বিজ্ঞানী
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ৩ বিজ্ঞানী
বিভক্ত সেকেন্ডের ক্ষুদ্রতম সময়ে পরমাণুতে ইলেকট্রনের জগৎ নিয়ে পরীক্ষার জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিনজন বিজ্ঞানী।
তারা হলেন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির পিয়েরে অগোস্টিনি; ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব কোয়ান্টাম অপটিক্স ও জার্মানির লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটির মিউনিখের ফেরেঙ্ক ক্রাউস; এবং সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির অ্যান ল'হুইলিয়ার।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন ২ বিজ্ঞানী
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের সেক্রেটারি-জেনারেল হ্যান্স এলেগ্রেন মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) স্টকহোমে পুরস্কার ঘোষণা করেন।
নোবেল পুরস্কার হিসেবে নগদ ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (১ মিলিয়ন ডলার) দেওয়া হয়।
সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া একটি উইল থেকে এই পুরস্কারের অর্থ পাওয়া যায। ১৮৯৬ সালে আলফ্রেড নোবেল মারা যান।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া–ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি আর্নাক্স
১ বছর আগে
চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন ২ বিজ্ঞানী
চিকিৎসাশাস্ত্রে অবসদানের জন্য ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ক্যাটালিন কারিকো ও ড্রু ওয়াইজম্যান নামের দুই বিজ্ঞানী।
সোমবার (২ অক্টোবর) নোবেল কমিটি তাদের নাম ঘোষণা করেছে।
কমিটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিজয়ীরা আধুনিক সময়ে মানব স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে একটির ভ্যাকসিন বিকাশে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য তাদেরকে এবারের পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। যা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা বিকাশকে সক্ষম করেছে।
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে নোবেল কমিটির সেক্রেটারি থমাস পার্লম্যান, ফিজিওলজি বা মেডিসিনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, দুই বিজ্ঞানীই খবর পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া–ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন
১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরির স্জোলনোকে জন্মগ্রহণকারী কারিকো ১৯৮২ সালে সেজেড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার পিএইচডি অর্জন করেন।
২০২১ সাল থেকে তিনি সেজেড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অব মেডিসিনের একজন সহযোগী অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন।
ওয়েইসম্যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮৭ সালে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার পিএইডি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ভ্যাকসিন গবেষণায় রবার্টস ফ্যামিলি প্রফেসর এবং পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরএনএ উদ্ভাবনের জন্য গঠিত পেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।
পুরস্কারের পরিমাণ হল ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (১ মিলিয়ন ইউএস ডলার), দুই বিজয়ীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে তা ভাগ করে দেওয়া হবে। (১ সুইডিশ ক্রোনা= ০.০৯১ মার্কিন ডলার)
আরও পড়ুন: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি আর্নাক্স
পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
১ বছর আগে
ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
শুধুমাত্র কায়িক শ্রমে গড়া অবকাঠামোতে নয়; নারীদের মস্তিষ্ক প্রসূত সভ্যতা বিকাশেরও সাক্ষী হয়ে আছে চির পরিবর্তনশীল মহাকাল। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তাদের অবদান যেমন ভেদ করেছে সুগভীর পাতাল, তেমনি ছাড়িয়ে গেছে আকাশের মেঘের স্তর। মহাকাশের শূন্যতাকে প্রথম নারীর অস্তিত্বে সমৃদ্ধ করেছিলেন ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা। তার পথ ধরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় নারীদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে দ্রুতগতিতে। এমনকি এই সাফল্যের আলোর মশাল জ্বলে উঠেছে ভারতীয় উপমহাদেশেও। গত ২৩ আগস্ট ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য যেন তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চলুন, জেনে নেই সেই যুগান্তকারী অভিযানের ঘটনা। সেইসঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনের নেপথ্যে থাকা নারী মহাকাশ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে।
চন্দ্রযান-৩ উপাখ্যান
