ক্যানবেরা
‘বাংলাদেশ প্রবাসী অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন
অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও ফিজি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে ‘বাংলাদেশ প্রবাসী অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বৈধভাবে রেমিট্যান্স প্রেরণ, বাংলাদেশি পণ্য আমদানি এবং শিল্প, সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য ৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশির হাতে ‘বাংলাদেশ প্রবাসী অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ তুলে দেওয়া হয়েছে হাইকমিশন থেকে।
জাতীয় প্রবাসী দিবসকে সামনে রেখে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী পুরস্কারপ্রাপ্তদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন নাঈম, মোহাম্মদ কাজী আবদুল কাদের, মো. মাহাতাব উদ্দিন খান ও সিফাত বিন আজাদ এবং বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মো. শাহিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ মুরাদ ইউসুফ ও নিউ জিল্যান্ড প্রবাসী মোস্তাফিজুর রহমান খানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরা মাতালো সোলস
এছাড়া শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ড. মোহাম্মদ আজিজ রহমান ও ফিজি প্রবাসী এ বি এম শওকত আলীকেও পুরস্কার দেওয়া হয়।
হাইকমিশনার সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবেন বলে তিনি আশবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অমর একুশে উদযাপন
পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরার ওপর জোর দেন হাইকমিশনার।
হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ও কল্যাণ) মো. সালাহউদ্দিনের উপস্থাপনায় জাতীয় প্রবাসী দিবসের এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন এ বি এম শওকত আলী, মোস্তাফিজুর রহমান খান ও মো. শাহিনুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করবে।
হাইকমিশনের মিনিস্টার ড. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরির শ্যাডো মালটিকালচারাল মিনিস্টার পিটার কেইন।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন
১১ মাস আগে
ক্যানবেরা মাতালো সোলস
দেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ডদল সোলস ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছেন। গত ২৪ আগস্ট পুরো টিম নিয়ে সোলস সদস্যরা সিডনিতে পৌঁছেছেন। এবারের সফরে ছয়টি কনসার্টে অংশ নেবে সোলস।
গত ২৬ আগস্ট ক্যানবেরায় চার্লসওয়ার্থ থিয়েটারে সোলস লাইভ কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এটিএন ক্যানবেরার আয়োজনে কনসার্টে সোলস প্রায় দুই ঘন্টা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অডিটোরিয়াম দর্শকের উপস্থিতি ছিল পরিপূর্ণ।
এ সময় সোলসের কালজয়ী 'মুখরিত জীবন' গানের গীতিকার আবদুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। মিলনায়তনের দর্শকদের সঙ্গে গানটি তৈরির গল্প তুলে ধরেন তিনি।
পাশাপাশি সোলস সদস্যদের সঙ্গে গানটি গেয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী।
এদিন সোলসের সঙ্গে দুইজন দর্শক সাগর তীরে ও কলেজের করিডোরে গান দুটি গেয়েছেন।
আরও পড়ুন: লন্ডনে গানে গানে মাতালো 'সোলস'
এদিকে আগামী ২ সেপ্টেম্বর সিডনি, ৯ সেপ্টেম্বর ব্রিসবেন, ১৬ সেপ্টেম্বর মেলবোর্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর এডিলেড ও ২৪ সেপ্টেম্বর পার্থে কনসার্টে অংশ নিবে সোলস।
অস্ট্রেলিয়া সফর প্রসঙ্গে ব্যান্ডটির প্রধান পার্থ বড়ুয়া বলেন, সোলসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমাদের এই সফর। এবার কনসার্টগুলোতে সোলসের কালজয়ী গানের পাশাপাশি নতুন গানও থাকছে। আশা করি, সোলস ভক্তদের নতুন কিছু উপহার দিতে পারবো।
জানা গেছে, আগামী মাসের শেষদিকে ঢাকায় ফিরবে সোলস। এর আগে গত জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের বেশকটি শহরে সোলস কনসার্টে অংশ নিয়েছিল।
উল্লেখ্য, সোলসের ৫০ পূর্তি উপলক্ষে ৫০টি গানের ঘোষণা দিয়েছিল ব্যান্ডদলটি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশ পেয়েছে যদি দেখো’, কিতা ভাইসাব ও রিক্সা শিরোনামের তিনটি গান।
আরও পড়ুন: সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে 'সোলস' এর লোগো উন্মোচন
১ বছর আগে
ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অমর একুশে উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে পালিত হলো শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় প্রভাত ফেরীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এসব আয়োজনে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) সরকারের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত-কূটনৈতিকসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ক্যানবেরার তেলোপিয়া পার্কে মানুকা সার্কিট ও নিউ সাউথ ওয়েলস স্ট্রিটের ক্রসরোডে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রভাত ফেরী সকাল ৬.৩০ মিনিটে শুরু হয়ে মানুকা ওভাল ঘুরে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শেষ হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) সরকারের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত-কূটনৈতিক,অষ্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ভাষা-ভাষীদের প্রতিনিধি, অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী ও অভিবাসীগণ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
অংশগ্রহণকারীরা অস্থায়ী শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ভাষাকে সম্মান করে ‘আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত’ বিশ্ব চায় বাংলাদেশ
