প্রতিবেশী
বিয়ানীবাজারে প্রতিবেশীর হামলায় একজন নিহত, আটক ১
সিলেটে প্রতিবেশীদের হামলায় একরাম আলী (৫৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৭ এপ্রিল) ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এর আগে শনিবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে গাড়ি রাখার স্থান নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন একরাম আলী।
একরাম আলী ইউনিয়ন দফাদার ছালেহ আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় ট্রাকের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
এদিকে তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী হামলাকারীদের বাড়ি ঘেরাও করে একজনকে আটক করেন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান পচিালনা করা হচ্ছে।’
৭ দিন আগে
এক প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে অন্যের সঙ্গে দূরত্ব পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না: উপ-প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, ঐতিহাসিক অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধানের সবচেয়ে ভালো বিকল্প অবশ্যই আলোচনা, আর ঠিক সেটিই করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ওঠা প্রশ্নের ব্যাখ্যায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন, ‘প্রাক্তন শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার বহু দৃষ্টান্ত আছে। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড শত শত বছর ধরে অসংখ্য যুদ্ধ করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তারা একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়েছে। একই যুদ্ধে আমেরিকা জাপানে বোমা মেরেছিল; কিন্তু পরে দেশটিকে মিত্রে পরিণত করে।’
‘সেদিন এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, বাংলাদেশ কি তার পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তন করে পাকিস্তানপন্থী হচ্ছে? এতে আমরা মোটেও অবাক হইনি। সবসময়ই কিছু মানুষ থাকবে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচয়ে বিশ্বাস করতে চাইবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে অতীতে যা-ই হয়ে থাকুক না কেন, এখন থেকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হবে বাংলাদেশকেন্দ্রিক, যা আমাদের নিজেদের স্বার্থেই পরিচালিত হবে। এক প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে গিয়ে আরেক প্রতিবেশী থেকে দূরত্ব বজায় রাখা—এটা কোনো স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।’
উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ২৪ ঘণ্টারও কম সময় লেগেছে পাকিস্তানের সফররত পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচকে দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দিতে এবং একই সঙ্গে পারস্পরিক সুবিধার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হতে।’
তার মতে, ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি আবেগঘন সমস্যা হলো, বাংলাদেশ চায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য পাকিস্তান ক্ষমা প্রার্থনা করুক।’
‘এমনকি পাকিস্তানের সুশীল সমাজ, মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে এই ক্ষমা চাওয়াটা হবে সদিচ্ছা ও সৌজন্যের বহিঃপ্রকাশ। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং সামরিক আমলাতন্ত্র সব সময়ই এ ধরনের ধারণার বিরোধিতা করেছিল এবং তাই কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি পাকিস্তান।’
বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পদ বিভাজনের বিষয়টিও জোরালোভাবে উত্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘যা অতীতের সরকারগুলোর কাছে একপ্রকার ভুলে যাওয়া বিষয় ছিল, কারণ তারা আলোচনা নয়, বিচ্ছিন্নতাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছিল।’
বিষয়টির ব্যাখ্যা করেছেন তিনি এভাবে, ‘১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কমপক্ষে ৪.৩২ বিলিয়ন ডলারের দাবি করতে পারে। অভ্যন্তরীণ মূলধন সৃষ্টি, বৈদেশিক ঋণ নিষ্পত্তি ও বৈদেশিক আর্থিক সম্পদের মালিকানা ধরে রাখার ভিত্তিতে এই হিসাব করা হয়েছে।’
‘বাংলাদেশের প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের আরও একটি দাবি আছে, ১৯৭০ সালের নভেম্বরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঘূর্ণিঝড়-দুর্গতদের জন্য বিভিন্ন বিদেশি দেশ ও সংস্থা অনুদান হিসেবে এই অর্থ দিয়েছিল। এই টাকা তখন ঢাকায় পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের দপ্তরে জমা ছিল, যা ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্থানান্তর করে পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের লাহোর শাখায় পাঠানো হয়।
তার মতে, ‘দুই দেশের সম্পর্কের প্রতিবন্ধকতার আরেকটি বড় বিষয় হলো, (বাংলাদেশে) আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন। অতীতে পাকিস্তান মাত্র ১ লাখ ২৫ হাজার নাগরিককে ফেরত নিয়েছে। অথচ এখনও প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার মানুষ বাংলাদেশের ১৪টি জেলার ৭৯টি ক্যাম্পে বসবাস করছে।’
এই বিষয়গুলোই দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ ও ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পথে দীর্ঘদিন ধরে বাধা হিসেবে রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে তিনি জানিয়েছেন, এই সমস্যাগুলোর সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায় নিঃসন্দেহে আলোচনা—আর অন্তর্বর্তী সরকার ঠিক এটিই করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বছর পর পাকিস্তানকে আলোচনার টেবিলে আনা হয়েছে এবং আলোচনার সময় যথাযথভাবে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’
উপ-প্রেস সচিব স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি বছরের শুরুতে মিসরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছিলেন এবং বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি আবারও সেই আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।’
‘তবে একই বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, এই অঞ্চলের বিশাল অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে একটি দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে।’
‘সম্ভবত এখনই সময়, ভবিষ্যতের স্বার্থে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অতীতের বিষয়গুলো নিরসন করে একসঙ্গে কাজ করার,’ বলেন তিনি।