নাসার ভারতীয় সংস্করণ ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন; সংক্ষেপে আইএসআরও বা ইসরো। চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে সেখানকার প্রকৃতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্য নিয়ে এরা শুরু করেছিলো চন্দ্রযান নামের প্রজেক্টটি। পর পর দুটি অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ গত ২৩ আগস্ট নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয় চন্দ্রপৃষ্ঠে।
যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৪ জুলাই; সর্বজনীন সমন্বিত সময় বা কোঅর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম (ইউটিসি) অনুযায়ী সময় ৯ টা ৫ মিনিট। রকেটের উৎক্ষেপণ হয় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে।টানা কয়েকবার চেষ্টার পর ৫ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে ঢুকতে সক্ষম হয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩।
পুরো মহাকাশযানটি মূলত ল্যান্ডার, রোভার ও প্রোপালশান মডিউল- এই তিন ভাগে বিভক্ত। ল্যান্ডারের কাজ হলো যানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানো। এর নাম দেওয়া হয়েছে বিক্রম। অবতরণের জন্য এর নিবেদিত চারটি পায়ে রয়েছে চারটি শক্তিশালী ইঞ্জিন। অন্যদিকে, রোভার হচ্ছে ছয় চাকার একটি গাড়ি, যার উদ্দেশ্য পুরো যানটিকে নিয়ে নির্বিঘ্নে চন্দ্রপৃষ্ঠে ঘুরে বেড়ানো। এই অংশের নাম হচ্ছে প্রজ্ঞা।আর এই বিক্রম ও প্রজ্ঞাকে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে প্রোপালশান মডিউলের। ১৭ আগস্ট এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে বিক্রম ও প্রজ্ঞা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় প্রোপালশান মডিউল।
২৩ আগস্ট কক্ষপথের একদম শেষ বিন্দুর কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে একসাথে গর্জে উঠে বিক্রমের চারটি ইঞ্জিন। এরপর ঠিক সাড়ে ১১ মিনিট পর বিক্রম নেমে আসে চাঁদের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭.২ কিলোমিটার উচ্চতায়। এ অবস্থায় প্রায় ১০ সেকেন্ড ভেসে থেকে এটি ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে উল্লম্ব দিকে ঘুরে যায়। কিছুক্ষণ পর নেমে যায় আরও প্রায় ১৫০ মিটার। এই উচ্চতায় থেকেই বিশ্ববাসীর স্তম্ভিত দৃষ্টির সামনে প্রায় ৩০ সেকেন্ড ঘুরে বেড়ায় বিক্রম ও প্রজ্ঞা। অতঃপর ইউটিসি সময় ঠিক ১২ টা ৩২ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩।
আরও পড়ুন: চাঁদে ভারতের চন্দ্রযানের সফল অবতরণ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদিকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
চন্দ্রযান-৩-এর অভিযানের নেপথ্যে থাকা নারী বিজ্ঞানীরা
ইসরো চন্দ্রযান-৩ কে পরিচালনায় সরাসরি কাজ করেছেন প্রায় ৫৪ জন নারী প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী। তাদের মধ্যে থেকে যাদের নাম ওতপ্রোতভাবে এই চন্দ্রাভিযানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তারা হলেন:
ঋতু কাড়িধাল শ্রীভাস্তাভ
৪৮ বছর বয়সী ঋতু কাড়িধাল ভারতবাসীর কাছে পরিচিত ‘রকেট উইমেন’ হিসেবে। ইসরোর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ১৯৯৭ সাল থেকে। সেই থেকে তিনি মার্স অরবিটার মিশন (এমওএম) বা মম ও চন্দ্রযান প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন। তিনি মম মিশনের ডেপুটি অপারেশন্স ডিরেক্টরও ছিলেন।
মুথাইয়া বনিতা
এই ৫৯ বছর বয়সী ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম প্রকৌশলী নেতৃত্ব দিয়েছেন ইসরোর বিভিন্ন উপগ্রহের প্রকল্পগুলোতে। তিনি ইসরোর চন্দ্রযান-২-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন।
ইসরোর সঙ্গে তার শুরুটা ছিল শুধুমাত্র হার্ডওয়্যার নিরীক্ষণ কাজের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে তিনি ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিজিটাল সিস্টেম গ্রুপে টেলিমেট্রি এবং টেলিকমান্ড বিভাগের পরিচালক পদে অধীষ্ঠিত হন। ২০১৩-এর সফল মঙ্গলযান মিশনেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
তিনিই ছিলেন ইসরোতে আন্তঃগ্রহ মিশনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম নারী। চন্দ্রযান-২ মিশনের সহযোগী পরিচালক থেকে তাকে প্রকল্প পরিচালক পদে উন্নীত করা হয়েছিলো। এর মাধ্যমে তিনি ইসরোর প্রথম নারী প্রকল্প পরিচালক হওয়ার সম্মান অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির ‘ভিশন প্রো’ হেডসেট নিয়ে এলো অ্যাপল
বনিতা ২০০৬ সালে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সেরা নারী বিজ্ঞানীর পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মিশন মঙ্গল ছিল ইসরোর অন্যতম সেরা সাফল্য। এর মাধ্যমে ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে মঙ্গল গ্রহে অবতরণের মর্যাদা লাভ করে।
সেই ধারাবাহিকতায় ঋতু কাড়িধাল মিশন ডিরেক্টর হিসেবে চন্দ্রযান-২-এর মিশনের তত্ত্বাবধান করেন।