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী, এসিটি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাসেল স্টিফেন স্মিথ, পরিবেশ মন্ত্রী রেবেকা ভাসারত, বহুসংস্কৃতি বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী পিটার কেইন, অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত মনপ্রিত ভোরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
এম আল্লামা সিদ্দিকী এ সময় ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত দীর্ঘ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় ৭ হাজার ভাষার প্রতিটি জীবন্ত যাদুঘর এবং অনন্য জ্ঞানের আধার। প্রতিবছর এ ৭ হাজার ভাষার মধ্যে কমপক্ষে ১টি ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বিশ্বের প্রতিটি ভাষা সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় বক্তাগণ মহান শহিদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
ভারতের রাষ্ট্রদূতসহ বক্তারা ভাষার সম্মান রক্ষায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বহু সংস্কৃতিবাদ ও ভাষার অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেন।
একুশের ব্যাপারে সম্যক অবহিত করা এবং নৃ-তাত্ত্বিক ভাষাসহ সকল মাতৃভাষার সম্মানার্থে এই অস্থায়ী শহিদ মিনার তিনদিনব্যাপী খোলা রাখা হয়েছে।
সকাল ৮ টায় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন: শাহরিয়ার আলম
এসময় দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া নিজ নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক ভাষা শহিদদের উদ্দেশ্যে মৌন প্রার্থনা এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসটির প্রথম প্রহরের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
সন্ধ্যায় দেড় শতাধিক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ও অভিবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয় যাতে হাইকমিশনারসহ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা শেষে ভাষা শহিদদের স্মরণে ও বাংলাদেশকে উপজীব্য করে স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে, একুশের চেতনা, তাৎপর্য, ইতিহাস বিষয়ে এবিসি রেডিও ক্যানবেরা আজ সকালে হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর লাইভ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। এসময় তিনি একুশের চেতনা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সংস্কৃতির মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতি বছর বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন ।
১ বছর আগে
ক্যানবেরায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় শুক্রবার মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় দুই শতাধিক প্রবাসী ও তাদের সন্তানরা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, হাজার বছরে বাঙালি জাতি সত্তার সৃষ্টি হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতার মাধ্যমে এ জাতিসত্তার পরিপূর্ণতা দেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে তিনি জনযুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবসে জাতীয় কর্মসূচি
আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বৃহত্তর নারকীয় ও বীভৎস গণহত্যার মধ্যে বাংলাদেশে ৭১’র ২৫ মার্চের গণহত্যা অন্যতম। পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এবং এদেশের অধিকাংশ মানুষকে অসহনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আমাদের সন্তুষ্টির বিষয় হলো বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে অনেক দূর এগিয়েছে। সামাজিক ও অথনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে।
এর আগে সকালে বাংলাদেশ হাইকমিশন চত্বরে হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কয়েকজন খ্যাতনামা সংগীত শিল্পী দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন। এছাড়াও, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করা করা হয়।
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবস পালিত
৪৯তম মহান বিজয় দিবস পালিত
১ বছর আগে
ক্যানবেরায় শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন এবং শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতালয় প্রধান ও কাউন্সেলর তাহলীল দেলাওয়ার মুনের উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী তুষার রায়।
ড. শাহরিয়ার ফিরোজ বলেন, অসীম সম্ভাবনাময় শিশু ছিলেন শেখ রাসেল। যারা শিশু রাসেলকে হত্যা করেছিল তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উল্লেখ করেন, বিখ্যাত দার্শনিক রাসেলের নামানুসারে বঙ্গবন্ধু তাঁর ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন শেখ রাসেল এবং বেঁচে থাকলে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে রাখতে পারতেন অসাধারণ অবদান।
শিশুরা যেন সৎ, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য সব ধরনের সহিংসতামুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ড. ফিরোজ।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী তুষার রায় শিশু রাসেলের অসাধারণ গুণাবলীর ওপর আলোকপাত করেন।
পড়ুন: শেখ রাসেলের মতো যেন আর কোন শিশুকে জীবন দিতে না হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হতে পারতেন অবিসংবাদিত এক নেতা।
অনুষ্ঠানে শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. ফিরোজ। এসময় শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর মো: সাইফুল্লাহ এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্তবাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর নাঈম রুবাইয়্যাত। শেখ রাসেলের ওপর কবিতা আবৃত্তি করেন কাউন্সেলর সালাহউদ্দিন।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করে নিজ নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক মৌন প্রার্থনা করা হয়।
পড়ুন: জাপান দূতাবাসে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপিত
২ বছর আগে
গুরুত্বপূর্ণ চার মিশনে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে সরকার
