হাঙ্গেরি
প্রতিশোধের ম্যাচে হাঙ্গেরির জালে জার্মানির গোল উৎসব
নেশন্স লিগের গত আসরে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নিজেদের মাঠে হাঙ্গেরির বিপক্ষে হেরে নকআউট পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয় জার্মানি। এবারের আসরেও সেই দলটিকে পেয়ে বড় ব্যবধানে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল।
ডুসেলডর্ফের মেরকুর-শ্পিল আরেনায় শনিবার রাতে নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের তৃতীয় গ্রুপের ম্যাচে হাঙ্গেরিকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়েছে জার্মানি।
এদিন পাঁচটি গোলের প্রত্যেকটি পেয়েছে নতুন দিনের জার্মান দলের প্রতিভাবান পাঁচ খেলোয়াড়। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে জার্মানির গোলের খাতা খোলেন নিকলাস ফুলক্রুগ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮, ৬৬, ৭৭ ও ৮১তম মিনিটে আরও চারটি গোল করেন যথাক্রমে জামাল মুসিয়ালা, ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস, আলেক্সান্ডার পাবলোভিচ ও কাই হাভার্টস।
এদিন একটি গোল ও তিনটি অ্যাসিস্ট করে ম্যাচসেরা হয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ ২১ বছর বয়সী প্রতিভাবান অ্যাটাকার মুসিয়ালা। পেনাল্টিতে একটি গোল ছাড়া ওপেন প্লে থেকে হওয়া চার গোলেই অবদান রাখেন এই তরুণ।
ইউরোর পর অবসরে যাওয়ায় থমাস মুলার, টনি ক্রুস, মানুয়েল নয়ার ও অধিনায়ক ইলকাই গুনডোগানকে ছাড়া এদিন কার্যত তরুণ এক দল নিয়ে নবযাত্রা শুরু হয় জার্মানির।
এছাড়া নয়ারের অবসরে অভিষেকের ১২ বছর পর ১ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামার সুযোগ পান বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। তবে মাঠের খেলায় গোলের সামনে আস্থার পরিচয়ই দিয়েছেন তিনি। হাঙ্গেরির অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন ৩২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
আরও পড়ুন: জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু
ম্যাচের শুরুতে থেকেই স্বাগতিক জার্মানিকে সমানে টক্কর দিতে থাকে ইউরোপের ‘ব্ল্যাক হর্স’ খ্যাত হাঙ্গেরি। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগটিও তৈরি করে তারা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অষ্টম মিনিটে প্রথম প্রচেষ্টাতেই গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করে জার্মানি। ডান পাশ থেকে আসা কর্নার হেডারে দূরের পোস্টের দিকে পাঠান জার্মান ডিফেন্ডার ইয়োনাথন টাহ, হাঙ্গেরির গোলরক্ষক পিটার গুলাশি তখন অন্যপ্রান্ত থেকে চেয়ে চেয়ে দেখছেন, কিন্তু গোললাইন থেকে আরেক হেডারে বল ক্লিয়ার করে দলকে বিপদমুক্ত করেন হাঙ্গেরির লিভারপুল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ডমিনিক সোবসলাই।
ত্রয়োদশ মিনিটে হাঙ্গেরি মিডফিল্ডার মিলোস কারকেসের দূর থেকে নেওয়া বুলেট শট পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে জার্মানি আক্রমণে উঠলেও শেষ মুহূর্তে সঠিক সময়ে এগিয়ে এসে বল তালুবন্দি করেন গুলাশি।
এরপর ২০তম মিনিটে গুলাশির একক নৈপুণ্যে গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় হাঙ্গেরি। হঠাৎ ক্ষিপ্র গতিতে পাল্টা আক্রমণে উঠে হাঙ্গেরির ডিফেন্ডারদের হকচকিয়ে দেয় জার্মানি। প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে তাদের দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জের সামনে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করে জার্মানির তিন ফুটবলার। তবে ডান পাশে বক্সের ভেতরে ঢুকে নিকলাস ফুলক্রুগের নেওয়া জোরালো শট প্রতিহত করেন গুলাশি।
তবে ম্যাচের ২৭তম ম্যাচে জার্মানির সম্মিলিত প্রচেষ্টার কাছে হার মানতে বাধ্য হন হাঙ্গেরির গোলরক্ষক।
প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বল নড়াচড়া করতে করতে হঠাৎ ডানপাশে বক্সের ভেতরে ঢুকে বিপরীত পাশে ফাঁকায় থাকা ডেভিড রাউমকে উড়িয়ে পাস দেন ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস। রাউম গোলমুখে মাটি কামড়ানো জোরালো ক্রস দিলে তা ধরে শট না নিয়ে ডান পাশে থাকা ফুলক্রুগকে বাড়ান জামাল মুসিয়ালা। আর প্রথম টোকাতেই বল জালে জড়িয়ে দেন ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
৩২তম মিনিটে হাঙ্গেরির একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সতীর্থের ক্রস পেয়ে বক্সের মাঝামাঝি জায়গা থেকে প্রথম ছোঁয়াতেই ভলি করেন রোনাল্ড সালাই, কিন্তু শটটি লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।
পরের অন্তত ১৫ মিনিট আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চালালেও তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলের কেউ। এরপর বিরতির আগে নির্ধারিত সময়ের কয়েক মুহূর্ত আগে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ডান পাশ থেকে দূরের পোস্টে জোরালো শট দিলেও কাই হাভার্টসের শটটি পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে ফুলক্রুগের গড়ে দেওয়া ব্যবধানেই বিরতিতে যায় জার্মানি।
২ মাস আগে
হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের উপায়, পড়াশোনার খরচ, স্কলারশিপ, ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি যে শহরে অবস্থিত তার পরিবেশও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই ধারাবাহিকতায় সমগ্র দেশের অবস্থা সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলে শিক্ষার পরিবেশের ওপর। চাকরি বা ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সহজলভ্যতার সঙ্গে শিক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ও উন্নত ক্যারিয়ারের বিষয়টি সম্পৃক্ত। এই সুবিধাটিই আরও বহুগুণে বেড়ে যায় যখন একাধিক দেশে ভ্রমণের সুযোগ থাকে। মূলত এই কারণেই উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা পাড়ি জমান শেনজেনভুক্ত দেশ হাঙ্গেরিতে। বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে দেশটি। চলুন, হাঙ্গেরিতে কোন বিষয়ে চাকরির বাজার ভাল, আবেদন পদ্ধতি ও পড়াশোনার খরচসহ যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
উচ্চশিক্ষার জন্য কেন হাঙ্গেরি বেছে নিবেন
হাঙ্গেরিতে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই যে আকর্ষণীয় বিষয়টি আসে, তা হলো তুলনামূলক স্বল্প খরচে উচ্চমানের শিক্ষা লাভ। কিউএস র্যাংকিংয়ে দেশটির সেজেড ইউনিভার্সিটি রয়েছে ৬০১ নম্বর অবস্থানে। ডেব্রেসেন ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৬৭১, ইওত্ভস লোর্যান্ড ইউনিভার্সিটি ৭০১, বুদাপেস্ট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইকোনমিক্স ৭৪১ ও পেচ ইউনিভার্সিটি ৮০১-এ।
জীবনযাত্রার ব্যয়ভারের দিক থেকেও আধুনিক দেশটি ইউরোপের সবচেয়ে অল্প খরচের দেশগুলোর একটি। যেমন বুদাপেস্টে থাকার খরচ প্রাগ, জুরিখ, মাদ্রিদ ও এথেন্সের মতো শহরগুলোর তুলনায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কম। তাই বাজেট সচেতন মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য হাঙ্গেরি সেরা বিকল্প।
এ ছাড়া ক্রাইম ইনডেক্সে প্রতি লাখে ৩৩ দশমিক ৮ হওয়ায় নিরাপদ দেশ হিসেবে ইউরোপের সেরা দেশগুলোর মধ্যে হাঙ্গেরি একটি। সেই সাথে বৈচিত্র্যময়, ঐতিহ্যপূর্ণ, এবং বহুসংস্কৃতির দেশটি অমূল্য অভিজ্ঞতার হাতছানি দেয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের। এই পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ও শেনজেনভুক্ত দেশ হিসেবে ইউরোপ ভ্রমণসহ ক্যারিয়ারের অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়।
আরো পড়ুন: ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা
উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের হাঙ্গেরিকে নির্বাচন করতে হলে কিছু পূর্বশর্ত পূরণ করতে হবে। সেগুলো হলো-
• আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য হাই স্কুল ডিপ্লোমা বা সমমানের একাডেমিক ডিগ্রি
• গ্রাজুয়েশনের জন্য স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি
• পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি
• মেডিসিন, ফার্মেসি, দন্তচিকিৎসা, প্রকৌশল, স্থাপত্য, আইন, মনোবিজ্ঞান এবং তথ্যবিজ্ঞানের মতো প্রোগ্রামগুলোর জন্য নির্দিষ্ট প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
• ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রে, আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য টিওইএফএল স্কোর লাগবে ৭২, স্নাতকের জন্য ৭৯, এবং পিএইচডির জন্য ৯০। আইইএলটিএস স্কোর আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য ৫.৫, স্নাতকের জন্য ৬.০, এবং পিএইচডির জন্য ৬.৫।
হাঙ্গেরি ভাষা দক্ষতা বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি এবং পরবর্তীতে পড়াশোনা শেষে ভালো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াবে।
হাঙ্গেরি বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ বছরের স্টাডি-গ্যাপ পর্যন্ত অনুমতি দেয়। তবে কমপক্ষে ১২ বছরের অধ্যয়ন (উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত) সময়সীমা সম্পন্ন করা আবশ্যিক।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হাঙ্গেরির সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাঙ্গেরির প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
• সেজেড ইউনিভার্সিটি
• ডেব্রেসেন ইউনিভার্সিটি
• ইওত্ভস লোর্যান্ড ইউনিভার্সিটি
• বুদাপেস্ট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইকোনমিক্স
• পেচ ইউনিভার্সিটি
• করভিনাস ইউনিভার্সিটি অব বুদাপেস্ট
• হাঙ্গেরিয়ান ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস
• জ্যাকেনি ইস্ত্ভান ইউনিভার্সিটি
• মিশ্কল্ট্স ইউনিভার্সিটি
• প্যানোনিয়া ইউনিভার্সিটি
আরো পড়ুন: সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু উপায়
বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়োগের ভিত্তিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলো হলো-
• তথ্যবিজ্ঞান
• তথ্য প্রযুক্তি
• আইন
• ন্যাচারাল সায়েন্স
• চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান
• ব্যবসা ও অর্থনীতি
• স্থাপত্য
• প্রকৌশল
• মেডিসিন