কাড়িধাল ২০০৭ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি এ.পি.জে. আব্দুল কালামের কাছ থেকে ইসরোর তরুণ বিজ্ঞানীর পুরস্কার পান।
কল্পনা কালাহাস্তি
ইসরোর সঙ্গে ৪৩ বছর বয়সী এই মহাকাশ প্রকৌশলীর যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সাল থেকে। তার দায়িত্ব ছিল স্যাটেলাইটের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করার জন্য প্রপালশান সিস্টেম তৈরি করা। এছাড়াও তার বিশেষত্ব ছিল পৃথিবীর পরিষ্কার ছবি তোলার জন্য উন্নত ইমেজিং সরঞ্জামের নকশা প্রণয়নে। তিনি ধীরে ধীরে মম এবং চন্দ্রযান-২-এর মত যুগান্তকারী প্রকল্পগুলোর অংশ হয়ে ওঠেন।
২০১৯ সালে তাকে চন্দ্রযান-৩ মিশনের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি বিক্রমের সিস্টেমের নকশা তৈরি ও এর কর্মকাণ্ড সুস্পষ্ট করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
১ বছর আগে
বাংলাদেশের একটি জাতীয় হাইড্রোজেন কৌশল প্রয়োজন: অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ড. নওশাদ
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ড. নওশাদ বলেছেন, ক্লিন হাইড্রোজেন সম্ভাবনা অন্বেষণে এবং এই বিশেষ ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশের একটি ‘জাতীয় হাইড্রোজেন কৌশল’ থাকা দরকার।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের কমনওয়েলথ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা সংস্থা (সিএসআইআরও)-এর প্রধান বিজ্ঞানী ড. নওশাদ হক মেলবোর্নে তার অফিসে ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের একটি হাইড্রোজেন কৌশল থাকা উচিত।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ৯০টিরও বেশি দেশ হাইড্রোজেন কৌশল নিয়ে কাজ করছে এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো তাদের অনেকেরই আনুষ্ঠানিক হাইড্রোজেন কৌশল রয়েছে।
ড. নওশাদ বলেন, এই কৌশল দেশের জ্বালানি চাহিদা এবং জ্বালানি রপ্তানি, আমদানি ও ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে হবে। হাইডো্রজেন ইকোনমি একটি সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠতে পারে।’
ড. নওশাদ ‘কূটনীতি ও উন্নয়ন’ এর জন্য বিজ্ঞান ব্যবহারের ওপর জোর দেন এবং বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রযুক্তিগত গবেষণা, উন্নয়ন এবং ক্লিন এনার্জি প্রদর্শনের এক্সপোজার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “সামর্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা একটি চমৎকার হাতিয়ার হতে পারে। বাংলাদেশে ‘জাতীয় হাইড্রোজেন কৌশল’ উন্নয়নের জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে।”
ক্লিন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার জন্য এবং দেশে তা স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পেশাজীবী ও সাংবাদিকদের অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো যেতে পারে বলেও জানান এই বিজ্ঞানী।
কোনো কার্বন নির্গমন না করা এবং জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় ৩ গুণ বেশি উচ্চমাত্রার শক্তি ধারণ করায়, ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য হাইড্রোজেন জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা বিলোপের হাতিয়ার হতে পারে। তবুও বর্তমানে ৯৬ শতাংশ হাইড্রোজেন উৎপাদন হয় জীবাশ্ম জ্বালানির মাধ্যমে এবং যা টেকসই নয়।
কেননা হাইড্রোজেন জ্বালানি, পরিবহন ও শিল্প খাতকে ডিকার্বনিজ করতে বিস্তৃত সম্ভাবনাময় একটি উপায়।
ড. নওশাদ বলেন, বাংলাদেশকে জনগণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে, প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের উপায় খুঁজে বের করে শক্তি ও সামর্থ্য বাড়াতে হবে।
২০১৮ সালে সিএসআইআরও এনার্জিতে যোগ দেন ড. নওশাদ। তিনি সিএসআইআরও’তে 'মাইন টু মেটাল' উৎপাদনের জন্য বেশ কয়েকটি অভিনব প্রযুক্তি এবং ফ্লোশিট তৈরিতে অবদান রেখেছেন।
তিনি বলেন, সাহায্য ও সহযোগিতা অপরিহার্য, কারণ একটি দেশের উদ্ভাবন অন্য দেশে ঠিক একইভাবে কাজ করে না। জ্বালানির চাহিদা, জ্বালানি ব্যবহারের ধরন, ব্যবহার, রপ্তানি ও আমদানির মতো বিষয়গুলো এক্ষেত্রে বিবেচ্য।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে কাজ করছে বিএসইসি: অধ্যাপক শিবলী
১ বছর আগে
চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল জিতেছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে প্যাবো
মানব বিবর্তনের ওপর গবেষণার জন্য এই বছরের চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে প্যাবো। সোমবার সুইডেনের স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে নোবেল কমিটির সেক্রেটারি টমাস পার্লম্যান চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন।প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়।
চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা দেয়া শুরু হলো। ৪ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৫ অক্টোবর রসায়ন, ৬ অক্টোবর সাহিত্যে এবং ৭ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। সর্বশেষ ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ করা হবে ২০২২ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা।
আরও পড়ুন: আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের জিনবিজ্ঞানী সভান্তে প্যাবো। বিলুপ্ত হোমিনদের জিনোম এবং মানবজাতির বিবর্তন বিষয়ে গবেষণার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে প্যাবোকে।
গত বছর ডেভিড জুলিয়াস ও আরডেম প্যাটাপোটিয়ান মানবদেহ তাপমাত্রা ও স্পর্শ অনুভূতি নিয়ে গবেষেণার জন্য এ পুরস্কার জিতেছিলেন।
পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে নগদ ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ৯লাখ মার্কিন ডলার)। আগামী ১০ ডিসেম্বরে পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে। এ অর্থ পুরস্কারের প্রবর্তক সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া একটি উইল থেকে অর্জিত। ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেলে মারা যান।
আরও পড়ুন: মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব: এবার বিশেষ জুরি পুরস্কার পেল ‘আদিম’
২ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্মানসূচক ব্রিটিশ পুরস্কার লাভ
২ বছর আগে
কম্বাইন হারভেস্টার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটাবে: মন্ত্রী
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত দেশের জমিতে ব্যবহারের সবচেয়ে উপযোগী ও সুলভ মূল্যের ধান কাটার যন্ত্র-কম্বাইন হারভেস্টার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটাবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরে ব্রির চত্বরে কম্বাইন হারভেস্টারটির কার্যক্রম পরিদর্শন কালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ব্রির বিজ্ঞানীরা নিজেরা গবেষণা করে ধান কাটার মেশিনটি উদ্ভাবন করেছে। এটি একটি অসাধারণ সাফল্য। এটির ধান কাটার ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি, দেশের ছোট ছোট জমিতে ব্যবহারের উপযোগী। বিদেশের ইয়ানমারসহ বিভিন্ন কম্বাইন হারভেস্টারের দাম ২৫-৩০ লাখ টাকা, আর এটির খরচ পড়বে ১২-১৩ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্রির উদ্ভাবিত যন্ত্রটি আমরা যদি স্থানীয়ভাবে তৈরি করে সারা দেশে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষিকে লাভজনক করতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।’
ব্রির বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের উদ্ভাবিত ব্রি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টারের ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আনা। অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরি। এর ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৮৭ হর্স পাওয়ার। ঘণ্টায় মেশিনটি ৩-৪ বিঘা জমির ধান কর্তন করতে পারে। জ্বালানি খরচ হয় ঘণ্টায় সাড়ে ৩- ৪ লিটার। হারভেস্টিং লস শতকরা এক ভাগের কম। আর দাম পড়বে মাত্র ১২-১৩ লাখ টাকা। খন্ড খন্ড জমিতেও ব্যবহার উপযোগী। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যেকোন কম্বাইন হারভেস্টারের তুলনায় এটি ভাল বলে জানান ব্রির বিজ্ঞানীরা।
পরে কৃষিমন্ত্রী ব্রির চত্বরে ব্রির শ্রমিকদের জন্য নির্মিত পাঁচতলা নতুন আবাসিক ভবন 'ব্রি শ্রমিক কলোনী ভবন' উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
দেশে প্রথমবারের মতো লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিজ্ঞানীরা।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে বিনায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বলেন, দেশের দুই মিলিয়ন হেক্টর জমি লবণাক্ত, যেখানে বছরে একটি ফসল হয়। খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে ও ভবিষ্যতে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমরা লবণাক্ত, হাওরসহ প্রতিকূল এলাকায় বছরে দুই থেকে তিনটি ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি। পূর্ণাঙ্গ জিনোম উন্মোচনের ফলে লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ সহজতর হবে।
