জনদুর্ভোগ
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, মামলাজটের কারণে জনগণ অনেক সময় ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয় এবং তাদের নানারকম হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
আরও পড়ুন: পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও অ্যাসিসটেন্ট অ্যাটর্নি জেনারেলরা (এএজি) তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
মামলাজট নিরসনে অনেকগুলো মামলা ফাস্ট ট্রাক করে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিএজি ও এএজিদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টে অনেক রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। এগুলোর ‘ইন্টিমেশন’ তাড়াতাড়ি করতে হবে। হাইকোর্টে সবচেয়ে বেশি হয় ‘স্টে’, যা ‘ভ্যাকেট’ করার জন্য প্রত্যাশী মন্ত্রণালয়/সংস্থা সলিসিটর অফিসের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারে। সেটি যদি একটু তাড়াতাড়ি প্রসেস করে তথ্যাবলি আইন মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ডিসপোজাল/নিষ্পত্তির ব্যাপারে তড়িৎ কাজ করা সম্ভব হবে।
ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিষ্ঠিত। তিনি ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন করেছিলেন এবং এই আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই সংস্থার কার্যক্রম স্থবির হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আবারও সরকার গঠন করলে এই সংস্থাকে সচল করা হয় এবং গত ৫ থেকে ৭ বছরে এটি একটি সিস্টেমের মধ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণেও একটি আইনগত সহায়তা প্রদান অফিস চালু করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং যে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেটি গত নির্বাচনে জনমতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
৯ মাস আগে
জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বুধবার (২৬ জুলাই) বলেছেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
জনদুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি না করে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দল ঢাকা ২৭ জুলাই রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছে।
তবে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান ডিএমপি প্রধান।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার।
তিনি বলেন, তবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির দায়িত্ব।
জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আগামীতে কর্মদিবসের পরিবর্তে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির পরিকল্পনা করারও আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া সমাবেশে লাঠি-ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
তাজিয়া মিছিলের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি প্রধান বলেন, ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বিস্ফোরণের পর থেকে পুলিশ তাজিয়া মিছিলে নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ইমামবাড়া হোসেনি দালান এলাকাকে সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
এছাড়া যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য এলাকায় ডগ স্কোয়াড তৎপর থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা ছিনতাইমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছিনতাইবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
জনদুর্ভোগ বা সম্পত্তি নষ্ট হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আসাদুজ্জামান
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি বলেন, বিএনপিকে বলে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনের নামে জানমাল বা সম্পত্তি ধ্বংস অথবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী ২৭ জুলাই বিএনপির সমাবেশ নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলে সরকারের কোন বাধা নেই।
তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) দেখেছেন তারা পদযাত্রা করেছে তারা মানববন্ধন করেছে, যা করেছে আমরা কিন্তু কোনোটাতেই বাধা দিইনি। তারা সুন্দরভাবে এসব কর্মসূচি পালন করেছেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও যদি তারা করতে চান করবেন। সেখানেও আমাদের বাধা থাকবে না। কিন্তু যখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে, জানমাল ধ্বংস করতে চাইবে তখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, এটাই তাদের বলে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা পদযাত্রার পরে অতি সম্প্রতি একটা লং মার্চ করল, তারুণ্যের একটা সমাবেশও করল। এখন তারা একটা বড় সমাবেশ করার জন্য আমাদের পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার এখনো তার মতামত জানাননি। আশা করছি, শিগগিরই মতামত জানিয়ে দেবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত কী হবে? দেখুন, হঠাৎ করেই তারা (বিএনপি) এমন-এমন কর্মসূচি দিচ্ছে যেগুলোয় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বলছেন আন্দোলন শুরু করেছেন, আন্দোলন করবেন। আমরা সেখানে কোনো বাধা দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, যদি জনগণ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আসে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু জনগণকে জোর করে আনলে আমাদের আপত্তি।
আমাদের আপত্তি সেখানেই যদি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে, রাস্তাঘাট বন্ধ করে তারা যদি কিছু করে কিংবা জান-মালের ক্ষতি করে অথবা জীবননাশ হয়, আমরা তখনই বাধা দেব।
আওয়ামী লীগ বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেয় কি না, এমন প্রশ্নের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আপনারাই দেখছেন।
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে কর্মসূচি দেয়, শুধু আওয়ামী লীগের কর্মসূচি দেখছেন কেন?
