবর ও নভেম্বরে পাওয়া যথাক্রমে ১৫৭ কোটি ৫০ লাখ ও ১৫৭ কোটি ২০ লাখ ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি।
রেমিট্যান্সের ক্রমবর্ধমান প্রবাহ বাংলাদেশের প্রবাসীদের কাছ থেকে ব্যাপক আর্থিক সহায়তার ইঙ্গিত দেয়। যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক অবদান রাখছে।
রেমিট্যান্সের এই ইতিবাচক ধারা অন্যান্য আর্থিক কারণের পাশাপাশি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অবস্থানকে শক্তিশালী করবে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১১৫ দিন আগে
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৬১ কোটি ডলার
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেশে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫০ কোটি ৮৯ লাখ। নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৮ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২০ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২০ কোটি ডলার
চলতি অর্থবছরের প্রবণতা
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে ওঠানামা প্রবণতা দেখা গেছে। গত জুনে ২৫৩ কোটি ডলারে রেমিট্যান্স আসার পর জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়ায় ১৯১ কোটি ডলারে, যা গত দশ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ ও দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেমিট্যান্সের পালে ফের হাওয়া লাগতে শুরু করে।
আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ডলার এবং সেপ্টেম্বরে আসে ২৪০ কোটি ডলার যা চলতি অর্থবছরে এক মাসে সর্বোচ্চ।
এরপর অক্টোবরে (২৩৯ কোটি ডলার) ফের রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা পড়ে যা নভেম্বরেও (২১৯ কোটি ডলার) অব্যাহত থাকে। তবে ডিসেম্বরে ফের ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২.৬ কোটি ডলার
১৩০ দিন আগে
নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২০ কোটি ডলার
নভেম্বর মাসে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২.২ বিলিয়ন বা ২২০ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছরের নভেম্বর মাসের তুলনায় তা ১২.২৫ শতাংশ বেশি।
গত বছরের নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তার আগের অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ রেমিট্যান্স আপডেটে দেখা গেছে, নভেম্বর মাসে গড়ে প্রতিদিন ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ২.৩৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি
এ নিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮২ কোটি ৪২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২২ কোটি ৩১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এককভাবে ৩৬ কোটি ৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স গ্রহণ করেছে, যা একক ব্যাংকের রেমিট্যান্স আয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এছাড়া ১৮ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স আহরণকারী বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২.৬ কোটি ডলার
১৩৬ দিন আগে
নভেম্বরের ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২.৬ কোটি ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের প্রথম ২৩ দিনে দেশে ১৭২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স ঢুকেছে। সে হিসাবে, প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি নভেম্বরের প্রথম ২৩ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৪ কোটি ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার
গত জুন মাসে দেশে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। ওই মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৯১ কোটি ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তবে আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রবণতা স্থিতিশীল হতে শুরু করে এবং ওই মাসেই রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। এরপর সেপ্টেম্বরে আসে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং অক্টোবরে তা সামান্য হ্রাস পেয়ে আসে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার।
১৪৩ দিন আগে
নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের প্রথম ৯ দিনে দেশে মোট ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, দৈনিক হিসাবে যা গড়ে প্রায় ৭ কোটি ২৮ লাখ ডলার।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, অক্টোবরের একই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ৭৩ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, অর্থাৎ গত মাসের তুলনায় চলতি মাসের এই সময় পর্যন্ত ৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার কম এসেছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ২.৩৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি
এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে ঢোকা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে সর্বোচ্চ ৪২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছ ৩ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার দেশে এসেছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৬১ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৪ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন: ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলে ১.৯৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
গত জুন মাসে দেশে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস যায়। ওই মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৯১ কোটি ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তবে আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রবণতা স্থিতিশীল হতে শুরু করে এবং ওই মাসেই রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। এরপর সেপ্টেম্বরে আসে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং অক্টোবরে তা সামান্য হ্রাস পেয়ে আসে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ১৯ দিনে ১.৫৫৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
১৫৮ দিন আগে
অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ২.৩৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এই সময়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৮ হাজার ৯৩৮ মিলিয়ন ডলার; ২০২৩ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ছিল ৬ হাজার ৮৭৮ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলে ১.৯৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
শুধু ২০২৪ সালের অক্টোবরেই রেমিট্যান্স প্রবাহ ২ হাজার ৩৯৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রাপ্ত ১ হাজার ৯৭১ মিলিয়ন ডলার ছিল।
বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি, উন্নত রেমিট্যান্স চ্যানেল এবং মৌসুমি প্রবাহ, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণ।
৩১ অক্টোবর একদিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮ মিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতিবিদরা এসব পরিসংখ্যানের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরে বলেছেন, মজবুত রেমিট্যান্স প্রবাহ অভ্যন্তরীণ খরচ বাড়াতে পারে এবং দেশের জন্য বহিরাগত অর্থনৈতিক চাপের প্রভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্থায়ী রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার চলমান প্রচেষ্টায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ১৯ দিনে ১.৫৫৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
১৬৫ দিন আগে