আরও পড়ুন: ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার: মন্ত্রীসংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় বিনা ও বাকৃবির যৌথ এ গবেষণায় বিভিন্ন মাত্রার গামা রেডিয়েশন প্রয়োগ করে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মিউট্যান্ট সৃষ্টি করে তা থেকে নানামুখী পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এমসিক্স জেনারেশনে তিনটি উন্নত মিউট্যান্ট শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত মিউট্যান্টগুলো প্যারেন্ট অপেক্ষা উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং ৮ ডেসিমেল মাত্রার লবণাক্ততা ও ১৫ দিন জলমগ্নতা সহিষ্ণু।এ গবেষণালব্ধ তত্ত্ব-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিনা ও বাকৃবি’র বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে সর্বপ্রথম লবণ ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের জীবন রহস্য উন্মোচন করেছে।সম্মেলনে আরও জানানো হয়,জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও লবণাক্ততা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কার্যকরী উপায় হচ্ছে লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন। এ লক্ষ্যে বিনার ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী প্রায় এক দশক ধরে কাজ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফাতেমা’ জাতের ধানে বিঘায় ৫০ মণ ফলন
২ বছর আগে
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা
করোনা ভাইরাসের একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন দেশটির সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ গাউতেং-এ তরুণদের মধ্যে উচ্চ সংখ্যক মিউটেশন এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে এটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন নতুন ভ্যারিয়েন্টটি আরও সংক্রমণযোগ্য বা মারাত্মক হতে পারে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সময় লাগতে পারে।
একটি অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে ফাহলা বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন সংক্রমণ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী মার্চের মধ্যে ইউরোপে করোনায় আরও ৭ লাখ মানুষ মারা যাবে: ডব্লিউএইচও
তিনি বলেন, গত চার বা পাঁচ দিন ধরে, শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি বেশি পেয়েছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে এটা হচ্ছে বলে ধারণা করছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে কত শতাংশ নতুন শনাক্ত হয়েছে তা নির্ধারণ করতে কাজ করছেন।
বর্তমানে এই নতুন বি.১.১.৫২৯ ভ্যারিয়েন্টটি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে বতসোয়ানা ও হংকং-এ পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ নতুন ভ্যারিয়েন্টটি মূল্যায়ন করতে শুক্রবার মিলিত হবে এবং গ্রীক বর্ণমালা থেকে এটির নাম দেয়া হবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে রেকর্ড ৪ হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত
ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করেছে যে শুক্রবার দুপুর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অন্যান্য পাঁচটি দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ থেকে তারা ফ্লাইট নিষিদ্ধ করছে। এবং যারা সম্প্রতি এই দেশগুলি থেকে এসেছে তাদের করোনভাইরাস পরীক্ষা করতে বলা হবে।
ইউকে হেলথ সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ বলেছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টা স্ট্রেনের চেয়ে আরও বেশি সংক্রমণযোগ্য হতে পারে। বর্তমানে আমাদের কাছে যে ভ্যাকসিনগুলি রয়েছে তা এর বিরুদ্ধে কম কার্যকর হতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে।
৩ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পোষাতে উন্নত দেশগুলোর গড়িমসি কাম্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পোষাতে প্রতিশ্রুত অর্থায়নে উন্নত দেশসমূহের গড়িমসি কাম্য নয়। এ ক্ষেত্রে তাদের স্বচ্ছতা, সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শুধু সামর্থ্যের অভাবই নয়, তহবিল দাতারও অভাব রয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে এবং কার্যকর অভিযোজন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সরকার তার সক্ষমতা দেখিয়েছে। কিন্তু জলবায়ু অর্থের অর্ধেক সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে অভিযোজনে দেয়া উচিত। কিন্তু তাও দিচ্ছে না তারা।
বুধবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ২৬ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে এক সাইড ইভেন্টে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট এখনই মোকাবিলা করতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু অর্থায়নে নানা বাহানায়, দীর্ঘসূত্রিতায় বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর বড় প্রমাণ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ইননোসেন্ট ভিক্টিম। এ জন্য আমাদের দায় একেবারেই নগণ্য।
তিনি বলেন, শিল্প উন্নত ও ধনী দেশসমূহ এ জন্য দায়ী হলেও তারা এর দায় নিচ্ছেনা। বরং দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাই বলে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময় উপযোগী পদক্ষেপের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যা ইতোমধ্যে বিশ্ব সমাদৃত ও রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ, উদ্যোগ, বিজ্ঞানীও গবেষকদের গবেষণায় জলবায়ু সহিঞ্চু বিভিন্ন জাতের ধান উৎপাদন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। বিশেষ করে খরাসহিঞ্চু, বন্যাসহিঞ্চু, জলমগ্নসহিঞ্চু, বনসহিঞ্চু জাতের ধান উৎপাদন করছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি নিরসনে উন্নত বিশ্বের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তার পাশাপশি প্রযুক্তি সহায়তা দেয়া। একই সাথে তা প্রতিশ্রুতি, আশ্বাস, আর কথামালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবে কার্যকর ও দৃশ্যমান করা।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন ‘ব্যর্থ’: গ্রেটা থুনবার্গ
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এনডিসি প্রতিশ্রুতি কেবল কার্বন নি:সরণ কমাতেই নয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং গুণমান উন্নত করবে। জীবনের জন্য আমাদের বিনিয়োগ, গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সবুজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন।
ক্লাইমেট চেঞ্জ সংক্রান্ত সংসদীয় দলের প্রতিনিধি ও সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, বাংলাদেশের জন্য অভিযোজন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু প্রকল্পগুলি দেশীয় ও ঐতিহ্যগত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় সম্প্রদায়ের পরামর্শ এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে তৈরি করা উচিত। আমাদের এটাকে স্বচ্ছ, যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত করতে হবে। এটি স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বে ও বটম আপ অ্যাপ্রোচ হতে হবে।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী
ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিম লিডার জেরি ফক্স বলেছেন, স্থানীয় অভিযোজন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভবিষ্যতের চাবিকাঠি হবে। বাংলাদেশে আমরা একটি ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ইকোসিস্টেম তৈরি করছি যা স্থানীয়, জাতীয় এবং বিশ্বব্যাপী কাজ করা প্রধান সংস্থাগুলিকে একত্রিত করে, সম্প্রদায়ের প্রয়োজনে সাড়া দেয় এমন অভিযোজন সমাধানগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য একটি সদগুণ বৃত্ত তৈরি করে। এবং বৈশ্বিক তহবিলকে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় এমআরভি প্রদান করে।
পানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত এই ইভেন্টে সভাপতিত্ব করেন।
৩ বছর আগে
বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় মেহেরপুরের আব্দুর রশিদ
বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কৃতি সন্তান ড. মো.আব্দুর রশিদ।আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা এডি সায়েন্টিফিক ইন্ডেক্স কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২১ সালের বিশ্বের বিজ্ঞানীদের শীর্ষ তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেছেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-এর ফার্মাসি বিভাগের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপক।সংস্থাটি সারা বিশ্বের ২০৬টি দেশের ১৩ হাজার ৫৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত লাখেরও বেশি বিজ্ঞানীর সাইটেশন ও অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে গত ১০ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী এ তালিকাটি প্রকাশ করে। তালিকাটির ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগে ড. এম এ রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ উভয় ক্যাটাগরিতেই প্রথম স্থান অধিকার করেন। এমনকি এশিয়া ও বৈশ্বিক ক্যাটাগরিতেও তিনি যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান লাভ করেন।
আরও পড়ুন: পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
অধ্যাপক এম এ রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদে দীর্ঘকাল অধ্যাপক ও ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৪ সালে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে যোগদান করেন।
তাঁর এ সম্মানজনক স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কৃতিগত ভাবেই বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকখানি পিছিয়ে আছে।
আরও পড়ুন: বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টার পাশাপাশি গবেষণার উপরও আমাদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আর এ ধরনের স্বীকৃতি অবশ্যই আমাদের গবেষকদেরকে অধিকতর উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।অধ্যাপক রশীদ বলেন, মৌলিক গবেষণা ব্যতীত কখনোই এবং কিছুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ের উচ্চতর শিক্ষা পূর্ণঙ্গতা পেতে পারে না। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে গর্ববোধ করি। আর মেহেরপুরের সন্তান হিসেবেও গর্বিত।
৩ বছর আগে