• দন্তচিকিৎসা
• ব্যবসায় প্রশাসন
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
৩ মাস আগে
বাংলাদেশ-হাঙ্গেরির মধ্যে ৩টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই
বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরি মধ্যে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সোমবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তোর উপস্থিতিতে নথিগুলো সই হয়।
তিনটি বিষয় হলো: 'অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে চুক্তি', '২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্টিপেনডিয়াম হাঙ্গারিকাম প্রোগ্রামের কাঠামোর আওতায় সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই' এবং '২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই'।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা সই করেন।
বৈঠকে দুই দেশের মন্ত্রীরা খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বিশ্বজুড়ে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে যুদ্ধের অবসানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও সম্মত হন।
আরও পড়ুন: গায়ানার পক্ষে আইসিজে রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ: মোমেন
তারা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই সফরে তিনটি চুক্তি ‘দ্বৈত কর পরিহার’, ‘বিনিয়োগের নিরপত্তা বিষয়ক চুক্তি’ এবং ‘পানি সহযোগিতার চুক্তি’ সই হবে।
মন্ত্রীরা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে হাঙ্গেরির সহযোগিতা কামনা করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে হাঙ্গেরির প্রচেষ্টা থাকবে বলে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান।
মোমেন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ঢাকা থেকে হাঙ্গেরির ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, হাঙ্গেরির মন্ত্রী জানান যে বুদাপেস্ট ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধু পরামর্শ দিতে পারে’: মোমেন
১ বছর আগে
শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে দুই দেশ বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ৭৭তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজারতোর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিস্তারিত না জানিয়ে ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে আসবেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। উক্ত সফরে সমস্ত অমীমাংসিত চুক্তি সই হবে।’
পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সফরের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ জানিয়েছে, হাঙ্গেরি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা ১৪০ থেকে বাড়িয়ে ২৪০ করেছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে হাঙ্গেরি।
এ বছরের জুনে ড. মোমেন হাঙ্গেরির পুনরায় নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিশেষ বার্তা হস্তান্তর করেন।
এ বছর প্রধানমন্ত্রী অরবানের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কাজ করছেন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে সফরসঙ্গী দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ায় নিরাপদে পৌঁছেছে চার শতাধিক বাংলাদেশি
সরকার জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নিরাপদে ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ সরকার তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করছে এবং তাদের দেশে ফেরার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
শনিবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি নিরাপদে ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে পৌঁছেছে।
এদের মধ্যে ৪৬ জন বাংলাদেশি ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যবস্থা করা অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছেন।
বাকিরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী তাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় রয়েছে। যদিও তাদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয় বন্দরে আটকা পড়েছেন ২৯ বাংলাদেশি নাবিক
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি), ইউক্রেনের মাধ্যমে দূতাবাস ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার ও স্থানান্তরের জন্য কাজ করছে।
দূতাবাস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম), ইউক্রেনের মাধ্যমে কারাগারে থাকা বা ইউক্রেনে আটক বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেয়ার জন্যও কাজ করছে।
ইতোমধ্যে, প্রায় ১৫ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাঙ্গেরিতে এসেছেন, যারা এখন ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে আছে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারাও এখন বাংলাদেশে ফিরতে ইচ্ছুক।
আরও পড়ুন: ২ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করেছেন: জাতিসংঘ
