রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় আত্মহত্যায় নিহত প্রতিবেশির লাশ দেখতে এসে স্ট্রোক করে আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় ফাঁস দিয়ে সেলিনা বেগম (৪৩) নামের এক নারী আত্নহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন
সেলিনা উপজেলার ঝাঁলুকা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ীয়া গ্রামের আসলাম উদ্দিনের প্রাক্তন স্ত্রী।
আত্নহত্যাকারী প্রতিবেশি সেলিনার লাশ দেখতে এসে আরেক প্রতিবেশী ফাতেমা বেগম (৫০) নামের এক নারী স্ট্রোক করে মারা যান।
তিনি একই গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী। এ দুই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সেলিনা বেগমের বড় ছেলে আসিফ উদ্দিন বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগে আমার বাবার সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ হয়। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বাড়ি করে সেখানে স্ত্রী নিয়ে থাকেন। আমরা দুই ভাই আসিফ ও রবিন।
আমার মা রবিনের সঙ্গেই থাকতো। কিছু দিন থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। বাড়ির সবার অগোচরে বেলা ১১টার দিকে ছোট ভাই রবিনের শয়ন ঘরে আমার মা গলায় ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, দুই জন মারা গেছেন। একজন গলায় ফাস দিয়ে অন্যজন লাশ দেখতে এসে স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
ওসি আরও বলেন, আত্মহত্যাকারী নারীর কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সে ঘরে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। পারিবাকি কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মারা গেছেন পরীমণির নানা