কোন চাওয়া-পাওয়া থেকে নয়, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কোন চাওয়া-পাওয়া থেকে নয়, দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে হানাদার বাহিনীর বিরূদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।’
শনিবার পীরগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে 'বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা' অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
এ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল, রাজশাহীর কাটাখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন পীরগঞ্জবাসী নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন:সংসদ প্রাঙ্গণে 'পিতা' প্রদর্শনীর আয়োজন একটি অনন্য উদ্যোগ: স্পিকার
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সশ্রদ্ধ সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৬ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুম-অত্যাচার সব কিছু সহ্য করেও বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অবিচল ছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন বলে আজ বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে। বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন:ডব্লিউআইসিসিআই অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্পিকার
শিরীন শারমিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। আজকের বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। রূপকল্প ২০২১ এর যে অঙ্গীকার নিয়ে সরকার যাত্রা শুরু করেছিল তা বাস্তবায়নের পথে। মুজিববর্ষে ৯ লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সমগ্র বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মানিত করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শেখ হাসিনার সরকার। ’
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের গৃহ দেয়া মানবাধিকারের অনন্য মাইলফলক: স্পিকার
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান রাঙ্গার সভাপতিত্বে ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মো. নুরুল হক, আব্দুল হাদী, আব্দুর রব, মো. ফজলার রহমানসহ ৬৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন স্পিকার।