এ পর্যন্ত তিনজন বাংলাদেশি রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছেন যাদের এখন বুখারেস্টে বাংলাদেশ দূতাবাস দেখাশোনা করছে।
শিগগিরই আরও সাত বাংলাদেশি রোমানিয়ায় প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারা অবিলম্বে বাংলাদেশে ফিরতেও ইচ্ছুক বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশে আলোচনা নয়: ইউক্রেন
২ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে চায় হাঙ্গেরি
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো।
তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী আমরা আগামী বছরগুলোতে আমাদের পারস্পরিক সুবিধাপূর্ণ সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে সক্ষম হব।’
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে দেয়া এক চিঠিতে এসব কথা বলেন হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী।
দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ নিয়ে যেতে আগ্রাহী কোরিয়া
পিটার বলেন, আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি আমাদের দেশের মধ্যে ভৌগলিক দূরত্ব সত্ত্বেও গত দশকগুলোতে আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা গড়ে তুলেছি।
তিনি বলেন, হাঙ্গেরি বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দিকের দেশগুলোর একটি। এ জন্য তারা গর্বিত। এরপরই ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে দেশটি।
হাঙ্গেরি ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোয় ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা: ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তারা
২ বছর আগে
বয়স্কদের শরীরে চীনা টিকার কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন!
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের সিনোফার্ম টিকার কার্যকরিতা বয়স্কদের শরীরের অনেকটাই কম। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ তাদের বয়স্ক-ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের এই টিকার আওতায় এনেছে, কিন্তু এই গবেষণা এই টিকা কার্যক্রমকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে।
সম্প্রতি দুই হাঙ্গেরিয়ান গবেষক ৪৫০ জন টিকা প্রাপ্ত মানুষের রক্তের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে এই গবেষণা পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের টিকা পাওয়া যাবে আগের চেয়ে কম দামে
সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার দুই সপ্তাহ পার হবার পর এসকল নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, ৫০ বছরের নিচের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।
কিন্তু পঞ্চাশোর্ধ মানুষের শরীরের টিকার কার্যকরিতা কম লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে আশি বছরের বেশি প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের শরীরের কোনও প্রকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে যৌথ টিকা উৎপাদনে সম্মত রাশিয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গবেষণাটি চলতি সপ্তাহে অনলাইনে প্রকাশ করা হলেও, এখন পর্যন্ত কোনও গবেষণা সংস্থা বা গবেষকের দ্বারা এর পর্যালোচনা প্রকাশিত হয়নি। তবে তিনজন বহিরাগত বিশেষজ্ঞ জানান, চীনের তৈরি সিনোফার্ম টিকার কার্যকারিতা নিয়ে এই গবেষণার কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে তাদের কোনও আপত্তি নেই।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট জিন ডং-ইয়ান এই গবেষণা ফলাফল সম্পর্কে বলেন, ‘এটা খুবই আশঙ্কাজনক বিষয় যে, করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বয়স্কদের শরীরে সিনোফার্ম টিকার কার্যকারিতা কম।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি: দোরাইস্বামী
চীনের পেকিং ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ওয়াং চেংগুয়াং জানান, এই গবেষণা পরিচালানার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত টেস্ট কিটের কারণে ফলাফলে তারতম্য ঘটতে পারে। তবে, বয়স্কদের মধ্যে এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে এটাই প্রথম কোনও গবেষণা যার ফলাফল জনগণের কাছে প্রকাশ পেয়েছে।
তবে এই গবেষণার বিষয়ে কোনও প্রকার মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। তাদের মতে, এই ব্যাপারে সরকার বা নির্দিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকেই মতামত জানানো হবে।
অন্যান্য টিকার স্বল্পতার কারণে করোনা মোকাবিলায় বর্তমানে বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ চীনের সিনোফার্ম টিকা ব্যবহার করছে।
৩ বছর আগে
জোড়া মাথার যমজ রাবেয়া, রোকেয়া সফল অস্ত্রোপচারের পর বাড়ি ফিরল
জোড়া মাথার যমজ শিশু রাবেয়া ও রোকেয়া সফল অস্ত্রোপচার শেষে রবিবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে বাড়ি ফিরেছে।
৩ বছর আগে
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ-হাঙ্গেরি
বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের উপায় নিয়ে বৃহস্পতিবার দুদেশ আলোচনা করবে।
৪ বছর আগে