অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন এবং শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতালয় প্রধান ও কাউন্সেলর তাহলীল দেলাওয়ার মুনের উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী তুষার রায়।
ড. শাহরিয়ার ফিরোজ বলেন, অসীম সম্ভাবনাময় শিশু ছিলেন শেখ রাসেল। যারা শিশু রাসেলকে হত্যা করেছিল তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উল্লেখ করেন, বিখ্যাত দার্শনিক রাসেলের নামানুসারে বঙ্গবন্ধু তাঁর ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন শেখ রাসেল এবং বেঁচে থাকলে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে রাখতে পারতেন অসাধারণ অবদান।
শিশুরা যেন সৎ, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য সব ধরনের সহিংসতামুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ড. ফিরোজ।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী তুষার রায় শিশু রাসেলের অসাধারণ গুণাবলীর ওপর আলোকপাত করেন।
পড়ুন: শেখ রাসেলের মতো যেন আর কোন শিশুকে জীবন দিতে না হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হতে পারতেন অবিসংবাদিত এক নেতা।
অনুষ্ঠানে শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. ফিরোজ। এসময় শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর মো: সাইফুল্লাহ এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্তবাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর নাঈম রুবাইয়্যাত। শেখ রাসেলের ওপর কবিতা আবৃত্তি করেন কাউন্সেলর সালাহউদ্দিন।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করে নিজ নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক মৌন প্রার্থনা করা হয়।