বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সতীশ নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচজন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়নের মহিষতলী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সতীশ রায় (৫৫) উপজেলার মহিশতলী গ্রামের শরৎ রায়ের ছেলে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকেদর সংঘর্ষে নারী শ্রমিক নিহত
ননীক্ষীর ইউপি সদস্য বকুল সরদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে মহিষতলী গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে সতীশ রায়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে প্রতিপক্ষ। এতে সতীশের মৃত্যু হয়। এসময় পাঁচজন আহত হয়।
মুকসুদপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শীতল চন্দ্র পাল বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের দুই বংশের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে সতীশের মৃত্যু হয়। পাঁচজন আহত হন।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি। এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত
৩ মাস আগে
বৈরী আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন মাদারীপুরের অধিকাংশ এলাকা
বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাদারীপুরের বেশির ভাগ এলাকা শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা পাচ্ছে না অনেক এলাকা।
টানা প্রায় ৪২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় সড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও ভ্যান নেই বললেই চলে। এছাড়া জেলার সদর, শিবচর, কালকিনি, রাজৈর ও ডাসার উপজেলায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে বাতাস ও বৃষ্টি হলেও শুক্রবার রাত থেকে বিদ্যুতের মূল লাইনে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকলেও এর পর থেকে পুরো সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জেলার স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল খুবই কম। হাট-বাজারে নেই ক্রেতার উপস্থিতি। সড়কে ছোট যানবাহনও প্রায় নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট
শিবচরের এক স্কুল শিক্ষক মো. আব্বাস আলী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি খুবই কম। আর বিদ্যুৎ না থাকায় শনিবার থেকেই দুর্ভোগে আছি সবাই। মোবাইলে চার্জ প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছে।’
পল্লি বিদ্যুতের শিবচর উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির জন্য মূল লাইনে সমস্যা। শনিবার থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন করতে কাজ করে যাচ্ছে কর্মীরা।
পল্লি বিদ্যুতের জোনাল ম্যানেজার মো. জনাব আলী বলেন, ‘জেলা সদরে আংশিক বিদ্যুৎ রয়েছে। তবে অন্যান্য স্থানে বিদ্যুৎ নেই।’
মাদারীপুর পল্লি বিদ্যুতের কর্মকর্তা জনাব আলী বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যা: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ
৩ মাস আগে
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: শেবাচিম হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত
গত কয়েকদিন ধরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
জানা যায়, গত তিন দিন ধরে জি ব্লকের ৩ ও ৪ নং সার্জারি ওয়ার্ড, এ ব্লকের ১ নং সার্জারি ওয়ার্ড (পুরুষ) এবং আই ব্লক (চক্ষু) বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। অন্যদিকে রেডিওলজি বিভাগ গত ১৮ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় নাইমুল ইসলাম জানান, ‘ওয়ার্ডে আলো না থাকায় আমরা অন্ধকারে টয়লেটে পর্যন্ত যেতে পারছি না। চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছি আজ কয়েক দিন ধরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।’
আরেক রোগীর স্বজন আরাফাত হোসেন শাওন বলেন, ‘হাসপাতালে ঠিকমত চিকিৎসা পাই না। তারপরও আসতে হয়। কারণ আমাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। এখন এখানে বিদ্যুৎ পর্যন্ত নেই। এভাবে মনিটরিং ছাড়া হাসপাতাল চলতে পারে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন নার্স জানান, রাতের অন্ধকারে তারা রোগীদের সঠিকভাবে ইনজেকশন দিতে পারেন না।
আরও পড়ুন: ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
ওই নার্স বলেন, ‘আমরা বর্তমানে মোমবাতি ও চার্জার লাইটের সাহায্যে আমাদের কাজ করছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে গেট নির্মাণ করছে, যা অপ্রয়োজনীয়। বৈদ্যুতিক তারগুলো ঠিক করতে এবং জেনারেটরের মাধ্যমে অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে অর্থ ব্যয় করা উচিত ছিল।’
ওই নার্স আরও বলেন, গেট নির্মাণ না করে কীভাবে রোগীদের আরও কার্যকরভাবে চিকিৎসা দেয়া যায় তার ওপর জোর দিতে হবে।
বিদ্যুৎ সংকটের ব্যাপারে কথা বলার জন্য হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলামকে ইউএনবির পক্ষ থেকে একাধিকবার কল দিলেও, তিনি রিসিভ করেন নি।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘বর্তমানে সার্জারি ওয়ার্ডগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। আর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রেডিওলজি বিভাগ। এতে করে সরকারিভাবে পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছে না। নার্সরাও সেবা দিতে পারছে না। রোগীরা বেকায়দায় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, হাসপাতালটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করা হয়নি। এজন্য বিভিন্ন স্থান থেকে বিদ্যুতের কেবল নষ্ট হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ’
আরও পড়ুন: ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: নসরুল হামিদ
জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়: দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
২ বছর আগে
কলকাতা বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ফ্লাইটে আটকে ছিলেন ১৫৮ যাত্রী
কলকাতা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকাগামী একটি ফ্লাইটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে ১৫৮ জন যাত্রী প্রায় চার ঘণ্টা অনাকাঙ্খিত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন।
সোমবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়নের কথা ছিল এবং যাত্রীরা স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফ্লাইটে ওঠেন।
তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার ইউএনবিকে বলেন, যাত্রার ঠিক আগে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ইন্টিগ্রেশনে সমস্যার কারণে ফ্লাইটটি টেক অফ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি ফ্লাইটে সৌদি আরবের আকাশসীমা উন্মুক্ত
তিনি বলেন, বিমানের নিরাপত্তা বিধি মোতাবেক যে কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের সময় বিমান কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে হয়। তাই বিমানের এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম বন্ধ রাখা হয়েছিল ফলে বিমানের বেশ কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
এছাড়াও, কলকাতা বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের বিমানে ওঠার পরে বিমান থেকে বেরোতে দেয়া হয় না যা যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
প্রযুক্তিগত ত্রুটি ঠিক করতে জেট এয়ার ইঞ্জিনিয়ারের প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় রাত ১ টা ৪২ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
২ বছর আগে
পাওয়ার গ্রিডে আগুন, ময়মনসিংহ বিভাগ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
দ্বিতীয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সকালে আবারও ময়মনসিংহের কেওয়াটখালী পাওয়ার গ্রিডের সার্কিট ব্রেকার আগুন লেগে পুড়ে যাওয়ায় ময়মনসিংহ বিভাগ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
৪ বছর আগে