আরও অন্যান্য পার্টিও তো দিচ্ছে। সেগুলোও আপনার নজরে নিশ্চয়ই পড়েছে। ২০ জন নিয়ে রাস্তায় নামতে পারেন না তিনিও একটা কর্মসূচি দেওয়া শুরু করেছেন।
কাজেই সবাই কর্মসূচি দিচ্ছে। সবাই রাস্তায় থাকবে। আমরা এটুকুই বলব, যতক্ষণ পর্যন্ত জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করবেন, জান-মালের ক্ষতি না করবেন, গাড়ি ভাঙচুর না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের কোনো ধরনের কর্মসূচিতে বাধা দেবো না।
আরও পড়ুন: আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কেউ আইন অমান্য করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৩ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ৪০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা আইন না মেনে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে আগ্রহী নয়। তাই তারা ক্ষমতায় আসতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ কোথাও তাদের কর্মসূচিতে কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি।
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির এক কর্মী নিহত হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নিহত ব্যক্তি বিএনপির কর্মী নয়। দুই গ্রুপের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাজধানীতে বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ ও নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতরে মুজিব কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলে বিএনপি কোনও বাধার মুখে পড়বে না। তাদের কর্মসূচি জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ালে তা বরদাস্ত করা হবে না।’
সরকার বিএনপির কর্মসূচিতে কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। দলটি তাদের আগের কর্মসূচিতে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে গণঅস্থানের নামে ভাঙচুর ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রতিহত করবে।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ঢাকা মেট্রোপলিটনের কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১১ জানুয়ারি দেশের সব বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ঢাকায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অচিরেই সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে: বিএনপি
বিএনপি সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামের মধ্যে বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি মানুষকে হত্যা করার মতোই।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সরকারকে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বলেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে।এটা কেবল মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।
আরও পড়ুন: লুটপাট, মানি লন্ডারিংয়ের কারণে ব্যবসায় বিপর্যয়: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, এমন সময়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে যখন চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে এবং মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়ে বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। তারা বিদ্যুতের দাম আরও বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই।’
ফখরুল বলেন, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে জনগণ সরকার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
আগের দিন, সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) রিভিউ আপিল নিষ্পত্তি করে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।
ফখরুল বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গণবিরোধী। ‘এই অনির্বাচিত শাসক জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিটি খাতে দুর্নীতি করে অর্থনীতির যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করা সরকারের পক্ষে অসম্ভব মনে হচ্ছে। ‘তারা এখন মানুষের ওপর দুর্ভোগ চাপিয়ে দিচ্ছে, কারণ তারা আইএমএফ থেকে ঋণ পেতে মরিয়া।’
বিএনপি নেতা বলেন, দুর্নীতি কমাতে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের জন্য সরকার আগে পদক্ষেপ নিলে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা আরও সহজ হতে পারত।
আরও পড়ুন: বিরোধী নেতাকর্মীদের গুলি করা বন্ধ করুন: পুলিশকে ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরোধিতাকারীরা ‘জনশত্রু’: ফখরুল
১ বছর আগে
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ে জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্বালানি তেলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ রেশনিংয়ের কারণে জনগণের দুর্ভোগ তিনি পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের দুর্ভোগ উপলব্ধি করতে পারি।’
রবিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের আট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে তার সরকার অবশ্যই মূল্য হ্রাস করবে বলে আশ্বস্ত করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে যখনই জ্বালানি তেলের দাম কমবে আমরা সমন্বয় করব। আমি সেই নির্দেশনাও দিয়েছি।’
চলমান বিদ্যুৎ সংকট ও দেশব্যাপী লোডশেডিংয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণকে এই যন্ত্রণা আরও কিছুদিন সহ্য করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে যাবে তখন আমাদের বিদ্যুতের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।’