১৬ দিন আগে
প্রতিবেশীর বাড়িতে ছাগল যাওয়ায় দম্পতিকে কুপিয়ে জখম
মেহেরপুরে প্রতিবেশীর বাড়িতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে এক দম্পতিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
মুজিবনগর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম
আহতরা হলেন- মুজিবনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ইউনুস আলী (৫০) ও তার স্ত্রী নুরজাহান খাতুন (৪৫)।
স্থানীয়রা জানান, নুরজাহানের ছাগল প্রতিবেশী ইকরামুল হকের বাড়িতে গেলে ইকরামুলের ছেলে শাহিনের সঙ্গে নুরজাহানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহিন ধারালো হাসুয়া দিয়ে নুরজাহান ও তার স্বামী ইউনুসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।
এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, ‘আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও সেনবাহিনীর টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’
আরও পড়ুন: মসজিদে সাঈদীর জন্য দোয়া করায় ইমামকে কুপিয়ে জখম
২৬৪ দিন আগে
গণপিটুনিতে নিহত প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত যুবক বিকাশ
দিনাজপুরে প্রতিবেশীকে হত্যার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক বিকাশের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিকাশের মৃ্ত্যু হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
এর আগে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বিকাশের হাসুয়ার কোপে গণেশ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এরপর স্থানীয়রা বিকাশকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকালে বিকাশ হাসুয়া দিয়ে গনেশকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন বলেন, দুইজনকে কোপানোর ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে বিকাশকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ১
বাগেরহাটে অটোরিকশাচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, রিকশাচালক আটক
৩৫১ দিন আগে
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ১৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার: সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটো বলেছেন, বর্তমানে ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীনের সঙ্গে সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি ছিল এবং এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার (১৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার)।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৬৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার, মিয়ানমারের সঙ্গে ১১৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার, ভুটানের সঙ্গে ১৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদে ঢাকা-১৯ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।আরও পড়ুন: রমজানের আগে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্য, সংকটে ভোক্তারা
তিনি বলেন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বাণিজ্য ঘাটতি নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৫ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার।
সিলেট থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরীর আরেক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, এক সময় দেশে চা উৎপাদনের তুলনায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা কম ছিল। সেসময় উদ্বৃত্ত চা রপ্তানি করা হতো। বর্তমানে দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ন কেজি। উৎপাদন ও চাহিদা প্রায় সমান।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বহুমুখী করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে দেশে উৎপাদিত প্রায় সব চা অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ব্যবহৃত হয়।
তাই রপ্তানির জন্য খুব বেশি উদ্বৃত্ত চা অবশিষ্ট নেই।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালে দেশে ১০ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
এর মধ্যে সাড়ে ১০ লাখ কেজি চা রপ্তানি হয়েছে। অন্যদিকে চা পুনঃরপ্তানি ও উৎপাদন মূল্য সংযোজনের জন্য মাত্র ৬ লাখ কেজি চা আমদানি করা হয়েছে।
বরিশাল থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
৪৩২ দিন আগে
পাবনায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
পূর্ব বিরোধের জেরে পাবনা শহরে আবুল কাশেম নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পাবনা শহরের শালগাড়িয়ার তালবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাশেম তালবাগান এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে আবুল কাসেমের সঙ্গে একই এলাকার সামির হোসেনসহ কিছু যুবকের সঙ্গে বিরোধ চলছিল।
আরও পড়ুন: সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
রবিবার আবুল কাশেম তার বাড়ি থেকে সামির হোসেনের বাড়ির দিকে গেলে সামিরের বাবা লাড্ডু সুলতান সেটা দেখতে পান৷ পরে তিনি বাড়ি থেকে চাকু এনে আবুল কাশেমকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন৷ এসময় সামির ও তার বাবার নেতৃত্বে ৭-৮ জন যুবক সেখানে উপস্থিত হয়ে তারাও এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে শুরু করেন।
এক পর্যায়ে আবুল কাশেমের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টেশনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ট্রেনযাত্রীর
উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা খুন
৪৩৪ দিন আগে
সিলেটে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে দিলোয়ার হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে আমতৈল সাদীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিলোয়ার ওই গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: পাবনায় যাত্রীর ছুরিকাঘাতে বাসের হেলপার নিহত
স্থানীয়রা জানায়, আমতৈল সাদীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেন ও শামসুন নাহারের বাড়ি পাশাপাশি। শুক্রবার সন্ধ্যায় শামসুন নাহার মুরগির বাচ্চা খুঁজে না পেয়ে অভিযোগ করেন, দিলোয়ারের পরিবারের সদস্যরা বাচ্চাগুলো চুরি করেছেন।
এ নিয়ে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শামসুন নাহার ও তার পরিবারের সদস্যরা দিলোয়ারের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করেন। এ সময় ছুরিকাহত হন দিলোয়ার।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক নিহত
পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দিলোয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, মুরগির বাচ্চা ঘরের পরিবেশ নষ্ট করছে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধে ছুরিকাঘাতে দিলোয়ারের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ভাই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
৪৬৩ দিন আগে
প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রতিবেশী যুবকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার যুবক আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমারপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বলাৎকারে বাধা দেয়ায় হত্যা করা হয় শিশু তামিমকে
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এরপর রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন শিশুটির বাবা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বাবার মামলা দায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবক আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
পাশাপাশি বালৎকারের শিকার শিশুটিকে সোমবার দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন তারা। আবু সাঈদকে আদালতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে মাদরাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
৪৭৫ দিন আগে
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করছে: রিজভী
সুস্পষ্টভাবে ভারতকে খোঁচা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচন করতে একটি দেশ বাংলাদেশে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে- বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারাই নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। একটি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে একটি ডামি নির্বাচন করতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে।’
তিনি অবশ্য ভারতের নাম উল্লেখ করেননি।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি দেশবাসীকে সাজানো নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।
সরকার শুধু ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশকে একটি দালাল রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের নীলনকশা সফল হতে দেবে না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। ‘এটি আসন ভাগাভাগি ও বণ্টনের নির্বাচন। এটা একটা প্রহসনমূলক নির্বাচন।’
জনগণই দেশের মালিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার জনমত উপেক্ষা করে ডামি নির্বাচন করে বিদেশিদের ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছে। যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন সরকার সফল হবে না।
আরও পড়ুন: ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে সরকারের 'মরিয়া' চেষ্টায় সাড়া মিলছে না: রিজভী
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটারদের এই ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি... ভোটের দিন ঘরে থাকুন, ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে এই অবৈধ নির্বাচনকে না বলুন।’
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রিজভী বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি-১৫-এর কাঁচা বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন ও আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা না করার আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন জোগাড় করতে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছে।
বৃহস্পতিবার দলটি গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির মেয়াদ শনিবার পর্যন্ত আরও দুই দিন বাড়িয়েছে।
বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় তিন ডজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির আন্দোলন গতি হারিয়ে ফেলে, কারণ এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ দফায় ২৩ দিন দেশব্যাপী অবরোধ এবং চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল দেয়।
অবশেষে ২০ ডিসেম্বর বিরোধী দল অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।
আরও পড়ুন: ইসির আন্দোলন বন্ধ করতে চাওয়া নজিরবিহীন ও গণবিরোধী: রিজভী
ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের হাতে আলাদিনের বাতি আছে: রিজভী
৪৯২ দিন আগে
রাজশাহীতে লাশ দেখতে এসে প্রতিবেশী নারীর মৃত্যু!
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় আত্মহত্যায় নিহত প্রতিবেশির লাশ দেখতে এসে স্ট্রোক করে আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় ফাঁস দিয়ে সেলিনা বেগম (৪৩) নামের এক নারী আত্নহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন
সেলিনা উপজেলার ঝাঁলুকা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ীয়া গ্রামের আসলাম উদ্দিনের প্রাক্তন স্ত্রী।
আত্নহত্যাকারী প্রতিবেশি সেলিনার লাশ দেখতে এসে আরেক প্রতিবেশী ফাতেমা বেগম (৫০) নামের এক নারী স্ট্রোক করে মারা যান।
তিনি একই গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী। এ দুই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সেলিনা বেগমের বড় ছেলে আসিফ উদ্দিন বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগে আমার বাবার সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ হয়। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বাড়ি করে সেখানে স্ত্রী নিয়ে থাকেন। আমরা দুই ভাই আসিফ ও রবিন।
আমার মা রবিনের সঙ্গেই থাকতো। কিছু দিন থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। বাড়ির সবার অগোচরে বেলা ১১টার দিকে ছোট ভাই রবিনের শয়ন ঘরে আমার মা গলায় ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, দুই জন মারা গেছেন। একজন গলায় ফাস দিয়ে অন্যজন লাশ দেখতে এসে স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
ওসি আরও বলেন, আত্মহত্যাকারী নারীর কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সে ঘরে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। পারিবাকি কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মারা গেছেন পরীমণির নানা
১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
৫২৪ দিন আগে