ওয়াশিংটন, নয়াদিল্লি, ক্যানবেরা এবং জেনেভাসহ বিদেশে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে সরকার।
উচ্চ পর্যায়ের একটি কূটনৈতিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, পরিকল্পিত পরিবর্তনগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এখনও ‘কয়েক’ মাস সময় লাগতে পারে এবং এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হতে পারেন এবং বর্তমান রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ঢাকায় ফিরবেন।
বিমসটেকের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শহীদুল ইসলামকে সরকার ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়।
১৯৮৮ সালে বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগ দেন এম শহীদুল ইসলাম। কর্মজীবনে তিনি কলকাতা, জেনেভা এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-টোকিও
তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা, প্যাসিফিক ও কাউন্টার টেররিজম এবং ইউরোপ অনু বিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন শহীদুল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে মুহাম্মদ ইমরানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়ে দেয় সরকার।
জেনেভায় জাতিসংঘ অফিস ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হতে পারে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয় ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি হতে পারেন।
পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আলোচনা
২ বছর আগে
ক্যানবেরায় বিজয় দিবসে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনে বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কমনওয়েলথ ব্রিজের দু’পাশে বৃহস্পতিবার প্রদর্শন করা হয়েছে ৩২টি জাতীয় পতাকা ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ ব্যানার।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সপ্তাহব্যাপী এখানে জাতীয় পতাকা ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ব্যানার প্রদর্শন করা হবে যার উপরের অংশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও ১৯৭১ সাল লেখা এবং নিচের অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও ২০২১ সাল লেখা। এতে তুলে ধরা হয়েছে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর উন্নয়ন অগ্রযাত্রা শুরু হয়, তেমনই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধাসহ দেড় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: দেশকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার শপথ নিল জাতি
২ বছর আগে
ক্যানবেরায় বাংলাদেশ-ভারত ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে যৌথভাবে ‘মৈত্রী দিবস’ এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের হাইকমিশন।
৫০ বছর আগে এই দিনে, বাংলাদেশের প্রকৃত বিজয়ের ১০ দিন আগে ভারত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ থেকে বর্তমান সোনালী অধ্যায় পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্মিত একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ও ভারতীয় শিল্পীরা পৃথকভাবে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন।
এসময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, ভারতের হাইকমিশনার মনপ্রীত ভোরা এবং অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হারিন্দার সিধু বক্তব্য দেন। এছাড়া রাশিয়াসহ অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ৩১টি দেশের মিশনপ্রধান, বাংলদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী বাংলাদেশি ও ভারতীয়সহ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা, স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সহায়তা এবং প্রধানমন্ত্রী মুজিব ও ইন্দ্রিরা কর্তৃক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনের বিষয়কে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী দিবস' পালিত
ভারতের হাইকমিশনার মনপ্রীত ভোরা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে থাকতে পেরে ভারতের জনগণ গর্বিত। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হারিন্দার সিধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তীতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অস্ট্রেলিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করেন। ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়দানের জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন তিনি। শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে একযোগে কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
২ বছর আগে
ক্যানবেরাতে সপ্তাহব্যাপী ফটো প্রদর্শনীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মকে স্মরণ
বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ক্যানবেরার মানুকা আর্ট সেন্টারের ‘হুও ডেভিস’ গ্যালারিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে তার জীবন ও কর্মের ওপর সপ্তাহব্যাপী ফটো প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার উদ্বোধন করা এ প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতা হিসেবে গড়ে উঠা, বাঙালির অধিকার ও মুক্তির সকল আন্দোলনে নেতৃত্ব দান, তৎকালীন বিশ্ব নেতাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর যোগাযোগ ও সখ্যতা ছাড়াও ব্যক্তি মুজিব ও পারিবারিক জীবনের মুজিবকে ৮৫টিরও বেশি বিভিন্ন দুর্লভ ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
হাইকমিশন জানায়, প্রদর্শনীটি আগামী রবিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
গ্যালারির ভেতরে বঙ্গবন্ধুর ভিডিওগুলোও প্রদর্শিত হচ্ছে।
উদ্বোধনের আগে কয়েকজন বিশেষ অতিথি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
৪ বছর আগে