সরকার বিরোধী দলগুলোকে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যেতে দিয়েছে, স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল আন্দোলন করার সুযোগ পাচ্ছে। তাদের সেটা করতে দিন। আমিও এটা চাই।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি আজ বিরোধীদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে এবং কাউকে গ্রেপ্তার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
তিনি বলেন, ‘তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে চায়, তা করতে দেন।’
তিনি বলেন, জনগণ ভালো করেই জানে তার সরকার জ্বালানি তেলের দাম ও বিদ্যুতের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরোধীরা এটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা বাড়াবাড়ি করলে জনগণ শেষ পর্যন্ত এর জন্য বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের এটি উপলব্ধি করতে হবে।’
২ বছর আগে
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারকে গণবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সরকার এখন জনদুর্ভোগ নিয়ে কম মাথা ঘামায়।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে’।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তেলের ওপর ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রত্যাহার করলে এবং বিগত বছরগুলোতে অর্জিত মুনাফা সমন্বয় করলে সরকারকে আর জ্বালানির দাম বাড়াতে হতো না।
তিনি বলেন, ‘যে সরকার জনদুর্ভোগের কথা না ভেবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে মুনাফা করে, তারা জনগণের সরকার হতে পারে না। গণবিরোধী সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝে না।’
আরও পড়ুন: দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে: জিএম কাদের
সরকার নানাভাবে মুনাফা করছে এবং উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে লুটপাট করছে বলে এসময় অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের অর্জিত মুনাফার অর্থ ব্যাংকে রাখছে এবং এক চতুর্থাংশ বিভিন্ন অজুহাতে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ বিদেশে পাচার করছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশে প্রজাতন্ত্রের নামে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। উন্নয়নের নামে দেশে ঘুষ-দুর্নীতির জোয়ার বইছে।’
অনুষ্ঠানে জিএম কাদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রব্বানী।
আরও পড়ুন: বাংলদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে: জিএম কাদের
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে মানুষ: জিএম কাদের
২ বছর আগে
জরাজীর্ণ রাস্তা: শেওলা স্থলবন্দরে ব্যবসা বাণিজ্য ব্যাহত
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ব্রিজ থেকে শেওলা স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কটি অসংখ্য গর্তে জরাজীর্ণ হয়ে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে তিন কিলোমিটার রাস্তাটি মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: বাড়িরপাশে মরিচের আড়ৎ, ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে গাড়ি চালকরা জানান, রাস্তার গর্তে বৃষ্টির পানি জমে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত ১১ এপ্রিল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, সড়ক ভবন, চৌহাট্টা, সিলেট এ আবেদন করা হয়।
এর আগেও ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যেগে রাস্তাটি মেরামত করেছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে রাস্তাটি আবার জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
সড়কটি সংস্কার করা না হলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: এক মণ ধানের দামেও মিলছে না শ্রমিক
শেওলা স্থল বন্দর সিলেট বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থল বন্দর। ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর, কয়লা, বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী পেঁয়াজ ও আদা আমদানি হয়ে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট, মাছ, তুলা ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি হয়ে থাকে।
এই স্থলবন্দর দিয়ে সরকার বাণিজ্য থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে।
এছাড়া শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে শত শত যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে।
এদিকে, গত ৯ মে সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের একটি প্রতিনিধিদল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের কার্যালয় সড়ক ভবনে সাক্ষাত করেন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বেডে ঈদ
সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি চন্দন সাহা আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা ও সরকারের রাজস্বের স্বার্থে সড়কটি দ্রুত সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
২ বছর আগে
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, শঙ্কায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ও শিক্ষকদের অফিস রুম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ১৯৩৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২০১৮ সালে জাতীয়করণ হয়। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮শ। এটি জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা কেন্দ্র। বিদ্যালয়টিতে ৬০ ও ৮০ এর দশকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুটি ভবন নির্মাণ হয়। কিন্তু গত দুই বছর ভবন দুটিসহ দুটি টিনশেডের আধাপাকা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: নান্দনিক সড়কবাতিতে ঝলমলে রাজশাহী শহর
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়ে আবেদনও করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২ বছর আগে