ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বুধবার (২৬ জুলাই) বলেছেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
জনদুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি না করে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দল ঢাকা ২৭ জুলাই রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছে।
তবে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান ডিএমপি প্রধান।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার।
তিনি বলেন, তবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির দায়িত্ব।
জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আগামীতে কর্মদিবসের পরিবর্তে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির পরিকল্পনা করারও আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া সমাবেশে লাঠি-ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
তাজিয়া মিছিলের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি প্রধান বলেন, ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বিস্ফোরণের পর থেকে পুলিশ তাজিয়া মিছিলে নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ইমামবাড়া হোসেনি দালান এলাকাকে সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
এছাড়া যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য এলাকায় ডগ স্কোয়াড তৎপর থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা ছিনতাইমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছিনতাইবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার