কর্ণফুলী নদী
কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হল ৮০ কার্টুন বিস্কুট, সিলগালা প্রতিষ্ঠান
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিস্কুট তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা মূল্যের ৮০টি বিস্কুটের কার্টুন জব্দ করা হয়েছে।
পরে অনুমোদনহীনভাবে তৈরি করা এসব বিস্কুট ফেলে দেওয়া হয়েছে কর্ণফুলী নদীতে। সীলগালা করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: মি. বেকারের বিস্কুটসহ ১৭ পণ্য নিষিদ্ধ করল বিএসটিআই
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার পিযুষ কুমার চৌধুরী জানান, অভিযানে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের মইজ্জ্যারটেক এলাকার এ্যালিগেন্ট ফুড নামক ওই প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন ক্ষতিকর কেমিকেল মিশ্রিত বিস্কুট তৈরি করে বাজারজাত করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: বিকল্প কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার
৯ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু টানেল: প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে টোল আদায় ২৫ লাখ টাকা
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের পর প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রের্কড গাড়ি পার হয়েছে। এদিন ৭ হাজার ছোট-বড় গাড়ি টানেল অতিক্রম করে। এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফাত ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ শুক্রবার রাত ৮ টা পর্যন্ত ৭ হাজার গাড়ি টোল প্লাজায় এন্ট্রি হয়েছে। যেখান থেকে টোল আদায় হয়েছে। প্রায় ২৫ লাখ টাকা।’
এদিকে টানেল উদ্বোধনের পর প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় হাজার হাজার উৎসুক মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি ও ভাড়া গাড়িতে টানেল পরিদর্শন করেন। যানবাহনের চাপ বাড়ার ফলে বঙ্গবন্ধু টানেলের উভয় প্রান্ত, বাইরে ও ভেতরে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
আরও পড়ুন: হরতালের কারণে প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু টানেলে যান চলাচল কম
ঘুরতে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টোল প্লাজায় টোল নিতে সময় লাগায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সাড়ে তিন মিনিটের টানেল পাড় হতে সময় লেগেছে আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট। টানেলের উভয় প্রান্তে অন্তত ৫ কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়।
টানেলের টোল ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘ছুটির দিনে সবাই টানেল ও তার আশেপাশের এলাকা ঘুরতে এসেছেন। এতে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় যান চলাচল বেড়েছে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেল: দ্বিতীয় দিনে টোল আদায় ৭.১ লাখ টাকা
১ বছর আগে
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে পণ্যবাহী লাইটার জাহাজে চুরির অভিযোগে এক শ্রমিককে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে কর্ণফুলী নদীর কালারপোল ব্রিজের নিচ (এস আলম জেটি) থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ফজলুল করিম শাকিল (২৩) মিরসরাই থানার জোরারগঞ্জ সাহেদ ডি নগর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য।
আরও পড়ুন: মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
নিহতের ভগ্নিপতি মো.বেলায়েত অভিযোগ করেন, ‘আমার শ্যালক শাকিল এমভি তরিবুল নাজাত ৩ জাহাজের সুকানী ছিলেন। সোমবার রাত দেড়টা থেকে ২টার দিকে এস আলম গ্রুপের পণ্যবাহী (চিনি) জাহাজে চুরির অভিযোগে নিরাপত্তাকর্মীরা শাকিলকে মারধর ও নির্যাতন চালিয়ে জাহাজ থেকে নদীতে ফেলে দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ১০টা দিকে নৌপুলিশের একটি টিম কর্ণফুলী নদীর কালারপোল ব্রিজের নিচে এস আলম জেটি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। আমরা মামলা করার জন্য নগরীর সদরঘাট থানায় এসেছি।’
চট্টগ্রাম নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ফজলুল করিম শাকিল নামে আমাদের এক শ্রমিকের লাশ পুলিশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে। শুনেছি সে জাহাজ থেকে পড়ে মারা গেছে। পরিবার বলছে তাকে নদী ফেলে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশি তদন্তের পর আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।’
নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন জানান, ‘সকালে খবর পেয়ে নদী থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করছে।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ঘোড়ার গাড়ির চালকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল, টোলের হার চূড়ান্ত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রাথমিক নির্মাণকাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মূল টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি সজ্জিত ও প্রস্তুত। এটি দেশের প্রথম পানির নিচের টানেল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে টানেলটি উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
পরের দিন থেকে সুড়ঙ্গটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যা এই অঞ্চলের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পরিবহন মাইলফলক হবে।
এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, টানেলের প্রাথমিক নির্মাণকাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে টানেলের মধ্যে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই অসাধারণ প্রকল্পের উদ্বোধন পানির নিচে টানেলের যুগে বাংলাদেশের প্রবেশের সূচনা করছে।
তিনি বলেন, এই ‘স্মরণীয় অর্জন’ দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগের একটি নতুন যুগের সূচনা করবে, যা জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন ইউএনবিকে বলেন, প্রাথমিকভাবে টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
তিনি বলেন, চলমান প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস এবং থানা ভবনের মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনসহ বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। টানেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, উদ্বোধনের পরও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
তিনি বলেন, একটি পুলিশ স্টেশন, একটি ডাম্পিং এলাকা এবং একটি স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং এর জন্য জায়গা সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত এবং যারা রক্ষণাবেক্ষণ করবেন তাদের নিজস্ব গাড়ি থাকবে।
সচিব বলেন, নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টানেল এলাকার অভ্যন্তরে এবং এর আশেপাশে যানবাহন চলাচল পরিচালনার জন্য ট্রাফিক বিভাগ একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
টানেলের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে।
টানেলে কী ধরনের যানবাহন চলবে তা ঠিক করা হয়েছে। টোলও নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেতু সচিব।
সেচিব বলেন, টানেলের ধারণাটি আমাদের কাছে নতুন। এজন্য এর কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এটি অন্যান্য সেতু বা রাস্তা থেকে আলাদা। সেক্ষেত্রে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে টানেলেটি নিরাপদ থাকবে এবং যারা এটি ব্যবহার করবে তারাও নিরাপদ থাকবে।
হোসেন আরও বলেন, এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি না যে এই মুহূর্তে দুই বা তিন চাকার গাড়ির জন্য এটি নিরাপদ।
টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুন-অর-রশিদ ইউএনবিকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হলে চট্টগ্রাম শহরের পরিধি বাড়বে।
টানেলের এক প্রান্ত চট্টগ্রাম শহর এবং অপর প্রান্ত আনোয়ারা উপজেলার দিকে। টানেলের উন্নয়ন আনোয়ারাকে একটি ক্রমবর্ধমান শহরে রূপান্তরিত করছে। একই সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলায় জমির দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: নির্ধারণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল হার
আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের টার্মিনাসে যাওয়ার রাস্তার দু'পাশে গড়ে উঠছে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প কারখানা। টানেলটি চালু হলে কর্ণফুলী নদী পারাপারের সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র ৩ মিনিটে।
যেহেতু সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। টানেলটি রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পাশাপাশি পর্যটন নগর কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগে একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত।
মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং দুটি চার লেনের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।
এ ছাড়া মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লিংক রোড এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার থাকবে।
টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে অবস্থিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত প্রথম বা উত্তর টানেলের বোরিং শুরু করেন।
২০১১ সালে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ২০১৪ সালে একটি সমঝোতা স্মারকের পর ২০১৫ সালের ৩০ জুন ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ঠিকাদার নিয়োগের পর ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জিটুজি) যৌথ অর্থায়নে মোট ১০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
টানেলের নির্মাণকাজ করছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)।
কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে চীনের সাংহাইয়ের অনুরূপ ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ ধারণা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেল ব্যবহারে মোট ১২ ধরনের যানবাহনে টোল চার্জ দিতে হবে। প্রাইভেটকারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম টোল ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পিকআপ ট্রাককে প্রতি ক্রসিংয়ে ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসে ২৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হবে।
৩১টির কম আসনের বাসগুলোর ৩০০ টাকা এবং ৩২টির বেশি আসনের বাসগুলোর ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
পাঁচ টন পর্যন্ত পণ্য বহনে সক্ষম ট্রাকের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। আট টনের ট্রাকে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা দিতে হবে। তিন এক্সেল কনটেইনার ট্রেইলারের জন্য ৮০০ টাকা।
চার এক্সেলের একটি ট্রেলারের জন্য ১ হাজার টাকা। তবে প্রতিটি অতিরিক্ত এক্সেলের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হবে।
টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য চালুর দিন থেকে টোল হার কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
১ বছর আগে
৩ মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কালুরঘাট সেতু
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর অবস্থিত শত বছরের পুরানো কালুরঘাট সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সংস্কারের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) থেকে পরবর্তী ৩ মাসের জন্য এই সেতুতে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
সংস্কারের পর সেতুর ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অটোরিকশা চালক নিখোঁজ
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে এ সেতুতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে যানবাহন চলাচল করবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সেতুটি ৩ মাসের জন্য বন্ধ করে দিয়েছি। তবে আমরা আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এটি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
সেতুটি মেরামত করে চালু না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ইতোমধ্যে কর্ণফুলীতে ফেরি চলাচল চালু করেছে। সেতুটি মেরামতের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেল সূত্র জানায়, আগামী সেপ্টেম্বরে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সেতুর ট্রেন লাইনসহ সেতুর ডেকিং, পাটাতন মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এ সংস্কার কাজের জন্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সেতু বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ।
গত ১৮ জুন বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতুটি মেরামতের জন্য রেলওয়ের সাথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শতবর্ষী জরাজীর্ণ এই সেতু সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হবে।
এদিকে সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। মোট তিনটি ফেরির ব্যবস্থা রয়েছে। ২টি ফেরি চলাচল করবে।
আর ১টি ফেরি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। ফেরির টোলের হার নির্ধারণ করা হলেও টোল আদায়ে কোনো ইজারাদার পায়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
অনুমোদিত ফেরির টোল হারে দেখা গেছে, রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল ও ঠেলাগাড়ির জন্য ৫ টাকা, মোটরসাইকেলের জন্য ১০ টাকা, ব্যাটারিচালিত তিন ও চার চাকার গাড়ির জন্য ২৫ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার) ৫৫ টাকা, মাইক্রোবাস ও পিকআপ ৯০ টাকা, মিনিবাস ১১৫ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যানবাহনের (পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর) জন্য ১৩৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, মাঝারি ট্রাক ২২৫ টাকা, ভারী ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানের জন্য ৪৫০ টাকা এবং ট্রেইলারের জন্য ৫৬৫ টাকা টোল প্রদান করতে হবে।
বোয়ালখালী উপজেলা, পটিয়ার পূর্ব ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ এবং নগরীর চান্দগাঁও ও মহোড়া এলাকার প্রায় ১০ লাখ মানুষের নদী পারাপারের জন্য সেতুটির বিকল্প নেই।
বিআর দীর্ঘদিন ধরে ১৯৩১ সালে নির্মিত কালুরঘাট সেতু প্রতিস্থাপনের জন্য কাজ করছে এবং প্রাথমিকভাবে এটিকে রেলওয়ে সেতু হিসেবে নির্বাচন করেছে।
১৯৬০-এর দশকে সেতুটি রেল ও সড়ক সেতুতে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক চালু হলো ইলেকট্রনিক টোল আদায় ব্যবস্থা
পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ১১১৭ কোটি টাকা
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামের বোয়ালিয়ায় কর্ণফুলী নদীতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের শেখপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ সিয়াম (১০) শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জৈষ্ঠ্যপুরা গ্রামের শেখ পাড়ার আবদুল মাবুদের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: বীরগঞ্জে পুকুরের পানিতে পড়ে ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
সিয়ামের চাচা আবদুর রহমান জানান, সিয়াম দুপুরে তার বাবার সঙ্গে বাড়ির পাশে কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে যায়। এসময় পানিতে ডুব দিলে তলিয়ে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে বোয়ালখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুদীপ কুমার চৌধুরী জানান, নদীতে ডুবে যাওয়া ওই শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পাবনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
কর্ণফুলীতে সাম্পান উল্টে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান উল্টে নিখোঁজ কিশোর সোহাগের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে ৭টার দিকে ফিশারি ঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশের সদস্যরা।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, গত শনিবার রাতে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের মেরিন ফিশারিজ ঘাট থেকে নদীর উত্তর পাড়ে আসার সময় সাম্পানটি নদীতে নোঙর করে থাকা এফভি পারটেক্স-১ ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এ সময় যাত্রীরা সবাই সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও কিশোর সোহাগ নদীতে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: জেলেদের জালে উঠে এলো কর্ণফুলীতে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ
তিনি বলেন, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দুইদিন অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে সোমবার সকালে স্থানীয়রা নদীর ফিসারি ঘাট এলাকা লাশ ভাসতে দেখে খবর দিলে আমরা গিয়ে লাশটি উদ্ধার করি।
২ বছর আগে
জেলেদের জালে উঠে এলো কর্ণফুলীতে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ
কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর পর্যটক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত অপূর্ব সাহা (১৯) চট্টগ্রাম মহানগর মাদারবাড়ী এলাকার মৃত অরুপ সাহার ছেলে।
আরও পড়ুন: যমুনায় নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহীন আলম জানান, নিহত অপূর্বের পৈতিক বাড়ি ফেনীতে হলেও তিনি পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৯নং শিলছড়ি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সরোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে জেলেদের মাছ ধরার রশির টানের সঙ্গে ভেসে উঠে নিখোঁজ অপূর্ব সাহার লাশ। পরে সাড়ে ৬টার দিকে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে লাশটি উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, নিহত অপূর্বের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো রকম আপত্তি না থাকায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে আগত ছয় সদস্যের একটি পর্যটক দল সীতাঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামলে নদীর পানিতে চার জন তলিয়ে যায়। সেই সময় দুজন পর্যটক সাতঁরিয়া নদীর তীরে উঠতে পারলেও দুজন নদীর পানিতে তলিয়ে যান। পরে বিকালে নিখোঁজ লোকেশ বৈদ্য (১৯) নামে এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করে নৌবাহিনী ডুবুরি দলের কর্মীরা।
২ বছর আগে
কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে শিশুর মৃত্যু
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলি নদীতে গোসল করতে নেমে জয় কান্তি দে (১৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার ২নং চিৎমরম ইউনিয়নের চিৎমরম বাজার ঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জয় চিৎমরম ইউনিয়নের স্কুল পাহাড় এলাকার মৃত রনধির দে’র ছেলে।
চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী জানান, শনিবার ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে জয় চিৎমরম বাজার ঘাটে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান তৎক্ষণাৎ কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং কাপ্তাই শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির নৌ ডুবুরি দলকে শিশুটি উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করেন। পরে কাপ্তাই নৌ বাহিনী ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট আক্কাসের নেতৃত্বে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে কর্ণফুলি নদীতে শিশুটির খোঁজে উদ্ধারে নামেন তাঁরা। মাত্র ১৫ মিনিটে বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে চিৎমরম বাজার ঘাট এলাকার কর্ণফুলি নদীতে নৌ ডুবুরি দল নিখোঁজ জয়ের লাশ উদ্ধার করেন। এসময় কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহীন আলমের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করেন।
আরও পড়ুন: যমুনায় গোসল করতে নেমে ভাই-বোন নিখোঁজ
এদিকে ঘটনা খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এইসময় চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী, চিৎমরম মৌজার হেডম্যান ক্যাওসিং চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও মুনতাসির জাহান এসময় নিহত শিশু জয়ের পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৎকারের জন্য নগদ পাঁচ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। এদিকে লাশটি তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গন নদীতে গোসল করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
অবশেষে আলোর মুখ দেখছে চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প
প্রতিষ্ঠার ৫৬ বছর পর পয়ঃনিষ্কাশন (স্যুয়ারেজ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এতদিন শুধু নগরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তাদের তৎপরতা। স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা ছিল অবহেলিত। অবশেষে দীর্ঘদিন পর স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
পুরো নগরীকে ছয়টি জোনে ভাগ করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রথম ধাপে ১১টি ওয়ার্ডের ২০ লাখ নগরবাসীকে পয়ঃবর্জ্য স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে কোনো স্যুয়ারেজ লাইন নেই। খালনালার মাধ্যমে পয়ঃবর্জ্য কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে পড়ছে। সেখান থেকে চলে যাচ্ছে সাগরে। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বর্জ্য সরাসরি নদীতে পড়বে না। ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে বর্জ্য শোধন করা হবে।
ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) ২০১৮ সালের শেষের দিকে একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো স্যানিটেশন ফ্যাসিলিটিস নির্মাণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরবাসীর জন্য পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল
এদিকে তিন হাজার ৮০৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বিশাল এ পয়ঃবর্জ্য শোধনাগার প্রকল্পের একক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পেতে যাচ্ছে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান।
তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড নামে দক্ষিণ কোরীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুমোদন দেয়া অনেকটা চুড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাইইয়ং তো মাঝে চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্প এবং মদুনাঘাটের শেখ রাসেল পানি শোধনাগার প্রকল্পের প্রধান ঠিকাদার হিসেবে কাজ পেয়েছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীনা ও কোরিয়ান কোম্পানিগুলো মোট ৩৬টি দরপত্র কিনেছে। এর মধ্যে চীনা কোম্পানিগুলো কিনেছে ৩৩টি দরপত্র এবং বাকিগুলো কোরিয়ান কোম্পানি।
২০১৮ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসার জন্য একনেক তিন হাজার ৮০৮ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়। মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকার তিন হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা এবং বাকি ৫০ কোটি টাকা ওয়াসা দেবে। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো বন্দরনগরীতে পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যার সমাধান করা।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডিকে পুনঃনিয়োগ না দেওয়ার আহ্বান ক্যাবের
যদিও উল্লেখিত প্রকল্পে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে তারপরও তাইইয়ং আগের দুটি প্রকল্পে যুক্ত থাকায় এই প্রকল্পেও একমাত্র দরদাতা হিসেবে তাদেরই কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোভিডের কারণে ভান্ডালজুড়ি প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে। ফলে একই কোম্পানি বাংলাদেশের অবকাঠামো এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি মেগাপ্রকল্প পরিচালনা করতে সক্ষম কিনা তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন পরিকল্পনাবিদরা।
সূত্রের দাবি, ভান্ডাল জুড়িতে কাজের মান এবং অগ্রগতি প্রত্যাশিত না হওয়ায় আরও বড় প্রকল্প পরিচালনায় কোম্পানিটির সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই তিনটি চুক্তির মূল্য এক সাথে চার হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যদিও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে একক দরপত্র আহ্বান করা প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমোদন না দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
৩ বছর আগে