ট্রান্সফ্যাট
খাবারে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
স্বাদযুক্ত বেশির ভাগ খাবারে প্রায়শই শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাটের (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) উপস্থিত থাকে, যা এক নীরব ঘাতক। প্রতিবছর শত শত অকাল মৃত্যু রোধ করতে ‘অ্যাবডোমিনাল ফ্যাট (যকৃত ও অন্ত্রের ভেতরে থাকা ফ্যাট)’ প্রতিরোধে সরকারকে দ্রুত আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩ বছর আগে
ট্রান্সফ্যাটজনিত মৃত্যুতে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের ফলে হৃদরোগ ও হৃদরোগজনিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্ব জুড়ে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলে প্রশংসনীয় অগ্রগতি হলেও থেমে নেই এই মৃত্যু।
৪ বছর আগে
ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের ফলে মৃত্যু এড়াতে বাংলাদেশের জরুরি পদক্ষেপ চায় ডব্লিউএইচও
খাবারে ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের ফলে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশে হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে।
এর মধ্যে চার দেশ কানাডা, লাটভিয়া, স্লোভেনিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খাবারে ব্যবহৃত শিল্প-উৎপাদিত তেল ও চর্বিতে ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়া বা আংশিকভাবে হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও) নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে ২০১৭ সাল থেকে ডব্লিউএইচও প্রস্তাবিত নীতিমালার সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন করছে।
তবে বাকি ১১ দেশ- আজারবাইজান, বাংলাদেশ, ভুটান, ইকুয়েডর, মিশর, ভারত, ইরান, মেক্সিকো, নেপাল, পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে এখনই জরুরি পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের এ সংস্থা।
ডব্লিউএইচও জানায়, এখন পর্যন্ত ৫৮টি দেশ আইন প্রয়োগ করেছে যা ২০২১ সালের শেষ নাগাদ ৩২০ কোটি মানুষকে ক্ষতিকারক পদার্থ- শিল্পজাতভাবে উৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট থেকে রক্ষা করবে।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ থেকে শিল্প-উৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করার জন্য ডব্লিউএইচও-এর উচ্চাভিলাষী প্রচেষ্টার পরে এ তথ্য এসেছে।
ডব্লিউএইচও জানায়, ১০০টিরও বেশি দেশকে তাদের খাদ্য সরবরাহ থেকে এ ক্ষতিকারক পদার্থগুলো অপসারণের জন্য এখনই পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
শিল্প-উৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের কারণে প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় বলে অনুমান করা হয়।
ডব্লিউএইচইও মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বলেন, ‘এমন এক সময় যখন গোটা বিশ্ব করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন আমাদের অবশ্যই মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে করোনাভাইরাসকে আরও সংবেদনশীল করে তোলা এবং অকাল মৃত্যুর কারণ হওয়া অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা।’
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের মধ্যে ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করার আমাদের যে লক্ষ্য তাতে আর দেরি করা উচিত হবে না।’
৪ বছর আগে