জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
গ্রিন টিভির যাত্রা শুরু, মুক্তিযুদ্ধের ঠিক ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান স্পিকারের
মুক্তিযুদ্ধের ঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে সদ্য সম্প্রচারে আসা গ্রিন টিভির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে গ্রিন টিভির জমকালো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শেষে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে স্যাটেলাইট টেলিভিশন হিসেবে আনুষ্ঠানিক সম্প্রচারে আসে গ্রিন টিভি।
শিল্প উদ্যোক্তা গ্রুপ রংধনু’র নতুন এই উদ্যোগ গ্রিন টেলিভিশনের সম্প্রচার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী টেলিভিশনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘তোমার চোখে বিশ্ব দেখি’ এই থিম নিয়ে আসা টেলিভিশন চ্যানেলটি ভিন্নধর্মী, বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান যেমন- ধারাবাহিক নাটক, টিভি শো, গেইম শো ইত্যাদি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন কিছু উপহার দেবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ঠিক ইতিহাস তুলে ধরে এই টেলিভিশন চ্যানেল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শিরীন শারমিন বলেন, ‘গ্রিন টিভি জনকল্যাণে সংবাদ প্রচার করবে, পরিবেশ দূষণ, শব্দ দুষণ, নদী দুষণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করে তাদের নামের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবে।'
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। আমরা যেন ভুল সংবাদ প্রচার না করি। এতে চ্যানেলের বিশ্বাসযোগ্যতা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এই চ্যানেলটি মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান ও ঠিক সংবাদ প্রচার করে সবার মনে জায়গা করে নেবে বলে আমার আশা।'
নারীরা গণমাধ্যমে অংশ নিয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এবং গ্রিন টিভি কাজের ক্ষেত্রে নারীবান্ধব চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে, প্রত্যাশা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইপিটিভি সংবাদ সম্প্রচার করতে পারে না: তথ্য মন্ত্রণালয়
এর আগে গ্রিন টেলিভিশনের সম্প্রচার উদ্বোধন ঘোষণাকালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, '১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিল বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের। আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশে বিশ্বাসী, কারণ এর সঙ্গে রাষ্ট্রের ও সমাজের বিকাশ জড়িয়ে রয়েছে।'
গণমাধ্যম যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য যা যা করা দরকার, সরকার সব করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করে। তাই স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হওয়ার প্রয়োজন আরও বেড়ে যায়।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানে গ্রিন টিভির জন্য সুন্দর আগামীর পথ কামনা করে সংস্থার সকলকে অভিনন্দন জানান।
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, গ্রিন মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারপার্সন নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি আমিন হেলালী প্রমুখ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ও সবাই মিলে কেক কাটেন। বিশিষ্ট শিল্পী ও কলা-কুশলীরা অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: হ্যাকারদের থেকে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার
১ বছর আগে
জীবনমানের উন্নয়নে সংসদীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জীবনমানের উন্নয়নে সংসদীয় কার্যক্রম গতিশীল ও জোরদার করতে হবে।
তিনি বলেন, সংসদ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কল্যাণে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখেন। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আইনের শাসন, স্বচ্ছতা ও সুশাসন সমুন্নত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সংসদীয় কার্যক্রম গতিশীল ও জোরদার করতে হবে।
আরও পড়ুন: নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন: স্পিকার
বুধবার রাতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ৫ম ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অফ স্পিকার্স অফ পার্লামেন্টের 'পার্লামেন্টস অ্যান্ড গ্লোবাল গভার্নেন্স : দ্য আনফিনিসড অ্যাজেন্ডা' শীর্ষক আলোচনায় স্পিকার এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন দেশের সংসদসমূহের সমন্বয়ের মাধ্যমে বহুপাক্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন, অসমতা, লিঙ্গ বৈষম্য, গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দেশগুলোর মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সংসদীয় কূটনীতি ভূমিকা রাখছে এবং আইপিইউ ও জাতিসংঘ এক্ষেত্রে কাজ করছে। সংসদীয় কূটনীতি তথা আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিরাজমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: তিন সম্মেলনে যোগ দিতে ভিয়েনা গেলেন স্পিকার
ইন্টার-পার্লামেন্টারী ইউনিয়নের (আইপিইউ) উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় আর্মেনিয়া ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যান এলেন সিমোনিয়ান, ভারত লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা, বুরুন্ডির সিনেট স্পিকার ইমানুয়েল সিঞ্জোহাগেরা, মন্টেনিগ্রো সংসদের স্পিকার অ্যালেস্কা বেসিস প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার
বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি, রুমানা আলী এমপি এবং গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পিকার ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা: স্পিকার
কোন চাওয়া-পাওয়া থেকে নয়, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কোন চাওয়া-পাওয়া থেকে নয়, দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে হানাদার বাহিনীর বিরূদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।’
শনিবার পীরগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে 'বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা' অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
এ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল, রাজশাহীর কাটাখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন পীরগঞ্জবাসী নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন:সংসদ প্রাঙ্গণে 'পিতা' প্রদর্শনীর আয়োজন একটি অনন্য উদ্যোগ: স্পিকার
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সশ্রদ্ধ সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৬ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুম-অত্যাচার সব কিছু সহ্য করেও বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অবিচল ছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন বলে আজ বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে। বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন:ডব্লিউআইসিসিআই অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্পিকার
শিরীন শারমিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। আজকের বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। রূপকল্প ২০২১ এর যে অঙ্গীকার নিয়ে সরকার যাত্রা শুরু করেছিল তা বাস্তবায়নের পথে। মুজিববর্ষে ৯ লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সমগ্র বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মানিত করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শেখ হাসিনার সরকার। ’
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের গৃহ দেয়া মানবাধিকারের অনন্য মাইলফলক: স্পিকার
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান রাঙ্গার সভাপতিত্বে ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মো. নুরুল হক, আব্দুল হাদী, আব্দুর রব, মো. ফজলার রহমানসহ ৬৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন স্পিকার।
৩ বছর আগে
‘এক্সিলারেট বাংলাদেশ’ স্টার্টআপ মডেলকে সুসংহত করবে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন ‘এক্সিলারেট বাংলাদেশ’ স্টার্টআপ মডেলকে সুসংহত ও অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৪ বছর আগে